নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালিবান - কাশ্মীর- ভারত ভুত ভবিষ্যৎ

১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৪




লেখাটি পিনাকির । পিনাকী একজন বিতর্কিত লেখক হিসাবে পরিচিত থাকলেও তার বহিঃজ্ঞান অনেক বেশি । আমি বিবিধ লেখা থেকে অনেক সুত্র পাই যা আমাকে একটা সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা দেয় । পিনাকী দেশে নিষিদ্ধ কিন্তু ফেসবুকে উন্মুক্ত । আফগানিস্তানের সুচনা পর্বে মানে বিপ্লব বা গৃহযুদ্ধ পর্বে আমি পিকিঙ্গে ছাত্র । কূটনীতিক , সামরিক ও বেসামরিক ছাত্রদের বড় আড্ডায় এসব আলাপ হতো যা আমাকে ভাবতে শেখাত আন্তর্জাতিক চলমান বিষয় , পরিনতি এবং সমাপ্তি । আমরা তারপর ইরাক , সিরিয়া, লিবিয়া ইত্যাদির পরিনতি দেখেছি । কদিন আগে তালিবানের আফগানিস্তান প্রায় দখল পর্ব খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছি । এর মধ্যেই পিনাকী লিখল এই পর্ব এবং তার ভবিষ্যৎ । খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিধায় অবিকল ছেপে দিলাম লেখাটি । পাঠক তার ইচ্ছেমত লেখাটির বিশ্লেষণ করবেন এবং জানাবেন কি হবে । এও জানবেন এই শঙ্কা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয় , আমার মত ।
#পিনাকী ভট্টাচার্য
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার এই উপমহাদেশের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পালটে দেবে বলেই মনে হচ্ছে। চারিদিকে সেই আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনা আছে যে এই পরিবর্তনটা সুচিত হবে কাশ্মীরকে ঘিরে।
কীভাবে সেই আলাপটা করছি। আমি কয়েকটা তথ্য, কয়েকটা সাম্প্রতিক ডেভলপমেন্ট এবং ভু রাজনৈতিক বিষয় একসাথে মিলিয়ে আপনাদের সামনে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করছি। মিলিয়ে দেখে নিন।
আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মোদি কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে বলেছে যে কাশ্মীরে নির্বাচন দেবে এবং পুর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেবে। শুধু তাই না, বলেছে যথাযথ সময়ে কাশ্মীরের আগের অবস্থা ফিরিয়ে দেয়া হবে।
ওরে আমার ওরে ওরে। কত ভালো মানুষ মোদি। শুধু তাইনা গো রক্ষক আর মুসলমান পেটানো আর এস এস হিন্দু মুসলমান ভাতৃত্বের কথা বলতেছে। ওরে আমার খোদা। কী শুনতেছি এইসব।
কাশ্মীরের বিশেষ স্ট্যাটাস কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ সেনা পাঠিয়ে বছরের পর বছর কার্ফু দিয়ে, ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে দিয়ে কাশ্মীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জেলখানা বানানোর হিম্মত দেখানো মোদি-অমিত শাহের বাঘ কীভাবে বিড়াল হয়ে গেলো? শুধু বিড়াল হওয়াই নয় লেজ গুটিয়ে কেন মিউ মিউ শুরু করলো? তা বুঝতে হলে নিচের ম্যাপটা দেখুন। আফগানিস্তান থেকে আজাদ কাশ্মীর হয়ে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর একই সীমান্তের পাশাপাশি লাগোয়া জনপদ। আফগানিস্তান আর কাশ্মীর তার পোরাস বর্ডার দিয়ে এক অভিন্ন জনপদ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে। অভিন্ন জনপদ মানেই অভিন্ন লড়াইয়ে সামিল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কাশ্মীরের সাথে ভারতের শাসকের ধারাবাহিক বেইনসাফি দেখে কাশ্মীরের জনগন বুঝে গেছে ভারতে কাশ্মীরী জনগনের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির বেইল নাই। সেটা নেহেরু আমলেই হোক বা বিজেপি আমলেই হোক। কাশ্মীরীদের এখন নিয়মতান্ত্রিক লড়াইয়ের পথে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যতই তাদের বুঝানো হোক। আর সেটা সম্ভব না। তাই শেষ রক্ষা করার জন্য মোদি কাশ্মীরীদের হাতে পায়ে ধরতেছে। তবে কাম হবার সম্ভাবনা শুন্য। ভারতই সেই সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আফগানদের সাথে ধর্মের বন্ধন তো আছেই কাশ্মীরিদের এছাড়াও থাকছে অজেয় আফগানিদের নৈতিক আর সামরিক সহায়তার সম্ভাবনা। এখন যদি আফগানেরা কাশ্মীরীদের সামরিক সহায়তা দেয় তাহলে মোদির এমন পাতলা পায়খানা শুরু হবে যে বাংলাদেশের ওরাল স্যালাইনও এই ডায়রিয়া সারাতে পারবে না।
আফগানরা যে কাশ্মীরে আসতে পারে সেই অনুমান আমার নয় খোদ ইন্ডিয়া আর্মি চিফ বিপিন রাওরাতের। আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সরে যাবার ঘোষণা দেবার পরে বিপিন বাবু ১৫ এপ্রিল রয়টারকে বলেছিলেন, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা চলে যাওয়ার ঘোষণায় ভারত চিন্তিত। ভারতের চিন্তার কারণ হিসেবে রয়টার লিখেছিলো।
"India’s big worry is that instability in Afghanistan could spill over into its Muslim-majority territory of Kashmir where it has been fighting militants for three decades"
"ভারতের বড় ভয় যে আফগানিস্তানের অস্থিরতা মুসলমান প্রধান কাশ্মীরে গড়িয়ে পড়তে পারে যেখানে গত তিন দশক থেকে ভারত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়েছে।"
নিরস্ত্র কাশ্মীরিদের গুলি করে মারার মতো হানিমুন পিরিয়ড শেষ হয়েছে ভারতের। এবার তাদের সামনে রিয়েল ফাইটের সম্ভাবনা। সেই ফাইটে ভারতের জয়ের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নাই। সোভিয়েত আর মার্কিন সেনা খেদানো অজেয় আত্মবিশ্বাসী আফগানদের ফেইস করার নৈতিক বা সামরিক সাহস ভারতের নাই। তাই তড়িঘড়ি করে মোদি কাশ্মীরের আগের স্ট্যাটাস ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার ভালোমানুষি করতে এসেছে। কিন্তু সারা দুনিয়া জানে মোদি কত ভালো মানুষ।
কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে ভায়া। কাশ্মীরের যেই বেইনসাফি করা হয়েছে সব মনে রেখেছে কাশ্মীরের জনগনই শুধু নয় মনে রেখেছে সারা দুনিয়া। মোদি অমিত শাহের হিন্দুত্ববাদি জোশের কথা আমরা কেউই ভুলিনি। কাশ্মীরের জমি কেনা, কাশ্মীরী নারীদের বিয়ে করার খায়েশ আমরা দেখেছি। কাশ্মীর ভারতের হাতছাড়া হয়ে যাবার সময় এসেছে। পাশার দান উলটে গেছে। আমির আজিজের সেই অমর কবিতার কথা মনে করিয়ে দিতে চাই।
তোমরা রাত লেখো আমরা লিখব চাঁদ
তোমরা জেলে ঢোকাও দেয়াল ভেঙে লিখব আমরা
তোমরা এফআইআর লেখো, আমরা প্রস্তুত
তোমাদের হত্যাকাণ্ডের সব প্রমাণ লিখব
তোমরা আদালতে বসে মশকরা লেখো
আমরা রাজপথে দেয়ালে লিখব ইনসাফ
মোদি-অমিত শাহ, তোমাদের পাপের আর বেইনসাফির কাফফারা দেয়ার জন্য তৈরি হও। দেয়ালে দেয়ালে লেখা ইনসাফ কায়েমের সময় এসে গেছে। ইতিহাস কোন বেইনসাফিকে ক্ষমা করেনা।#

ছবিঃ পিনাকির লেখা থেকে



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৮

রানার ব্লগ বলেছেন: মোদি যা করছে তা সবই রাজনৈতিক স্ট্যান্ড, ভাওতাবাজি। সামনে নির্বাচন, সে তার ক্ষমতা কে বজায় রাখার ধান্দায় কাশ্মীর নিয়ে আমি ভালো ছেলে খেলা খেলছে। আর এস এস এর মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদিদের মুখে মুসলমানদের ভালো বলাটা আপনার কি মোনে হচ্ছে না ভুতের মুখে রাম নাম। ভোট টা হতে দিন, ক্ষমতায় আবার বিজেপি আসুক দেখবেন কাশ্মীর এর সকল সুতা তারা গুনে গুনে টেনে বাহির করবে।

হয়ে যাওয়া পশ্চিম বংগের নির্বাচন আমি বেশ মনযোগ দিয়ে দেখেছি, বিজেপি ধর্ম গেলো বলে যে হাউকাউ শুরু করেছিলো তা কিন্তু হালে বেশ পানি দিচ্ছিলো, মমতা এসে সব পানি শুষে নিয়ে বাংগালী বাচাও আওয়াজ তুলে কোন রকমে জিতেছেন, এর পর মদি তার আক্রশ পশ্চিম বংগে প্রকাশ করেছেন, এখন যারা মদি মদি বলে মাদক নিচ্ছেন তারা আর কেউই না বাংলাদেশের জামাতপন্থী গন যেমন বিজেপিপন্থীরাও ঠিক তেমনি।

তালেনাবরা এখন তাদের ডাল পালা সুন্দর মতো বিস্তার করবে, আমেরিকা নিজের স্বার্থের কারনে।তালেবানদের দমনে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তালেবানরা আমেরিকার স্বার্থ দেখবে এই চুক্তিতে আমেরিকা তার সৈন্য ফেরত নিচ্ছে, এখন তারা তালেবানদের দিয়ে যা যা তারা দক্ষিণ এশিয়া মধ্য এশিয়ায় পারে নাই তাই এখন সফল করবে। মুসলমান মরলো না বাচলো, মুসলিম নারীদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি হচ্ছে না এটা নিয়ে ভাবাত সময় তাদের কোন কালেই ছিলো না।

১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: মিলিট্যাঁনট গ্রুপের কোন বিশ্বাস নেই , তারা ধ্বংসের প্রতীক ।


একসময়ের গজওয়ায়ে হিন্দ হয়ত তালিবানের হাতেই অর্জন হবে । কাশ্মীর নিয়ে বেশ তোড়জোড় চলছে পেছনে চীন , তালিবানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারি । আমরা আরও অপেক্ষা করব কি হয় দেখতে।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তাই হোক, মানুষ আনন্দে বাঁচুক। কাশ্মীর তার মত করে স্বপ্ন দেখুক।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: সেই স্বপ্ন পর্যন্ত কাশ্মিরিরা পৌঁছাক । আমেরিকা কার্যত তালিবানের উপর সব ছেড়ে দিয়ে দায়মুক্ত হল যেন ।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: আফগানদেরই তালেবান থেকে আফগানকে রক্ষা করতে হবে।দুই এক বছর না গেলে ঠিক অবস্থাটা বুঝা যাবে না আফগানে কি চলছে।আফগানকে নিয়ে চীন রাশিয়ার একটা পরিকল্পনা আছে ।ইতি মধ্যে আলাপ আলোচনা শুরু হয়ে গেছ,সেই সাথে আছে, ইরান ও তুরস্ক।আফগানদের কপালে আরেকটা গৃহযুদ্ধ আছে ।
কাশ্মির স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে একটা ইসলামিক রাষ্ট্র হোক এটা পৃথীবির কোন বৃহৎ শক্তি চায় না।
পিনাকীরা ষড়যন্ত্রকারী।দেশের বাইরে থেকে তারেকের সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করছে।সেই সাথে আরো কয়েক জন আছে।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: এখানে পিনাকির কোন রোল নেই । ও শুধু আলোকপাত করেছে আগামির আঞ্চলিক অবস্থার ।



কাশ্মিরিদের আরও চিন্তার স্বাধীনতা দেওয়া হোক । আমি চাই ভারত -পাক-চিন কাশ্মীরের দখল ছেড়ে দিক । চীনের তালিয়া বাজানোর কোন কারন দেখি না কারন তালিবান অবরুদ্ধ শিঞ্চিয়াঙ্গেও ঢুকবে । এতেও তারা কিঞ্চিত বিব্রত।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:২৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মোদির মূল সমস্যা সে যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তার চীন সহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময়ের তার তৈলাক্ত বক্তব্য অনুসরণ করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে ভারতীয়দের উগ্রসমর্থনের কারণগুলোও মোটেই সুস্থ নয়- উগ্র হিন্দুত্ববাদিতা ও ভারতের জনগনের অর্থলোভকে কাজে লাগিয়ে সে দেশে গলাকাটা পুঁজিবাদের দিকে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে মোদী অনেক ম্যানিপুলেটিভ। কিন্তু এই ধরণের শঠ নেতৃত্ব দেশ ও জাতির জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না - হিটলার, মুসোলিনি বা পলপটই তার প্রমান।

কাশ্মীর সমস্যাতে চীন জড়িয়ে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই - পাকিস্তানতো মুখিয়ে আছেই। এই সকল বিগ প্লেয়ারদের চারণক্ষেত্রে মোদির ডিপ্লোমেসি কি হবে দেখার বিষয়। মোদী সম্ভবত তার এই কূটকৌশল কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করবে আফগানদের হাতে রাখতে - যাতে আফগান-কাশ্মীরি মিলিট্যান্টদের মধ্যে সখ্যতা না হয়।

১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: পাকিস্তান ৫০ বছর আগের প্রতিশোধ নেবে কাশ্মিরে গরম তেল ঢেলে ।



আপনার আলাপ যৌক্তিক ।

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দেখাযাক কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়। মোদী গংরা নিশ্চিতভাবে মুসলিমদেরকে কোনঠাসা করে রেখেছে হঠাৎ করে তার কাশ্মীর প্রীতি নিঃশ্চয় কোন আলামত বহন করে।

১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ভারতের অর্থায়নে একটি তালিবান গ্রুপ আছে উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে সাইজ করা । কিন্তু এবার পাশা উলটে যাচ্ছে । তালিবান এখন কাশ্মীরমুখী ।

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২২

সোহানী বলেছেন: সাপরে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু মোদীকে নয়। সে যেমন ভোল পাল্টায় তেমনি প্রয়োজনে অস্বীকার করে। যাহোক, যে অত্যাচার সে করেছে কাশ্মীরের উপর তা কোনদিকে বাঁক নেয় আফগানিস্তানের এ পরিবর্তনে তা দেখার বিষয়।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , মোদী আসলেই বিষাক্ত সাপ কিন্তু এই মুহূর্তে দাত ভাঙ্গা কেননা চীন স্রেফ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভারতীয় সেনাদের হত্যা করল তার কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না । তালিবান কাশ্মীরে পা দেবেই এবং তা ভারতের জন্য উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। কিছুকাল বাদে আফগানিস্তানে মনে হয় ইউ এন সেনা নামবে , সাধারনত যা হয় ।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৩

সাসুম বলেছেন: আফগানিস্তানে একটা বড় আকারের রোল রাখতে আস্তেছে চীন আর তুরস্ক।

চীন আসবে তার ইকোনমিক পাওয়ার দিয়ে, তুরস্ক আসবে তার মিলিটারি পাওয়ার দিয়ে। খেয়াল করলে দেখবেন- আম্রিকা সরে যাওয়ার পর দিন থেকে চীনের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর আর এম্বাসেডর রা উঠে পরে লেগেছে নেক্সট প্রজেক্ট কই করবে সেটার জন্য। টাকা ঢালবে এখানে, ডেবট ট্রাপে ফেলে দখল করবে স্ট্রাটেজিক ল্যান্ড।

তুরস্ক অল্রেডি ঘোষনা দিয়েছে ন্যাটো চলে গেলেও্‌ তারা সিংগেল এন্টিটি হিসেবে কাবুলের নিরাপত্তা দিবে এবং অল্রেডি কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তা তারা প্রদান করছে উইথ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

পাকিস্তান আগের মতই পাইক্কা গিরি করবে তালেবান কে ট্রেনিং আর অস্ত্র দিয়ে।

আর একটা জঘন্য ব্যাপার বলে রাখি- চীন আর তুরস্ক কে দমাতে আম্রিকা আবারো তালেবান কে টাকা, লজিস্টিক আর অস্ত্র দিবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই এর জন্য। এটা অবধারিত। আফগান সরকার হয়ে পড়বে আগের মতই পুতুল সরকার। দেশ চালাবে তালেবান। কাবুল চালাবে বিদেশী শক্তি। রক্ত ঝড়বে নিরীহ আফগানের। বিস্তার বাড়বে পপি চাষের। এই উপাত্যকা অশান্ত থাকবে।

আর নিজের ঘর অশান্ত থাকলে কাশ্মীর এর দিকে কেউ নজর দিবেনা। সো, ভারত ও আফগান টেরিটরি তে তালেবান দিয়ে অশান্ত রাখতে আম্রিকার মতই কাজ করবে যাতে ঢেউ কাস্মীরের দিকে না আসে।

মোদ্দা কথা- লড়াই হবে আফগান অঞ্চলে, লড়বে বিদেশী শক্তি। ঠিক- এশিয়ার বুকে আরেক টুকরো লিবিয়া।


বিঃদ্রঃ পিনাকি একটা বদনা। সে যতটা মানুষ তার চেয়ে হাগু বেশি। সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর এই প্রানী এইটা। এরে বাংলাদেশ সরকার মোসাদ এর মত সিক্রেট কিলিং মিশন পাঠিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেক এটা চাওয়া

১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

শাহ আজিজ বলেছেন: আত্মসমর্পণকারী আফগান কম্যান্ডারদের গুলি করে মারার দৃশ্যটা মর্মান্তিক , তারাও আফগান রাষ্ট্রের রক্ষক ছিল । আফগানিস্তানে মার্কিন কম্যান্ডারের পদত্যাগ আরেকটু জিজ্ঞাসা সামনে নিয়ে এল । তালিবানদের একাধিক গ্রুপ । পাকিস্তানী সমর্থনদানকারী গ্রুপ কাশ্মীর নিয়ে খেলবে । চীন এ যাবত তালিবান ও আফগানদের অস্ত্র দিয়ে এসেছে , বিনিময়ে পেয়েছে পপির টাকা । চীনারা এই গোলযোগ টিকিয়ে রাখবে । তালিবান পাকিস্তানে ঢুকে তার নাশ করবে । এমনকি সুন্নি যারা শিয়া মজহাবিদের পছন্দ করে না তারা ইরানকে সহজেই ধরবে। সবশেষ উইগুর , চীনারা বাধ্য হবে নল তালিবানের দিকে ঘুরাতে । তখন তালিবানদের প্রতি আমেরিকান সাহায্য আরও বাড়বে । সবচে মজার হচ্ছে পাকিস্তানের পাশে আর কেউ রইবে না ।

পিনাকির লেখায় বেশ কিছু সুত্র পাওয়া যায় যা আমার কাজে লাগে , ওকে অনেকক্ষেত্রে আমিও পছন্দ করিনা । খুব লেখাপড়া করে পিনাকী । ওর সাথে তর্কে আপনি পারবেন না ।

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০১

সাসুম বলেছেন: আমার সব চেয়ে কস্ট লাগে যে যায়গাটাতে, এত কিছু করে আফগানিস্তান টাকে ধংস করে রেখে আম্রিকা আবারো তালিবান কে পেলে পুষে বড় করবে- কি নিদারুন ব্যাপার!

মাঝখানে মারা খাবে পাইক্কারা।

পিনাকি একটা লাইসেন্সড গাধা। এটা পড়ালেখা করলেও বায়াসড। আপনি এক দিকে হেলে থাকা পিলার দিয়ে ঘর বানাতে পারবেন না আজিজ ভাই । বানালেও খুব তারাতারি ভেংগে যাবে।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: উচু সেনা কর্মকর্তাদের কেউ পরিচিত আছে ? তাকে জিজ্ঞাসা করুন তালিবান সংকট নিয়ে , অনেক সমাধান পাবেন ।


পাইক্কারা মাইর খাওনের জন্য পয়দা হইছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.