নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া রোগে ভুগছিলেন পোপ ফ্রান্সিস

২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৫




বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া রোগে ভুগছিলেন পোপ ফ্রান্সিস, কী এই রোগ? কাদের হতে পারে?


৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। দীর্ঘ দিন ধরেই ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান। ভ্যাটিকানের বার্তায় জানানো হয়েছে, বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া হয়েছিল পোপের। শ্বাসের সমস্যা হত তাঁর। অসুস্থ হয়ে ৩৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর শ্বাসনালিতে প্রদাহ বেড়ে গিয়েছিল। নিউমোনিয়ার কারণেই শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণও দেখা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, অনেক ছোট থেকেই ক্রনিক ফুসফুসের রোগ ছিল তাঁর। ২১ বছর বয়সে তাঁর এক বার নিউমোনিয়ায় প্রাণসংশয়ও হয়। তবে সম্প্রতি বাইল্যাটালার নিউমোনিয়া ধরা পড়ার পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

সাধারণ নিউমোনিয়ার থেকে কতটা আলাদা বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া?

ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ নিউমোনিয়া রোগের একটি অন্যতম প্রধান কারণ। আবার ছত্রাক থেকেও নিউমোনিয়া হয়। বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া দু’টি ফুসফুসকে একই সঙ্গে কাবু করে দেয়। অর্থাৎ, সংক্রমণ ঘটে দুই ফুসফুসেই। একই সঙ্গে দুই ফুসফুসেই জল জমতে শুরু করে। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করতেই পারে না। শ্বাসনালিতেও প্রদাহ শুরু হয়। রোগী ঠিকমতো শ্বাস নিতেই পারেন না।উপসর্গ কী কী? সাধারণ নিউমোনিয়ার থেকে লক্ষণ কিছুটা আলাদা। শুরুতেই রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায় না। জ্বর ও হালকা কাশি থাকে। ধীরে ধীরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। কাশির মাত্রা বাড়ে। শ্বাসকষ্ট মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। বুকে ব্যথা শুরু হয়। বুকে ব্যথার ধরন একটু আলাদা। সাধারণত গভীর শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। ফুসফুসের প্রদাহের কারণে এই ব্যথা হয়। এ ছাড়া, মাথা যন্ত্রণা, ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়া, খাওয়ায় অনীহা, সারা ক্ষণ বমি বমি ভাবও দেখা দেয়।

কাদের হতে পারে?

সাধারণত বয়স্করাই এই রোগে আক্রান্ত হন বেশি। ৬০ থেকে ৬৫ বছরে রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তা হলে ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তা ছাড়া ক্যানসার, এডস রোগীদের ব্যাইল্যাটারাল নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ফুসফুসের রোগ আগে থেকেই থাকলে বা ফুসফুসে কোনও রকম অস্ত্রোপচার হলে, রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

চিকিৎসা কী?

ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না। যাঁদের ফুসফুসের রোগ আছে অথবা ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, হার্টের রোগের মতো কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সাবধানে থাকতেই হবে। রোগীর জ্বর কমতেই চাইবে না। শ্বাসকষ্ট বাড়বে। বুকে ব্যথা থাকবে। কাশির সঙ্গে কফ উঠলে তাতে অল্প রক্তও মিশে থাকতে পারে। রোগী স্বাভাবিক থাকছেন না কি বেশির ভাগ সময় ঝিমিয়ে পড়ছেন, তা-ও লক্ষ রাখতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষত ফুসফুসের কোনও স্থানে সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানা দরকার। নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে রাখাও জরুরি। নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) এবং নিউমোকক্কাল পলিস্যাকারাইড ভ্যাকসিন (পিপিএসভি) নিয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়।






আনন্দবাজার

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.