নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল দেশ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩






চামচা পুঁজিবাদ থেকে দেশ চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা মিলে চোরতন্ত্র করেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সব সদস্য সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানান।

দেবপ্রিয় বলেন, 'চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো। এর উৎস ২০১৮-র নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে, সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জবাবদিহি নষ্ট করা হয়েছে। জাতিসংঘ এখনো মনে করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও লোপাট করেছেন আমলারা। তারপর দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছেন রাজনৈতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।'

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ অর্থ তছরুপ হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে।

দেবপ্রিয় বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কার্যক্রম করা যাবে না। পরবর্তী জাতীয় বাজেট আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বর্তমান সরকার কী কী উদ্যোগ নেবে, সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে। আরও দায়বদ্ধতা আনতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এ সরকার পাঁচ বছর দায়িত্বে থাকবে না। তবে অন্তত আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা সামনে থাকতে হবে।'

সংবাদ সম্মেলনে ড. এ কে এনামুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য ড. আবু ইউসুফ বলেন, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যে পরিমাণ টিআইএন সার্টিফিকেট থাকার দাবি করে, সে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয় না। এমনকি কেউ মারা গেলে সেই সার্টিফিকেট বা নম্বর কী হবে, সেটির কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া নেই। রাজস্ব বোর্ড সেটা কমিটিকে দিতে পারেনি। কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা খাতকে করছাড় দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সঠিক কাঠামো নেই।'

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চোরতন্ত্রের সুরাহা হোক।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি শুধু ভাবছি শেখ পরিবার এতো নিচে নামতে পারে ! তাহলে শেখ মুজিবকে যা উপাধি দেওয়া হবে তা মেনে নিতে হবে ।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

পবন সরকার বলেছেন: দেশটা শেষ করে ফেলেছে

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হাসিনা একটা বেশ্যা ---------------------

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


দেশটা আমার দেশটা সবার
টাকা শুধু ওদের
তাদের টাকা তারা নিয়েছে
দোষটা তবে কিসের?


কেউ গদি পায় বাবার জোরে
কেউ বা পায় পতির ধরে
আমজনতা খুশি শুধু
ভোটের দিনে ৫০০ টাকার নোটটি পেলে।

কেঁদে আর কি লাভ এখন?
লুটে- ওরা ভাল থাক
আমাদের না হয় পান্তা দিয়ে
সকাল দুপুর রাত পার হয়ে যাক
তবু ওরা ভাল থাক, ভাল থাক।


০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: তাই থাক তাই হোক ---------------------

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০

রাকু হাসান বলেছেন:


এই ক্ষতি আগামী ১০ বছরে পুষবে কিনা জানি না । ভয়াবহ এক অর্থনৈতিক সংকটে রেখে গেছে চোরেরা। কিছু যোগ করলাম ।

’গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচারের তথ্য উঠে এসেছে শ্বেতপত্রে। সেই হিসেবে গত ১৫ বছরে পাচার হয়েছে ২৪০ বিলিয়ন বা দুই লাখ ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।গড়ে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন বা এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। টাকার অংকে যা প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা।’-বিবিসি

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

শিশির খান ১৪ বলেছেন: গড়ে প্রতি বছর এক লক্ষ আশি হাজার কোটি টাকা পাচার করছে ।এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরো দশ বছর লাগবে তাও পারবো কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। যারা বলে আগেই ভালো ছিলাম তারা এখন কোথায় ?

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উন্নয়ন করেছে ১০০ কোটি টাকার আর লুটপাট করেছে ১০০০ কোটি!

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চোরতন্ত্র বিলুপ্ত হোক---

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

জেনারেশন৭১ বলেছেন:



দেবপ্রিয়'এর বেতন কে দেয়? এই ডাকাত এনজি'ওর টাকা ডাকাতী করে শত কোটীর মালিক। লাখের উপর এনজিও ডাকাত আছে বাংলাদেশে: ড: ইফতেখার ও ড: বদিউল আলমও এনৈও'র টাকা ডাকাতী করে বিশিষ্ট ধনী।

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাসিনার চোরতন্ত্র নিপাত যাক।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব হাওয়াই কথা, প্রমান তো দুরের কথা কোন সুনির্দিষ্ট একটি ঘটনাও উল্লেখ নেই।
দুবাইতে কিছু ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী ব্যাবসা করে বাড়ী গাড়ী কিনেছে সেগুলোকেও ধরা হয়েছে পাচার। হাস্যকর।

পাচার করলে দেশের সম্পদ বাড়ে না কমে?
পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এক পাকিস্তানি সাংসদের আক্ষেপ লেখা হয়েছিল,
পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতির জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ।
আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, যা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে, এমনকি শক্তিশালি ভারতও পিছে পড়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার পাচ গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শতগুণ। দেশটির ৪৩% থেকে শতভাগ বাড়ীতে বিদ্যুত সংযোগ।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল। বর্তমানে দারিদ্র কমে এখন ২০ শতাংশে নেমেছিল।
গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরের কাছাকাছি। যা ভারত পাকিস্তান বটেই গ্লোবাল গড় আয়ু থেকেও বেশী।

আর বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা কতটুকু বেড়েছিল?
২০০৮ এর ৬০ বিলিয়ন জিডিপি ২০২৪ এ ২৪৬ বিলিয়নে পরিনত, চুরি পাচার হলে সম্ভব?
সেতু মেট্ররেল বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাদই দিলাম
প্রায় ৩ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার কে ঘর করে দিয়েছে জমি সহ
১২০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখের বেশি।
এদের জন্য সরকার কত খরচ করছে জানেন?
এ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে বরাদ্দ - ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা
যা বিএনপি-জামাত আমলের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুণ!
টাকা মেরে দেয়ার কোন উপায় নেই, মোবাইল ব্যাঙ্ক সরাসরি ব্যাক্তি মোবাইলে আসছে।
মাত্র ১০০ টাকা বয়স্ক ভাতা দিয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুচনা করেছিল আওয়ামীলীগ।
এরপর ‘বিধবা ভাতা এবং ‘প্রতিবন্ধী ভাতা’। দুস্থ মহিলা ভাতা ইত্যাদি ১২০ ধরনের ভাতা
১২০টি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮ লাখের বেশি।
এ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে বরাদ্দ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা
যেটা বিএনপি-জামাত আমলের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুনেরও বেশি!
বিম্পি আমলের মোট বাজেটের দ্বিগুন অর্থ শুধু গরিবকে ভাতা হিসেবে ডাইরেক্ট মোবাইল ব্যাঙ্কিংএ দিচ্ছিল সেই সরকার।
তাইলে বুঝেন পাচার হয়েছে না বিপুল সম্পদ বেড়েছে।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৪

ক্লোন রাফা বলেছেন: এই রিপোর্ট জানার জন‍্য এত সময় ব‍্যায় করা আরেকটা চুরি ‼️আমলারা দুর্নীতি করেছে এটা আয়ের সাথে ব্যয় ও সম্পদই প্রমাণ! ব‍্যাবসায়িরা দুর্নীতির সকল পন্থা ব‍্যবহার করেছে! এমনকি কোভিড কালীন কর্মচারীদের বেতন থেকে বঞ্চিত করেছে! সরকারি অনুদান লোপাট করেছে! সরকারি কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। কাজ না করে বেতন বৃদ্ধি করা চুরি করেছে।আবার সরকারি সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে! রাজনীতিবিদ’ও মানুষের প্রচুর প্রাপ্য চুরি করেছে! এটা আমরা সবাই জানি! কে কত কিভাবে চুরি করেছে প্রমাণের ভিত্তিতে জানতে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.