![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]
কাজ শেষ করে সায়েম যখন গাজীপুর চৌরাস্তায় এসে পৌঁছাল, ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা নেমে গেছে। দুপুরের পরপরই ঘোষণা হল - আগামীকাল হরতাল; তখনই মনে মনে প্রমাদ গুণেছে সায়েম, আজ বাসায় ফিরতে খবর আছে। চৌরাস্তায় এসে দেখে জনসমুদ্র। ঢাকামুখী কোনও বাস নেই। ময়মনসিং-শেরপুর থেকে আসা লংরুটের বাস তো নেই-ই, লোকাল বাস-ও খুব কালে-ভদ্রে একটা দুটা আসছে, আর মুহুর্তেই যাত্রী ওভারলোডেড হয়ে ছুটে চলে যাচ্ছে।
এ ধরণের ভীড় ঠেলে বাসে ওঠা সায়েমের পক্ষে সম্ভব না। এনোক্লোফোবিয়া না কী যেন বলে, সায়েমের বোধহয় ওই সমস্যাটা আছে। ভীড়-গ্যাঞ্জামের মধ্যে সে থাকতে পারে না, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সায়েম উল্টাপথে হেঁটে রাস্তা পার হল। ঢাকামুখী বাস যেদিকে যাচ্ছে, সেদিকে না; বরং যেদিক থেকে বাসগুলো আসছে, রাস্তার সেই পারে গিয়ে দাঁড়াল সায়েম। এই পারে লোকজন বাস থেকে নামে, তখন যদি একটু কম ভীড়ের মাঝে বাসে উঠে পড়া যায়।
প্রভাতী-বনশ্রী নামে বাসটায় সায়েম উঠতে পারল আরও প্রায় চল্লিশ মিনিট পর। সৌভাগ্যক্রমে একদম পেছনের সারি'র আগের সীটে একটা জায়গাও পেয়ে গেল ! তার পাশে জানালার দিকে মুখ করে বসা এক বাইশ-তেইশ বছর বয়সী তরুণ। সীটের অবস্থা বিশেষ সুবিধার না, তবু বসা গিয়েছে এটাকেই বাঙ্গালী 'ভাগ্যের ব্যাপার' মনে করে অভ্যস্ত। কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে সায়েম আপাতত জগৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার একটা চেষ্টা নিল।
এতক্ষণ পর্যন্ত নিত্যদিনের আলাপ। আমাদের গল্পটা শুরু হয় যখন প্রভাতী-বনশ্রী বাসটা সায়েমদের নিয়ে টঙ্গী বোর্ড-বাজারের কাছাকাছি আসে। এতক্ষণ প্রায় ফাঁকা রাস্তায় বাস উড়ে আসছিল। বোর্ড-বাজারের কাছটায় এসে বিরতি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। ইয়ারফোনের চমৎকার পার্ফর্ম্যান্সের কারণে বাইরের হৈ-হল্লা'র আওয়াজ সায়েমের কানে যায়নি খুব একটা। সে চোখ বন্ধ করে গান শোনায় মগ্ন। যখন মনে হল, বাসটা একটু বেশি সময় দাঁড়িয়ে আছে, সায়েম চোখ খুলে তাকাল - হুড়মুড় করে লোকজন বাস থেকে নামছে ! এতজন এরা সবাই বোর্ড-বাজার আসার যাত্রী? হায়রে, আর ওদিকে কতশত ঢাকা'র যাত্রী এখনও গাজীপুর চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে বাসের অপেক্ষায়... মোবাইলে সময় দেখতে গিয়ে সায়েমের চোখ বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওয়ালপেপারে তার স্ত্রী নিশা আর ছোট্ট মেয়ে তিথির ছবিটাতে আটকে রইল। তার ছোট্ট পৃথিবী এরা।
'আপনার পরিবার?', পাশে বসা তরুণ তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল, 'স্যরি, কিছু মনে করবেন না, আমিও সময় দেখতেই চাচ্ছিলাম'
সায়েম হালকা হেসে তাকাল, 'হ্যাঁ, আমার পরিবার'
'খুব কিউট বাচ্চাটা আপনার'
'তিথি। সামনের মাসে ওর বার্থডে, বয়স তিন পূর্ণ হবে...'
বাসটা এখনও যাচ্ছে না কেন বোঝা যাচ্ছে না। সামনের সীটের লোকজন অধিকাংশ দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় কেউ একজন বাস-ড্রাইভারকে গালি দিয়ে ওঠার কথা। কেন যে দিচ্ছে না - সেটাই অস্বাভাবিক। সায়েমের পক্ষে জোর গলায় ধমক-ধামক দেয়া সম্ভব না, পাশের ছেলেটা হয়তো পারবে। তার দিকে তাকিয়ে সায়েম মনে করিয়ে দিতে চেষ্টা করল, 'এই শালা ড্রাইভার এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে কেন বুঝতে পারছি না। হরতালের আগের রাত তো এমনিতেই রিস্কি...'
'ড্রাইভার কই দেখলেন? গাড়িতে ড্রাইভার নেই তো !', ছেলেটা জানালার বাইরে চোখ রেখে উদাস গলায় বলল।
'সে কী !', সায়েমও উঠে দাঁড়াল, 'গাড়ি আর যাবে না? আমরা বসে আছি কেন?'
'বেশিরভাগ যাত্রীই নেমে গেছে। সামনে বোধহয় গোলমাল লাগছে কোথাও। ড্রাইভার-হেল্পার দুজনই নিচে দাঁড়ায় খোঁজ-খবর নিচ্ছে, এই একটু আগেও ঐদিকটায় ছিল', ছেলেটা আঙুল তুলে দেখাল, 'আর যেসব যাত্রী দোটানায় আছে, তারা এখনও বাসে বসে।'
'হুম', সায়েম বসে পড়ল আবার। আর ঠিক সেই মুহুর্তে হঠাৎ বাসে ছোঁয়াছে এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল ! সামনে বসা মহিলা ক'জন প্রাণপণে আর্তনাদ করে উঠল। সায়েম তার মেরুদন্ডে কেমন ঠান্ডা একটা প্রবাহ টের পাচ্ছে। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কোনও নারীকন্ঠের চিৎকার যুক্ত হলে আতঙ্কটা মুহুর্তে বেড়ে চারগুণ হয়ে যায় ! মাথা ঠান্ডা রাখার ব্যাপারটা আর মাথায়ই থাকে না !
সায়েম অস্থির গলায় পাশের ছেলেটাকে বলল, 'কী হচ্ছে ভাই?'
'বুঝতে পারছি না। তবে বুঝতে চেষ্টা করছি। ঐ যে দেখছেন দু'টা লোক ছুটে পালাচ্ছে - ঐ লুঙ্গি পড়া'টা আমাদের ড্রাইভার। আর পাশেরটা কনডাক্টর।'
'এর মানে কী?', সায়েমের গলা কেমন কাঁপছে, 'চলেন নেমে পড়ি'
হঠাৎ তারা খেয়াল করল, বাসের ভেতর চিৎকার-চেঁচামেচি সব থেমে গেছে। কেমন অসহ্য নীরবতা, যেটা ওই চিৎকারের আতঙ্কের সাথে যোগ করে দিয়েছে দ্বিধা - ব্যাপারটা আরও ভয়াবহ ! সমস্ত শব্দ হারিয়ে গিয়ে যেন কী এক অদ্ভূত শীতল তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ল চারপাশে।
সায়েম পাশ ফিরে তাকাল, তরুণ ছেলেটা হালকা হেসে বলে উঠল,
"ছটফটিয়ে উঠল জলে, হারিয়ে গেল কেউ
চিহ্ন পড়ে রইল ঘাটে -- অন্যরকম ঢেউ"
'মানে?', সায়েম বিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছে।
'শক্তি চট্টোপাধ্যায়', তরুণ হেসে তার খোঁচা-খোঁচা দাড়িতে হাত বোলালো। এই সময়ে এই ছেলে কবিতার কথা বলছে ! নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে যায়নি তো? দেখে তো মনে হচ্ছে না। দ্বিধান্বিত লোকজন আস্তে আস্তে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিল। মোটে জনাপাঁচেক লোক নেমেছে, ঠিক তখনই বিকট শব্দে বাসের পেছনের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ল ঝরঝর করে ! আবার সমস্বরে চিৎকার শুরু হলে গুমোট পরিস্থিতি যেন একটু স্বাভাবিক রূপ পেল। সায়েমের সামনে আরও ৭-৮জন লোক। নামছে না কেন? ব্যাপারটা কী? জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রেখে সায়েম হঠাৎ আবিস্কার করল, তাদের বাসটাকে কারা যেন ঘিরে ফেলেছে ! সে দ্রুত জানালা দিয়ে মুখ বের করল, সাথে সাথে লাঠি আর মশাল হাতে ক'টা চ্যাংড়া ছেলে ঐ জানালার নিচে এসে দাঁড়াল, তাকে নামতে দেবে না ! সামনে আর দু'তিনটা ছেলে মাম'এর দেড় লিটার বোতলে করে কি যেন একটা তরল বাসের গায়ে ছিটাচ্ছে ! গেট দিয়ে কেউ নামছে না - গেট বাইরে থেকে লক !
কী হচ্ছে? কী হচ্ছে এসব !
কবি-মতন ছেলেটা তখনও শান্তভাবে সীটে বসা। সায়েম সামনে যেতেই শুনল ছেলেটা বিড়বিড় করে বলে চলেছে,
"মায়াবী এই আলোয় ওড়ায় মায়া ভাঙার ফানুস
যেজন ছিল গোড়ায় তাকে পুড়িয়ে মারে মানুষ..."
নিশ্চিত এই ছেলের মাথায় ডিফেক্ট আছে। পালানোর একটা পথ বের করে এই ছেলেকেও বাঁচাতে হবে। সায়েম পাগলের মত বাসের সামনে-পেছনে ছুটছে, সবক'টা দিক ঘিরে রাখা। জানালার কাছে মুখ নিলেই সেই জানালায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে ! সামনের দু'জন মহিলা আর ছ'সাতজন লোক তাদের বয়স ইত্যাদি ভুলে কান্না-পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছে ! পাশ থেকে এক বয়স্ক লোক হঠাৎ সায়েম'কে বলে উঠল, 'বাবা, আপনার ফোনটা একটু দিবেন? বাসায় একবার কথা বলতাম...' বৃদ্ধের গলা কাঁপছে।
এর মানে কী? ওরা মারা যাচ্ছে? ফোনের কথা খেয়াল হতেই সায়েমের চোখে ভেসে উঠল নিশা-তিথি ! অনেক চিন্তা করেও সে আর কিছু ভাবতে পারছে না। অনেক আগে মারা-যাওয়া বাবা-মা'র চেহারা তেমন মনে ভাসছে না। কিন্তু সে এসব কেন চিন্তা করছে? সে কী সত্যি মারা যাচ্ছে?
না, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলেই এখন মরণ। বৃদ্ধের কথা ভুলে গিয়ে সে ফোন বের করে নিশা'কে কল করল। 'কল' রিসিভ করছে না কেউ। উফ, নিশা মোবাইলটা বেডরুমে রেখেই রান্নাঘরে চলে যায়, তারপর আর খেয়াল-খবর থাকেনা এই মেয়ের। এ নিয়ে কত কথা শুনিয়েছে সায়েম...
ফোনে আরেকবার চেষ্টা করে সায়েম আবার বাসের পেছন দিকে চলে গেল। এদিকটায় এখন কেউ নেই, পাগলাটে ছেলেটা ছাড়া। সায়েম চারপাশে হন্য হয়ে খুঁজতে লাগল, বাঁচার একটা পথ তো থাকবেই। কাছে যেতেই শুনল, ছেলেটা তখনও আবৃত্তি করে চলেছে,
"মানুষ কাকে বাঁচায়?
................ যদি এমনি ক'রে খাঁচায়
পোরে পাখির চেয়ে খালি
................ নিবিড়, নরম গেরস্থালি?"
সায়েমের আর সহ্য হল না। সে ছেলেটার দুই কাঁধ ধরে ঝাঁকুনি দিল, "ওয়েক আপ, ম্যান ! আমরা ভয়ানক বিপদে আছি!"
ছেলেটা হঠাৎ প্রথমবারের মত সরাসরি সায়েমের চোখের দিকে তাকাল। কী অদ্ভূত এক দৃষ্টি। সে তখনও আবৃত্তি করছে,
"আমার ভয় করে, ভয় করে
কেবল ভয় করে, ভয় করে
................ যদি নিজেই তাকে মারি...
এবং এটুকু তো পারিই, আমি ভাঙায় গড়া মানুষ"
সেই দৃষ্টি সায়েমের কেন জানি সহ্য হল না ! কী অদ্ভূত অস্বাভাবিক নিস্পৃহা ! যেন এই পৃথিবীর মানুষ না সে ! ছেলেটা অদ্ভূত হেসে যখন আবার বলল, "আমি ভাঙায় গড়া মানুষ", সায়েম ছিটকে বেরিয়ে সামনের দিকে চলে গেল।
তার সমস্ত কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। একটা স্বাভাবিক ঘটনাও ঘটছে না, নাকি সে নিজেই অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে ! বাসের একপাশে আগুন জ্বলে উঠল ! দু'জন মহিলা'র গগণবিদারী আর্তনাদে বাইরের ছেলেগুলো যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠল ! সায়েম আগুন দেখছে - আর কিছু নেই তার মাথায় এখন। যেন কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেল সে জানে না, হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পেয়ে ফোন'টা বের করার জন্য পকেটে হাত ঢোকাল। ফোন'টা নেই ! কোথায় পড়ে গেছে, কোথায় খুঁজবে সে? এদিক ওদিক ফিরে বাসের পেছনের দিকটায় তাকাল - পাগলাটে কবি'টা নেই ! সায়েম পুরো বাসে চোখ বোলালো, ছেলেটা কোথাও নেই ! তার মানে পালানোর পথ নিশ্চয়ই আছে !
সে দ্রুত বাসের পেছনে চলে এল। ছেলেটা যে সীটে বসে ছিল, তার জানালার আশপাশটায় কেউ নেই ! রুদ্ধশ্বাসে লাফ দিয়ে সায়েম জানালায় উঠতেই কোত্থেকে যেন ক'টা ছেলে ছুটে এসে আবার এ পথ বন্ধ করে দিল ! কী অপরাধ করেছে সে? প্রথমবারের মত সায়েমের বুক ভেঙে কান্না আসল। তার দোষটা কী?
সামনে তাকাতেই দেখে বাসের গেট খুলে মহিলা দু'জনকে নামিয়ে নেয়া হচ্ছে। সায়েম ছুটে যেতে যেতে সেই গেট-ও আবার বন্ধ !
সায়েম জানে না, তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়ে গেছে ! তবে তার অপরাধ অনুসন্ধান করার মত অধিকার তাকে দেয়া হয়নি।
বৃদ্ধ লোকটা চোখ বন্ধ করে সীটে পড়ে আছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে বোধহয়। চারপাশ থেকে অসহ্য গরম আঁচ এসে লাগছে। সায়েম হুঁশ হারাতেও ভুলে গেছে। সে বিহ্বল চোখে বাসের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। বাইরের লাঠি-মশাল হাতে ছেলেগুলো কী এক আদিম উৎসবে মেতেছে। সায়েমের চোখে একবার তিথি আর একবার নিশা'র চেহারা ভেসে তারপর সব শূণ্য হয়ে গেল। তার মাথায় এখন একটা প্রশ্ন ছাড়া আর কিছুই নেই,
এত সহজে একটা মানুষকে মেরে ফেলা যায়? কোনও কারণ ছাড়া, এভাবে হাসতে হাসতে...?
এত সহজে?
********************************************************************
তিথি'রা গত তিনদিন ধরে তার নানু'র বাসায় আছে। আম্মু'র কী যেন হয়েছে, সারাক্ষণ চোখ বন্ধ করে বিছানায় পড়ে আছে, নানুও সারাক্ষণ কাঁদছে। তিথি কিছুই বুঝতে পারছে না।
তিথিকে সবচেয়ে বেশি আদর করত ছোটখালা। এখন সেই ছোটখালাকেই সবচেয়ে বেশি অসহ্য লাগছে। কিছুক্ষণ পরপর এসে তাকে জড়িয়ে ধরে ভেউ ভেউ করে কেঁদে উঠছে। তিথি বুঝতেই পারছে না, কী কারণ !
পাপা আসছে না কেন? তিথি ভাবল, পাপা আসলেই সব ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চয়ই। পাপা কবে আসবে? একবার ছোটখালাকে এই প্রশ্ন করতে গিয়ে ডাবল-কান্না শুনতে হয়েছে তাকে। কাউকে প্রশ্ন করার সেই চিন্তা তাই আপাতত বাদ দিয়ে তিথি আম্মু'র মোবাইল'টা খুঁজে বের করল।
স্পিড-ডায়াল বা ইত্যাদি বিষয়গুলো এতটুকু মেয়ের বোঝার কথা না, সে শুধু জানে, আম্মু'র মোবাইলে একটা বাটন অনেকক্ষণ চেপে ধরে রাখলেই পাপা'র কাছে ফোন চলে যায়। কিন্তু ইদানিং কী যে হয়েছে, পাপা'র কাছে ফোন করলে অন্য একটা মহিলা ফোন ধরে কঠিন কঠিন কথা বলতে থাকে, আর তিথিও ভয় পেয়ে ফোন রেখে দেয়।
পাপা'র উপর অভিমানে আজ তিথি'র কান্না চলে আসছে। পাপা এতদিনেও আসছে না কেন? সে আবার আম্মু'র মোবাইল থেকে পাপা'কে কল করল। সেই একই মহিলা, সেই একই কথা, "আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে এই মুহুর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না..."
তিথি কিছু বুঝতে পারছে না। তার খুব কান্না আসছে, বুক ভেঙে কান্না আসছে। ঐ মহিলা তখনও কথা বলে যাচ্ছে। আর যে সহ্য হয় না...
ফোন কানে চেপে ধরে ছোট্ট তিথি ভাঙা-ভাঙা গলায় ফিসফিস করে বলে উঠল,
"পাপা...? তুমি তুথায়...?"
ঢাকা নগরী'র উত্তপ্ত বায়ুমন্ডলে এক ঝাঁক ছোট ছোট পরী ভাসতে ভাসতে অসীমের উদ্দেশ্য কী এক হাহাকার ছড়িয়ে দিল। অলস গল্পকার কান পাতলেই যেন এখনও শুনতে পায় শুধু সেই প্রতিধ্বনি,
তুমি তুথায়...?
তুমি তুথায়...?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১
শাহেদ খান বলেছেন: অন্য গল্পটা:
ছোটগল্প :: 'লিটল বয়'
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর গল্পের নায়ক সায়েম। ভাল লাগলো ।বাসাও উত্তরা। কিন্তু আমার তো বউ বাচ্চা নাই। ওগুলো আসলো কোত্থেকে চিন্তায় পড়ে গেলাম।গল্প ভাল হয়েছে।বাস্তবতা। নিঠুর বাস্তবতা।মডুরা কোথায় এটা তো নির্বাচিততে নেয়ার মত পোস্ট।++++++
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
শাহেদ খান বলেছেন: সে কী ! এরকম একটা গল্পে নিজেকে কল্পনা করতে যাচ্ছেন কী কারণে?
জীবনের গল্পগুলো সুন্দর হয়ে থাকুক। শুভকামনা, কবি।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভাল্লাগসে, চমৎকার লিখসেন।
তবে আমি লিটল বয় কে ১ম পজিশনে রাখবো-একান্তই পার্সোনাল অপিনিয়ন দিলাম ||
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
শাহেদ খান বলেছেন: অবশ্যই, পাঠক হিসেবে সেটা আপনার বিবেচনা।
তবে ১ম যেটাই হোক, বিজয়ী তো আমিই
হাহ হা। শুভেচ্ছা। :-)
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: বাস পুড়িয়ে দেয়ায় যাত্রী আগুনে নিহত- এই ধরণের খবর পত্রিকা-টিভি তে দেখতে দেখতে এতটাই সয়ে গেছি, পুড়ে যাওয়া ঐ মানুষটার বিভীষিকাময় সময়ের ভাবনা বা তার পরিবারের কথা কখনো সেভাবে ভাবিনি ।
গল্পটা পড়ে সায়েমের সাথে এতটাই একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিলো যেন আমিও খুজছি আগুন থেকে পালিয়ে বাঁচার কোন সুড়ঙ্গ ।
+++
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
শাহেদ খান বলেছেন: মানুষগুলোর মৃত্যুর চেয়ে অনেক ভয়াবহ সংবাদ হচ্ছে, আমরা যারা বেঁচে আছি তাদের অনুভূতি'র মৃত্যু।
"আমার ভয় করে, ভয় করে
কেবল ভয় করে, ভয় করে
................ যদি নিজেই তাকে মারি...
এবং এটুকু তো পারিই, আমি ভাঙায় গড়া মানুষ"
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগল জেনে ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
বোকামন বলেছেন:
সায়েমদের মেরুদণ্ডে কেমন ঠাণ্ডা একটা প্রবাহ বয়ে যাওয়াই তাদের দোষ, বাস্তবতা এমনটাই। গল্পটি কয়েকবার পড়লাম। নিজের পরিবারের কথাও দৃশ্যপটে ভেসে উঠেছিলো কিছুক্ষণের জন্য। দুটো গল্পই ছোটগল্প হিসেবে সার্থক করেছেনে আপনার লেখনীতে। আজকের গল্পটার থিম আমাদের চেনা-পরিচিত। চেনা-পরিচিত থিম নিয়ে পাঠককে ছোটগল্পের স্বাদ দেওয়া কঠিন কাজই বটে। ভালো লাগলো যাকে বলা যেতে পারে কষ্টকর ভালোলাগা ....।
"মায়াবী এই আলোয় ওড়ায় মায়া ভাঙার ফানুস
যেজন ছিল গোড়ায় তাকে পুড়িয়ে মারে মানুষ..."
কষ্ট লাগে ভাইজান, ভীষণ কষ্ট লাগে। ফানুসই রয়ে যাবো নাকি মানুষ হবো কখনো......।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
শাহেদ খান বলেছেন: ঠিক কষ্টও না, বিভীষিকা আর অসহায়ত্বের মিশেলে কী একটা অপরিচিত অনুভূতির মধ্যে কেমন বিলীন হয়ে যাই মাঝে মাঝে।
ছড়িয়ে যেতে চাইল কিছু অনেক দূরে দূরে।
কী সেই কিছু? সেও কি কোনো জন?
আমার মত নিভন্ত, নির্জন --
ছড়িয়ে যেতে চাইল কাছে -- কিংবা দূরে দূরে।
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন, প্রিয় বোকামন।
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ভিজুয়ালাইজ করলাম পুরা ঘটনা । আর শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কবিতা খুব মনে লাগে।
ভালো লিখেছ শাহেদ ভাই।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
শাহেদ খান বলেছেন: ভয়াবহ দৃশ্যকল্প। জীবনের গল্পগুলো সুন্দর হোক, তন্ময়।
ভাল লাগায় ভাল লাগা।
আর, শক্তি সত্যি শক্তিমান !
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
শাহেদ খান বলেছেন: শুভেচ্ছা, বর্ষণ।
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুর্বলচিত্ত বাবা, যাঁরা তাঁদের লিটল গার্ল বা লিটল বয়কে প্রাণাধিক ভালোবাসেন, তাঁদের মনে গল্পটি ভয়ানক আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। আমি মনে করি না যে, আমি দুর্বলচিত্ত পুরুষ; বিভিন্ন ভয়ঙ্কর ঘটনায় নিজের দুঃসাহসিক ভূমিকা ঘটনা-পরবর্তী সময়ে ইভালুয়েট করে আমি নিজেই অবাক ও শিহরিত হয়েছি- এ কাজ আমি কীভাবে করেছি! এতকিছুর পরও সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি- ছেলেটাকে এই কারা গুম করে ফেললো, মেয়েটাকে ধরে নিয়ে গেলো, ছোটো ছেলেটা কোন্ ছেলেধরার হাতে ধরা পড়লো।
গল্পের শেষে বাবার প্রতি লিটল গার্লের যে অসহিষ্ণু অভিমান, তা পাঠ করে পাঠকেরও বুক ভেঙে আসার উপক্রম হবে, দম আটকে আসবে, বিশেষ করে দুর্বলচিত্ত বাবাদের।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হরতাল, ভাঙচুর, গাড়িরে ভিতরে তাজা মানুষ পুড়িয়ে মারা- গল্পে অসাধারণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আপনার আগের গল্প ‘লিটল বয়’-এর ভয়াবহ পরিণতির কথা মনে পড়ছিল এ গল্পের শরুতেই। ‘আগামীকাল হরতাল’, বাস থেমে গেলে সবলোকের নেমে যাওয়া থেকেই আঁচ করতে পারছিলাম- কিছু লোক, বা সায়েম নিজে আজ এ গাড়িতে জীবন্ত পুড়ে মরবে।
আপনার গল্পে পাঠক ধরে রাখার জাদু থাকে।
দু জায়গায় ‘ডাবল’ শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। এর বদলে ‘দ্বিগুণ’ লিখলে বাক্যের ভাব ও শ্রী দুটোরই বৃদ্ধি ঘটবে বলে আমার ধারনা।
শুভেচ্ছা থাকলো শাহেদ ভাই।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
শাহেদ খান বলেছেন: ভাল এবং মনোযোগী পাঠক পাওয়া একজন লেখকের জন্য মনে হয় সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার ! বললে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, গল্পে ২য়বার 'ডাবল' শব্দটা লেখার সময়ই আমি ভাবছিলাম প্রথমে লেখা 'ডাবল' শব্দটাকে পাল্টে একেবারে 'চারগুণ' লিখে দিব। পরে গল্প শেষ করার পর নিজেই ভুলে গেছি সেটা পাল্টে দিতে। আপনি একবার পড়েই ঠিক সেই জায়গাটাই ধরলেন !
আমি একইসাথে চমকে গেছি এবং আনন্দিত, সোনাবীজ ভাই। আমি শব্দটা এডিট করছি।
দূর্বলচিত্তের কথা বললেন - ওতে বিস্তারিত যেতে চাই না। তবে মনে করি, 'আবেগ' একটা অদ্ভূত জিনিস। যেটা একই সাথে মানুষকে দূর্বলও করে, আবার সবল হতেও সাহস দেয়... নিষ্ঠুরতার গল্প শুনে যে মানুষটা আবেগতাড়িত হয়ে ভেঙে পড়ে, সে-ই হয়তো আবার আবেগের বশে ঐসব নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে জেদ ধরে দাঁড়াতে শিখে যায় !
এলোমেলো কথা বলছি হয়তো।
মানুষেরা ভাল থাকুক। প্রার্থনা আর প্রার্থনা। এসব গল্প যেন ভবিষ্যৎ গল্পকারদের কল্পনাতেও আর ভাবতে না হয়...
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
আশীষ কুমার বলেছেন: ঝিরঝির হাওয়া কিছুক্ষণের মধ্যেই কেমন যেন গুমোট হয়ে যায়। ঠিক যেন ঝড়ের আগের হাওয়া। আছে কি নেই বোঝা যায় না। চারপাশে কেমন স্তব্ধতা। এত কোলাহলের মাঝে এ কেমন নীরবতা! এত বেদনার মাঝে ওরা কারা আনন্দে এত মত্ত।
মাথাটা ঝিম মেরে ছিল। আস্তে আস্তে শব্দগুলো দৃশ্য হয়ে উঠে। কামড়ে ধরে মাথার ভিতরটা। ছিটকে বের হয়ে যেতে চায় সম্ভবত মগজ। এ কেমন গল্প! শান্ত একটা নদীকে সমুদ্র করে উত্তাল ঝড় বইয়ে দেয়। আবার পাদটীকায় স্রোতহীন নিশ্চল নদী বয়ে যায়।
(বাসার সিড়ি দিয়ে যখন উঠি তখন আমার প্রতিবারই রানা প্লাজার কথা মনে হয়। এ অন্ধকারই আমি সহ্য করতে পারিনা। তারা কীভাবে পেরেছে। কারেন্ট চলে গেলে প্রয়োজন না হলে বাতি জ্বালাই না।)
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
শাহেদ খান বলেছেন: আশীষ ভাই, কী দারুণ করে বললেন মন্তব্যের কথাগুলো ! শব্দগুলো কবিতার মত ভেসে বেড়াচ্ছে !
আমি আমাদের সময়কে অন্ধকার সময় ভাবতে চাই না। তবু গল্প লিখতে গেলে কেন জানি এমন সব গল্পই লেখা হয়ে যায়। একারণে গল্প না লিখে কবিতা লিখি; কবিতায় কষ্ট কম, স্বপ্ন বেশি !
অন্ধকার কেটে যাক, আশীষ ভাই। ভাল থাকুক সবাই।
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সায়েমের অনুভূতি ভীষণ পরিচিত মনে হল। গল্প পড়তে গিয়ে দুর্বল লাগল নিজেকে। সুতরাং গল্পকার সফল।
গল্প নিয়ে কিছু বলার নেই। প্রিয়তে রাখব এটাকে।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
শাহেদ খান বলেছেন: এতটা ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা, প্রোফেসর !
এমন সব গল্প না লিখতে হলেই বোধহয় আরও ভাল থাকতাম। কৈশোরে ভাবতাম, শরৎচন্দ্র'রা হেসে-খেলে গল্প ফেঁদে মানুষের আবেগ নিয়ে খেলাধূলা করতেন। কিন্তু নিজের বাস্তবতায় এমন গল্প লিখতে গিয়ে এখন টের পাই, লেখার সময় লেখককেও কাঁপতে হয়।
'প্রিয়তে' নিয়ে অনেক সম্মানিত করলেন। কারণ আমার গল্প লেখায় এগুলো একেবারে প্রথমদিকের প্রয়াস।
অনেক অনেক শুভকামনা।
১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভাল লাগল, অনেক ভাল লিখেছেন। গল্পের চরিত্রগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল।
অনুভুতিগুলোকে ব্যাপক নাড়া দিয়ে গেল আপনার গল্প দুটো।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন, শান্তির দেবদূত।
অনুভূতিগলো সব কেমন ভোঁতা এবং ওলট-পালট লাগে... নিজেও নিজেকে বুঝি না কখনও কখনও~
জ্বলন্ত এক টুকরো আগুন গিলতে গিয়ে লাগছে বরফ
কঠিন, তুমি কেমন বিষে আমাকে আজ হত্যা করো?
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশী বিস্তারিত কিছু লিখতে পারচায়না , বাইরে যেতে হবে !
শুধু বলবো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেকে সায়েম মনে হচ্ছিলো !
শুভকামনা শাহেদ ভাই !
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
শাহেদ খান বলেছেন: অভি, শুভেচ্ছা।
সবাই নিরাপদে থাকুক। আর কেউ সায়েম না হোক। প্রার্থনা।
১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৬
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষগুলোর মৃত্যুর চেয়ে অনেক ভয়াবহ সংবাদ হচ্ছে, আমরা যারা বেঁচে আছি তাদের অনুভূতি'র মৃত্যু।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
শাহেদ খান বলেছেন:
কেবলি সুগন্ধ ওঠে নষ্ট কিছু ফলে
দূরে কাছে
মৃত্যুর অমূল চাপ মৃত্যুতে আছে।
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার ভয় করে, ভয় করে
কেবল ভয় করে, ভয় করে
................ যদি নিজেই তাকে মারি...
এবং এটুকু তো পারিই, আমি ভাঙায় গড়া মানুষ
শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কবিতা আর গল্পটি যেন একই সুত্রে গাঁথা। ভাই চমৎকার প্রতিরূপ এঁকেছেন গল্পে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১
শাহেদ খান বলেছেন: শক্তি'র যে ক'টা কবিতার কথা বললাম, সবক'টা হয়তো ভিন্নার্থে আর ভিন্ন 'ভাব' নিয়ে লেখা। তবে গল্পের পাগলাটে ছেলেটা এই পরিস্থিতিতে একান্ত নিজের মত করেই শক্তি'কে আবিস্কার করল !
মন্তব্যে ভাল লাগা জানবেন, কান্ডারী অথর্ব !
১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: তারপর ওরা আমাকে পুড়িয়ে মারলো হুলুস্থুল উল্লাসে,
মধ্যযুগের ডাইনী হবার কোন সুযোগই ছিল না আমার,
তখন নাকি পবিত্র সন্তদের উপস্থিতিতে,
যাকে বলে পুন্যঝরা উৎসব মুখর পরিবেশে,
ডাইনীদের পুড়িয়ে মারার রেওয়াজ ছিল।
দুর্ভাগা বঁধুদের সতী বাসনায় পুড়ে যাবার এখন চল নেই,
ওসব এখন বড় ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে বোধহয়।
তবুও ওরা আমাকে জ্বালিয়ে দিল,
যান্ত্রিক শবদেহ ওদের আজ যথেষ্ঠ ছিল না,
সতেজ সজীব মাংস পোড়া ধূপ ছাড়া,
আজ আর চলছিল কিছুতেই।
অথচ ওরা তো জানতো,-
যেই মাংস পুড়বে, তাতে ভালোবাসার পরশ ছিল ঝিলমিল,
যেই হাত পুড়বে, তাতে ভরসার ছোঁয়া ছিল জ্বলজ্বলে,
যেই বুক পুড়বে, তাতে এক দেবশিশুর বাগান ছিল মায়াতুর,
যেই চোখ পুড়বে, তাতে তাদেরই মত প্রতীক্ষা ছিল নীড়ে ফিরবার,
আমার মতই ওদের হৃদয়েও তো খেলেছে জীবনের অনির্বান পিয়াস,
তবুও ওরা আমাকে জ্বালিয়ে দিলো কমলা রঙের হিংস্রতায় মুড়ে,
ছিলাম মানুষ আমি, পড়ে থাকলো কিছু অকাল অর্থহীন ছাই,
তোমাদের সভ্যতায় আমার ছাই বুঝি খুব বড় প্রয়োজন ছিল?
আপনার গল্প পড়ে একটা কবিতার চলে আসলো। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আপনার লেখাটা কতটুকু নাড়িয়েছে?
শুভকামনা!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার ! মর্মস্পর্শী কবিতায় এই পোস্ট'কে আরও সমৃদ্ধ করলেন !
তবে, "আজ আর চলছিল কিছুতেই।" -- এই লাইনে কি একটা কিছু শব্দ মিসিং আছে? হয়তো 'না'।
শুভকামনা, কবি !
১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
শেষ পর্যন্ত সায়েমকে মেরেই ফেল্লা...
বিষাদের গল্প...
আরো আসুক এমন...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
শাহেদ খান বলেছেন: সায়েম হত্যার দায়ে লেখককে অভিযুক্ত করে লাভ নেই !
এমন গল্প আর না আসুক
মানুষগুলো মানুষদেরকে মানুষ ভেবে ভালবাসুক,
সত্যিকারের ভালবাসুক !
১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পে কবিতার ব্যবহার ভালো লাগে।
গল্প ও দারুন, যদিও বিষাদ শেষে।
চারবার পোস্টে আসলাম, শেষে মন্তব্য করা গেলো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
শাহেদ খান বলেছেন: বিষন্নতা নয় তো, ভয়াবহতা !
মানসিক টানাপোড়েন হলে আমি 'বিষাদ' বলতে রাজি আছি, কিন্তু এ তো ভয়ানক নিষ্ঠুরতা'র গল্প !
ধৈর্য নিয়ে যে কমেন্ট করে গেলেন, এতে অনেক আনন্দিত, দূর্জয় ভাই !
১৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
আশীষ কুমার বলেছেন: আমি কিছুই পারিনা, মনে হয় না পারবো কখনো। কারণ চেষ্টা করিনা। চেষ্টা করার মতো ইচ্ছা আমার নেই। যে বিষয়ে আমার চিন্তা সে বিষয় এখন বিষাক্ত এদেশে। পুরোদস্তুর গালি হয়ে গেল শব্দটা...অনেক চিন্তা ড্রাফট করে ডেস্কটপে রেখে দিয়েছি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
শাহেদ খান বলেছেন: আপনার বিষয় যেটাই হোক, সময়ের চাকা কিন্তু ঘুর্ণনশীল। বাংলাদেশে সেটা মনে হয় আরও জোরে ঘুরে। গতিবেগে তাল রাখতে না পেরে আমরা নিকট অতীতকেও তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। জাতিগত শর্ট-টার্ম মেমরি লস-এ আক্রান্ত হয়ে গেছি।
২০১১-তে যে শব্দ শুনলেই সবাই ক্ষেপে উঠত, ২০১৩-তে সেই শব্দ নিয়ে গান বানালেও বোধকরি আর কেউ তেমন কিছু বলবে না। সবাই ভুলে যাওয়ায় ভাল রকম অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
আপনার ড্রাফট পোস্ট হয়তো কখনও মুক্তি পাবে। সময়কে একটু সময় দিন...
২০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৪
আমি রেদওয়ান বলেছেন: চমৎকার
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
শাহেদ খান বলেছেন: শুভেচ্ছা !
২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৮
নস্টালজিক বলেছেন: ভার্সেটাইল শাহেদ!
লিটিল গার্ল!
টু থাম্বস আপ!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
শাহেদ খান বলেছেন: প্রিয় রানা ভাই, উৎসাহে অনেক ভাল লাগা।
শুভেচ্ছা।
২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫১
জুন বলেছেন: বাস পোড়ানোর ঘটনাতো আকছারই দেখি টিভি বা পেপারে। প্রথম প্রথম রিএকশন হতো, এখন আর ততটা আলোড়িত করে না শাহেদ খান। হয়তো অনুভূতিগুলো ভোতা হয়ে গেছে। কিন্ত আপনার গল্প পড়ে ভেতরটা লাফিয়ে উঠলো। তাইতো সেই হতভাগ্য বাস যাত্রীর তখনকার অনুভূতি গুলো কি ভয়ানক কি আতঙ্কজনক।
সুন্দর লেখায় প্লাস।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন পরিবারসহ সবাই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
শাহেদ খান বলেছেন: যতটা আতঙ্ক ধারণ করা যায়, তার সবক'টা এখন বাস্তবে বর্তমান।
তবুও তো স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি সারাটাক্ষণ !
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও, জুন। ভাল থাকা হোক সবসময়।
২৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাগলাটে কবির চরিত্রটা ভালো লাগছিলো। গল্পে তার আগমন অভিনবত্ব এনে দিয়েছে। ভালো লেগেছে। তবে চরিত্রটাকে দিয়ে আরো কিছু কাজ করা যেত।
+
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
শাহেদ খান বলেছেন: হাসান ভাই, এই গল্পে আমার সবচে' মনোযোগ পাওয়া চরিত্রটার কথা একমাত্র আপনিই বললেন !
কথা যখন তুললেন, তখন একটা গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করছি। গল্পে এই ছেলেকে এভাবে বাঁচিয়ে রাখলাম, কারণ ভবিষ্যতে আমার অন্যান্য গল্পেও এই ছেলের উপস্থিতির একটা সম্ভাবনা দেখা যায়। সবাই যখন ঘটনার বাস্তবতায় অস্থির হয়ে থাকবে, এই ছেলে তখন জীবনকে দেখবে কবিতায় কবিতায়... হয়তো নিয়মিত। তবে কোথাও তাকে নিয়ে বেশি কিছু বলা হবে না। সে এসেই আবার হারাবে।
অনেক কথা বলে ফেললাম। গল্পকারের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা হল, তাই। কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন।
২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩
টুম্পা মনি বলেছেন: অন্যরকম! খুব ভালো লাগল।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
শাহেদ খান বলেছেন: টুম্পা মনি, আপনার প্রো-পিকের 'লিটল গার্ল'টাকে দেখলেই তো মন ভাল হয়ে যাচ্ছে ! কি আদুরে !
আমার 'লিটল গার্ল'-এ হয়তো মন-খারাপটা বেশি প্রবল। তবে সেও আমার অনেক আদুরে...
শুভেচ্ছা।
২৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
বৃতি বলেছেন: গল্পটায় অনেক ভালো লাগা থাকলো - ভালো লাগা, কষ্ট লাগার এক মিশ্র অনুভূতি । শক্তি চট্টোপাধ্যায় এর কবিতার অংশগুলো অন্য মাত্রা এনেছে গল্পে ।
শুভকামনা জানবেন ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
শাহেদ খান বলেছেন: এই ভাল লাগা - কষ্ট লাগা'র মাঝেই বেঁচে আছি, একগাদা স্বপ্ন নিয়ে !
শুভকামনা জানবেন আপনিও, বৃতি।
আর, শক্তি'র কবিতায় আমি বিলীন হয়ে থাকি অনেক অনেক সময় -
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি...
(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
ভারসাম্য বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে তবে নাটকীয়তা একটু বেশি মনে হয়েছে।
ভাল থাকুন। আরও অনেক ভাল ভাল গল্প লিখুন।
++++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
শাহেদ খান বলেছেন: আমি চেষ্টা করতে চেষ্টা করব, ভারসাম্য ভাই। কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন।
মানুষগুলো আগুনে নিঃশ্বাস নেয়ার সময় জীবন্ত অবস্থায় শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার যে ভয়াবহতা...আর ভাবতে পারিনি; তার আগেই সায়েমের কাছ থেকে আমি সরে এলাম... বাস্তবেই এখন সিনেমার চেয়ে অকল্পনীয় সব ঘটনা ঘটে চলেছে, গল্পে নাটকীয়তা চলে আসলে আমি কী করে এড়াই?
এছাড়া গুরু তো বলেই গেছেন, "All the world's a stage, And all the men and women merely players"
আমরা সবাই নাটক করেই যাচ্ছি।
গল্প লিখে তো অভ্যস্ত নই। যদি লেখা চালিয়ে যাই, তবে ম্যাচিউর হওয়ার পথে আপনার কথা আমার অবশ্যই খেয়াল থাকবে।
২৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
আরজু পনি বলেছেন:
দু'দিন ধরে অফলাইনে দেখে রাখছি আসবো করে....
এখনও আসতে পারলাম না ...
আমি পরে আবার আসবো।।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৩
শাহেদ খান বলেছেন: তাড়া নেই, পনি'পু ! সময় হোক !
শুভেচ্ছা !
২৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
আরজু পনি বলেছেন:
আজকে পড়বো বলেই আসলাম ।
শেষও করলাম !
শুধু একটা মন খারাপের ইমো দিয়ে চলে যেতে ইচ্ছে করেছে !
অথবা শুধুই নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকা !
আমি আর কিছুই বলবো না ...................................
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
শাহেদ খান বলেছেন: সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপরাটা হচ্ছে, এই ধরণের গল্পগুলো এখন বাস্তব ! ঈদের পর প্রীতি মারা গেল বিনা কারণে - ক'টা উন্মাদ চলন্ত ট্রেনে টার্গেট প্র্যাকটিস করছিল বলে ! খবরটা শুনে কী ভাবা যায় সেটাই আর ভাবতে পারছিলাম না।
কিছু মানুষের উন্মাদনা আর নিষ্ঠুরতা যদি এই পর্যায়ে চলে যায় - তাহলে বাকিদের আত্মসতর্কতাও কতটুকু কাজ দেবে জানি না, আপু।
শুভকামনা। সবার জন্য।
২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বলার মত কিছু পাচ্ছি না। এমন সব দিনগুলোতেও ঠিকই বের হতে হয় ঘর থেকে, জীবনের প্রয়োজনে। তবে নিজের চেয়ে উদ্বেগটা প্রিয়জনের জন্যই বেশি থাকে।
অদ্ভুত সুন্দর লিখেছেন শাহেদ। বিষণ্ণ ভাল লাগা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
শাহেদ খান বলেছেন: ভাল থাকুন, সমুদ্র কন্যা। জীবনের গল্পগুলো সুন্দর আর নিরাপদ হোক।
প্রার্থনা।
৩০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। মনটাই খারাপ লাগছে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
শাহেদ খান বলেছেন: শুভেচ্ছা এবং প্রার্থনা, রায়ান।
ব্লগে স্বাগতম।
৩১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রিয় শাহেদ ভাই ,
ওনে গম আছন নি ?
আপনার ব্লগে মোটামুটি বেশ আগে হতেই আসি , তখন অবশ্য আপনার নামটা খেয়াল করিনি । ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের ব্যাপারে সুনীলের ফুলের দেশে কবিতার দেশে বইটা
পড়ে জানার আগ্রহ তৈরি হ হইছিল । এ সঙ্ক্রান্ত বইয়ের খোঁজ ও করছিলাম , পাই নি । পরে ব্লগে দেখি আপনার পোস্ট , দুয়েকটা পোস্ট পড়ার পর কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি আপনার নাম ।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানেন না , কাল যে কমেন্ট করলেম সেটা প্রায় নবম বারের চেষ্টায় প্রথম সফল হওয়া কমেন্ট । এর আগে যতবারই কমেন্ট করতে গেছি , কোন না কোন ঝামেলা হইছে ।
হয় কারেন্ট যায় , নয়ত সামুর বাগে খেয়ে ফেলে , নয়ত লগিন সমস্যা । সাথে সাথে করতে না পারলে পরে আর কমেন্ট করার মুড ও থাকে না । নাইলে ২ মাস আগেই আপনার ব্লগে আমার কমেন্ট হয়ে যেত ।
গল্পের ব্যাপারে আসি । পারফেক্ট একটা গল্প । লিটল বয় এর চেয়ে এটা আরও বেশি ভাল হইছে । মনে হচ্ছিল চোখের সামনেই ঘটনা ঘটছে । যথাযত কবিতা ।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল এ ধরণের ঘটনাই এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে ।
শাহেদ ভাই , আপনি কি ফেবুতে আছেন ? লিঙ্ক দেয়া যাবে ?
ভাল থাকুন এবং শাহেদ ভাইয়ের জন্য একরাশ শুভকামনা রইল ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
শাহেদ খান বলেছেন: নবম বারের চেষ্টায় ! আপনি তো রবার্ট দ্য ব্রুস-কেও হারিয়ে দিলেন !
দেরী কোনও সমস্যা না। নিত্য যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি হল - সেটাই ব্যাপার।
ফেসবুকে সার্চ অপশনে গিয়ে লিখবেন: shahed.khan.7545
গল্পের ভাল লাগায় অনেক ভাল লাগা জানাচ্ছি। শুভেচ্ছা, মাহমুদ।
৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
ইলুসন বলেছেন: মানবিক আবেগ বিসর্জন দিয়ে এক একজন পশু হবার প্রতিযোগীতায় নেমেছে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
শাহেদ খান বলেছেন: এই প্রতিযোগিতা তো সৃষ্টির আদি থেকেই চলে আসছে। মানুষই নাকি একমাত্র প্রাণী, যে নিজ-প্রজাতির অন্য একজনকে উল্লাসের সাথে হত্যা করতে পারে
তাই এসবকে পাশবিক বলাও ঠিক না। কোনও পশু এ কাজ করত না।
আদিমতার কথা বাদ দিই, তবে মানুষ এখন নিজেদের এতটা সভ্য-শিক্ষিত দাবি করার পরও এমন সব ঘটনায় আর কী বলা যায়?
শুভেচ্ছা, ইলুসন। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
শাহেদ খান বলেছেন:
*** গল্পে পাগলাটে তরুণের মুখে বলা সমস্ত কবিতা প্রিয় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়- এর লেখা।