নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার ৭ বিলিয়ন ডলার জলে গেছে,আফগানিস্তানে রমরমা আফিম চাষ।।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী । আমেরিকানরা বড় আশা করে ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলো আফগান ব্রাদারদের আফিমমুক্ত সমাজ গড়তে কিন্তু কপাল মন্দ ২০১৩ সালে আফগানরা পুনঃসংশোধিত হয়ে রেকর্ড পরিমান আফিম চাষ করেছে। দুষ্ট লোকেরা বলে একবার শিখিয়ে তা বন্ধ করতে গেলে বিশেষ করে আফিমের মতো লাভজনক বিষয়, নতুন অহি, নবী কোনকিছুই থামাতে পারবেনা এই অভ্যাস। পাড় মাতালকে সারা রাত মহাভারত শুনিয়ে কৃষ্ণ কাহিনী জিজ্ঞেস করলে সে জড়িয়ে জড়িয়ে বলল দ্রৌপদির বস্ত্রহরণটা আরেকবার বলনা মাইরি। তো আফগানরাও বলছে তোমাদের টাকা দিয়ে অ্যান্ডরয়েড কিনে পর্ণ দেখছি আর আফিমের জন্য পপির বীজ বুনেছি , পানির জন্য ডীপটিউবওয়েল বসিয়েছি ক্ষেতে পানি দেবো , মাশাল্লাহ তোমাদের দেশের পাউডার খোরদের জন্য আমরা নিবেদিত এখন গাজাও চাষ হবে । আফটারঅল তোমাদের জনগণকে ঠাণ্ডা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
২০১৩ সালে ২০৯০০০ হেক্টর জমিতে পপির চাষ হয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত বহু দুর্গম অঞ্চলে এবারের চাষ আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। যে ডীপ টিউবওয়েল দেওয়া হয়েছিল খাবার পানির জন্য তা ব্যাপক হারে ব্যাবহার হয়েছে এই চাষাবাদে । গত এক দশকে এই পানি ২লাখ হেক্টর মরু অঞ্চলকে চাষযোগ্য করেছে । সেই মরু এখন সবুজে ভরা। আফগানিস্তান পৃথিবীর প্রায় ৮০% আফিম উৎপাদন করে থাকে। এই আফিম বিক্রিত অর্থ অপরাধ কাজে ব্যাবহার হচ্ছে । স্থানীয় সশস্ত্র দল,দলীয় নেটওয়ার্ক , পাচার ইত্যাদিতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। তালিবানরা এই চাষের একটা বড় লভ্যাংশ কর হিসাবে নেয় , বিনিময়ে মেলে নিরাপদ জীবন । আফিম থেকে হেরোইনে পরিবর্তনের সময় যে কেমিক্যাল ব্যাবহার হয় তা আবার পশ্চিমাদের তৈরি এবং তা পাকিস্তানের উপর দিয়ে যাতায়াত করে।আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল ও পাকিস্তানের পেশোয়ারের বিশাল এক যুব , বৃদ্ধ সমাজ এই মাদকে আক্রান্ত।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.