নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনটি পাকিস্তানী সৈন্যদের পরাজয়ের দিন, দিনটি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের দিন, দিনটি পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন। ন’টি মাস লক্ষ মানুষকে হত্যা করে, লক্ষ নারীদের সম্ভ্রম লুটের উল্লাসে ছেদ পড়ে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর ঘোষিত যুদ্ধে। আমরা নিশ্চিত হয়ে যাই যে নতুন আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আমাদের ভেতরের সব হতাশা কে যেন মুছে দিল। আমরা বাংলাদেশ নামের নতুন একটি রাষ্ট্র পেলাম। পাক হানাদার বাহিনী ভারতীয় সেনাদের আওতায় চলে গেল এ ভূখণ্ড ছেড়ে। কিন্তু পাক সেনা আর ৭৪এ গঠিত আই এস আই আদাজল খেয়ে লেগে রইল নতুন এই দেশটির ক্ষতি সাধনে। যেন পাকিস্তানের জন্মই হয়েছিল ভারতের পিছনে লেগে থাকা আর বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে বারংবার হেনস্তা করা। দীর্ঘসময় তারা প্রচুর লোকবল, অর্থ , অস্ত্র বিনিয়োগ করছে এসব কারনে । পাকিস্তানের জন্মই হয়েছিল ধর্মকে রক্ষা করার জন্য। সেই পাক সেনা যারা আমাদের মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করেছে , তারাই এবং তাদের অবসরপ্রাপ্তরা আফগানিস্তানে মার্কিনীদের হয়ে কাজ করার ফাকে তালিবান বা মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে একটি ভয়ঙ্কর দল গড়ে তুলল। তারাই আল-কায়েদাকে জায়গা করে দিল জ্বিহাদ করার জন্য মার্কিনীদের বিরুদ্ধে। তালেবান তত্ত্ব দেওবন্ধ, ভারত থেকে এসেছে। এই গোটা উপমহাদেশে মুসলিমদের সার্বিক কুবুদ্ধিদাতা দেওবন্ধের মাওলানাদের ভারত কিছুই বলেনা। যাহোক পাক সেনা কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তালেবান ব্যাপারটি আফঘানিস্তানে চলে গেল এবং প্রচুর সমর্থন পেয়ে আলাদা এলাকায় শাসনব্যাবস্থা পর্যন্ত চালু রেখেছে। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম এলাকা মুলত তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। পাক-তালেবান মুখোমুখি দাঁড়ালো ২০০১ আর লাদেনের মৃত্যুর পর।ধর্মযুদ্ধে আর স্থায়ী সম্পর্ক তোঁ রইলইনা বরং পাকরা মার্কিনীদের সুবিধা করে দিল দ্রোণ দিয়ে নাচিজদের ওপর হামলা করতে। জ্বিহাদী জোশ পাক জনতা অনুভব করল গেল দুটি বছরে অনেক দফা। এবার আপন শিশুকে হত্যা করতে পাক সেনারা আদাজল খেয়ে লেগে গেল। সেইইইইই ১৬ই ডিসেম্বর তারিখেই তালেবানরা পেশোয়ারের মিলিটারি পরিচালিত স্কুলে হামলা করল, জিম্মি করল ৫০০ ছাত্র ছাত্রীকে। দিনমান যুদ্ধে ৬ তালিবান বেহেস্তে দাখিল হল নিজের পিতার গুলিতে। তার আগে তারা ১৩০ জন ছাত্র ও ১১ জন কর্মচারীকে জ্বিহাদী সাজা দিল মাথায় গুলি করে। গতরাতে একটা ভিডিও দেখছিলাম, দু পায়ে গুলি লাগা এইটের ছাত্র বলছিল সে মরার ভান করে পড়েছিল। যেসব ছাত্র তখনও নড়াচড়া করছে তাদের ব্লাঙ্ক পয়েন্টে মাথায় গুলি করে হত্যা করছিল তালেবান জ্বিহাদীরা। ছেলেটির সৌভাগ্য যে তার মৃতের অভিনয় চমৎকার হয়েছিল বলেই সে বেচে আছে একা । ওই ক্লাসরুমের বাকি সহপাঠীরা সবাই নিহত।
১৯৭১ সালে আমাদের মানুষেরা প্রথম দিকে গুলি পরে গুলি বাচাতে বেয়নেট আর বিহারীদের দ্বারা জবাইয়ের শিকার হয়েছিল।কি নির্মম মানসিকতা । যাহোক পাকিস্তানী তালেবান নিজ কওমের শিশুদের সাজা দিয়েছে তাদের পিতা পাক সেনাদের সাম্প্রতিক ওয়াজিরিস্থান আক্রমনের প্রতিশোধ নিতে।
অন্যায়ভাবে অস্ত্রের ব্যাবহারে সাধারন মানুষকে খুন করে নিজেও বাচা মুশকিল। আমরা উচু গলায় বলতে পারি “ হে পাক সেনা , বহুদিনের অপকর্মের সাজা তোমরা আজ ঘরে বসেই পেলে ,আরও পাবে”।বাইরে অনেক আগুন জ্বালিয়েছ এবার ঘর সামাল দাও। অনুভব করতে শেখ নিজ শিশু হারানোর কষ্ট এবং দুঃখ। চুকনগরের গনহত্যায় কতজন শিশুকে মায়ের দুধ পানরত অবস্থায় গুলি চালিয়েছিলে, ক্ষমা চেয়েছ কখনো? আজ আমরা বিজয়ের আনন্দ রেখে উদ্বিগ্ন হয়ে দেখছি তোমার শিশুদের মৃতদেহ , আহত শতজনকে কারন ওরাও আমাদের সন্তানতুল্য ।আমাদের চোখ ভিজে আসে নিস্পাপ শিশুর রক্তাক্ত দেহ দেখে।
ফ্রাঙ্কেন্সটাইন গড়ার কারখানা গুড়িয়ে দাও। ধর্মের জ্বিহাদ নয় কর্মের জ্বিহাদ চাই ।
©শাহ আজিজ ২০১৪
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: এখনো তারা রাজাকার ও তাদের বংশধরদের ছাড়া আর কাউকে মুসলমান ভাবে না । আল্লাহর কি খেলা সেই পাকিস্তান এখন ভিখারির থালা হাতে অনিশ্চিত ভাঙ্গনের দিকে আর আমাদের রাজাকারেরা ভাস্কর্যের দিকে ।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। সুদ-আসলসহ দেনা-পাওনা সব মিটিয়ে দেয় নিখুতভাবে। তারপরেও কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। এখানেই মানব জাতির ব্যর্থতা।
যদিও আমাদের দেশের উন্নয়ন দূর্ণীতির কারনে আমাদের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ; কিন্তু ইউটিউবে আমাদের উন্নতি দেখে পাকিদের কান্নাকাটিতে বিমলানন্দ উপভোগ করি।
এখানে আমার কিছু পরিচিত পাকি আছে। এরা যখন লম্বা চওড়া কথা বলে, শুধু বলি এক ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম পাকিস্তানে ২১৭ রুপী, আর বাংলাদেশে ১১৫ টাকা; তখন তাদের চেহারা দেখার মতো হয়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: কি একটা অদ্ভুত মানসিকতা ওই অঞ্চলের মানুষের । কতৃত্ব আর শোষণ যেন এদের জীবনের স্বপ্ন ।
জানলাম পাউনড রুপির কাহিনী এবার সহজেই কাত করে দেওয়া যাবে ।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধর্মের জ্বিহাদ নয় কর্মের জ্বিহাদ চাই। কর্মের জ্বীহাদ হলে দেশ পরিবর্তন হয়ে একটি সুন্দরতম দেশ হতে বাধ্য। মানুষ সবাই কাজে ব্যস্ত থাকবেন অ-কাজে নয়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
শাহ আজিজ বলেছেন: কর্মের জ্বিহাদে শ্রম দিতে হয় , ভাবতে হয় , এবং সর্বোপরি কামাইয়ের ধান্দায় থাকতে হয় বলে এ লাইনে মোল্লারা আগ্রহী নয় । তারা আরব/ পাক থেকে আসা খয়রাত খেতে দারুন আগ্রহী ।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বড় সম্পদ।
লাল সবুজের দেশ যেন থাকে বেশ,
সারা বছর লেগে থাকুক বিজয়ের রেশ।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
পাকিরা এখনও ধর্ম ধর্ম করে নিজেরা নিজেদের মারে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: পাকিরা ধর্মের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে ।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আধুনিক বিশ্বে, অশিক্ষিত জাতিগুলোকে ধর্ম আরো পেছনে নিয়ে গেছে; পাকীরা নিজেদের ট্রেডিশনে ধর্মীয়, যা অন্যদের জন্য ভয়ংকর বিপদজনক রাজনৈতিক পরিস্হিতি
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ৪৭এর পরে এবং ৭১ এ ধরাশায়ী হওয়ার পর সেনাবাহিনী আর ব্লাডি সিভিলিয়ান নেওয়াজ শরিফের দাপাদাপিতে রাষ্ট্র ব্যাবস্থাই ধর্মীয় হয়ে গেল । এখন তারা টেররিষ্ট রাষ্ট্র হিসাবে এবং খয়রাতি রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত , কি অর্জন !!
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
ফটিকলাল বলেছেন: ব্লগের এক ব্লগার এই যুদ্ধকে আন্দোলন বলে কমেন্ট করলো আমার পোস্টে। এখনও এমন মানুষ আছে যারা শেখ মুজিব আর স্বাধীনতার যুদ্ধকে শুধু গ্যান্জাম বা আন্দোলন মনে করে।
এরা কতটা নীচে নেমে গেছে
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
শাহ আজিজ বলেছেন: কারো কারো কাছে রঙ মেসেজ গেছে , কারো পরিবার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল , অন্যরা রাজনিতিকদের অপরিসীম ব্যার্থতায় আপন পথ বেছে নিয়েছে ।
স্বাধীনতার পর একেকজন নিজ একান্ত চিন্তা ভাবনা চাপিয়ে দেবার স্বপ্নে বিভোর থেকে বিলীন হয়েছে কিন্তু এরা কেউই পেশাদার রাজনিতিক বা স্টেটম্যান না । এখানেই স্বাধীনতা বিরোধীদের অবারিত সুযোগ ছিল ক্রমশ স্বাধীনতা শব্দটাকে একাকীত্বে ঠেলে দেওয়া। এখন তো ধর্মীয় তোষণ চলছে । আমি জানিনা আগামিকাল কি হবে তবে চিন্তিত থাকি দেশকে নিয়ে ।
গণ্ডগোল , গোলমাল ইত্যাদি একান্ত স্থানীয় ভাষা এবং এর নিস্পত্তি হবেনা । তবে শিক্ষিত লোকদের মুখে তা মানায় না ।
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
এইচ তালুকদার বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম। আসলে মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এখনো সাধারন বাঙ্গালীর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হিসাবে চিত্রিত করতে পারি নি তাই মুক্তিযুদ্ধ করে একটা স্বাধীন হওয়া একটা জাতি এখনো সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারলো না এখনো দুর্নিতী আর অনিয়মের কাছে জিম্মী সাধারন মানুষ।তবে ৫০ বছরে কাতি হিসেবে আমাদের অর্জন ও কম নয়।তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তিতে পাকিদের "খুদা কে ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো" আহাজারি দেখে আসলেই আনন্দ হয়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শাহ আজিজ বলেছেন: "খুদা কে ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো"
আসলেই কি বলেছে এমন কথা ??
গ্রীক , আরবদের ধর্ষণের ফল পাকি সমাজ । জেলে , কামার , কুমার , তাতি , ছুতোর সমাহারে বঙ্গীয় সমাজ । রন্ধ্রে তার নিচুতা , সমাজের ম্লেচ্ছ আর সেই বাঙ্গাল হওয়ার খায়েশ জেগেছে পাকি ব্লু ব্লাড সমাজের । আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করতেছে ।
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৩
এইচ তালুকদার বলেছেন: লিংক খুদা কি ওয়স্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৭
এইচ তালুকদার বলেছেন: বিহারী শু**র বা* দের নিয়ে একটা বড় লেখা দিন,এটা অনুজ হিসেবে আপনার কাছে আমার দাবি।
কয়েকদিন আগে ঢাকার দুষ্প্রাপ্য ফটো ফেসবুক পেইজে বিহারিদের সাথে সাথে ঝগড়া লেগে গেল তাদের দাবি বিহারিরাই নাকি দলে দলে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, এই কথা শুনে অনেক গালাগালি দিলাম কিছুক্ষন এর মদ্ধেই হাজার হাজার রিপোর্ট পড়ে আমার ফেসবুক আইডী পার্মানেন্টলি ডিজেবল করে দেয়া হল।যাই হোক এত বড় সংখ্যক বিহারী বাংলায় ফেবু চালায় সেটা দেখে অশ্চর্্য হয়ে গেছিলাম। এই শুয়ো** বা** দের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় ভাবে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: দেব , অনেক ঘটনা আছে ।
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।
অনেকের মাঝে সঠিক উপলব্দি আসবে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২
অধীতি বলেছেন: বর্তমানে এরা হেফাজত নামে মজলিশ ই খেলাফত নামে ধীরে ধীরে উঠে আসতেছে। ভারতে দেওবন্দ বাংলাদেশে হাটহাজারী।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: অশান্তি ছাড়া এযাবৎ এরা আর কিছুই দিতে পারেনি । ভারত এক্সপোর্ট আইটেমে দেওবন্দ রেখেছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পাকিস্তানিরা যেটা করেছিল সেটা ইসলাম সম্মতই ছিল,কারন তারা বাঙ্গালীদের সকলকে মুসলমান মনে করতো না।
আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটা হল,বাঙ্গালী জাতীসত্তাকে রক্ষা,পরাধীনতার নাগপাশ থেকে স্বাধীনতা ,শোষণের অবসান ও মানবতার জয়।