নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল

২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫





একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আজহারুলের করা আপিল সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

এই মামলায় আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।

এই মামলায় আপিলের ওপর শুনানি শেষে ৮ মে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে তারিখ ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আপিলটি রায় ঘোষণার জন্য আজকের কার্যতালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। আসন গ্রহণের পর সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে রায় ঘোষণা করেন আদালত। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল।

এই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিভ মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে বলা হয়। পরে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দেওয়া হয়। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দিলেন আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আজহারুল কারাগারে আছেন।

আদালতে আপিলকারীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাগ্য একেই বলে! একদম ফাঁসি থেকে ফিরে আসা!

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: পত্রিকা বলছে আগের জামায়াত নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে । ব্যাপারটা আমি আগেই জানি ।

২| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৬

লুধুয়া বলেছেন: বুজতে পারছেন এখন কারা ছিলো ওই আন্দোলনে। ১৯৭১ এর পাকিদের ফেলে যাওয়া বীজ।

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি , ইনশাআল্লাহ ।

৩| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:২১

অক্পটে বলেছেন: ওটা হঠকারী হাসিনার জুডিশিয়াল কিলিং ছিল জাতির সকলেই এটা বুঝেছিল।

৪| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

রাসেল বলেছেন: বিচার বিভাগ হলো বিবেকের জায়গা, জাতির আমানত, রাজনৈতিক সরকারকে দায়ী করলে চলবে না।

উনাদের "মহামান্য" না বললে ঠিকই বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠে, আইনের অবমাননা হয়ে যায়।

৫| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আজকে খুশির দিন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দিন।
একাত্তরে কোন অপরাধ করেও দীর্ঘদিন জেল এলেন।
এমন নূরানী চেহারার নিরাপরাধ মানুষটাকে দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, জালিম, নিজের হাতে মানুষ জবাইকারী, ভারতের দালাল, পাকিস্তানের শত্রু হাসিনার সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার নামে এতদিন জেলে রেখেছিলো। যারা সেই সময়ে রায় দিয়েছিলো তাদের এখন বিচার হওয়া উচিত।

যাক আল্লাহর দরবারে অশেষ শোকরানা ইউনূসের আমলে তিনি মুক্তি পেলেন। ইউনূসের আরেকটি বিরাট সাফল্য। আলহামদুলিল্লাহ

৬| ২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

ফেনিক্স বলেছেন:



পাকিস্তানের ৯০ হাজার বন্দী সৈন্যকে জাতীয় বীর ঘোষণা করতে পারে জামাত শিবির।

ব্লগে রাজাকারদের "বীরত্বের কাহিনী" এখনো এলো না; শিবির ব্লগারেরা এখনো ভয়ে আছে?

৭| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: মৃত্যু দন্ড না হলেও জেল হওয়া দরকার ছিলো।তাদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।

২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: অপেক্ষা করুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.