নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদাসিদে প্যাঁচানো মানুষ।

মেঘ ভাঙ্গা রোদ

লিখতে ভালো বাসি তাই লিখার রাজ্যে বসবাস।

মেঘ ভাঙ্গা রোদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারা বাংলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। ঘটনা আসলে কি!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

#বিদ্যুত_বিপর্যয়!!
ভারত থেকে আমদানি করা ৪৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্জালক লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় সম্প্রতিকালের বাংলাদেশে ভয়াবহ তম বিদ্যুৎ বিপর্য্যইয় দেখা দিয়েছে বলে পিডিবির দাবী। যেহেতু এই মহুর্তে জাতীয় গ্রীডের সার্কিট ডায়াগ্রাম আমার হাতে নেই সেই ক্ষেত্রে লিখায় সাধ্যমত বুঝানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
ভারত থেকে আমদানী করা ৪৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ হঠাত বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে বাকি পাওয়ার স্টেশন গুলোর সব গুলো ইউনিট একযোগে শাট ডাউন হওয়া এমনিতেই একটা রহস্য। সাড়ে এগারোটায় কার্যত সারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়ায় স্টেশনের ইনপুট ট্রান্সমিশন সিস্টেম নিয়ে প্রথম খটকাটা মনে লাগে। যতদূর জানি এর আগেও গ্রীড বিপর্যয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকার আংশিকে এই সমস্যা হয় যা অবশ্য স্বাভাবিক।কিন্তু পুরো বাংলাদেশে একই সাথে বিদ্যুৎ বিপর্যয় একেবারেই অস্বাভাবিক।
ধরুন পাওয়ার গ্রীড একটা টানেল এবং সেখানে অন্যান্য ১০ টা সোর্চ থেকে বিদ্যুৎ জড়ো হয় এনং সেগুলোর নাম দেয়া যেতে পারে Input power line 1,input power line 2 পর্যায়ক্রমে input power line 10 পর্যন্ত। তার আগে একটি কথা বলে রাখি বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি চলমান পক্রিয়া এবং জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ ধরে রাখা বা জমা করে রাখা কখনোই সম্ভব নয়। অর্থ্যাৎ প্রতি সেকেন্ডে যা উৎপাদিত হয় তাই গ্রাহকের কাছে বন্টন করা হয়।
এবার মুল কথায় আসি।ধরুন টানেলের input power line 1 এ কোনো কারিগরি ত্রুটির কারনে বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ যার উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি মিলিসেকেন্ডে প্রায় ৫০০ মেঘাওয়াট। কিন্তু বাকি input power line 2,3,4,5,6,7,8,9 এবং 10 দিয়ে বিদ্যুৎ টানেলে প্রবেশ করছে এবং সেগুলো output 1,2,3,4,5,6,7,8,9 এবং 10 দিয়ে গ্রাহকের নিকট দেয়া সম্ভব যেটাকে আমরা প্যারালাল ট্রান্সমিশন সিস্টেম বলে থাকি।ভারত থেকে আমদানি করা ৫০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের কারনে কিভাবে বাকী ইনপুট লাইনের সঞ্চালন বন্ধ হবে?!
হুম, এটা তখন সম্ভব যখন পুরো পক্রিয়াটি সিরিজ ডায়াগ্রামের মাধ্যমে হয়। অর্থাৎ সবগুলো বিদ্যুৎ একটা লাইনে যুক্ত হয় এবং পরে ঐ লাইন থেকে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়। কিন্তু এখানেও একটা প্রশ্ন থাকে যেমন- সব গুলো ইনপুট যুক্ত হয়ে মূল যেই ক্যাবলটি গ্রীড ডায়াগ্রামের সাথে সংযুক্ত হবে সেটিতে গলযোগ দেখা দিলেই কেবল গ্রীডের বিদ্যুৎ খালি হবে।এ ক্ষেত্রে কীভাবে পিডিবি বিষয়টি বলছে তা স্পষ্ট নয়।
একই দিনে আজ দুপুরে দ্বিতীয় দফায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা বলা হয়েছে তা নিছক মিথ্যা এবং সময় বাড়ানোর অযুহাত তা সাধারন মানুষ বুঝে।কার্যত বিদ্যুৎ বিভাগ বিকেল পর্যন্ত জানেনই না কোথায় সমস্যা।দ্বিতীয় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অযুহাত দেখানোর কারন হলো পিডিবির চেয়ারম্যান দুপুরে সাংবাদিক দের বলেছিলেন দুপুরের মাঝে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কিন্তু তার কথা ফিরিয়ে নেবার ইউ-টার্ন হিসেবে দ্বিতীয় দফা বিপর্যয়ের কথা বলা হয় (এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত)।
যাই হোক সমস্যা কাটিয়ে উঠুক এটাই কামনা।বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে আমাদেরো বিপর্যয়! বিশেষত শহর বাসীর। সকাল থেকেই পানি নেই। ঘর অন্ধকার।কাল জামায়াতের হরতাল,তাই পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে না। পেট্রোল চালিত জেনারেটর গুলো বন্ধ। অসংখ্য কাজের প্ল্যানিং বিদ্যুতের সমস্যায় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন। সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলের এয়ার ফিকোয়েন্সি লেভেল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক আপ-ডাউন হচ্ছে!স্যাটেলাইট সংযোগে গোলমাল। নিউজ চ্যানেল গুলো ফুটেজ ডেলিভারী দিতে পারছে না।একে একে মানুষের মোবাইল বন্ধ হচ্ছে।লাইক পাগলারা লাইক পাচ্ছে না।মোবাইল হীন বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ভীত সরকার নিজেও।তাই সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন। এককথায় সারাদেশে এলাহী কান্ড!1
সবশেষে
বিদ্যুত আসুক ফিরে,
আবার আমাদের মাঝে
হাসি ফুটুক ঠোঁটে,
গ্রাম শহর লোকালোয়ে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমি টেকনিকাল ব্যাপারটা বুঝিনা কিন্তু ভারত হোক আর এ,বি,সি,ডি যেখান থেকেই বিদ্যুৎ আসুক না কেন তাই বলে সারা দেশের বিদ্যুৎ কেন বন্ধ হয়ে যাবে?জাতীয় গ্রীড কেন বন্ধ হবে আর সারা দেশেতো একটাই সঞ্চালন লাইন না তাহলে সারা দেশে কেন বিদ্যুৎ বন্ধ হবে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ ভেড়ামারা সাব ষ্টেশন পর্যন্ত আসাতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটা সেখানেই অফ হয়ে যাবে বলে আমি আমার সাধারন জ্ঞান থেকে বুঝি। লো ভোল্টেজ কিংবা হাঁই ভোল্টেজ হোক বা অন্য কোন সমস্যাই হোক না কেন সেটা অবশ্যই এমন কোন সিস্টেম আছে জার জন্য জাতীয় গ্রীড সমস্যায় পড়বেনা। ভেড়ামারায় সমস্যা হলে সেটার জন্য চট্রগ্রামের বিদ্যুত ইউনিট কেন বন্ধ হবে কিংবা অন্য ইউনিট গুলো কেন বন্ধ হবে। আর এ ধরনের সমস্যা যদি হতে পারে তাহলে সে রকম ব্যবস্থা আগেই কেন করে রাখেনি যে ভারত কিংবা অন্য কোন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের সমস্যা হলেও তার জন্য অন্য কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা জাতীয় সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

খেলাঘর বলেছেন:

বিদ্যুৎ এর মেইন কন্ট্রোল নিরাপদ লোকদের হাতে রাখা দরকার; পলিটিক্যাল সেবোটাজ বাংলাদেশে সম্ভব।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: হায়রে খেলাঘর এখানে সাবোটাজ!! মাত্র ৩০ মিনিট থাকার পর বিদ্যুৎ আবার গেল, আবার কি হলো!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.