নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অ্যাডল্ফ হিটলার থেকে শুরু করে জোসেফ স্ট্যালিন বা মাও জে তুং । বিশ্বের তাবড় স্বৈরাচারীর মধ্যে লক্ষ করা গিয়েছে অদ্ভুত কিছু আচরণ। যা তাঁদের কুখ্যাতিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
ইউরোপ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতের রাজদূত থাকা রাজীব ডোগরা স্বৈরাচারীদের জীবন নিয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তাঁদের বেশ কিছু অদ্ভুত আচরণের উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন এই আইএফএস অফিসার।লাখো লাখো ইহুদি হত্যার কুচক্রী জার্মান ‘ফ্যুয়েরার’ হিটলার আবার ছিলেন পুরোপুরি নিরামিশাষী। জীবনের শেষ দিকে শুধুমাত্র সুপ ও পেষাই করা আলু খেতেন তিনি। তবে ফুড টেস্টারেরা পরখ না করলে খাবার মুখে তুলতেন না হিটলার। সর্ব ক্ষণ বিষ প্রয়োগে খুনের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াত তাঁকে।হিটলারের ফুড টেস্টার মার্গোভ ভয়েলভ পরবর্তী কালে লিখেছিলেন, ‘‘ফ্যুয়েরারকে তাজা সব্জি খেতে দেওয়া হত। ইটালিয়ান পাস্তা পছন্দ করতেন তিনি। কিন্তু, খাবার এলেই মনে হত, আজই আমাদের শেষ দিন। ফলে ফুড টেস্টিংয়ের সময়ে খাবারের স্বাদ বুঝতে পারতাম না। শুধু যন্ত্রের মতো কাজ করে যেতাম।’’
উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিম জং ইল হাঙর আর কুকুরের মাংসের সুপ খেতেন চেটেপুটে। ডেমিক বার বার লিখেছেন, খাবার পরিবেশনের আগে তাঁর প্রমীলা বাহিনী তা চেখে দেখত। প্রতিটা ভাতের কণা সমান ও একই রঙের রয়েছে কি না, তা ভাল করে পরীক্ষা করতেন তাঁরা।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পল পটের আবার পছন্দ ছিল গোখরো সাপের মাংস। তাঁর রাঁধুনি রাজীব ডোগরাকে বলেছিলেন, ‘‘আমরা সাপ মেরে তা বাগানে ঝুলিয়ে রাখতাম। পরে মাথা কেটে সরীসৃপগুলির রক্ত হোয়াইট ওয়াইনের সঙ্গে মিশিয়ে খেতাম। শেষে সাপটাকে কুচি কুচি করে কেটে সেই মাংস রান্না করে প্রধানমন্ত্রীকে পরিবেশন করা হত।’’
উগান্ডার সেনাশাসক ইদি আমিনের বিরুদ্ধে নরমাংস খাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তাঁর খাদ্যাভাসের বিষয়টি ‘ডিক্টেটরস উইথ স্ট্রেঞ্জ ইটিং হ্যাবিটস’ শীর্ষক একটি লেখায় তুলে ধরেন সাংবাদিক অনিতা সুরিউইচ। এই নিয়ে প্রশ্ন করলে আমিন বলেছিলেন, ‘‘আমি নরমাংস খুব একটা পছন্দ করি না। কারণ, ওটা নোনতা। স্বাদে আহামরি কিছু নয়।’’
চিনের চেয়ারম্যান মাও আবার আজীবন দাঁত ব্রাশ করেননি। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জিসুই লি-র লেখা ‘প্রাইভেট লাইফ অফ চেয়ারম্যান’ মাও থেকে জানা যায়, এর জন্য তাঁর মাড়িতে পাথর জমে গিয়েছিল। এই নিয়ে কথা উঠলেই মাও বলতেন, ‘‘বাঘ-সিংহ কখনওই তাদের দাঁত পরিষ্কার করে না।’’
রাজীব ডোগরার লেখা থেকে
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: ওরা স্বভাবে অদ্ভুত তাই খাবারেও অদ্ভুত ।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একেক জন নিজেকে বাঘ সিংহ ভাবতেন দেখি!
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , আসলেই তো বাঘ বা সিংহ ।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘‘আমরা সাপ মেরে তা বাগানে ঝুলিয়ে রাখতাম। পরে মাথা কেটে সরীসৃপগুলির রক্ত হোয়াইট ওয়াইনের সঙ্গে মিশিয়ে খেতাম।’’
‘‘আমি নরমাংস খুব একটা পছন্দ করি না। কারণ, ওটা নোনতা। স্বাদে আহামরি কিছু নয়।’’
‘‘বাঘ-সিংহ কখনওই তাদের দাঁত পরিষ্কার করে না।’’
ভয়ঙ্কর ও অদ্ভুত সব খাদ্যাভ্যাস।
২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৪
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হিটলারের খাবার চেক করার মতো ফুড টেস্টার ছিলো। আর আমরা বাংলাদেশীরা যা খাচ্ছি তাতে সবাইকেই ফুড টেস্টার বলা যায়।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: আমি অনেকের লেখা মাওয়ের জীবনী পড়েছি।এমন তথ্য কোথাও পাইনি।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!
কি সুন্দর সব খানা!!!!