নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দির বিডি ২৪ ডট কম
মতুয়া হিন্দুধর্মীয় একটি লোকসম্প্রদায়। গোপালগঞ্জ জেলার ওড়াকান্দি নিবাসী হরিচাঁদ ঠাকুর প্রেমভক্তিরূপ সাধনধারাকে বেগবান করার জন্য যে সহজ সাধনপদ্ধতি প্রবর্তন করেন, তাকে বলা হয় ‘মতুয়াবাদ’। এই মতবাদের অনুসারীরাই ‘মতুয়া’ নামে পরিচিত।
মতুয়া শব্দের অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যিনি মেতে থাকেন বা মাতোয়ারা হন তিনিই মতুয়া। মতান্তরে ধর্মে যার মত আছে সেই মতুয়া; অর্থাৎ ঈশ্বরে বিশ্বাস, গুরু-দেবতা-ব্রাহ্মণে ভক্তি-শ্রদ্ধা, নামে রুচি ও প্রেমে নিষ্ঠা আছে যার, সে-ই মতুয়া।মতুয়া সম্প্রদায় একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী; তারা বৈদিক ক্রিয়া-কর্মে আস্থাশীল নয়। তাদের ভজন-সাধনের মাধ্যম হচ্ছে নাম সংকীর্তন; তাদের বিশ্বাস ভক্তিতেই মুক্তি। এই সাধনপদ্ধতির মাধ্যমে সত্যদর্শন অর্থাৎ ঈশ্বরলাভই তাদের মূল লক্ষ্য। প্রেম ঈশ্বর লাভের অন্যতম উপায়। পবিত্রতা শরীর-মনে প্রেম জাগ্রত করে; ফলে প্রেমময় হরি ভক্তের হূদয়ে আবির্ভূত হন। এখানে কোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদ নেই, ধনী-দরিদ্র নেই; সকলেই ঈশ্বরের সন্তান এই মনোভাব নিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মধ্যে সকলে মিলিত হয়।
আদর্শ গার্হস্থ্য জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই মতুয়া ধর্মের চর্চা করা যায়। মতুয়াদের বারোটি নিয়ম পালন করতে হয়, যা ‘দ্বাদশ আজ্ঞা’ নামে পরিচিত।
এই ধর্মে নারী-পুরুষের সমান অধিকার স্বীকৃত এবং এতে বিধবা-বিবাহকে উৎসাহিত ও বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করা হয়েছে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই ধর্মের প্রচার করতে পারে; ধর্মপ্রচারককে বলা হয় ‘গোঁসাই’।
মতুয়ারা প্রতি বুধবার একত্রিত হয়ে হরিস্মরণ করে; একে বলা হয় ‘হরিসভা’। তারা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নাম-কীর্তন করে এবং ভাবের আবেগে অনেক সময় কীর্তন করতে করতে বাহ্যজ্ঞানহীন হয়ে পড়ে। কীর্তনের সময় তারা জয়ডঙ্কা, কাঁসর, শঙ্খ, শিঙ্গা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে।
গোঁসাইদের হাতে থাকে সওয়া হাত দীর্ঘ একটি দন্ড, যার নাম ‘ছোটা’। এই ছোটা নিয়ে তাঁরা আগে আগে যান এবং ভক্তরা তাঁদের অনুসরণ করে। তাঁরা সাদা রঙে বেষ্টিত লাল নিশান ও গলায় করঙ্গের মালা ধারণ করেন। মতুয়াদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত। মতুয়া ধর্মের কয়েকটি মূল বাণী হলো: ‘হরি ধ্যান হরি জ্ঞান হরি নাম সার। প্রেমেতে মাতোয়ারা মতুয়া নাম যার; জীবে দয়া নামে রুচি মানুষেতে নিষ্ঠা। ইহা ছাড়া আর যত সব ক্রিয়া ভ্রষ্টা; কুকুরের উচ্ছিষ্ট প্রসাদ পেলে খাই। বেদ-বিধি শৌচাচার নাহি মানি তাই
বাংলাদেশের সর্বত্রই মতুয়ারা বাস করে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান প্রভৃতি স্থানেও মতুয়ারা রয়েছে। গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের প্রধান মন্দির অবস্থিত। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সেখানে মেলা বসে। তাতে সমগ্র দেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত প্রণামী হিসেবে ধান-চাল-ডাল, তরি-তরকারি ইত্যাদি নিয়ে উপস্থিত হয়।
বাংলাপিডিয়া
২৫ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , সঠিক প্রস্তাবনা । এগুলো টুরিস্ট স্পট হতে পারে । মতুয়া সম্প্রদায় নিয়ে আমি সবিশেষ কিছু জানতাম না । ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওড়াকান্দি সফরকে ঘিরে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে , তাই আজ গুগল করে বের করলাম কারা এরা !!
২| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের এই দিকে ভারতীয় সীমান্তে মটুয়া একটি গ্রামের নাম আছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: খুব ভাল ।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: জানা ছিলনা! জানানোর জন্য ধন্যবাদ। বাই দ্য ওয়ে, ফেসবুকে আপনাকে আমি কিছুদিন ধরে পাচ্ছিনা। একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন ভাই।
২৫ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি আছি ফেবুতে । চেক করুন এখন ।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা কি কোন ধর্ম,নাকি হিন্দু ধর্মের একটি শাখা।মোদির বদৌলতে প্রচার পাচ্ছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হিন্দু সমাজের একটি সম্প্রদায় যারা ধর্মকে সহজ করেছে সবার জন্য । মতুয়া বিশ্বাসীরা অচ্ছুতে বিশ্বাস করেনা । পশ্চিম বঙ্গের মতুয়াদের ভোট কাটার পলিসি ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
এমেরিকা বলেছেন: সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য যে কোন জাতির জন্য মূল্যবান সম্পদ। সরকারের উচিত মসজিদ মন্দিরের পেছনে টাকা না ঢেলে এরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক উন্নয়নের দিকে জোর দেওয়া।