![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক গত ছয় মাস ধরে তলানিতে রয়েছে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে সম্পর্কের কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি, বরং কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের সময় ভারত নিশ্চুপ থাকলেও সম্প্রতি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। এতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার আলোচনায় এসেছে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য বৈঠক।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমসটেক (বঙ্গোপসাগরীয় উদ্যোগের জন্য বহুক্ষেত্রীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা) সম্মেলন। এতে সদস্য দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসও সম্মেলনে অংশ নেবেন।
একটি সূত্র জানায়, সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনুস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মোড় আনতে পারে।
এদিকে, বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ড. ইউনুস। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, "আমি বিমসটেকের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।" বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি। বরং, ভারতের কিছু মন্তব্য ও পদক্ষেপ বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনুস-মোদি বৈঠক হলে দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েন কিছুটা কমতে পারে। তবে শেখ হাসিনাকে পাশে রেখে ভারত কেমন কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত বছর থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিমসটেক সম্মেলন স্থগিত হয়েছিল। তখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনুসের প্রথম বিদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, "বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।"
বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক ধরনের অচলাবস্থায় থাকলেও এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠক পারস্পরিক স্বার্থের প্রশ্নে কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে উভয় দেশের কূটনৈতিক অবস্থানের ওপর।
বিমসটেক সম্মেলন ও ইউনুস-মোদি বৈঠক ঘিরে এখন কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা এ বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ট্র্যাম্পের এবারের গেম ভিন্ন ধরনের , অনেকটা পাগলাটে টাইপের । অপেক্ষায় এদের মিটিঙের জন্য ।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুস মোদির বৈঠকে কিছুই হবে না।এটা হবে লোক দেখানো।আসল বৈঠক হবে মোদি ট্রাম বৈঠক।যেখানে অনেক গুরত্বপূর্ণ কিছু সিধান্ত হবে।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৬
কু-ক-রা বলেছেন: উহারা ট্রাম্পের দৌড়ানি খাইয়া, ট্রাম্পের ভয়ে এক ঘাটের পানি খাইবে - এইরুপও হইতে পারে,
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূস যদি মোদির আগে ট্রাম্পের সাথে একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করতে পারতেন তবে খুব ভালো হতো। মোদি-ট্রাম্পের মিটিংয়ে মোদি যে বাড়িয়ে বলবে বাংলাদেশের ব্যাপারে সেটা সবাই জানে।