![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সপ্নটা অনেক বড় , কিন্তু দিনকে দিন সপ্ন গুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে ।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর ধর্মীয় মতান্তরঃ
এবার ধর্ম নিয়ে কথা বললেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বললেন, আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম কাফেরদের দেবতাদের নাম ছিল৷
(ডাহা বানোয়াট কথা৷ ইসলামের প্রাক্কালে অর্থাত আইয়ামে জাহেলিয়াতে যে সব মুর্তি ক্বাবাঘরে অভ্যান্তরে প্রতিষ্টিত ছিল তাদের কোন নামই 99 গুনবাচক নামের অন্তর্ভুক্ত নয়৷)
তিনি বলেছেন, এগুলো ইসলাম ‘এডপ্ট‘ করে, পরে বাংলা ভাষাও এডপ্ট করে৷
এবার দেখছি আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ভাইরাসে ঊনাকে আক্রমন করেছে, সাইয়্যেদিনা আদম আঃ হতেই ইসলাম নামে ধর্ম প্রতিষ্টিত দুনিয়ার জমিনে ছিল, কালের গর্ভে অশুভ শক্তির রদবদলের কারনে নবীদের পরিবর্তন হয়েছে৷ তার মধ্যে প্রায় সব নবীগনই আরাবী ভাষায় আবির্ভুত হয়েছেন, গোটা কয়জন ব্যতিত৷ এই কারনে ইসলামে এই নামগুলো পূর্ব হতেই ছিল অন্য কোন ধর্ম হতে এডপ্ট করেনি৷ মুদ্দা কথা পূর্বেও শব্দ গুলো আরাবী ছিল এখনও আরাবী রয়েছে৷ শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভুতির কারনে বাংলা ভাষা সংযুক্ত হয়েছে৷
এগুলো এখন আরবি শব্দ৷ এখানে আপনী ভুল বলেছেন পুর্বেও এগুলো আরবী শব্দই ছিল৷
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন আবু হুরায়রা নামের অর্থ হচ্ছে বিড়ালের বাবা, আবু বকর নামের অর্থ হচ্ছে ছাগলের বাবা। আপনার বঙ্গানুবাদ ঠিক আছে কিন্ত আবারও ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন, এগুলো রাসুলে পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ঊপাধীগত নাম৷ এভাবে আমরা অনেকে নাম রাখি।
তিনি আরও বলেন, সাত শ' বছর ধরে আমরা ‘নামাজ’, ‘খোদা হাফেজ’ শব্দ বলেছি। এখন ‘সালাত’, ‘আল্লাহ হাফেজ’ শব্দে পরিণত হয়েছে। এগুলো ওহাবিদের সৃষ্টি।
বুঝিনা গাফফার চৌধুরীকে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রমন করেছে কিনা? আমাদের মুল ধর্ম গ্রন্থটা আরাবী, আমাদের নবী আরাবী বিধায় আরাবীতে ঊচ্চারনে দোষের কি রয়েছে? নামাজ ও খোদা হাফেজ কোনটাইতো বাংলা নয়, কেও যদি তা পরিবর্তন করে আরাবীতে বলে শান্তি পাই এতে দোষনীয় কি রয়েছে? এত তাড়াতাড়িই ভুলে যাচ্ছেন স্বনামধন্য নেতা নেত্রীরা একটু রেগে গেলেইতো বাংলার স্থলে ইংরেজীতে শুরু করেন, এইটা দোষনীয় নয় কি?
তিনি বলেন, আমি নিজে কিছুদিন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম৷ এখন যে ইসলাম ধর্ম চলছে তা বাড়াবাড়ির ইসলাম। রসুলুল্লাহর (সা সময় মেয়েরা কাবা ও রওজা শরিফের মধ্যে প্রবেশ করতে পারত। এখন পারে না।
নেঅমী মোল্লাহ খতরায়ে ঈমান, নেঅমী হাকীম খতরাযে ইনসান৷ এটাই আপনার হয়েছে৷ এখনও মহিলারা রওজা শরীফে প্রবেশ করতে পারেন৷ তবে নির্ধারিত সময়ে৷ কারন, মানুষের ভীড়ে সময় পাওয়াটাই সম্ভব হয়ে ওঠেনা, আপনী জ্ঞানী একটু চিন্তা করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে৷
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আমেরিকানরা তালেবান সৃষ্টি করে এখন বিপদে পড়েছে। আর বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী দ্বীনে মোহাম্মদী নয়, তারা হচ্ছে দ্বীনে মওদুদী। হিজাব এবং বোরখা হচ্ছে মওদুদীর শেষ মতবাদ। আর জামায়াতে ইসলামী এক সময় কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রির পয়সায় চলত।
এই ব্যাপারে জামাতে ইসলামী শুধুই নয় সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছে তাবলীগেরা৷ তাদের মাদ্রাসা হতে শুরু করে সকল কর্মই ছাদকাহ, জাকাত, ফেতরা, ও ভিহ্মার টাকায় চলে৷ আমেরিকার পতনের সাথে সাথে এদেরও পতন হবে। শুধু শুধু সাদ্দাম ও গাদ্দাফিকে হত্যা করা হলো ইসরাইলকে নিরাপদ করার জন্য। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমত বাংলাদেশ যদি পাকিস্তান থেকে আলাদা না হতো বাংলাদেশেও আজ তালেবান হামলা হতো। রক্তের গঙ্গা বয়ে যেত৷
এই রাজনৈতিক ব্যাপার গুলো আপনী ভাল জানেন৷ তবে আমি এইটুকু জানি নিজের ইচ্ছা না হলে কেও কাওকে সৃষ্টি করতে পারেনা৷
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকী এখানে (নিউ ইয়র্ক) কী বলে গেছে, এর জন্য আজও বাংলাদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে।
লতিফ সিদ্দিকার বিরুদ্ধে বিহ্মোপটা মুসলমানের প্রানের দাবী৷ কোন ধর্মীয় অনুভুতির ঊপরে আঘাত করার হ্মমতা কারো নেই৷ আপনী ইসলামকে ভাল না বাসলে এতে মুসলমানের কিছু যায় আসেনা, তবে ইসলামের বিরুধীতা করলে মুসলমান তার প্রতিকার জিবনের বিনিময়েই করবে৷ নিঃসন্দেহে৷
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক লেকচার সিরিজে একমাত্র বক্তা হিসাবে এসব কথা বলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, হিন্দুদের মধ্যে যেমন গোরামি আছে, ইসলাম ধর্মেও মধ্যেও গোরামি আছে। ইসলাম ধর্মে আছে, বিধর্মীকে কতল কর।
বিধর্মীকে ক্বতল করা ইসলাম ধর্মে নেই, দয়া করে ভুল ব্যাখা করবেন না৷ এই সিদ্ধান্ত মানুষের বানানো৷
তিনি বলেছেন, তাহলে তো রসুলুল্লাহ (সা মক্কা জয়ের পর একটি কাফেরকেও হত্যা করেননি।
সত্য কথা৷
তিনি বলেন, অমুকে রসুলুল্লাহ (সা-এর বিষয়ে ব্লগে লিখেছে বলে তাকে কতল করতে হবে।
আপত্তিকর কথা বলে সাধু হতে যাবেন না৷ তোন অবতারের সমালোচনা করাটাই ঠিক নয়৷ অর্থাত আমি যাকে ভালবাসি তাকে কেও খারাপ বললে আমার কষ্ট হবেই৷ এইটা নিয়ম৷
আমি বেঁচে থাকবো কি না জানি না, তবে আজকে একটা কথা বলতে পারি আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে দুটি রাষ্ট্র বিলুপ্তি হবে। কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি এ দুটি রাষ্ট্র হচ্ছে পাকিস্তান ও ইসরাইল। একটি দেশ দক্ষিণ এশিয়াকে অশান্ত করে রেখেছে, আরেকটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্তির মধ্যে রেখেছে। আমেরিকার পতনের সাথে সাথেই এদের পতন হবে। সৌদি আরবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর নাম সৌদি আরব হবে কেন। তারা রসূলের (সা অনুসারী হলে এর নাম হবে মোহাম্মদিয়া। কাবা শরিফের দরজাগুলোর নাম বাদশাহদের নামে দেয়া হয়েছে। কোনো সাহবিদের নামে নয়। বোরখা এবং হিজাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল গাফ্ফার বলেন, এটা হচ্ছে ওয়াহাবিদের সর্বশেষ মতবাদ। বাংলাদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা ও আচার-আচরণ প্রসঙ্গে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে একটা সময় ইরানের ধর্মীয় আচার-আচরণের প্রভাব ছিল। সম্প্রতিকালে সৌদি আরবের আচার-আচরণ বইছে। আগে খোদা হাফেজ বলতাম, এখন বলা হয় আল্লাহ হাফেজ। নারীদের উৎসাহিত করা হয় হিজাব পরতে। হিজাব একটি আরব সংস্কৃতির পোশাক, বাঙালির নয়।
জনাব গাফফার চৌধুরী প্লিজ দয়া করে কোনদিন ধর্মে বাড়াবাড়ি করবেন না৷ আমরা বাঙ্গালী জাতিগত কিন্ত ধর্মগত মুসলিম৷ আমরা ইসলামকে ভালবাসি ইসলাম আমাদের জিবন মরন৷ পোষাকের নাম বাঙ্গালী নয়, বাঙ্গালী হলো সামাজিক আদান প্রদান বিনিময়ের নাম৷ নারীদের পর্দার বিধি বিধান কোরআনিক৷ এইটা মানুষের সৃষ্টি নয়৷ আরব দেশগুলোর মধ্যে শতকরা 29 পারসেন নন মুসলিম রয়েছে তারা হিজাব পড়েনা, তারা তাদের মত করেই চলে৷ হিজাবটা মুসলমানের নির্ধারিত ধর্মীয় পোষাক৷ আপনার ভাল না লাগলে আপনার স্ত্রী কন্যাদের ঊলঙ্গ রাস্তায় বের করে দিন, এতে কোন মুসলিম প্রতিকার করবেনা৷ কারন মুসলিমরা ভেবে নেবে আপনী ধর্ম বহিরাভুত মানুষ৷
বাংলাদেশে নারীদের শাড়ি-টিপ পরা এগুলোর সবই হিন্দুত্ব উল্লেখ করে আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, একবার প্রেসক্লাবের সামনে কিছু নারী ভারতীয় পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাদের সবার পরনে ছিল ভারতীয় শাড়ি। তিনি বাংলাদেশে বিয়েতে হিন্দুত্বের প্রভাব প্রসঙ্গে বলেন, বিয়েতে সাত পাকে বাঁধা ছাড়া সবই আমরা করে থাকি। বর্ষবরণ থেকে শুরু করে সর্বত্রই মিল রয়েছে। তিনি বলেন, গঙ্গার পানিতে আমরা ওজু করতে পারবনা, অথচ গঙ্গার পানির হিস্যা চাচ্ছি।
গাফফার চৌধুরী আপনার জ্ঞান সীমিত তাই আপনার মুখেই অশুভ সংকেত শুভা পায়৷
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আব্দুল গাফ্ফার বলেন, আমেরিকানরা তালেবান সৃষ্টি করে এখন বিপদে পড়েছে। "
আমেরিকায় বসে, আমেরিকা বিরোধী কথাও বলছে?
উহা কি এখনো আছে?
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
আহমদ নূর বলেছেন: [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/aahmednur/30052082|মি গফফার বচন'গাফফার' আল্লাহর ৯৯ সিফাতি নামের অন্যতম একটি। আবদুল গাফফার চৌধুরীর কথা মতে 'গাফফার' শব্দটি কাফেরদের দেবতাদের নাম হলে- আবদুল গাফফার অর্থ হয় দেবতার গোলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ওরা আল্লাহর নুরকে ফু দিয়ে নিভিয়ে ফেলতে চায় , আল্লাহ তার নুরকে পুরা করবেন ।