নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপারপাওয়ারের কেচ্ছা

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৫



আমেরিকার পরবর্তী ‘সুপারপাওয়ার’ কে হতে পারে?
চায়না, রাশিয়া, ইন্ডিয়া নাকি অন্য কোন দেশ?
এমন ধরণের প্রশ্ন ঘুরে ফিরে প্রায়শঃই ফেসবুকে দেখি; সংগে দেখি বিভিন্ন মতামত, গবেষনা, গল্প-কথা। মহাত্ম গান্ধি থেকে শুরু করে অনেকেই নাকি ক্রমান্বয়ে চায়না এবং এরপর ইন্ডিয়াকে সিরিয়াল দিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ আমেরিকা এক সময় তার ক্ষমতা হারাবে এবং সেই সুপারপাওয়া এর স্থানটা দখল করবে চায়না।
অর্থাৎ, নেক্সট সুপারপাওয়া হতে যাচ্ছে চায়না বা পিআরসি। পিআরসি বলার কারণটা হলো স্পেসিফাই করে দেয়া; কারণ এই বিশ্বে বর্তমানে চায়না নামে একটি নয় বরং দু’দুটি দেশ রয়েছে। একটি গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না অপরটি প্রজাতন্ত্রী চায়না বা আরওসি।
গণপ্রজাতন্ত্রী চায়না বা মেইনল্যান্ড চায়নাকে ইংরেজীতে বলে পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না বা ‘পিআরসি’ এবং অপরটি মানে তাইওয়ান বা রিপাবলিক অব চায়নাকে বলা হয় ‘আরওসি’।
আমরা কথা বলবো পিআরসি বা মেইনল্যান্ড চায়না নিয়ে।
চায়নার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৪৩ কোটি এবং তাদের বার্ষিক মাথাপিছু (নমিনাল) আয় ১০,৮৭২ ডলার, এবং টোটাল অর্থনীতির সাইজ প্রায় ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অপরদিকে আমেরিকার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি এবং তাদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৬৭,৪২৬ ডলার, এবং টোটাল অর্থনীতির সাইজ প্রায় ২২ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রকৃতপক্ষে বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের হিসাবে একটা দেশের অর্থনীতি বা দেশটির আর্থিক সক্ষমতা কিছুটা উপলব্ধি করা যায়; সেই হিসাবে একজন আমেরিকানের বার্ষিক ৬৭ হাজার ডলারের বিপরীতে একজন চাইনিজের বার্ষিক আয় ১০ হাজার ডলার বা প্রায় ৭ ভাগের এক ভাগ।
আমি সঠিক জানি না চায়না যতদিনে ৬৭ হাজার ডলার বার্ষিক আয়ে পৌছবে ততদিনে আমেরিকান বার্ষিক আয় কয়শ হাজার ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে! এখানে আর ৩৩ কোটি মানুষের বিপরীতে ১৪৩ কোটি মানুষের তুলনা না আনলাম।
একটা সময় ছিল যখন প্রতি ৩ মাসে আমি অন্তত ২ বার চায়না ভিজিট করতাম; বেইজিং স্যাংহাই, শেনজিন, কুনমিং, চেংদু, ইও, বাউডিং, হুনজুসহ কমবেশী আরও গোটা ৩০টি শহর আমি ভিজিট করেছি। চায়না অনেক উন্নতি করেছে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। সেই সময়টাতে আমি নিজেও ভাবতাম চায়না একদিন হয়তো সুপারপাওয়ার হবে।
কিন্তু আমেরিকায় আসার বছর খানেকের মধ্যেই আমার ধরণাগুলি তুরুপের তাসের মতোই উবে গেল যেন। আসলে ‘সুপারপাওয়ার’ শব্দটি অত্যন্ত ভারী একটি শব্দ। চায়নাতে যেসব ইনফ্রাসট্রাকচার আমি দেখেছি বা চায়নার টাকার যে বাহাদুরী আমি উপলব্ধি করে এসেছিলাম- সেগুলো আমেরিকার পাওয়ারে কাছে স্রেফ খেলনা। চায়না আরও ১ হাজার বছর ধরে তাদের বর্তমান ধারা বজায় রাখলেও আমেরিকার ধারে-কাছেও ভিড়তে পারবে না; সুপারপাওয়ার হওয়া অনেক দূরের হিসেব।
দেখুন, আমেরিকার কিন্তু কোন গণপ্রডাক্ট নেই যেটা বিক্রি করে আমেরিকাকে চলতে হয়; যেমন রয়েছে চায়নার; তাদের ১৫০ কোটি মানুষ প্রডাক্ট তৈরীতে ব্যস্ত; সেই প্রডাক্টস তৈরী করে তারা টাকা ইনকাম করে। কিন্তু আমেরিকা সেভাবে কোন প্রডাক্ট তৈরীও করে না। উপরোন্ত আমেরিকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্যাদির প্রায় ৭০%ই ইমপোর্ট করা হয় চায়না থেকে।
তাহলে, আমেরিকা করেটা কি?
এখানেই মজার প্রশ্ন এবং তার উত্তর লুকিয়ে রয়েছে।
উইন্ডোজ একটি সফটওয়্যার যা আসলে একটি অপারেটিং সিষ্টেম। এই সিষ্টেমটি তৈরী করেছেন বিল গেটস। যা বর্তমান পৃথিবীর ৯০% কমপিউটারে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হয়; ইভেন চাইনিজদের ব্যবহৃত কমপিউটারের জন্যও। আর বাদবাকী ১০% ব্যবহার করে আপেল ওএস সেটাও আমেরিকান পন্য। আপনার হাতের ফোনটি হোক সেটা আইফোন বা এন্ডরয়েড- সবই আমেরিকানদের তৈরী। কোরিয়ান স্যামসংগ কোম্পানীর আমেরিকা অফিস থেকে স্যাংমসঙ রিলিজ হয়। এন্ডরয়েড গুগলের প্রডাক্ট।
এই যে আমরা আজ সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করছি, ইকমার্স করছি তার সবই আমেরিকায় তৈরী হওয়া। ইন্টারনেটসহ আধুনিক যা কিছু প্রযুক্তি তার সবই আমেরিকানদের মাথা থেকে বের হয়।
আমেরিকার যে পরিমান খালি জায়গা রয়েছে সেখানে যদি ধান চাষ করা হয়, সেই ধান বিক্রি করেই ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার রাজস্ব আসতে পারে। আমেরিকায় যে পরিমান খনিজ তেল আর গ্যাস রয়েছে তার যদি তারা তুলে বিক্রি করে- তাহলে তেলের দাম পানির দামের সমান হয়ে যাবে বাদবাকী বিশ্বে। বোয়িং এর বিমান বা স্যাটেলাইন এর প্রসংগ না হয় না ই আনলাম এখানে।
আসলে আমেরিকা চলে শুধুমাত্র তাদের মাথার বুদ্ধি বিক্রি করে। আর মাথায় যদি বুদ্ধি থাকে তাহলে চলতে টাকা লাগে না। টাকা এমনিতেই চলে আসে। আমেরিকার টাকা এমনিতেই আসে। ধরেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম গরীব একটা দেশ- এই দেশটিও নিউ ইয়র্ক ফেডে ৩৩ বিলিয়ন ডলার জমা করে রেখেছে। আর বাদবাকী বিশ্ব? ইওরোপ, কানাডা, বৃটেন, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, সিংগাপুর, রাশিয়া, চায়না, হংকং, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং বাদবাকী সব দেশেরই একটা বড় সাইজের টাকা ইউএস ডলারে নিউ ইয়র্ক ফেডে জমা রয়েছে; রয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিংন টন গোল্ডবারও ওই নিউ ইয়র্ক ফেডের কাছেই।
আমেরিকার শক্তি, ক্ষমতা, টাকা এসব সম্পর্কে আমরা ধারণাও করতে পারি না। এক আমেরিকার ডলারের ভয়ে, পুরো পৃথিবী অন্যায্য জেনেও ইরানের সংগে ব্যবসা করার স্পর্ধা দেখায় না, আমেরিকা রাগ হলে তারা দেওলিয়া হয়ে যাবে এই ভয়ে।
সামরিক শক্তি যদি বিবেচনায় নিই, তাহলে পরিসংখ্যান ঘেটে এটা বলা যেতেই পারে যে, ইউএস নেভির যে সক্ষমতা, বাকি সব দেশের সক্ষমতা এক করলে তার এক চতুর্থাংশ হবে। ইউএস এয়ার ফোর্সের সক্ষমতা তো কিংবদন্তী পর্যায়ের। আর্মিও সক্ষমতায় যোজন এগিয়ে।
সুপারপাওয়ার সম্পর্কে কয়েকটি কথা না বললেই না।
প্রথম কথাটি হচ্ছে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ যা ছিল প্রকৃত পক্ষে আমেরিকাকে সুপারপাওয়া বানিয়ে দেয়া। তখন সুপারপাওয়ারে স্বদাবীদার ছিলেন এডলফ হিটালারের জার্মানী। আর তাদের প্রতিদ্বন্দি দেশগুলো ছিল রাশিয়া, বৃটিন, ফ্রান্স, স্পেন ইত্যাদি। আমেরিকা যুদ্ধের কোন পক্ষ ছিল না তবে ‘মনে মনে’ আমেরিকা মিত্রপক্ষ বা রাশিয়া, বৃটিন, ফ্রান্স, স্পেন দেশগুলোকে সমর্থন করতো।
জার্মানীর পক্ষে ছিল জাপান এবং পদানত ইটালী।
যুদ্ধের শুরুতে জার্মানী ছিল অপ্রতিরোদ্ধপ্রায়। তারা ইওরোপ দখলে নিতে শুরু করে, রাশিয়াতে আক্রমণ করে; ওদিকে জাপানও দক্ষিন ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ান কয়েকটি অঞ্চলসহ কোরিয়া, চায়না থেকে শুরু করে আমাদের ঘরের কাছে মিয়ানমারের কিছু অংশ পর্যন্ত দখল করে ফেলে। বৃটিশ সাম্রাজ্যের অনেকটা ছিল তাদের দখলিকৃত অঞ্চলে।
দু’টো বিষয় ঘটে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
ইওরোপের দেশগুলোর হাতে বিশেষত বৃটেন, ফ্রান্স, স্পেন এসব দেশের হাতে তখন সারা পৃথিবীতে তাদের উপনিবেশগুলো থেকে লুটপাট ও ব্যবসা করে আনা ট্রিলিয়ন টন সোনা ছিল রিজার্ভ ব্যাংকগুলোর কাছে; তখনও অবধি এক দেশের সংগে অন্য দেশের লেনদেনে মুলত স্বর্ণকেই ব্যবহার করা হতো। মিত্রশক্তি ভয় পেয়ে যায় যে জার্মানী যদি তাদের দেশগুলি দখল করে ফেলে তাহলে তো এইসব স্বর্ণ জার্মানীর হাতে চলে যাবে; তারা শূণ্য হয়ে যাবে।
তাই তারা চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে তাদের সংগ্রহিত সব স্বর্ণ তারা নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে রাখবে এবং যুদ্ধ শেষ হলে বা সুবিধা মতো সময়ে সেসব স্বর্ণগুলো সেই ‘নিরাপদ স্থান’ থেকে ফেরত আনবে। তাদের সকলেই ধারণা ছিল ঐ ‘নিরাপদ স্থান’টা হতে পারে আটলান্টিক এর ওপাড়ে ‘আমেরিকা’। অনেকটা শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেবার মতোই।
আমেরিকাকে প্রস্তাব দিলে সংগে সংগে সেই প্রস্তাবে রাজী হয়ে যায় আমেরিকা এবং তাদের কাছে স্বর্ণ জিম্মা দিতে বলে। ইওরোপিয়ান দেশগুলি তাদের যাবতীয় স্বর্ণভান্ডার বড় বড় জাহাজে করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকার হাতে পৌছে দেয়। এবং আমেরিকা তাদেরকে প্রাপ্ত স্বর্ণের হিসাব বুঝে নিয়ে তার বিনিময়ে ‘রিসিপ্ট’ ধরিয়ে দেয়।
এবং, আমেরিকা তখনই সবচে মোক্ষম চালটি খেলে।
তারা ইওরোপকে বলে দেয় যে তোমরা স্বর্ণ ফেরত না নিয়ে তার পরিবর্তে আমাদের থেকে ‘রিসিপ্ট’ নিয়ে তা দিয়ে বৈশ্বিক লেনদেন করো। তোমরা যেহেতু আমাদের বিশ্বাস করেছোই সেহেতু ঐ রিসিপ্টকেই আন্তর্জাতিক লেনদেন হিসাবে চালু করো।
আর আমেরিকার দেয়া সেই রিসিপ্টটিই ছিল ‘আমেরিকান ডলার’।
পরিণতিতে আজ পুরো পৃথিবী আমেরিকান ডলারের বাজারে প্রবেশ করে। এবং স্বর্ণের জায়গাটা একতরফা দখল করে নেয় মার্কিন ডলার।
যাই হোক, দ্বিতীয় খেলাটি আরও চমৎকার ছিল। জাপান যুদ্ধে একটা ছোট ভুল করে, তারা আমেরিকান দ্বীপ-ষ্টেট হাওয়াই (যা মুলত আমেরিকান মেইনল্যান্ড ও জাপানের মাঝামাঝি প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত) পার্ল হারবারে বোমা হামলা চালায়। অবশ্য জাপানের করা সেই ভুলের আগে বৃটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন প্রায় পরাজিত হতে যাচ্ছিল তখন তারা বাধ্য হয়ে আবার আমেরিকার কাছে আরেক দরখাস্ত নিয়ে যায়; তারা আমেরিকাকে এই যুদ্ধে ‘হেল্প’ করার অনুরোধ জানায়। বাস্তবিক অর্থে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে আমেরিকা বৈশ্বিক রাজনীতিতে বা আন্তর্জাতিক পরিসরে সেভাবে উল্লেখ করার মতো শক্তি কখনওই প্রদর্শন করেনি বা বাইরের বিশ্ব বুঝতেই পারেনি যে আমেরিকা ভেতরে ভেতরে নিজেদের প্রস্তুত করে ফেলেছে ‘সুপারপাওয়ার’ হতে।
আমেরিকা যুদ্ধে জড়াতে (বৃটেন বা মিত্র শক্তির পক্ষে) রাজী হয় কিন্তু একটা মজার শর্ত জুড়ে দেয়; আমেরিকার শর্তটি ছিল পুরো পৃথিবী জুড়ে বৃটেনের যে অসংখ্য উপনিবেশ (ভারতসহ) রয়েছে সেখান থেকে বৃটেনকে যুদ্ধ শেষে পাততারী গুটিয়ে ফিরে আসতে হবে এবং সবগুলো উপনিবেশকে স্বাধীনতা দিয়ে দিতে হবে। এবং বৃটেন নাকে খত দিয়ে আমেরিকার এই কথায়ও রাজী হয়ে যায়।
এবার আর আমেরিকার যুদ্ধে জড়াতে কোন আপত্তি থাকে না।
আমেরিকা যুদ্ধে জড়ায় এবং যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায়। আমেরিকান বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী পুরো পৃথিবী জুড়ে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে সম্পূর্ণ তাক লাগিয়ে দেয়। জাপানের বোকামীর জন্য খেতে হয় দু’দুটো এটম বোমা। ধ্বংশ হয়ে যায় হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরদু’টো। দখল হয়ে যায় জাপানের মালিকানাধিন অসংখ্য অঞ্চল।
ওদিকে বৈশ্বিক ক্ষমতার সিড়ি থেকে নীচে পরে যায় বৃটেন; জন্ম নেয় স্বাধীন ভারত-পাকিস্তানসহ অসংখ্য স্বাধীন দেশ।
আত্মসমর্পন করে জার্মানী ও জাপান। আমেরিকা জার্মানী ও জাপানের ভেতরেই তৈরী করে বসে নিজেদের মিলেটারী বেইস। জাপান জার্মানীসহ এই পৃথিবীতে গুনে গুনে ৭০টি দেশে আমেরিকা তৈরী করে তাদের স্থায়ী মিলেটারী বেইস। আর সর্বমোট ১৫০টি দেশে তারা তৈরী করে তাদের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্প। মিত্র পক্ষকে হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে জাতিসংঘ; মুলত পৃথিবীর যাবতীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে আমেরিকা।
এতটা বুদ্ধি কি ১৫০ কোটি চাইনিজের সবগুলো মগজ জোড়া দিয়েও বের করতে পারবে চায়না?
আরও একটা কথা বলি, আমেরিকা তার দু’টি মহাদেশের একক ক্ষমতাধর দেশ। উত্তর বা দক্ষিন আমিরেকার বলতে গেলে সবগুলি দেশই আমেরিকার কথায় উঠ-বস করে। আমেরিকাস দেশগুলো অনেকেই আজ আমেরিকান ডলার ব্যবহার করছে নিজেদের মুদ্রা বিলুপ্ত করে। শুধুমাত্র উত্তর-দক্ষিন আমেরিকা নয়, প্যাসিফিক রিজিয়নেও বেশীরভাগ দ্বীপরাষ্টও আজ আমেরিকান ডলার ব্যবহার করে থাকে। আর চায়না তাদের নিজেদের দক্ষিন চীন অঞ্চলটুকুই ঠিক মতো রক্ষা করতে পারছে না- এতটাই অসহায় তারা।
তার উপর আমেরিকা পুরো পৃথিবী চষে সেরা মেধাবী মানুষদের, সেই সংগে দুর্দান্ত সাহসী ও কর্মঠ এবং সৌভাগীবানদেরও নিজের দেশে স্থান করে দেয়, বিধায় এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মেধাবীরা আমেরিকান ভুখন্ডেই বসবাস করে সমৃদ্ধ করে চলছে আমেরিকাকে। বিশ্বের দ্বিতীয় কোন দেশ এভাবে মেধা সংগ্রহ করতে পারছে না বা করছে না। চায়নাতে শুধুমাত্র চাইনিজরাই বসবাস করার সুযোগ পায়- বিদেশীদের সেখানে কোন কালেও নাগরিকত্ব দেয়া হয় না; অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপ বা রাশিয়া কিছু সুবিধা দিলেও তা পর্যাপ্ত নয় এবং আমেরিকার সংগে তারা কোন তালই মেলাতে পারে না। তাছাড়া আমেরিকার মতো সামাজিক-অর্থনৈতিক সম-সুবিধা, মানবতা পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন দেশে অনুপস্থিত। আর তার বিনিময় বা ফলাফল তো সেই জার্মানী থেকে আলবার্ট আইনসটাইন থেকে শুরু করে আজকের ইলন মাস্ক পর্যন্ত দেখাই যাচ্ছে। এই পৃথিবীতে কোন দেশটা পেরেছে আইনসটাইন বা ইলন মাস্কদের ধরে রাখতে? এক আমেরিকাই।
আর, আইনসটাইন বা ইলন মাস্কদের ছাড়িয়ে যাবে- এমন মেধা এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা আছে না কি? না হবার সুযোগ রয়েছে?
যাই হোক, ভারতের কথা বলি। ভারত বড়জোর বাংলাদেশ পাকিস্তানের সংগে প্রতিযোগীতা চালিয়ে যেতে পারবে সমানে সমানে কিন্তু কোন কালেও এশিয়ান পাওয়ারও হতে পারবে না- সুপারপাওয়া হওয়ার স্বপ্ন দেখা তো মুজিবের স্বপ্নগুলির মতোই খেয়ালী আর হালকা।
আসলে আমেরিকা নিজেদের অবস্থান এমন এক উচ্চতায় তৈরী করে ফেলেছে এমনভাবে যে ওখানে কেউ হাত লাগাবার কথা চিন্তায়ও আনতে পারবে না।
একটি ব্যাপক ও ধ্বংশাত্বক বৈশ্বিক যুদ্ধ যদি কোন কালে পুরো পৃথিবীকে উলট-পালট করে দিতে পারে শুধুমাত্র তখনই আমেরিকার জায়গাটা অন্য কেউ নিতে পারবে- যদিও সামরিক শক্তি, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের এই যাত্রাপথে তেমনটা হবার মতো কোন পরিবেশ তৈরী হওয়া বর্তমান বাস্তবতায় অসম্ভব।

সৌজন্যেঃTaufiqul Islam Pius

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফেইসবুক হলো অন্যদের বউ'এর ছবি দেখার যায়গা, সুপার-পাওয়ার কে হবে, সেটা নির্ণয়ের যায়গা নয়.

সুপার-পাওয়ার কে হবে, সেটার সামান্য হিন্টস দিতে পারে 'ওয়াল ষ্ট্রিট জার্মাল' আমেরিকার বিভিন্ন ইনষ্টিটিউটের (উদাহরণ, ব্রুকিংস ইনষ্টিটিউট ) গবেষণাপত্র, বিশ্বের রাজনীতির ধারা, অর্থনীতির প্রয়োগ, সায়েন্স ও টেকনোলোজির ট্রেন্ড।

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: একেবারে ফেলে দেবার জায়গা নয় ফেসবুক । আলোচনাটি ভাল , অর্থপূর্ণ বলেই ছেপে দিলাম ।

২| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার কাছে অর্থপুর্ণ মনে হয়নি; বিশ্ব রাজনীতিতে জাতির প্রোফাইল, রাজনৈতিক তত্ব, জাতির সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সায়েন্স ও টেকনোলোজীই মুল ফ্যাক্টর। চীনা ও ভারতীয় সংস্কৃতি বিশ্বমানের নয়।

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: চীনের না হোক ভারতীয় সংস্কৃতি বিশ্বমানের , এটা মানতেই হবে ।

৩| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২১

জটিল ভাই বলেছেন: অর্থবহ ও তথ্যপূর্ণ আলোচনা! শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৪| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: চীনের না হোক ভারতীয় সংস্কৃতি বিশ্বমানের , এটা মানতেই হবে ।

-ভারতের বর্ণপ্রথা বিশ্বের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়।

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: কিছু প্লাস মাইনাস করতেই হবে । ভারতের সঙ্গীত , শিল্পকলা এক আশ্চর্য সৃষ্টি ।বর্ণপ্রথা কেন জানি আবারো আমেরিকায় ফিরে এসেছে , আপনার অসংখ্য লেখায় তার উধ্রিতি আছে।

৫| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: আমেরিকান ড্রিম এশিয়া থেকে আফ্রিকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মানুষের মনে শিহরণ তোলে। ভাষা, সমাজ, নানা ভাষী মানুষ, প্রাকৃতিক বৈচিত্র‍ ও ল্যান্ড অব অপরচুনিটি, চায়না এই জায়গায় মার খেয়ে গেছে।

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হাজারখানেক বাঙালি আর অনেক আমেরিকান চায়নায় থাকেন । আমি সুযোগ পেলে চলে যাব , শান্তির জায়গা আমার পরিপ্রেক্ষিতে ।

৬| ০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আলোচনাটা ভালোই ছিল, কিন্তু কিছু শব্দের ব্যবহার, যেমন 'চায়না আগামী হাজার বছর ধরেও' ইত্যাদি কথাগুলো এর গাম্ভীর্য বিনষ্ট করেছে। আলোচনাটা ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা নির্ভর, তথ্য-উপাত্তের উপস্থিতি/ব্যবহার তেমনটা নেই।

ভারত কোনো সিরিয়ালেই আসবে না। কারণ, ভারতের যে দারিদ্র্যের হার, তা মিটিয়ে সামরিক শক্তি বাড়ানো, কিংবা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো অসম্ভব। এর জন্য বরং বলা যায় ' হাজার বছরেও ভারত সিরিয়ালে আসবে না'।

ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে আমেরিকার পরের অবস্থানে চায়না। আমেরিকার নিয়ামক শক্তি ইসরায়েল। পোলারাইজেশন চেঞ্জ না হলে আমেরিকাকে টপকে চায়নার ২য় সুপারপাওয়ার হওয়া অসম্ভব। তবে, আমেরিকার সাথে চায়না সুপারপাওয়ার হয়ে উঠবে, এবং ৩য় সুপারপাওয়ার হিসাবে রাশিয়ার কথাও ভাবতে পারেন। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙেছে ৪০ বছর। একক ভাবে কেউ বেশিদিন সর্বময় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, এই সূত্রে চায়না উঠে আসবে, এর সাথে সাপোর্ট পাবে কোরিয়ার, জাপানের।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: হ্যা , ভারত এই করোনায় দেখিয় দিল সে কত গরীব । আমি বরং ইজরায়েলকে আরেক সুপার পাওয়ার হিসাবে গুনতে রাজী । এই মুহূর্তে ক্ষমতার বিন্যাস হচ্ছে করোনাকে ঘিরে । যাদের প্রযুক্তি আর কৃষি নেই তারা বসে পড়বে । রাশিয়ার কারিশ্মা দেখছিনা বটে কিন্তু সেও এক পিস টেরর । আসন্ন জাপান-মেরিকা সমুদ্র যুদ্ধ মহড়া বেশ উল্লেখযোগ্য । কোরিয়া , জাপান ইউ টার্ন এ চলে গেছে । তাদের বিনিয়োগ ফেরত যাচ্ছে ভিন্ন দেশে , চীনের অতি শক্তি প্রদর্শনের কারনে । আমেরিকার যে প্রযুক্তি তাতে এই শতাব্দী সেই থাকছে লিস্টের আগায় ।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: গ্রিস বাংলাদেশ থেকে কৃষক নেবে , আজকের পত্রিকার খবর । কয়েকদিন আগে ভাবছিলাম পুতিনকে টুইট করি ২ লাখ কৃষক পরিবারসহ নাও তোমাদের বিস্তীর্ণ ক্ষেতে গম চাষ করবে।

৭| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন, "... একক ভাবে কেউ বেশিদিন সর্বময় ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, এই সূত্রে চায়না উঠে আসবে, এর সাথে সাপোর্ট পাবে কোরিয়ার, জাপানের। "

-চীন নাকি কোরিয়া ও জাপানের সাপোর্ট পেতে পারে? ভিলেজ পলিটিক্স?

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

শাহ আজিজ বলেছেন: কোরিয়া , জাপান ইউ টার্ন এ চলে গেছে । তাদের বিনিয়োগ ফেরত যাচ্ছে ভিন্ন দেশে , চীনের অতি শক্তি প্রদর্শনের কারনে ।

৮| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন, "... আমেরিকার নিয়ামক শক্তি ইসরায়েল। "

-আমেরিকা নাচে ইউরোপ, কানডা, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়াকে সাথে নিয়ে; মিডল ইষ্টে ইসরায়েল নাচে আমেরিকার শক্তিতে; আমেরিকা বিশ্ব রাজনীতি যাবার সময় ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করে না।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: ইজরায়েল এখন ক্যান কেয়ার হিমসেলফ ।

৯| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভারত এখন চিতার আগুনে পুড়ছে এইটা শেষ হোক আগে দোয়া করি

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ওরা তৃতীয় ঢেউ গোনার অপেক্ষায় ।

১০| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: এই সুপার পাওয়ারের ধারনা সারা বিশ্বের জন্য একটা সমস্যা।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: বন্দুক রেখে সবাই ভ্যাক্সিন তৈরিতে ব্যাস্ত ।

১১| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: কোরিয়া , জাপান ইউ টার্ন এ চলে গেছে । তাদের বিনিয়োগ ফেরত যাচ্ছে ভিন্ন দেশে , চীনের অতি শক্তি প্রদর্শনের কারনে ।

-কোরিয়ানরা ও জাপানীরা কোনভাবে চীনকে সহ্য করবে না, ওরা হাজার বছরের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রথম যুদ্ধজাহাজ ইউক্রেন থেকে কিনল চায়না সাবান , সারফ, কনডম , ব্রার বিনিময়ে । জাপান , কোরিয়া , ফিলিপিন , ভিয়েতনাম হই হই করে উঠল । তখন আমি চীনে আবাসিক । ঠিক ঠিক চায়না সাংহাইএ নাইট ক্লাব , বার , সুইমিং পুল বানিয়ে ২ বছরেই টাকা তুলে ফেলল ওই জাহাজ মোডিফাই করে । তারপরও গেল দশকে বানিয়েছে কয়েকখানা কিন্তু যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই কারো ।

১২| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি বরং ইজরায়েলকে আরেক সুপার পাওয়ার হিসাবে গুনতে রাজী । সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কোরিয়া-জাপান ইউটার্নে গেলেও মনে রাখতে হবে, আমার শত্রুর শত্রু আমার মিত্র। ইইউ যদি মাথাচাড়া দিয়া না ওঠে, তাহলে আপনার জীবদ্দশায়ই সুপার পাওয়ারের উত্থান দেখে যেতে পারবেন :)

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , হ্যান্ড শেক

১৩| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কয়েকদিন আগে ভাবছিলাম পুতিনকে টুইট করি ২ লাখ কৃষক পরিবারসহ নাও তোমাদের বিস্তীর্ণ ক্ষেতে গম চাষ করবে। এখনো করতে পারেন :)

পৃথিবীর বহুদেশে বিরান প্রান্তর পড়ে আছে, ঐ হালারা কৃষিকাজ জানে না এবং অসহ্য রকমের অলস। সুদান, সাউথ সুদান অন্যতম। কিছু বাঙালি ঐখানে ওদেরকে কৃষিকাজ শিখিয়েছিল, ফসল দেখে তো ওরা অবাক। ওদের জমিতে ওরাই কাজ করেছে, ওরাই ফসল নিয়েছে, ঐ হালারা উলটা বলে কী- গিভ মি লেবার কস্ট !!! হাহাহাহা

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের কয়েকজন কৃষি মন্ত্রী দরকার কিষান মার্কেটিং এর জন্য । করোনা পরবর্তী অভাব হবে খাদ্যের ।

১৪| ০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ব্স বসই।
আমেরিকা আমেরিকাই থাকবে।
চায়না চায়নাই থাকবে।

০৬ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম ,তাই

১৫| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ২:২০

নতুন বলেছেন: চাইজিন সম্রাজ্যের হাতে আমেরিকান সম্রাজ্যের পতন হবে। ওরা বৃিটেনের রাজ পরিবারের মতন টিকে থাকবে।

আমার ধারনা চীন আমেরিকা যুদ্ধ হবেনা।

চীন অর্থনৈতিক ভাবে আমেরিকাকে হারিয়ে নিজের অবস্থান করে নেবে।

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: বাস্তবে আসুন । ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা কেন বলা হয় তাতো জানেন । তো কে হবে রাজা রানী ? রেফারেন্স মানি ইউ এস ডলার , সবার গোল্ড বণ্ড নিউইয়র্কেই জমা থাকে । চীন সবার নিজ নিজ টাকাকে রেফেরেন্স মানি করতে চাচ্ছে । এক অসম্ভব চিন্তাভাবনা । সেই সৈন্য সাজিয়ে যুদ্ধ আর তেমন হবেনা তবে দুরপাল্লার মিসাইল চলবে। ইরাক আগ্রাসনে আমেরিকা দেখিয়েছে শুধু জাহাজে বসে একটা ভয়ানক যুদ্ধ পরিচালনা সম্ভব । চীন ঝাপিয়ে যুদ্ধজাহাজ বানিয়েছে কিন্তু চালিয়ে দেখেনি , তার নৌ যুদ্ধের কোন অভিজ্ঞতাই নেই । টেকনোলজি হচ্ছে বড় অস্ত্র । আমেরিকা ওয়ার টেকে সবার ওপরে , তাকে টেনে নামাবার শক্তি কারো নেই । ইরাক যুদ্ধের সময় আমি পিকিঙ্গে বাস করি । কথা রটল চীনের জেনারেলদের প্যান্ট ভিজে গিয়েছিল ওই রাতে ।

১৬| ০৭ ই মে, ২০২১ ভোর ৫:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বিগত একহাজার বছর সময়কালে পৃথিবী অনেক
শক্তিশালী সাম্রাজ্যের উথ্থান পতন দেখেছে ।
অনেকের কল্পনাতেও ছিলনা ক্ষমতাধর সে সমস্ত সাম্রাজ্য
বালুর ডিবির মত ভেঙ্গে চুরে যাবে তসনছ হয়ে যাবে।

আমিরিকা এই মহুর্তে সুপার পাওয়ার , এবং সহসা
তাদের সুপার পাওয়ার স্টেটাসস হারাবার সম্ভাবনা
খুবই কম । কিন্তু সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক নয়,
সামান্য ছোট একটি রাজনৈতিক ভুলের জন্য
যদি কোন খেসারত তাদের দিতে হয় তবে
হয়তবা কষ্টকর হয়ে যাবে তাদের সুপারপাওয়ার
স্টেটাস ধরে রাখা । তবে চীনের সুপার পাওয়ার
হওয়ার সম্ভাবনা অনেক সুদুরের ব্যপার ।
ভারতেরতো প্রশ্নই আসেনা ।

যাহোক আমি কামনা আমার নীজের দেশ সুপারপাওয়ারে পরিনত
হোক । আমাদের টেলেন্টেড নব প্রজন্মকে যদি সঠিকভাবে গড়ে
তোলা যায় তবে কেও চিন্তাও করতে পারবেনা তারা কি করতে পারে ।
আমাদের জাতীয় কবি নজরুলের সংকল্প কবিতার কথা স্মরণে
পড়ে, তিনি বলেছেন দেখব আমি জগতটাকে আপন হাতের মুঠোই পুরে।
তাঁর সাথে সুর মিলিয়ে বলি জগতটাকে করব শাসন আপন বুদ্ধি বলে ।
তাঁর কবিতাটি সকলের সাথে শেয়ারের বাসনা হওয়ায় তুলে দিলাম নীচে ।
কবিতায় প্রচ্ছন্ন ভাবে বলা আছে জগতটাকে আপন হাতের মুঠোই পুরে
দেখতে হলে কি কি কেমন করে করতে হবে ।

সংকল্প
- কাজী নজরুল ইসলাম---সংকলিত (কাজী নজরুল ইসলাম)

থাকব না কো বদ্ধ ঘরে, দেখব এবার জগৎটাকে,-
কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকে।
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ছুটছে তারা কেমন করে,
কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে,
কিসের আশায় করছে তারা বরণ মরণ-যন্ত্রণারে।।

কেমন করে বীর ডুবুরী সিন্ধু সেঁচে মুক্তা আনে,
কেমন করে দুঃসাহসী চলছে উড়ে স্বরগ পানে।
জাপটে ধরে ঢেউয়ের ঝুঁটি
যুদ্ধ-জাহাজ চলছে ছুটি,
কেমন করে আঞ্ছে মানিক বোঝাই করে সিন্ধু-যানে,
কেমন জোরে টানলেসাগর উথলে ওঠে জোয়ার বানে।

কেমন করে মথলে পাথার লক্ষী ওঠেন পাতাল ফুঁড়ে,
কিসের অভিযানে মানুষ চলছে হিমালয় চুড়ে।
তুহিন মেরু পার হয়ে যায়
সন্ধানীরা কিসের আশায়;
হাউই চড়ে চায় যেতে কে চন্দ্রলোকের অচিন পুরেঃ
শুনবো আমি, ইঙ্গিত কোন 'মঙ্গল' হতে আসছে উড়ে।।

কোন বেদনার টিকিট কেটে চন্ডু-খোর এ চীনের জাতি
এমন করে উদয়-বেলায় মরণ-খেলায় ওঠল মাতি।
আয়ার্ল্যান্ড আজ কেমন করে
স্বাধীন হতে চলছে ওরেঃ
তুরষ্ক ভাই কেমন করে কাঁটল শিকল রাতারাতি!
কেমন করে মাঝ গগনে নিবল গ্রীসের সূর্য-বাতি।।

রইব না কো বদ্ধ খাঁচায়, দেখব এ-সব ভুবন ঘুরে-
আকাশ বাতাস চন্দ্র-তারায় সাগর-জলে পাহাড়-চুঁড়ে।
আমার সীমার বাঁধন টুটে
দশ দিকেতে পড়ব লুটেঃ
পাতাল ফেড়ে নামব নীচে, ওঠব আবার আকাশ ফুঁড়েঃ
বিশ্ব-জগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে।।


ধন্যবাদ সুপারপাওয়ারের কেচ্ছাটি সকলের সাথে শেয়ারের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত , অত্যন্ত বাস্তব সম্মত কথা বলেছেন ।

১৭| ০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৫

এ কাদের বলেছেন: আমেরিকা সুপার পাওয়ার। তার ধারে কাছেই কেউ নাই। তবে বেশীরভাগ আমেরিকান অলস বিয়ার খাওয়া শ্রেনীর। আর চীনারা প রিশ্রমী তারা তাদের উন্নতির জন্য আন্তরিক।
আমেরিকা ও সারা বিশবে যে সব প ন্য প্র্যয়োজন তার সাপ্লাই এক মাত্র চায়নাই সঠিক ভাবে দিতে পারে। কোভিড ক্রাইসিসে আমেরিকা বূজেগেছে অতি সাধারন প ন্যের জন্যও তারা চায়নার কাছে কত অশহায় ।
এই জন্যই আমেরিকান ডলার দিয়েই চিনারা আমেরিকাকে হারানোর চিন্তায় মত্ত। ইতিমধ্যে তাদের অন্তত ২টি বিমানবাহী রনতরী চালু হয়েছে এবং অন্তত আরও ৩টি বিভিন্ন ইয়ারডে চালু তৈরী হওয়ার পথে। এছাড়াও বিশবের অনেক দেশ থেকে প্রযূক্তি চোরাই করে তারা তাদের প ন্য ও অস্ত্রের ব্যাপক উন্নতি করেই চলেছে। প রিশ্রমি চাইনিজরা তাদের বিশব মানের প ন্য বিশব ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে রোড এন্ড বেল্ট নিতি ও ঋণ কূটনিতির মাধ্যমে আগাচ্ছে। ইত মধ্যে তারা পাকিস্তানের মধ্যে করিডোর করে গোয়াদর বন্দর তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে এবং সেই শক্তিতে সূয়েজ কেনেলের মূখে জিবুতিতে আমরিকান ঘাটির পাশে তাদের নোউঘাটি স্তাপন করে দিন দিন আমেরিকার জন্য উদবেগের জন্ম দিচ্ছে।
কিন্তু এই মূহুরথে ইচ্ছা থাকা সতবেও চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কিছু করার উপায় নাই, কারন চীনা প ন্য ছাড়া তারা অচল।
অতএব ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ তথা সারক ভূক্ত দেশগুলি এক হলে এই সূযুগকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলকে ধনি এবং চীনের চাইতেও উন্নত এলাকায় পরিনত করতে পারে। এজন্য প্রয়োজন ফকিন্নি ভারতের বড়লোকি মনভাব ছেড়ে সারকে আবার সচল করে এগিয়ে যাওয়া।

০৭ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও তাই চাইছি যে আমেরিকান বাজারের কিছু অংশ আমরা ধরি । মজার কথা কি জানেন ? চীনে এসব জিনিসের অধিকাংশ কারখানা আমেরিকান মালিকদের । ২ কোটি চীনা শ্রম দেয় । ট্রিকি পলিসি এখানেই । আমেরিকানদের হিসাব আলাদা । এরি মধ্যে তারা নতুন ঠিকানা খুজছে সাপ্লাই পাবার জন্য । বাংলাদেশ আর এম জি তে ফুলে ওঠার কারন ওখানেই । করোনা থিতু হলে হিসাব কিতাব শুরু হবে ভিন্নভাবে । আমি নর্থ কোরিয়ার কিমের সরে গিয়ে সারেন্ডার করার ভিতরে এক ভিন্ন কৌশল খুজে পাই । আমেরিকা নর্থ কোরিয়ায় তার প্লান্ট সরিয়ে নেবে চীনকে বসিয়ে দেবার জন্য । নরথে মজুরি আরও কম ।

১৮| ০৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাস্তবে আসুন । ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা কেন বলা হয় তাতো জানেন । তো কে হবে রাজা রানী ? রেফারেন্স মানি ইউ এস ডলার , সবার গোল্ড বণ্ড নিউইয়র্কেই জমা থাকে । চীন সবার নিজ নিজ টাকাকে রেফেরেন্স মানি করতে চাচ্ছে । এক অসম্ভব চিন্তাভাবনা । সেই সৈন্য সাজিয়ে যুদ্ধ আর তেমন হবেনা তবে দুরপাল্লার মিসাইল চলবে। ইরাক আগ্রাসনে আমেরিকা দেখিয়েছে শুধু জাহাজে বসে একটা ভয়ানক যুদ্ধ পরিচালনা সম্ভব । চীন ঝাপিয়ে যুদ্ধজাহাজ বানিয়েছে কিন্তু চালিয়ে দেখেনি , তার নৌ যুদ্ধের কোন অভিজ্ঞতাই নেই । টেকনোলজি হচ্ছে বড় অস্ত্র । আমেরিকা ওয়ার টেকে সবার ওপরে , তাকে টেনে নামাবার শক্তি কারো নেই । ইরাক যুদ্ধের সময় আমি পিকিঙ্গে বাস করি । কথা রটল চীনের জেনারেলদের প্যান্ট ভিজে গিয়েছিল ওই রাতে ।

বৃিটিস সম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেতো না একটা সময়।

আমেরিকা যুদ্ধে পারদর্শি কিন্তু যখন রাজার কোষাগারে সম্পদ কমে যায় তখন রাজার দাপট কমতে থাকে।

চীন যদি তার নিজের সমস্যার কারনে ভেঙ্গে না পড়ে তবে অর্থনৈতিক ভাবে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবে একটা সময়। বিভিন্ন দেশের অর্থনিতির উপরে এখনই দখল নেবার চেস্টা শুরু করেছে।

যখন আপনার টাকা থাকবে তখন ক্ষমতা আপনা আপনি আপনার কাছে চলে আসবে।

আমেরিকা চীন যুদ্ধ হবেনা, এখন সামনে বিশ্বযুদ্ধ হবার সম্ভবনা কম।

০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: আরবদের পয়সার উপর যতদিন আমেরিকার দখল আছে ততদিন নো প্রব্লেম । আমেরিকার প্রযুক্তি আছে ব্রেন আছে আর তাই তাদের মুল সম্পদ । চীনারা আমেরিকার দাস ছিল । তাদের ঘামে আমেরিকার রেলপথ । আমেরিকার সম্পদ হচ্ছে প্রায় ৪০ জন তরুন উপদেষ্টা । এরা এলাকা বিশেষ ইতিহাস , বর্ণ , ধর্ম , প্রাচীন ও চলতি প্রায় সব কিছুর ওপর প্রেসিডেন্টকে বুদ্ধি দেয় । চীন ভাগ হয়েই আছে উত্তর আর দক্ষিন । দক্ষিনেরা মনে করে তারাই উন্নয়নের ৮০ ভাগের যোগানদাতা । তারা অর্থনৈতিক নেতৃত্ব চায় । শিঞ্চিয়াং এর চলতি ব্যাপার তো জানেন । ওখান দিয়েই শুরু হবে ভাঙ্গন । হংকংকে ধরাশায়ী করে ফেলেছে বেইজিং । হংকং তাদের পুঁজি সরানো শুরু করেছে ।
উপরের কথাগুলো আমার বাস্তব মুখোমুখি অভিজ্ঞতা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.