![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না
আমাদের দেশে বর্তমানে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে অনেক স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান করতে হলে সরকারী বিধি মোতাবেক যে সমস্ত শর্তাবলী থাকে তা কি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ৫০% পূরন করে। যেমন দরুণ-প্রস্বস্থ মাঠ, খেলাধুলার প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জামাদীসহ অন্যান্য আনুসাংগিত বিষয়াদি ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে দেশের অধিকাংশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষক নাই এবং খেলাধূলার কোন ব্যবস্থাই নাই। অথচ ক্রীড়া মন্ত্রনালয় তৃনমূল পর্যায়ে এই খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। কিন্তু এর ধারাবাহিকা রক্ষা হচ্ছে কিনা তার খবর আর কেউ রাখেনা। বর্তমানে আমাদের বাচ্চারা এমনিতে ফার্মের মুরগীল মত আবদ্ধ জায়গায় অবস্থান করে আসছে। তার উপর স্কুলে গিয়ে যে দৌঁড় ঝাপ করবে তার ব্যবস্থাও তাদের জন্য সীমিত হয়ে আসছে।
গত ২১/১১/২০১৩ তারিখে ডি-ডাব্লিউ নিউজে প্রকাশিত এই সংক্রান্তে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হযেছে। প্রতিবেদনটি আংশিক চম্বুক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-
আজকের বাচ্চারা তাদের বাবা-মায়েদের মতো ফিট নয় । ৩০ বছর আগে বাবা-মায়েরা এক মাইল দৌঁড়াতে যতটা সময় নিতেন, তাদের বাচ্চারা আজ তার থেকে ৯০ সেকেন্ড অর্থাৎ প্রায় দেড় মিনিট বেশী সময় নেয়। ১৯৭৫ সাল যাবৎ ৯ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিশু-কিশোরদের মধ্যে হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত 'ফিটনেস' প্রতি দশ বছরে ৫ শতাংশ করে কমে আসছে। আমেরিকান হার্ড এ্যাসেসিয়েশন বলছে, এই পথম প্রমান হলো সারা বিশ্বে শিশুদের ফিটনেস গত তিন দশক ধরে কমছে। পেডিয়াট্রিসিয়ানরা তা-তে বিশেষ আশ্চর্য হচ্ছেন না, কেননা শিশুরা আজ আগের চেয়ে কম এ্যাকটিভ বা সক্রিয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের পরিসংখ্যান থেকেও দেখা গেছে যে, বিশ্বব্যাপী শিশু-কিশোর-তরুনদের ৮০ ভাগ পর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম করছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছ'বছর কিংবা তার কম বয়সের শিশুদের সারাদিনে অন্তত এক ঘন্টা শারীরিক পরিশ্রম হওয়া উচ্তি। নতুন এ জরিপটি আলোড়ন তুলেছে আর তা-তে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অষ্ট্রেলিয়া এক্সারসাইজ ফিজিওলজিষ্ট গ্রান্ট টমকিনসন। জরিপগুলি ছিল ৯ থেকে ১৭ বছরের শিশু কিশোরদের নিয়ে। এ সব তথ্য ২৮টি দেশের আড়াই কোটি শিশুদের নিয়ে সংগৃহিত হয়েছে ১৯৬৪ থেখে ২০১০ সাল অবধি।
উপরের জরিপটি পর্যালোচনা করে আমাদের বাচ্চাদের অবস্থা বিবেচনা করলে এখনই চিন্তিত হতে হয়। কাজেই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ্ রাখার প্রয়োজনে দেশের সকল স্কুল কলেজে খেলাধুলার ব্যবস্থাকরণ সহ ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দেয়া উচ্তি নয় কি ????????????????????????????????
©somewhere in net ltd.