![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাতৃগর্ভে ভ্রূণ সঞ্চারকালে পিতৃকোষ ও মাতৃকোষে মিলনে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের জিন পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য নিয়ে নতুন কোষে সঞ্চালিত হয়। এগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু জিন ব্যক্তিত্ব গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এইটি জীববিজ্ঞানের কথা। আমার কথা হল, কোন জিনগুলি, কি ধরনের ব্যক্তিত্ব গঠনে, কিরূপ ভূমিকা নিবে, তা নির্ভর করে কিসের ওপর? এর জবাব কি কোন বিজ্ঞান দিয়েছে? এখনও দেয়নি। আমি বলব, অবশ্যই তৎকালীন গ্রহ-নাক্ষত্রিক প্রভাব দ্বারাই তাহা নির্ধারিত হয়। এজন্যই জন্মকালীন গ্রহ-নাক্ষত্রিক অবস্থান বিশ্লেষণকরে কোন শিশুর সারাজীবনের সম্পূর্ণ চিত্র জ্যোতিষবিদ্যার মাধ্যমে অঙ্কন করা সম্ভব। জ্যোতিষরত্ন- শহিদুল ইসলাম মৃধা। https://www.facebook.com/shahidmridhabd [email protected]
সকল মানুষের মধ্যে সকল যোগ্যতা থাকেনা সত্য, কিন্তু কিছু মানুষের মধ্যে কিছু যোগ্যতার বীজ সুপ্ত থাকে যা অনুকুল পরিবেশ পেলে সময়ে তার অঙ্কুর উদ্গম হয়। আর তার সাথে প্রয়োজনীয় জোগান পেলে এবং চেষ্টা থাকলে এক সময় বিরাট মহীরুহে পরিনত হতে পারে। এজন্যই চেষ্টা করে যেতে হবে। জগতে যারা সৌভাগ্যবান তারা চেষ্টা করেই সৌভাগ্য অর্জন করেন বলেই আমরা জানি, কিন্তু আমরা জানিনা তারা যে জন্মগতভাবেই সৌভাগ্যের বীজ বয়ে এনেছেন। আর সেটা জানতে হলে এস্ট্রলজিকে জানতে হবে।
এস্ট্রলজি তথা জ্যোতিষবিদ্যা কারো জন্মসময়, তারিখ ও স্থান সাপেক্ষে গ্রহ-নক্ষত্রাদির ভূ-কেন্দ্রিক অবস্থান (Geo-Centric Position) বিশ্লেষণ করে তার সারা জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বানী করতে পারে। যেভাবে আবহাওয়াবিদ আবহাওয়ার পূর্বাভাস কিংবা ডাক্তার রোগীর রোগ সম্পর্কে বলতে পারেন। তারা যেমন কিছু লক্ষ্মণ দেখে পূর্বাভাস দেন জ্যোতিষবিদ্যাও তেমনি গ্রহ-নাক্ষত্রিক অবস্থান দেখে ভবিষ্যদ্বানী করেন। কারো পূর্বাভাস বা ভবিষ্যদ্বানীতেই সুনিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননা, যা বলেন তা শুধুই সম্ভাবনার কথা। কি সুনিশ্চিত তা শুধু স্রষ্টাই জানেন, কোন মানুষের জানার সুযোগ নেই। এমনকি সৃষ্টিজগতের কেউই তা জানতে পারেননা আল্লাহ্ তায়ালা ব্যতিত এ বিশ্বাস প্রতিটি মুসলমানের অবশ্যই রাখতে হবে।
আর প্রকৃতিতে আমরা আরও অনেক কিছু দেখেই তার সম্ভাবনা আঁচ করতে পারি। যেমনি আমরা একটি বীজ দেখেই বলে দিতে পারি- এ বীজ থেকে কি গাছ, কেমন তার ফুল, পত্র ও ফল এবং কখন তার ফলাগম হতে পারে, কেমন তার স্বাদ ইত্যাদি প্রায় সবকিছুই। এমনকি তার আর্থিক সম্ভাবনা অবধি বলতে পারি। আর এটি বলার জন্য আমাদেরকে সাহায্য করে আমাদের অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা। যার সে অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা নেই সে তা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস দুটোই করতে পারে। তাতে তার কোন ভুল বা পাপ হওয়ার কথা নয়। কেউ বিশ্বাস করলে যে ফল হবে, অবিশ্বাস করলেও সেই একই ফল হবে। যেমন একটি বীজ সম্পর্কে দুজন লোক বিশ্বাস বা অবিশ্বাস দুটোই করতে পারে, ফল কিন্তু একই হবে। নাকি ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে ?
যদি ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে প্রকৃতি আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয় যে আমাদের ভবিষ্যত আমাদের মাঝেই লুকায়িত আছে আমরা কেউ তা খুঁজে নিতে জানি আর কেউ জানিনা। আবার আমাদের মাঝে এমনও কেউ আছেন যারা তা খোঁজ করাটাকেও পাপ বা অপরাধ মনে করে থাকেন। এবার একটু ভেবে দেখুন আপনার কোন দলে থাকা উচিত।
আমার কথা হল যদি বীজ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী পাপ না হয়, যদি আবহাওয়াবিদের পূর্বাভাসে পাপ না হয়, যদি ডাক্তারের রোগীর রোগ সম্পর্কে পূর্বাভাসে পাপ না হয়, তাহলে শুধু জ্যোতিষের উপর পাপ চাপানো কি একপেশে হয়না ? এব্যাপারে সকলকে একটু ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। অথচ কোন ধর্ম সম্ভাবনাময় ভবিষ্যদ্বাণীকে পাপ বলেনি, বলে আমাদের দেশের কিছু অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত মানুষ।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: কোন বিষয়ে মন্তব্য দেয়ার আগে সে বিষয়ে জ্ঞান রাখা দরকার। এস্ট্রলজি বিষয়ে কতটুকু জানেন দয়া করে বলবেন ?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: আবহাওয়ার পুর্বাভাস পুরোপুরি বিজ্ঞানের অংশ। এর সাথে এস্ট্রলজির পুর্বাভাসের কোনই তুলনা চলে না। এস্ট্রলজি হলো পুরোদমে একটি ভাওতাবাজি জ্ঞান!