![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর; সংসদে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা বাড়বে—এ ধরনের ১২টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে করা প্রস্তাবসহ আটটি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে ছয়টি সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে, সেগুলো নিয়ে তৈরি হবে জাতীয় সনদ। ইতিমধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’–এর একটি খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, এই সনদের অন্তর্ভুক্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে অঙ্গীকার করবে রাজনৈতিক দলগুলো।
তবে কোন কোন বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, খসড়ায় তা উল্লেখ করা হয়নি। দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর বিষয়গুলো সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেখানে সনদ প্রণয়নের পটভূমি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও কমিশনের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ খসড়া চূড়ান্ত করতে চায় ঐকমত্য কমিশন।গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেয়। পরে সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে আইন-বিধি সংস্কার করে বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন সম্ভব এমন অনেকগুলো সুপারিশকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
অন্যদিকে ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম পর্বে (২০ মার্চ-১৯ মে) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক আলোচনা করে কমিশন। প্রথম পর্বে ঐকমত্য হয়নি—এমন ২০টির মতো মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে গত ৩ জুন থেকে সব দলকে একসঙ্গে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। সে আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। সংস্কারের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাবগুলোকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। কমিশন এ সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শেষ করতে চায়। প্রথম পর্বে ৩২টি এবং দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবারের আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সনদের একটি খসড়া দলগুলোর কাছে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যেসব বিষয়ে ইতিমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে, সেগুলো তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ, দলগুলোর সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে। সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গীকারের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুলাই দুপুর ১২টার মধ্যে দলগুলোকে খসড়ার বিষয়ে মতামত বা পরামর্শ থাকলে তা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কমিশন আশা করছে, সেদিন সমন্বিত একটি খসড়া করা যাবে।দ্বিতীয় পর্বে যেসব ঐকমত্য
দ্বিতীয় পর্বে গতকাল পর্যন্ত ২০ দিন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। সেগুলো হলো—১. এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, এমন বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে।
২. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন। এতে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) আছে। তারা অর্থবিল ও আস্থা ভোটের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বিষয় যুক্ত করার কথা বলেছে।
৩. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব। এতে সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ অধিকার-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি—এই চারটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ সংসদে আসনের সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের মধ্য থেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো সংসদে যে কটি আসন পাবে, তার অনুপাতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ পাবে। ৪. নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ। এ বিষয়ে আশু এবং দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।৫. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান। ৬. হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যায়ক্রমে উপজেলায় পর্যায়ে নিম্ন আদালত স্থানান্তর। ৭. সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি। ৮. জরুরি অবস্থা জারি। ৯. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ। ১০. ইসি গঠনপদ্ধতি সংবিধানে যুক্ত করা হবে। সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার বাছাই করবে। ১১. পুলিশ বাহিনীর পেশাদারত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং পুলিশি সেবাকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে একটি ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠন করা হবে।
১২. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হয়েছে, একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, এ প্রস্তাবে তিন-চতুর্থাংশ দল একমত। বিএনপিসহ যারা একমত হয়নি, তারা জাতীয় সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।
এর আগে প্রথম পর্বের আলোচনায়ও বেশ কিছু সুপারিশের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। তবে প্রথম পর্বে কতটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। জুলাই সনদে এ বিষয়গুলো যুক্ত করা হবে।যেসব ঐকমত্য হয়নি
যেসব বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি, সেগুলো হলো—১. সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ চারটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদ্ধতি। ২. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপদ্ধতি ও ক্ষমতা। ৩. সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো ও নির্বাচনপদ্ধতি। ৪. রাষ্ট্রপতির নির্বাচনপদ্ধতি। ৫. রাষ্ট্রের মূলনীতি। ৬. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা। ৭. সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ। ৮. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব।বিএনপির ওয়াকআউট
সব সংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব করেছিল সংবিধান সংস্কার কমিশন। কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপিসহ কিছু দলের আপত্তি থাকায় এনসিসি বাদ দিয়ে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু সেটা নিয়েও বিএনপিসহ কিছু দলের আপত্তি ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনসহ (ইসি) পাঁচটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য গত মঙ্গলবার নতুন প্রস্তাব দেয় ঐকমত্য কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, সরকারি দল ও বিরোধী দলের সমন্বয়ে গঠিত আলাদা আলাদা কমিটি এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের বাছাই করবে। ইসি গঠনের পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে ঐকমত্য হলেও বাকি চারটির ক্ষেত্রে এখনো ঐকমত্য হয়নি। বেশির ভাগ দল একমত হলেও এ ক্ষেত্রে বিএনপিসহ কিছু দলের আপত্তি আছে।
গতকাল সকালে চারটি সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে বিএনপির জোরালো আপত্তি আছে। দলটি আগেই বলেছিল, এ–সংক্রান্ত আলোচনায় তারা অংশ নেবে না। গতকাল এ বিষয়ে আলোচনার শুরুতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন। অবশ্য কিছু সময় পর তিনি যোগ দেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। কারণ, বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী, কার্যত প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ হয়ে থাকে। এখানে পরিবর্তন আনা না গেলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে না। এতে দলীয় অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ করার ঝুঁকি থেকে যাবে।
গতকালের আলোচনায় বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যেভাবে নিয়োগপদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে, তাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নির্বাহী বিভাগ বাধাগ্রস্ত হবে, এমন আশঙ্কা থাকে। প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব খর্ব করা যাবে না। নির্বাহী বিভাগকে কাজ করতে দিতে হবে।
গতকাল শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে কিছু সময় আলোচনা হলেও ঐকমত্য হয়নি। এসব বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
জুলাই সনদের ৭ অঙ্গীকার
জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায় সাতটি বিষয়ে অঙ্গীকার করার কথা বলা হয়েছে। ১. হাজারো মানুষের জীবন ও রক্ত এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগতিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।
২. জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ দেশের শাসনব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমনব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৩. যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ এই সনদে লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন এই সনদ গৃহীত হওয়ার পরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে এবং এসব সংস্কার টেকসই করতে অঙ্গীকার করছি।
৪. এই সনদ গৃহীত হওয়ার পর এতে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ আছে, সেগুলো পরবর্তী দুই বছর মেয়াদকালের মধ্যে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
৫. সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপকে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষার পূর্ণ নিশ্চিয়তা বিধান করব।
৬. সনদ বাস্তবায়নে এবং এর আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রদানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
৭. ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণ–অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সংবিধানে যথাযোগ্য স্বীকৃতি দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকব।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত সংবিধানের মূলনীতিসহ মৌলিক সংস্কারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনের প্রকৃতি কেমন হবে, তার অনেকটা জুলাই সনদের ওপর নির্ভর করবে। তবে এই সনদ বাইন্ডিং (মানতে বাধ্য) হবে কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। না হলে দলগুলো অঙ্গীকার করার পরও অনিশ্চয়তা রয়ে যাবে। যেমন এরশাদের পতনের পর তিনদলীয় জোটের রূপরেখা পরবর্তী সময়ে বাস্তবায়িত হয়নি। এখন যেসব সিদ্ধান্তে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, সেগুলো নিয়ে হয়তো সংকট থেকে যাবে।
©somewhere in net ltd.