![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না
জনাব একে খন্দকার সাহেব মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তি বাহিনীর দ্বিতীয় চীফ ইন কমান্ডার ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সৈনিক। দীর্ঘদিন তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং চাকুরী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি পাকিস্তানেই কাটিয়েছেন । যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ব পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বোপরি তিনি সুবিধাযোগীদের কাতার হিসেব করলে ১ নাম্বার কাতারের সবচেয়ে উপরের নাম্বারে তাঁর নাম ছিল। বর্তমান জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে তাঁর ছন্দ পতন হওয়াতে তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্দ নিয়ে বিভ্রান্তমূলক তথ্য সম্বলিত একটি বই লেখেন যার নাম ১৯৭১ এর ভেথর বাইর। যদিও বইচি আমার সংগ্রহে নাই। তদুপরী বাংলাদেশ প্রতিদিনের বৌদলতে ধারাবাহিকটি পরে এবং এর বিপক্ষে সম্মানীত ব্যক্তিদের বিবৃতি/মতামত পড়ে আমার ধারনা হয়েছে যে, জনাব একে খোন্দকার সাহেব সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্য প্রনৌদিত হয়ে এই বইতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উনি কি আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি একবারের জন্যও শুনেননি-যে ভাষনে তিনি বলেছিলেন ''এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম-আমি যদি হুকুম দেবার না-ও পারি তোমাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়ে শক্রুর মোকাবেলা করতে হবে'' এবং ভাষনটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ্ ১০টি ভাষণের সবচেয়ে উপরের সারির ১টি ভাষণ। তবে কেন আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে হবে। ঘোষনাতো ৭ই মার্চেই দিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ প্রসংগে ৮ই সেপ্টেম্বর,২০১৪ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত আমাদের দেশীয় ৪ খলিফার ১ খলিফা জনাব আ,স,ম আব্দুর রব সাহেব এর ''বঙ্গবন্ধুর নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে বিশেষ প্রতিবেদনটি পড়লেই ভিতর সম্পর্কিত সব তথ্য জানাযাবে।
জনাব একে খন্দকার সাহেব একজন সৈনিক তিনি সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তখনকার বাহিরের খবরই বেশী রাখবেই এটাই স্বাভাবিক-কাজেই তিনি ভিতরের খবর কি জানবেন।
এ মুহুর্তে আমার যে কথাটি সবচেয়ে বেশী মনে পড়ছে সেটি হচ্ছে কথা সাহিত্যিক সরত চন্দ্র চট্রোপধ্যায় রচিত পধের দাবী নামক বইটি বিশ্বকরি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে উতসংর্গ করে বইটি সম্পর্কে একটি বানী দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন-প্রতিউত্তরে কবি গুরু লিখেছিলেন আমি বুহুদেশ গুরেছি,বহু সরকার দেখেছি,কিন্তু আমাদের ভারত বর্ষের (তখনকার সরকার) সরকারের মত সহনশীর সরকার কোন দেশে দেখি নাই-অন্যকোন দেশে হলে তোমার এই বইটি নিষিদ্ধ করা হতো। আমার দেশের সরকার সহনশীল বনে তোমার বইটি এখনও নিষিদ্ধ হয়নি।
কবিগুরুর মতো করে আমিও বলতে চাই যে,আমার দেশের সরকার সহনশীল বলে খন্দকার সাহেবেই বইটি এখনও নিষিদ্ধ হয়নি।
সবশেষে বলতে চাই যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় চীপ ইন কমান্ডার এবং মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য জনাব খন্দকার সাহেবকে অশেষ ধন্যবাদ। তার সাথে সাথে এও বলতে চাই যে, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ষৃষ্টি করে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তি যুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের প্রতি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আপনার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। এ জন্য আপনি ইতিহাসে কলংকিত হয়ে থাকবেন। আমাদের আগামী প্রজন্ম আপনাকে কখন মাফ করবে না ।
আমি আপনার এই বিতর্কিত বইটি আমাদের তরুন প্রজন্মকে এড়িয়ে চলার জন্য সনিবন্ধ অনুরোধ করছি এবং সাথে সাথে এও বলছি যে, বইটি বাজেয়াপ্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে তাতো কেউ জানেনা! ইতিহাস শুধু বিজয়ীর কথাই বলে।
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে তাতো কেউ জানেনা! ইতিহাস শুধু বিজয়ীর কথাই বলে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
হেডস্যার বলেছেন:
তা এই শেষ বয়সে এসে তিনি এইরকম একটা ডাহা মিথ্যা করা বললেন কেন? আপনার কি মনে হয়?