![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না
দীর্ঘ ১১ বছর পর মাঠে গড়াল বাংলাদেশ গেমস ''৮ম বাংলাদেশ গেমসের এবারের স্লোগান ছিল ''হহদহৃদ্হৃৃদয়ে খেলার স্পনন্দন'' এই স্পনন্দের ডাকে স্ব-পরিবারে হাজির হয়েছিলাম উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য । হজবরল অবস্থায় একটি এক্রিডিটেশন কার্ড ও ১৮ নং গেইটে ৩টি দাওয়াত কার্ডও সংগ্রহ করেছি। দাওয়াত কার্ডের ৪নং ক্রমিকে উল্লেখ্য ছিল সাথে কোন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাদি-মোবাইল,হাতপাখা,ব্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি না নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছেন। যাক সে মোতাবেক বিকাল ৪-৩০ মিনিটে গ্যালারীতে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত ১৮নং গেইটে হাজির হলাম। আমার ছোট মেয়ে রুশমি এটা তার ছোট বয়সে সবছে বড় সারপ্রাইজ-সে'তো গেইটে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের দেখে হ্যাঁ করে তাকিয়ে ছিল। এদের মধ্যে এলিট ফোর্স র্যরেব'কে দেখে সে খুবই মজা করে আমাকে প্রশ্ন করল আব্বু মাথায় ও গাঁয়ে কালো পোষাক পরা এর কারা। মেয়ের বুদ্ধিতীপ্ত প্রশ্ন দেখে আমি ওকে রেব সম্পর্কে ধারণা দিলাম। গ্যালারীতে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত গেইটে গেলে সংশ্লিষ্টরা অন্য গেইটে যাওয়ার জন্য পথা দেখালো । তাদের দেখানো পথে হাঁটা ধরলাম ১৬ নং গেইটের দিকে । গিয়ে দেখি অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবার ও বাচ্ছা নিয়ে গ্যালারীতে প্রবেশের কোন উপায় নেই। কারণ নিয়ম-কানুনের কোন বালাই নেই। নিরাপত্তা যন্ত্রটি মানুষেল ভীড়ের চাপে অটো ভাবে খুবই স্লো-মোশানে অন্যত্র সড়ে যাচ্চে। গেইটের যারা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে তাদের হাক-ডাক ও চেচামেছিতে বিছরি অবস্থা। একবার ভাবলাম যে ফিরে যাবে-আবার সাহস নিয়ে প্রবেশের জন্য মেয়েকে কোলে নিয়ে সামনে পা বাড়ালাম। যখনই মূল ফটকে পা বাঁড়ালাম তখন পিছনে ফেরার আর কোন উপায় নাই। ঠিক ঐ মূহর্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্য অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। আমার প্রশ্ন হলো-এতো বড়ো আয়োজনে কেন আগে থেকেই পরিকল্পনা মোতাবেক দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা করা হলোনা । কাঠখড় পুড়িয়ে ভিতরে গিয়ে বসার জন্য ৩টি আসন পেয়েছি। বসার কিছুক্ষন পর হঠাত লক্ষ্য করলাম মাঠে বসানো বড় টিভির স্কীনে অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি ও তথ্য উপাত্য বেশে উঠছে। এর মাঝে আসাদুজ্জামান নূর এর ছবিও দেখেতে পেলাম। তখন মনে পড়ল তার প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক এর তত্ত্বাধানে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানটি পরিবেশিত হচ্ছে। মাঠের চারপাশে লাগানো বড় সাউন্ড বক্সে বিকট আওয়াজে বিভিন্ন ব্যান্ডের গান-মিউজিক বাজানো হচ্ছে । আমার মেয়েটি গ্যালারীপূর্ণ দর্শক দেখে খুবই মঝা পাচ্ছে এবং মিউজিকের তালে তালে সেও মুখে ভিড় ভিড় ও শরীর হেলানো দেখে সান্তনা পেলাম যাক আসা সার্থক হয়েছে। মেয়ে খুশিতো আমি ও তার মা খুশি। দায়িত্বপ্রাপ্ত এশিয়াটিকের পরিবেশনার চাইতেও গ্যালারীতে দর্শকদের গ্যালারী শো-ই বেশী সুন্দর হযেছে। দীর্ঘ অপেক্ষা ও বিরক্তিকর মিউজিকের পর মাননীয় প্রধামন্ত্রী আসার পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যে প্রত্যাশা ও আগহ্র নিয়ে গ্যালারীতে প্রবেশ করেছি আশানুরুপ কিছুই হয়নি।আতশ বাজি অনুষ্ঠানটি ঠিকই ভালো লেগেছে কিন্তু অনর্থক পয়সার অপছয় হতে দেখে খারাপ লাগছে। সবই পুরানো প্রদর্শনী । যাক তবুও দীর্ঘ বিরতীর পর গেমসটাতো হলো। সর্বশেষ মূল্যায়ন হলো-অনুষ্ঠানটি মন্দের ভালো হয়েছে।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আপনার লেখা পরে মেনে হচ্ছে মিস করলাম।
আপনার ছোট্ট মেয়েটির জন্য শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সোহানী বলেছেন: হুম......কোটি টাকার আতশবাজি... গরীবের কি শখ আহ্লাদ নেই....