নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস গল্পকার

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...

শাহেদ খান

আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]

শাহেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প :: 'লিটল বয়'

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮





গল্পটা শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে থেকে আমি গল্পটা বলতে শুরু করলাম।



সাতসকালের গল্প। তিনতলার ওই নীল-শার্ট পড়া ছেলেটা ভোরবেলা থেকেই তার পুরানো গীটারে হালকা রিদম ধরেছে। নীচতলার ফলের দোকানদার তার দোকানের ঝাঁপ খুলে বেসাতি সাজাতে ব্যস্ত। রাস্তার ওপারে তিনজন বুড়োমানুষ চা-হাতে আড্ডায় বসা। যুদ্ধের অবস্থা খুব খারাপ, রাজধানীতে যখন-তখন বোমাবর্ষণ হচ্ছে - তাই এসব গল্প ছাড়া আড্ডায় অন্য কোনও টপিকের সম্ভাবনা আপাতত দেখা যায় না।



দোতলা'র ঘরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তোশি নিজেকে আরেকবার দেখে নিল। নিতু কখন পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে, সে টের পায়নি। এতটা পরিপাটি সাজ তোশি সাধারণত নেয় না, সে নিজে থেকে কিছু বলছেও না; কিছুক্ষণ ইতস্তত করে নিতু তাই প্রশ্ন করেই বসল, "কি ব্যাপার? আজ হঠাৎ এমন সাজগোজ করে কোথায় যাচ্ছ?"

আয়নায় চোখ রেখেই তোশি হালকা হেসে বলল, "ডেটিং-এ যাচ্ছি। অফিসের ফ্রন্ট-ডেস্কের মেয়েটার সাথে আজ লাঞ্চে যাওয়ার কথা..."

নিতু প্রচন্ড সেন্সিটিভ মেয়ে। এ ধরণের রসিকতা তার অসহ্য, এটা জেনেই তোশি তাকে আরও বেশি করে ক্ষ্যাপায় মাঝে মাঝে। নিতু এখনও চুপ করে আছে, মনে হয় মেঘ জমছে। তোশি শেষবারের মত আয়নার দিকে তাকাল। পুরো ঘরের হতদরিদ্র দশা'র মাঝে এই আয়নাটাই শুধু ঝাঁ-চকচকে, যেন দারিদ্রের প্রতিফলনকে ঠিকঠাকমত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে আয়নাটা রীতিমত বদ্ধপরিকর !

তোশি খেয়াল করেনি, নিতু তার একদম কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। সে ঘুরে দাঁড়াতেই নিতু তার বুকের খুব কাছাকাছি লুকালো।

'আরে পাগলী? আমি কি কখনও একটু দুষ্টামিও করতে পারব না?'

'আমি কি কিছু বলেছি?', নিতু নরম গলায় জবাব দিল। তা ঠিক, নিতু কিছু বলেও নি। তোশি চাইছিল নিতু কিছু বলুক, তারপর আরও কিছুক্ষণ দুষ্টামি করে তাকে অস্থির করে শেষে বাঁধভাঙা আদরে তাকে জড়িয়ে নেবে - এই ধরণের চমৎকার একটা প্ল্যান ভেস্তে যাওয়াতে তোশি খানিকটা হতাশ হল।

'আচ্ছা এখন ওঠো? আজ একটা ইন্টারভিউ দিতে যাব, একারণে এমন সাজ-পোষাক...'

তোশি'র কথাগুলো নিতুর কানে গেল কিনা ঠিক বোঝা গেল না। সে আরও কিছুক্ষণ তোশি'কে জড়িয়ে রাখল, তারপর ফিসফিস করে বলল, 'আর শোনো? তুমি পারবে না...' নিতু মুখ লুকিয়ে বলল, 'এই ধরণের দুষ্টামি তুমি কখনও করতে পারবা না। আমার ভাল লাগে না...'

পরম আদরে তোশি নিতু'কে জড়িয়ে তাদের ঘরটা'র দিকে তাকাল। কী দৈন্যদশা! এতটা দৈন্যতা তাদের ছিল না, তবে দীর্ঘ যুদ্ধের দামামায় একে একে তারা সবই হারিয়েছে, হারাচ্ছে। এখন 'ভালবাসা' ছাড়া পুরো ঘরে বলার মত আর একটা ফার্নিচারও নেই তাদের। দেয়ালে-চৌকাঠে সবখানে শুধু আদর আর মমতা ছড়িয়ে আছে। এর মাঝেই এই মেয়েটা তাকে পাগলের মত আঁকড়ে আছে।

'নিতু, এখন ওঠো? এত যত্ন করে নতুন শার্ট'টা পড়লাম, ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে কেঁদে-কেটে আমার বুক ভিজিয়ে দেবে নাকি?'

নিতু তৎক্ষণাৎ উঠে গেল। মুখ নিচু রেখে চুল ঠিক করে কিচেনের দিকে চলে গেল দ্রুত। যাওয়ার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে একবার ঘুরে দাঁড়াল, 'শোনো? ওটা আমার জায়গা। আমি কেঁদে-কেটে ভিজাব না কী করব, সেটা আমার ইচ্ছা !' বলেই সে ছুটে পালাল।

অদ্ভূত আলোমাখা একটা মুখ আয়নাতে স্থির হল কিছুক্ষণ।



এদিকে তাদের কাঠের দেয়ালের অবস্থা বিশেষ ভাল না। দেয়ালের ওপার থেকে তোনি তার ভাই-ভাবী'র কথোপকথনের প্রায় পুরোটাই শুনল। মনে মনে প্রার্থনা করল, এমন একটা সংসার কি সেও পাবে না? অত স্বচ্ছলতা তার দরকার নেই, ভালবাসতে জানলে জীবনে সুখী হতে আর খুব বেশি কিছু লাগে না। ঘুম-ভাঙা চোখে সে কুরুশ-কাঁটা আর সোয়েটার'টা টেনে নিল তোনি। সে যার জন্য সোয়েটার বুনছে, ওই ছেলে জানে না তোনি নামে একটা মেয়ে কী গভীর মমতা তার জন্য পুষে রেখেছে। উদাসী ছেলেটা এখন তিনতলা'র ছোট কামরায় তার গীটার নিয়ে বসা।



গীটারের তিন-নাম্বার তার'টা ছিঁড়ে গেছে। ভাল বিপদে পড়া গেল - এই তার'টা ছাড়া সব সুরই কেমন অসম্পূর্ণ আসে। নীল-শার্ট পড়া ছেলেটা জানালা দিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকল। ফলের দোকানের সামনে পিচ্চি দুইটা ছেলে খেলছে আর ছোটাছুটি করছে। দোকানদার তাদের মৃদু ধমক দিয়ে ওঠে। আড্ডায় বসা তিন বুড়ো'র একজন সেদিকে ফিরে তাকাল। অলস নাপিত তার সেলুন থেকে বেরিয়ে এসে রোজকার মত সূর্যের দিকে মুখ করে আড়মোড়া ভাঙে।



ছোট্ট মেয়ে ওনি তার বাবা তোশি'র হাত ধরে বাসা থেকে বের হয়ে পড়ল। যাওয়ার আগে নিতু ওনি'র কপালে আর গালে আদরে চুমু খেল। তোশি'র গালেও এমন চুমু দিতে ইচ্ছা হয় প্রতিদিন, লজ্জায় আর ইচ্ছাপূরণ হয়ে ওঠেনি কখনও। কিন্তু আজ কী হল কে জানে, যাওয়ার আগে তোশি হঠাৎ নিতু'র গালে তার আঙুল রাখল কিছুক্ষণ, তারপর ফিসফিস করে বলে গেল, 'ভালবাসি'।

তোশি যে তাকে ভালবাসে, একথা নিতু বিলক্ষণ জানে; তবু হঠাৎ এভাবে শোনার পর নিতু'র আজ অকারণ আনন্দে কান্না চলে আসল। এইটুকুই তো তার পৃথিবী, আর এই এক পৃথিবীর সমস্তটা সে পেয়েছে। তার আর কিছুই চাওয়ার নেই... চোখ বন্ধ করে নিতু কী এক প্রার্থনা করে।



আমাদের গল্পে প্রার্থনার সময় ঘনিয়ে আসে।



তিনতলার ঐ নীলশার্ট পড়া ছেলেটা ওই তার-ছেঁড়া গীটারেই অসম্পূর্ণ সুরে রিদম তোলে। হঠাৎ দোতলা'র বারান্দায় চোখ যায় তার। বারান্দায় দাঁড়িয়ে তোনি তার দিকেই তাকিয়ে ছিল। ছেলেটা তাকাতেই তোনি ছুটে ঘরে ঢুকে পড়ে, তার বুক ঢিবঢিব করছে। ওদিকে নিচে কী একটা গন্ডগোল শোনা যায়। পিচ্চি ছেলে দু'টো খেলতে খেলতে ছুটে পালানোর সময় ফলের একটা ট্রে রাস্তার ওপর পড়ে যায় - পুরো রাস্তাজুড়ে ফল গড়িয়ে পড়ছে। ফলের দোকানদার কোমরে হাত দিয়ে বিহ্বল চোখে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। আড্ডায় বসা তিন বুড়ো খিকখিক করে হেসে ওঠে। নাপিত সেই আওয়াজ শুনে তার চুল-কাটায় ইস্তফা দিয়ে খানিকক্ষণের জন্য তামাশা দেখতে বেরিয়ে আসে।



ঘড়িতে সময় তখন আট'টা পনের।



ছোট্ট ওনি বাবার হাত ধরে লাফাতে লাফাতে স্কুলের দিকে যায়। কোন এক পরিচিত ছড়া'র তালে পুতুল-পুতুল মেয়েটা দুলছে, দুলছে তার ছোট্ট দু'টা চুলের বেণী।



সময় আট'টা পনের।



হঠাৎ করে এক পৃথিবীর এই সমস্ত গল্পগুলো শেষ হয়ে গেল।



চিরতরে।











[প্রথম কমেন্ট'টা দেখতে পারেন]





মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

শাহেদ খান বলেছেন:


গল্পশেষে আলাদা কথা:

৬ অগাস্ট, ১৯৪৫। সময় - সকাল আট'টা পনের। মার্কিন বোমারু বিমান Enola Gay থেকে পারমানবিক বোমা "Little Boy"কে হিরোশিমা নগরীর ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তী কাহিনী তো মোটামুটি সবার জানা। "...its residents were vaporized", যেমনটা বলা হয়েছে Mark E. Van Rhyn-এর জার্নালে, "All died in less than a second." [উইকি'র সূত্রে পাওয়া]

Enola Gay থেকে "Little Boy"-কে ছেড়ে দেয়ার পর মাটিতে এসে এর বিস্ফোরিত হতে সময় লেগেছিল আরও ৪৩ সেকেন্ড। ততক্ষণে Enola Gay চলে গিয়েছিল আরও সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দূরে। ওই দুরত্ব থেকেই পাইলট Colonel Paul W. Tibbets বিস্ফোরণের ধাক্কাটা অনুভব করেছিল।

আপনাকে যদি এখন ১, ২,...করে সেকেন্ড গণনা শুরু করতে বলি, আপনি হঠাৎ আবিস্কার করবেন, চিন্তা-ভাবনা করার জন্য ৪৩ সেকেন্ড কিন্তু নেহাৎ কম সময় না ! উপরে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই একজন আছেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, ওই ৪৩ সেকেন্ড সময় জুড়ে তিনি ঠিক কী ভাবছিলেন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

শাহেদ খান বলেছেন: বিগত প্রায় দুই বছর ধরে আমার মাথায় 'লিটল বয়' এবং 'লিটল গার্ল' নামে ২টা গল্প আটকে ছিল। আজ একজনকে মুক্তি দিলাম; অথবা আমি নিজে খানিকটা মুক্ত হলাম।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

শাহেদ খান বলেছেন: ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক দিন পর এত চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। হিরোসিমা পারমানবিক বোমার ভয়াবহতা খুব সুন্দর ভাবে গল্পে তুলে এনেছেন!! এক রাশ কষ্ট ছুঁয়ে যাচ্ছে।

আর প্রথম কমেন্টের প্রশ্নটা তো খুব মারাত্মক। এই প্রশ্ন আমারও জানতে ইচ্ছে করে! তবে সাধারন মানুষদের হয়ত সব কিছু জানতে নেই। তাই ঈশ্বরের ভাবনাও হয়ত আমরা জানতে পারব না। এটাই সান্তনা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

শাহেদ খান বলেছেন: ভয়াবহতা'র চেয়ে ভালবাসার গল্পগুলো বলতে চেয়েছিলাম আরও গাঢ় করে। ভালবাসাকে খুন করাই তো চূড়ান্ত ভয়াবহতা, তাই না?

অনেক অনেক শুভকামনা। কমেন্টে আমার ভাল লাগা জানবেন। 8-|

আর হ্যাঁ, সবকিছু জানতে চাইতে নেই। একমত।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লিটল বয় এর সঙ্গে ফ্যাটম্যান ও মনে আসার কথা। আপনার গিটারের তার ছেড়া আমা বিশ্ববিদ্যালয় হল লাইফ মনে করিয়ে দেয়।ওটাকে কেন্দ্র করে একটি ব্যন্ডদল গড়ে ওঠার প্রচেষ্টায় ছিল।রুমটাতে আমার স্নেহাস্পদ অনুজ ড্রাম বাজাতো ছন্দ তুলতো হল বাসি নিশ্চয় খুব বিরক্ত হত।তারপরও কোন একবিখ্যাত ড্রামারের ভিডিও ফুটেজ দেখে চলত তার সাধনা।এক ভোকাল বাবনা।একন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছে। আর একজন তন্ময় ।সে পি এইচ ডি করছে এমেরিকায় ধিমান সেও পিএইচডি করছে এমেরিকায়।আরিফ এখন কাস্টমস অফিসার ২৯ তম বিসিএস।শুধু বদনাম জুটলো আমার কপালে। ভেবেছিলাম ওরা হয়তো ভাল একটা গানের দর গড়ে তুলবে। হোক কিছু বদনাম। গিটারের সুরে একদিন মূর্ছনা তুলবে।মেধা আছে হয়তো পারবে।দুটি জিনিসি বাধা হয়ে গেল।তাদের পরপস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাটা বোধ করে কমে গিয়েছিল।আর মেধা ।তাদের মেধা তাদের বিভিন্ন প্রফেশনে সফলতা এনে তাদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে পরস্পর থেকে। আর যাই হোক গানের দল হল না।আপনি বোধ করি বিশিষ্ট গিটার বাদক এবং ভোকালহবেন। এখনো মনে আছে দুদিন পরের দিন নবীন বরণ অনুষ্ঠান গিটারের তার ছিড়ে গেছে। হলে অন্য ডিপারটমেন্টের একটা ছেলের কাছে ভাল একটা গিটার আছে ওটা ধার করতে হবে।তারা নিশ্চিৎ আমি গেলে দিয়ে দিবে।ওদের পীড়াপীড়েতে গেলাম তখন রাত ১১টা ।আমাকে দেখে ছেলেটা অনেক খাতির তোয়াজ করলো এবং গিটার দিল।ছেলেটার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ জাগলো। আপনার গল্প ভাল লেগেছে। + রইলো। আমার অনুগল্পটি কি খারাপ হলো। :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

শাহেদ খান বলেছেন: আপনার অনুগল্প বা স্মৃতিকথন ভাল লাগল ! অনেকের গল্পগুলো হয়তো এমন হয় !

আমরা বি.এস.সি পাশ করেছি সে তো খুব দূরের গল্প না। আমাদের তেমন দলের মত একটা কিছু ছিল। নিয়ন আর শৌভিক এখন জার্মানী'র ভিন্ন দু'টা শহরে মাস্টার্স করছে। ইমরান সুইডেনে, উদ্দেশ্য একই। রাজিব চট্টগ্রামেই আছে, আমি চলে আসলাম ভালুকায়। তবে ভার্সিটি থাকতেই নিজেরাই আলাদা হয়ে পড়ছিলাম। এর কারণ ছিল গানের জগতে প্রত্যেকের পছন্দের বিভিন্নতা...

আমি বিশিষ্ট গিটার বাদক কিংবা ভোকাল বা তেমন কিছুই হব না। যারা হয়, তাদের গল্পগুলো বোধ করি অন্যরকম হয়। আমার গল্প আপনার অনুগল্পের কাছাকাছি হতে চলেছে। এবং আবার এক হওয়ার কোনও আগ্রহ-মনোযোগ আমাদের মাঝে দেখা যায় না...

শুধু কোনও এক ছুটিতে গিটার হতে ক'জন একসাথে হলে অনর্থক কিছুক্ষণ নস্টালজিক হই। ওই পর্যন্তই। স্বপ্নটা খুব দূরের না, তবে দুরত্বটা স্বপ্নের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে...

ভাল লাগা এবং শুভকামনা জানবেন। 8-|

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

কালোপরী বলেছেন: ++++++++++++

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০

শাহেদ খান বলেছেন: শুভেচ্ছা, কালোপরী !

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

বোকামন বলেছেন:





অলস গল্পকারের ছোটগল্পের স্বাদ প্রথমবারের মত আস্বাদন করলাম।
ভালোবাসার রিদম দারুণ সুন্দর করে বাধলেন। বাবার নিজেই প্রকট ছন্দপতন ঘটালেন। দোষটা তো আপনার নয়, দোষ আমাদের জ্ঞানপাপের ভয়াবহতার।

গল্পশেষে একটি প্রশ্ন করলেন, তিনি ঠিক কী ভাবছিলেন?
পালটা প্রশ্ন - তার কী ভাবার মত দেহ ছিল ?

আপনার গল্পটি পড়ে বিশেষ মনে পড়ছে একটি শর্টফিল্মের কথা। আহমেদ ইমামভিচের “টেন মিনিটস্” দেখেছেন হয়তো.....।

এরকম থিমে অনেক গল্প পড়েছি, লিখেছিও। আপনার লেখাটিও মনে রাখার মতই হয়েছে। দারূণ !!

ভালো থাকুন প্রিয় লেখক।

“+”

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

শাহেদ খান বলেছেন: তাঁর দেহ নেই বলে কি ভাবনাও থাকতে পারে না? যিনি সমস্তকিছুর বিচার করবেন, তিনি কি ভাবনা'র উর্ধ্বে থাকতে পারেন? জানি না।

ধর্মতত্বের আদিপর্বে শুনি, তিনি বললেন, "সৃষ্টি হও"; অমনি সবকিছু সৃষ্টি হয়ে গেল... যিনি বলতে পারেন, তিনি কি ভাবতেও পারেন না? যদি 'বলা'টা রূপকে হয়ে থাকে, তবে ভাবনা'টাও তা-ই হোক।

ছোটগল্প ব্লগে প্রথমবার দিলাম। :-)

শর্টফিল্ম'টা দেখিনি। আমার খুব একটা শর্টফিল্ম দেখা নেই। আমার দেখার-জানার পরিধি এখনও অনেক অনেক সীমিত... আপনি লিখেছেন বললেন, যদি ব্লগে পোস্ট করে থাকেন, তবে শেয়ার করবেন? 8-|

পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম অবশ্যই। শুভেচ্ছা।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

বোকামন বলেছেন:
*আবার *দারুণ

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

শাহেদ খান বলেছেন: বুঝেছিলাম :-)

আচ্ছা, অফটপিকে একটা প্রশ্ন করি। ব্লগে 'নোটিফিকেশন' এসেছে বলে শুনেছি, বস্তুটা কোথায়?

লগ-ইন করার পর আমার ব্লগ পাতা, 'প্রথম পাতা', 'সকল পোস্ট' - সব পেজেই তো খুঁজলাম। পাচ্ছি না... আপনি আমার গত একটা পোস্টে বলেছিলেন নোটিফিকেশন ব্যবহারের কথা। সময় করে একটু জানাবেন? তাছাড়া ব্লগ-সার্ভারও বোধহয় এখন নিজেই একটু ঝামেলায় আছে...

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!!!!

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

শাহেদ খান বলেছেন: 8-|

শুভেচ্ছা, ইরফান আহমেদ বর্ষণ।

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল লেগেছে। আসলে ঠিক বললাম কী? এমন গল্প কি ভাল লাগতে পারে ! লাগা উচিত? সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আপনার এই গল্পটা পড়লাম! সারাদিন আজ বিষন্ন কাটবে।

মানুষের ভালবাসার ক্ষমতা অসীম, কিন্তু নিষ্ঠুরতা কখনো কখনো অসীমতাকেও ছাড়িয়ে যায়।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: মানুষের ভালবাসার ক্ষমতা অসীম।

সীমার মাঝে অসীম হোক ভালবাসা ভালবাসা। সুন্দর কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন অনেক।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আপনার লেখনীর ভিন্ন মাত্রা উপভোগ করলাম !

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগল জেনে, অভি।

শুভকামনা।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার হৈসে গল্পটা ||

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

শাহেদ খান বলেছেন: B-)

হাহ হা। আপনার প্রোপিকের মত সানগ্লাস পড়ে হাসি দিলাম।

ভাল থাকবেন, মুন।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

বোকামন বলেছেন:





প্রিয় ভাই,
আমাদের পাপের কর্মফল যে আমাদেরই পেতে হবে .......।
সে অনেক কথা, থাক।।

নোটিফিকেশন ছিল কিছুদিন। এখন আবার দেখতে পাচ্ছি না। হয়তো টেকন্যিক্যাল প্রবলেম .....।

আশাকরছি ঠিক হয়ে যাবে। সময় পেলে আসবেন ব্লগবাড়িতে :-)
ভালো থাকুন।।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

শাহেদ খান বলেছেন: আমাদের পাপের কর্মফল যে আমাদেরই পেতে হবে

সত্য।

মানুষেরা ভাল থাকুক। পৃথিবীটা সুন্দর হোক।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

ভারসাম্য বলেছেন: 'নিতু' নামটিতে দেশী ভাব আছে একটা। গল্পও চলছিল আমাদের দেশীয় আমেজেই। যদিও একটা ধ্বংসস্তুপের ছবি চোখে পড়েছিল। তবু গল্পের 'লিটল বয়' নামটি সেভাবে ভাবায়নি শুরুতে। খুব সুন্দর করে লিখেছেন!

ঈশ্বর শুধু সেই ৪৩ সেকেন্ড নয়, সারাটা সময় জুড়েই কি যেন করছেন!! ঈশ্বরকে দায়ী করতে চাইলেই, তিনি আবার আরেকটা জগতের সাইনবোর্ড দেখিয়ে দায়মুক্ত রয়ে যান!!! আর তাকে অস্বীকার করতে চাইলে, সেই ৪৩ সেকেন্ডের পরবর্তী চিত্রটা চলে আসে। সব কিছুর দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। প্রতিদানও দিতেই হবে। ন্যায়-অন্যায়ের বোধ যখন মানুষের মধ্যে আছেই, ন্যায়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন একদিন না একদিন হতেই হবে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

শাহেদ খান বলেছেন: নামগুলো এমন রাখতে চাইছিলাম, যেন কেউ আগে থেকে বুঝতে না পারে এটা জাপানের গল্প। তাই নাম ভেঙে ছোট ছোট নামে প্রকাশ করছিলাম।

"ন্যায়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন একদিন না একদিন হতেই হবে"

জানি না, ভারসাম্য ভাই। প্রাচীন নর্ডিক মিথলজি ছিল অন্য সব মিথলজি থেকে একদম আলাদা। ওদের পুরাণ মতে, সবকিছু একসময় নষ্টদের দখলে যাবে। সবচেয়ে বড় দেবতা 'ওডিন'-এরও সমাপ্তি আসবে একদিন। তাই ন্যায়-পূর্ণ পৃথিবীর স্বপ্ন তারা দেখত না, বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যু বরণই ছিল নর্ডিক পুরাণে সমস্ত বীরদের আরাধ্য। কেমন বিষাদ সুন্দর !

বাস্তব পৃথিবীর কী হবে জানি না। আমি স্বপ্নে বাঁচার দলে। ৪৩ সেকেন্ড বিষয়ক প্রশ্নটা আসলে 'প্রশ্ন' না। স্রেফ ভাবনার এলোমেলোতা।

ভাল থাকবেন।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। তাড়াতাড়ি পরের পোস্ট দিন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২

শাহেদ খান বলেছেন: পরের পোস্ট? 'লিটল গার্ল'-এর কথা বলছেন? আচ্ছা, আমি চেষ্টা করব। গল্পগুলো মনে মনে বানিয়ে রেখেছি, কোথাও লিখে তো রাখা হয়নি। কখনও বসে লিখে পোস্ট করে দিব।

শুভেচ্ছা সপ্নাতুর আহসান !

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প শেষ হওয়া মাত্রই ধাক্কা খেলাম, হঠাৎ একটা শূন্যতা ভর করলো মনের ভিতর । সত্যি অনেকটা সময় কিছুই ভাবতে পারিনি ।


বিষাদ ছোঁয়া মুগ্ধতা ++

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪

শাহেদ খান বলেছেন: এক পৃথিবীর গল্পগুলো আরও কত সুন্দর হতে পারত !

মানুষই গড়ছে, আবার মানুষই ভাঙছে মানুষের জীবনের গল্পগুলো...

কমেন্টে ভাল লাগা :-)

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

আশীষ কুমার বলেছেন: কমেন্টে গল্প সম্পূর্ণ হলো। শুধু ৪৩ সেকেন্ড নিয়ে একটা লিখেন প্লিজ

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭

শাহেদ খান বলেছেন: শুধু ৪৩ সেকেন্ড নিয়ে গল্প ! চমৎকার ইউনিক একটা থিমের কথা বললেন, আশীষ ভাই !

এমনটা পারব কি না জানিনা। কখনও তেমন কিছু লিখলে আপনাকে দেখাব অবশ্যই ! ভাল থাকবেন। 8-|

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

খাটাস বলেছেন: লেখাটা সম্পূর্ণ অদ্ভুত, মুগ্ধ হলাম। +++++ ভাল থাকবেন ভায়া।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮

শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টে অনেক ভাল লাগা জানবেন ! :)

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

সায়েম মুন বলেছেন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে একটা এনিমেটেড মুভি দেখেছি। গ্রেভ অব দ্যা ফায়ারফ্লাই। খুব মন খারাপ করা মুভি।
আপনার লেখা পড়েও মন খারাপ হয়ে গেল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

শাহেদ খান বলেছেন: সায়েম ভাই, আমার অন্য একটা পোস্টে আপনি আমাকে 'গ্রেভ অফ দ্য ফায়ারফ্লাইস' দেখতে বলেছিলেন। আপনার সাজেশনে সেটা দেখেছিলাম এবং মুগ্ধও হয়েছিলাম।

বাচ্চা মেয়েটার একটা কথা এখনও কানে বাজে, "Why do Fireflies have to die so soon?" এরপর খুকী একসময় নিজেই সেই জোনাকি হয়ে গেল... মনকে স্তব্ধ করে দেয়া কাহিনী।

যাক, মন খারাপের মন খারাপ হোক।

১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আপনার ইদানিং পোস্টগুলোয় অনেক কিছু জানছি।
আজ দেখলাম ইতিহাস আশ্রয়ে গল্প লিখায় মুন্সিয়ানা।
আপনার লেখার হাত সত্যিই অপূর্ব।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

শাহেদ খান বলেছেন: 'লিটল বয়' নিক্ষেপের ঘটনা ঐতিহাসিক, তবে গল্পের সবটা চূড়ান্ত কাল্পনিক। পৃথিবীর চিরায়ত ভালবাসার গল্প ভেবে লেখা।

ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা, দূর্জয় ভাই !

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০২

শ্রাবণ জল বলেছেন: বর্ণনা গুলো খুব সুন্দর- পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম দৃশ্য গুলো।
শেষে গিয়ে বুঝলাম- দেখতে না পেলেই ভাল হত।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: এমন সব গল্প লিখতে না হলে আরও ভাল হত, শ্রাবণ।

পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে থাকুক। প্রার্থনায়...

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিটল বয় শুধু আমেরিকান না, হিরোশিমা শুধুন জাপানিজ না, গল্পের যুগল সব দেশের। ভালোবাসা, ধ্বংস, বিপর্যয়...পৃথিবীটা তেমনই আমরা যেমন বানাবো। বোঁচা নাক, কালো চামড়া বা নীল চোখ সবাই কাঁদে, সবারই রক্ত ঝরে। ভালো লাগলো লেখা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: "পৃথিবীটা তেমনই আমরা যেমন বানাবো"

হাসান ভাই, আপনি পাকা গল্পকার বলেই একদম অল্প কথায় অনেক কিছু বলে গেলেন। চমৎকার কমেন্টে প্লাস !

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

আহাদিল বলেছেন: অসুন্দর পরিণামের সুন্দর গল্প।
ভালোবাসা-ই জীবনকে সুন্দর করে তোলে, চারপাশটা অসুন্দর থাকলেই কি... নিজেদেরকেই সুন্দর করে তুলতে হবে নিজেদের আর চারপাশের পরিবেশটাকে...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১

শাহেদ খান বলেছেন: "ভালোবাসা-ই জীবনকে সুন্দর করে তোলে, চারপাশটা অসুন্দর থাকলেই কি..."

তোনি'ও তাই ভাবছিল কবি~ "ভালবাসতে জানলে জীবনে সুখী হতে আর খুব বেশি কিছু লাগে না"

এক পৃথিবীর শুভকামনা।

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০২

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমাদের এত কিছু ভাবতে নেই তো!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

শাহেদ খান বলেছেন: আমাদের ভাবনা তো সবসময় এলোমেলোতায় ভরা। তাই ওসব আলাদা কমেন্টে বলা।

গল্পটা তার নিজের জায়গায় স্তব্ধ, স্থির।

শুভেচ্ছা, মাহী !

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপস্থাপনায় অভিনবত্বে চমৎকৃত হলাম।

শুরুতে তোশিকে ভেবেছিলাম মেয়ে। তোশির বুকে নিতু লুকালো- অন্য কিছু আঁচ করছিলাম। তোনি, ওনি নামগুলো মোস্ট আনকমন মনে হচ্ছিল, তবু বাংলাদেশিয় গল্পই ভাবছিলাম। মূল টেক্সটের লাস্ট প্যারায় এসে বিরক্তি হলাম- গল্পে ট্র্যাজিক টাচ কি থাকতেই হবে, তাও সবার মৃত্যু ঘটিয়ে?

১ম কমেন্ট পড়ে বিস্মিত ও অভিভূত হলাম গল্প বলার স্টাইল দেখে।

আমার মনে হয়, গল্পটাতে আপনি একটা জিনিসকেই সবকিছুর সামনে আনতে চেয়েছেন ঐ ৪৩ সেকেন্ড সময়ে সৃষ্টিকর্তা কী করছিলেন, বা ভাবছিলেন। আমার এতকিছু জানার সাধ্য নেই। একটা গ্রহের সাথে আরেকটা গ্রহের ধাক্কা লেগে গ্রহ দুটো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে। আমি শুধু মনের মধ্যে এ বিশ্বাসটুকুই পোষণ করি, এর সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাত্র।

অনেক শুভ কামনা প্রিয় শাহেদ ভাই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

শাহেদ খান বলেছেন: ৪৩ সেকেন্ডের কথা'টা কমেন্টের একদম শেষ লাইনে রাখায় হয়তো ওটা পাঠকের মনকে আচ্ছন্ন করে রাখছে। তবে ওটা গল্পের মূল সুর না, ওটা তো গল্পের অংশও না; তাই গল্পের শেষে আলাদা করে বলা !

মূল গল্পে যা বলতে চাওয়া - একটা যুদ্ধ বা বোমা-বর্ষণ শুধু কিছু মৃতের সংখ্যা'র মত নৈর্ব্যক্তিক না, বরং অসংখ্য ছোট ছোট ভালবাসা আর স্বপ্নকে চিরদিনের জন্য খুন করে ফেলার মত ভয়াবহ করুণ...

শুভকামনা আপনাকেও, সোনাবীজ ভাই। ভাল থাকবেন, সবসময়। :-)

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের উপস্থাপন ভালো একটা ধাক্কার মঞ্চ সাজিয়েছিল। এতোটাই ভাল লাগল যে প্রিয়তে নিলাম।

ভাল থাকুন লেখক।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫২

শাহেদ খান বলেছেন: এতটা ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা, প্রোফেসর শঙ্কু !

শুভেচ্ছা ! 8-|

২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

গল্পটা বেশ লাগলো...

তোমার গল্প মনে হয় প্রথম পড়লাম...

তারপর কেমন আছো?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

শাহেদ খান বলেছেন: হ্যাঁ, সুপান্থ ভাই। এর আগে দু'টা (প্রায়) ডিটেকটিভ গল্প পোস্ট করলেও, এমনতর ছোটগল্প এই প্রথমবার পোস্ট করলাম।

ভাল আছি, সবসময়ের মত। আপনি?

যখন-তখন গায়েব হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে আমার সবসময়। তাই, ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি ! :)

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২

বোকামন বলেছেন:






প্রিয় কবি,
পোস্টে নিয়ে একটি বিষয় জানাতে ভুলেই গিয়েছিলুম। তাই আবার আসলাম। গল্পের শুরুতেই নির্মমতার ছবিটি ব্যবহার না করলেও পারতেন। পাঠক ফ্রেস মুডে গল্পটির প্লটে প্রবেশ করতে পারতো। ছবি দেখে আগেই ধারনা করা যাচ্ছে- এ জাতীয় নির্মমতার কিছু থাকবে গল্পে যা ছোট গল্পের জন্য ঠিক নয়।

শেষের ছবিটি পারফেক্ট আছে। :-)
[একান্তই ব্যক্তিগত মতামত মাত্র, সাধারণ একজন পাঠকের]
উল্লেখিত মুভিটি দেখতে পারেন। মাত্র দশ মিনিটের।

ভালো থাকুন

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১

শাহেদ খান বলেছেন: একদম ঠিক জায়গায় ধরেছেন ! গল্পের ধরণেই বোঝা যাচ্ছে, আমি এর ভয়াবহতা সম্পর্কে পাঠক'কে আগে থেকেই আঁচ দিতে চাচ্ছিলাম না। একারণে ১ম ছবিটা দেয়ার কোনও ইচ্ছা-আগ্রহ আমার ছিল না, শুধু শেষের ছবিটাই ছিল পরিকল্পনায়।

কিন্তু তখন সমস্যা যেটা হল, শুধু শেষের ছবি দিয়ে পোস্ট করলে দেখা যায়, ওই ছবি পোস্টের শুরুতেও অটোমেটিক্যালি একবার চলে আসছে - মানে, পোস্টের শুরুতে একবার আর শেষে একবার; যদিও আমি রেখেছিলাম শুধু শেষে একবার ! এ থেকে রেহাই পাওয়ার শুধু একটাই সমাধান পেলাম, যদি আমি নিজে থেকেই শুরুতে একটা ছবি দিয়ে রাখি, তাহলে শেষের ঐ ছবিটা পোস্টের শুরুতে আর আসবে না... একারণেই শুরুতে আরেকটা মোটামুটি প্রাসঙ্গিক ছবি দেয়া। তা নাহলে শুরুর ছবিটা রাখার ব্যাপারে আমি বরাবরই অনিচ্ছুক !

ভাল থাকবেন আপনিও ! :-)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

শাহেদ খান বলেছেন: আচ্ছা, প্রথম ছবিটা পাল্টে দেয়া হল :)

২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


লেখাটা মন ছুয়ে গেলো ভাই। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন, কান্ডারী অথর্ব।

শুভেচ্ছা ! 8-|

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১০

রাতুল_শাহ বলেছেন: পুরো ঘরের হতদরিদ্র দশা'র মাঝে এই আয়নাটাই শুধু ঝাঁ-চকচকে, যেন দারিদ্রের প্রতিফলনকে ঠিকঠাকমত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে আয়নাটা রীতিমত বদ্ধপরিকর !

লাইনটা বেশ ভাল লাগলো।

এক কথায় সুন্দর, অনেক সুন্দর।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টে ভাল লাগল, রাতুল।

এমন লাইনগুলো আলসেমি থেকে লেখা বলতে পারো। আমি অলস গল্পকার। দারিদ্রের চিত্ররূপ দিতে ঘরের সমস্তকিছুর বর্ণনা না দিয়ে এক লাইনে লিখে দিলাম - "'ভালবাসা' ছাড়া পুরো ঘরে বলার মত আর একটা ফার্নিচারও নেই তাদের"...

অলস মানুষ, অল্পে কথা সারতে চেষ্টা করি।

ঈদের শুভেচ্ছা জানবে ! :)

২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো গল্প। চিন্তা করার বিষয়।
" উপরে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই একজন আছেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, ওই ৪৩ সেকেন্ড সময় জুড়ে তিনি ঠিক কী ভাবছিলেন?

" প্রথম মাটিতে গড়া হয়ে গেছে শেষ মানুষের কায়,
নতুন ধান্যে হবে যে নবান্ন, তারও বীজ বুনা আছে তায়
সৃষ্টির সেই প্রথম প্রহরে লিখা হয়ে গেছে ভাই,
প্রলয় রাত্রে বিচারকর্তা পাঠ যা করিবেন তাই।" - সব প্ল্যান্ড। আর কিছুই না।

গল্পে ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস। ঈদমোবারক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: "সব প্ল্যান্ড। আর কিছুই না" -- তা-ই হবে হয়তো।

তাহলে কেন যে আমরা কমেডি-ট্রাজেডি নিয়ে এত মেতে থাকি...

ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন, খেয়াঘাট ! ভাল থাকবেন। :)

৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পড়তে পড়তে ভাবছিলাম শুধুই একটা ভালবাসার গল্প, সুন্দর একটা সকালের গল্প......কিন্তু শেষে যেয়ে ভীষণ একটা ধাক্কা! আশা করি নি।

প্রথম কমেন্টের প্রশ্নটা আমাকেও ভাবাচ্ছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

শাহেদ খান বলেছেন: প্রশ্নটা অত জরুরী না হয়তো; কারণ এসবের উত্তর হয় না।

তারচে মানুষেরা মানুষের ভূমিকা নিয়ে ভাবুক...

৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

তাসজিদ বলেছেন: গতকাল পার্ল হারবার দেখছিলাম। কত সুন্দর করে আমেরিকানরা জাপানিজদের আক্রমণ ফুটিয়ে তুলেছে।

কিন্তু একবারও কি নিজেদের অন্যায় অত্যাচার কোন সেলুলয়েডের ফিতায় তুলে ধরেছে???

তারা সেলুলয়েডের ফিতায় তুলে ধরে এলিয়েনদের গল্প। আর এলিয়েনদের হাত থেকে বাচাতে তাদের দেশপ্রেমিকদের সেক্রিফাইজের কথা।


অধিকাংশ আমেরিকান মনে করে যুদ্ধ শেষ করার জন্য nuclear war প্রয়োজন ছিল। কিন্তু জাপানিজরা তখন সম্মানের সাথে আত্মসমর্পণের পথ খুঁজছিল।



চমৎকার আপনার লেখার স্টাইল।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

শাহেদ খান বলেছেন: ইতিহাসের বদভ্যাস হল, তা সবসময় বিজয়ীদের হাতে লেখা হয় ! আমেরিকা জিতে যাওয়ায় পার্ল-হারবার এখন এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞের নাম। জাপান জিতে গেলে, সেটাকেই হয়তো ধরা হতো শতাব্দী'র অন্যতম সেরা সামরিক অভিযান নামে !

কী আসে যায়? মরছে মানুষ। মরছে সাধারণ মানুষের অসাধারণ ভালবাসার গল্পগুলো...

ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা জানবেন, তাসজিদ।

৩২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার গল্পের পিকচারটায় পাঠক শুরুতেই ধারণা পেয়ে যাচ্ছে ।
শেষ কিরকম হতে পারে ।
আবার শেষের পিকচার এর সাথে শেষের কথা গুলোতে পাঠক - মিনিং
খুঁজে পাচ্ছে বলেই অর্থবহ লাগছে ।
গল্পে ছবি অনেকেই দেয় কিন্তু আপনার পিকচার এর প্রভাব গল্পকে
সরাসরি ছাপিয়ে যাচ্ছে ।

তাহলে পাঠক মনের প্রতিক্রিয়াটা আগে কে তৈরি করল ?
পিকচার নাকি গল্প ? পিকচার নামিয়ে ফেললে গল্পটা কতটুকু স্পর্শ করত ?
একটু ভেবে দেখবেন ।

আর ৪৩ সেকেন্ড এর ব্যপারটাও এখানে যারা কমেন্ট করল এবং আমার মনেও - জিজ্ঞাসা তৈরি করল , ভাবাল এবং এটাও গল্প কে ভাল বলার বড় ( আমার মতে ) একটা কারণ হয়ে দাঁড়াল ।
প্রস্ন যেটা জাগছে - এটাও সরিয়ে দিলে গল্পটা আমাকে কি এখনকার
মত টাচ করবে ?
আমার মনে হচ্ছে - সবকিছু মিলে এখন গল্পটা খুবই ভাল মনে হচ্ছে ,
ইলিমেন্টগুলো না থাকলে হয়তবা এত ভাল লাগত না ।


৪৩ সেকেন্ড এর ব্যাপারটা আমার মনে হয় গল্পে সংযুক্তি থাকলে আরও ভাল হত । এটা সহ যদি গল্পকে অইভাবে সেট আপ করতেন ,।

যাই হোক এসব আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টি - ভঙ্গি মাত্র , সে বিচারেই বললাম ।
আপনার ভিন্নরকম ভাবনা থাকতে পারে , সেটাইই স্বাভাবিক ।

আপনার উপস্থাপনা নজর কেড়েছে ।
গল্পটাও নাড়া দেবার মত , অনেক ভাল ।

ভাল থাকুন অলস গল্পকার । :)




০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শাহেদ খান বলেছেন: ছবি'র ব্যাপারে আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত ! এবং গল্প'টা প্রথম যখন প্রকাশ করি তখন শুরুতে ঐ ছবিটার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু পোস্ট করার পর দেখি, শেষের ছবিটা নিজে থেকেই পোস্টের শুরুতেও একবার চলে আসছে। আমি চাইনি শেষের ছবিটা ওপরে থাকুক - একারণে পরে এডিট করে শুরুতে আরেকটা চলনসই ছবি লাগিয়ে দেয়া...

আমি জানি না, এই সমস্যা কি শুধু আমার একার? কোনও পোস্টের মাঝে বা শেষে ছবি রাখলে পোস্ট করার পর দেখি একটা ছবি অটোমেটিক্যালি পোস্টের শুরুতেও চলে আসে। কী করি? কোনও উপায় জানা থাকলে জানাবেন, প্লিজ ! বয়স সাড়ে তিন বছর হলেও আমি নিতান্তই অনভিজ্ঞ ব্লগার এখনও ! (এই সমস্যায় ত্যক্ত হলে পরে 'লিটল গার্ল' গল্পে কোনও ছবিই রাখিনি আর) /:)

৪৩ সেকেন্ড বিষয়ক কথাগুলোও অবশ্যই পোস্টের অংশ। কিন্তু অনেক সময়ই প্রথম কমেন্ট নিজের দখলে রাখা'টা আমার একটা বদভ্যাস বলতে পারেন। পোস্টে পাঠক গল্প দেখবে, আর প্রথম কমেন্টে দেখা পাবে সরাসরি গল্পকারের। অতএব সংযুক্তি'র কথা যেটা বলছেন, কথাগুলো আসলে গল্পের সাথে পাদটীকা হিসেবে সংযুক্তই আছে। (আমার পোস্টে কমেন্ট সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করার সম্ভাবনা দেখিনা, তাই প্রথম কমেন্টও ঢাকা পড়ার চান্স কম!) :)

আপনি আমার অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন। আপনার গল্পে মুগ্ধ হয়ে আছি এখনও। লিখতে থাকুন। নিরন্তর শুভকামনা। 8-|

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

শাহেদ খান বলেছেন: আচ্ছা, প্রথম ছবিটা পাল্টে দেয়া হল :)

৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

ইলুসন বলেছেন: অসম্ভব রকমের ভাল লাগল গল্পটা।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগা জানবেন আপনিও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.