নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলা হয়ে থাকে নেপালে প্রতি ৫ বছর অন্তর হিন্দু দেবী গাধীমাই , যাকে শক্তির দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয় তার উদ্দেশ্যে পশুবলির এই উৎসবকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচে বড় উৎসব। ২০০৯ সালে ৫ লাখ প্রাণী বলি হয়েছিল হিমালয়ের পাদদেশে বিহার সংলগ্ন নেপালের এই গ্রামে।গরু্ছাগল,ভেড়া, মহিষ, মুরগি, ইদুর, কবুতর এবং শুকর এই বলিদানের বিষয়বস্তু। দেবী গাধীমাই এর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এই স্যাক্রিফাইস বা বলি অথবা আরবিতে কুরবানি দেওয়া হয়। আমি নিজেই দ্বিধাগ্রস্ত এজন্য যে বাংলাদেশে মুসলিমদের কুরবানিতে আরও বেশী পরিমান পশু কুরবানি হয় । খোদ সউদি আরবে এবার বিশলাখ হাজী বিশ লাখ ছাগল কুরবানি করেছেন। সে ক্ষেত্রে বারিয়ারপুরের এই উৎসব সর্ব বৃহৎ নয় ।
প্রায় ৫০লক্ষ লোক অংশ নিয়েছিল এবারের এই উৎসবে যা দুইদিন ধরে চলে। ভারতের বিহার রাজ্য থেকে সবচে বেশী লোক এবং উত্তরপ্রদেশ ও নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে পূজারী ও দর্শকরা এসেছে এই উৎসবে। বিশ্বের বহু পশু প্রেমী সংগঠন অনুরোধ করেছিলো এই বলিদান অনুষ্ঠান বন্ধ অথবা সীমিত রাখতে। বাধা দিয়েছে ভারত সরকার তার মহিষ আর গরু নিয়ে সীমান্ত পেরুতে। ফলাফল এবার মহিষ বলি খুব কম হয়েছে। এবারের কড়াকড়ির কারনে মাত্র আড়াই লাখ পশু বলি হয়েছে।অবশ্য ইদুরের হিসাব কেউ দেয়নি।অনুষ্ঠানের বাইরে নিরব প্রতিবাদ হয়েছে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের ব্যানারে ।
প্রতিবাদ সংগঠনের মনোজ গৌতম বললেন ঈশ্বর এই নিরীহ প্রানীরক্ত কখনো কামনা করেননা।এই অমানবিক বলিদান বা স্যাক্রিফাইস শুধুই একজন দেবীর তুষ্টি লাভের জন্য করা হচ্ছে, এটাকে বন্ধ করা উচিত। কে শোনে কার কথা , শুক্রবার খুব ভোরে খড়গ উচিয়ে দেবীমাই কি জয় বলে নির্দিষ্ট লোকেরা ঝাপিয়ে পড়ল পশুদের উপর। নভিন তিওয়ারি এই মন্দিরের পূজারী বললেন কারো যদি সন্তান না হয় বা কাজ ও অর্থের অভাব থাকে তবে সব মিটিয়ে দেবে দেবী গাধীমাইএর উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই বলিদান।
যারা বলি দেয় তাদের আবার সরকারের দেওয়া লাইসেন্স আছে। এবার ৩০০ কসাই প্রতিটি বড় পশুর জন্য ২৫ নেপালি মুদ্রা নিয়েছে ঊৎসর্গকারিদের কাছ থেকে। সামু প্যাটেল একজন ইটভাটা শ্রমিক এবং লাইসেন্সধারি বলিদানকারী বললেন তিনি মোটেও অপরাধ বোধ করেননা কেননা দেবী গাধীমাই আমাদের সচ্ছল রেখেছেন আর এই বলি দেওয়া আমার জন্য একধরনের আধ্যাত্মিক আনন্দ।সামু প্যাটেল ততক্ষনে ৫৯ টি মহিষ বলি দিয়ে ফেলেছেন।এই বিপুল পরিমান মাংস ঠিকেদাররা হোটেলগুলোতে সাপ্লাই করে থাকে।
ছবি সাথে না থাকলে প্রামান্য বিষয়গুলি প্রতিষ্ঠিত হয়না , তাই কিছু ছবি যোগ করলাম।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
ডি মুন বলেছেন: +++
২০০৯ সালে ৫ লাখ প্রাণী বলি হয়েছিল হিমালয়ের পাদদেশে বিহার সংলগ্ন নেপালের এই গ্রামে।
যারা বলি দেয় তাদের আবার সরকারের দেওয়া লাইসেন্স আছে।
অজানা বিষয় জানলাম।
দেবতা/সৃষ্টিকর্তাকে তুষ্ট করতে কতো প্রাণী বলি দেয়া হলো এ যাবত কাল ধরে, তবু দেবতা তুষ্ট হয় কই !
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: গরুবলির কথা এই প্রথম শুনলাম । নেপাল কিন্তু পৃথিবীতে একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র। পাঁঠা বলি সর্বত্র হয় কিন্তু ইদুর বলির কথা এই প্রথম জানলাম। লে মা গাধিমাই , দিনে দিনে কতকিছু দেখাবে ।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫২
এমএম মিন্টু বলেছেন:
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
তুষার কাব্য বলেছেন: এভাবে পশু হত্যা করে কি আর দেবতাদের তুষ্ট করা যাবে
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: লগে দো চোয়ানি না দিলে নাখুশ হয়া যায়গা
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কিছু দিন আগে একটা ভিডিও দেখলাম, ভয়াবহ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আশ্চর্য