![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুরে বেড়াতে ভালবাসি। সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই, সুন্দরের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।
বাইরে সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে আর আমাদের রুমে বসে প্ল্যানিং করা হচ্ছে অরণ্য কুটির ভ্রমণের। খুবই সাদামাটা একটা প্ল্যান। খাগড়াছড়ি থেকে বাসে করে পানছড়ি। পান ছড়ি থেকে মোটর সাইকেলে বা সি এন জি তে করে শান্তিপুর অরণ্য কুটির। কিন্তু এতো সাদামাটা প্ল্যানিং এর মাঝেও বাধা ওই একটাই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। কিন্তু কি আর করা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বেড়িয়ে পড়লাম। কোথায় পানছড়ির বাস পাওয়া যাবে, কোথায় নামতে হবে তা গত রাতেই জেনে নিয়েছি হোটেল শৈল সুবর্ণার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মনা ভাইয়ের কাছ থেকে।
আমরা যখন চেঙ্গি স্কয়ারে এসে পৌঁছলাম তখন বৃষ্টি কমে গেছে। এখান থেকেই বাসে করে যেতে হবে পানছড়ি। দূরত্ব প্রায় ২৫ কিঃমিঃ। পানছড়ি পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ১১,৩০ বেজে গেল। সেখানে গিয়ে দেখি রাস্তায় লোকজন গিজগিজ করছে। একটু অবাক হলাম। কিন্তু হাট বারে যে বাজারে মানুষের একটু ভিড় থাকবেই এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এটা বুঝতে আমাদের প্রায় আধ ঘণ্টা লেগে গেল। কারন এই আধ ঘণ্টায় আমরা অরণ্য কুটিরে যাওয়ার জন্য একটা সিএনজি ও যোগাড় করতে পারলাম না। শেষমেশ আমি, রনি ও আমির আমরা তিন জন মিলে অনেক কষ্টে ৩৫০ টাকার বিনিময়ে একটা সি এন জি যোগাড় করলাম। পানছড়ি হতে অরণ্য কুটির যাওয়ার পুরো রাস্তাটাই ইট বিছানো। তাই এই রাস্তায় মাত্র ৭ কিঃ মিঃ পথ চলতে কোন কষ্ট বা ঝামেলা নেই। আমরা প্রায় ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম আমাদের গন্তব্য স্থল শান্তিপুরের অরণ্য কুটিরে।
শুরুতেই বেশ বড় একটা গেট চোখে পড়লো। চারপাশটা বেশ সুন্দর করে সাজানো। গেট দিয়ে রাস্তা চলে গেছে সোজা টিলার দিকে। টিলার উপর উঠেই চোখের সামনে উদয় হল বিশাল এক বৌদ্ধ মূর্তি। অনন্য সুন্দর এই মূর্তিটি আমার দেখা সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি, সম্ভবত এটি বাংলাদেশের ও সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি। আসন সহ গৌতম বুদ্ধের এই মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আনুমানিক এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা খরচ হয় এটি নির্মাণে। মিয়ানমারের কারিগর মিঃ পুজ্ঞা এর তত্ত্বাবধানে ২০০৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয়।
আমরা মন্ত্র মুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকলাম এটির দিকে। নিপুন নির্মাণ শৈলী ফুটে উঠেছে এর প্রতিটি অংশে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, কিছু ছবি তুলে আমরা পুরো অরণ্য কুটিরটি ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকলাম। বেশ গুছানো আর পরিপাটি। চারদিকে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ফলের গাছগাছালিতে ভরপুর। এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গৌতম বুদ্ধের সহচাযদের ছোট বড় বেশ কিছু মূর্তি। মাঝে মাঝেই রাস্তায় দু’চার জন ভিক্ষুর সাথে দেখা হয়ে যাচ্ছিল। সকলেই বেশ অমায়িক। আমাদের যে কোন প্রশ্নের উত্তর তারা হাসিমুখেই দিচ্ছিল। তাদের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগলো। প্রায় ঘণ্টা খানেক কাটিয়ে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। ফিরতি পথে খেয়াল করলাম রাস্তার দুপাশে বিস্তীর্ণ সবুজ ধান ক্ষেত। এক পাশটা গিয়ে মিশেছে পাহাড়ের সাথে আর অন্য পাশটার ঠিকানা দূরের ওই ছোট ছোট গ্রাম। আর এরই পাশ দিয়ে কুল কুল করে বয়ে চলেছে খাগড়াছড়ির অলংকার চেঙ্গি নদী। সি এন জি থামিয়ে আমরা চেঙ্গি উপত্যকার মনোরম দৃশে বিভোর হয়ে গেলাম। নদীর দু’পাশের সবুজ ঘাসের বিছানা, মাঝে মাঝে দু’চারটা কুঁড়ে ঘর, মাঝে মাঝে নৌকা নিয়ে মাঝির আনাগোনা- এ যেন অনেকগুলো দৃশ্যাবলীর এক অবাক সমন্বয়। এরকম দৃশ্য দেখেই হয়তো কবি লিখেছিলেন,’ সার্থক জনম মাগো জন্মেছি এই দেশে, সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালোবেসে। সি এন জি চালকের ডাকে আমাদের ঘোর ভাঙল। জানান দিল আমাদের ফিরতে হবে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
তাহসিন মামা বলেছেন: চমৎকার জায়গা। দু'বার যাওয়া হয়েছে। প্রতিবার বারই নতুনের মতো অনুভুতি পেয়েছি
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! সুন্দর তো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩
তাহসিন মামা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
কোবিদ বলেছেন:
চমৎকার ভ্রমন
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
তাহসিন মামা বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
তাহসিন মামা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪
উদাস কিশোর বলেছেন: বাহ !
ভাল লাগলো চমত্কার ভ্রমন. .
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১১
তাহসিন মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
নীল জোসনা বলেছেন: শান্তির পরশ পাওয়া যাচ্ছে ।মনে হচ্ছে খুব নিরিবিলি জায়গা ।বর্ননা ভালো লাগলো ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:১৪
তাহসিন মামা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । এখানে সারা দিন কাটিয়ে দিলেও এতটুকু খারাপ বা বিরক্ত লাগবে না।
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন । বুদ্ধের স্নিগ্ধ মূূর্তিটা বেশ সুন্দর ।