![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ির পাশে ২ দিন ব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে। মাহফিলের আয়োজক এলাকার পয়সাওয়ালা গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তবে ওয়াজের দর্শক মূলত বেশীর ভাগই নিম্নবিত্তের লোকজন। হুজুর গলার আওয়াজ যত সম্ভব বাড়িয়ে ওয়াজ করছে। ওয়াজের এক পর্যায়ে গরীবদের উদ্দেশ্যে, তোমারা গরীব দারিদ্র এই দরিদ্রতা তোমাদের দিছে আল্লাহ্য় পরীক্ষা করার জন্য। দুই দিনের এই পরীক্ষায় পাশ করলেই চির শান্তির বেহেস্ত চলে যাবে। তাই আল্লাহ্র রাস্তায় দানের সময় তোমাদের এই দারিদ্রতা প্রকাশ কইরো না। আরে মিয়া, এই দারিদ্রতা আল্লাহ্র রহমত! এই দারিদ্রতার জোরে বড়লোকের পাঁচশত বছর আগে বেহেস্তে যাইবা।
গরীব ব্যক্তি তার চরম অভাব অনাটন দুঃখ দারিদ্রময় হতাশাগ্রস্ত জীবনে, হুজুরের এই কথায় কিছুটা মানুষিক প্রশান্তি হয়ত পায়। উচ্চবিত্তের দ্বারা শোষিত অবহেলিত হওয়ার জ্বালা কিছুটা হলেও উপশম হয়ত হয়। বাড়তি পাঁচশত বছর বেহেস্তি জীবনের অলীক কল্পনা সাহায্যে, নিজের অনেক না পাওয়া, দুঃখ কষ্টের জীবন নিয়ে অভিযোগের ইচ্ছাও কমে যায়।
কিন্তু কথা হলো সারা জীবনের অভিশপ্ত দারিদ্র দুর্দশার বিনিময়ে বড়লোকের আগে পাঁচশ বছর বেহেস্ত কোন বিবেচনায় উপযুক্ত প্রতিদান হয়? যেখানে ছোট খাট সওয়াব ও গুনার জন্য শত শত বছর বেহেস্ত দোযখ দিয়ে দেয় হয়। এক্ষেত্রে এত কার্পণ্য কেন? দুনিয়া সাপেক্ষে পাঁচশ বছর অনেক মনে হলেও, বেহেস্তের অনন্ত অসীম কাল সময়ের কাছে পাঁচশত কেন যে কোনও সংখ্যাই অতি তুচ্ছ। এই প্রতিদান অনেকটা গরু মেরে পিঠ চাপরে দেয়ার মত। আর গরীব ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পরপরই দোজখবাসী হয়। পরকালে সেই ব্যক্তি দুনিয়ায় ঈশ্বর প্রদত্ত দারিদ্র দুর্দশার ফল কী পাবে?
প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম গুলো মূলত দরিদ্র নিম্নবিত্তের শোষিত শ্রেণীর স্বার্থ নিয়ে খুব একটা ভাবিত চিন্তিত নয়। বরং উল্টো শাসকের অনুকূলে শোষণ করার উপযোগী। শাসক শ্রেণী ও ধর্মজীবি মোল্লা পুরোহিতেরা, এক সময় একে অন্যর পরিপূরক ছিল। মোল্লাদের ধর্ম ও ধর্মের প্রসার, রক্ষা, প্রতিরক্ষা, প্রশ্ন ও বিরোধিতা দমনের জন্য ক্ষমতাশালী শাসক শ্রেণীর ক্ষমতার প্রয়োজন পরে। অপর দিকে, শাসকের শোষণকার্য নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতে মোল্লা পুরোহিতের বিকল্প নাই। শোষণ দমন পীড়ন নিয়ে যাতে শোষিত শ্রোণীর মধ্যে প্রশ্ন না জাগে, সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেয় মোল্লাদের হাতে। তারা মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা লোভ ভয়ভীতির মত স্বাভাবিক প্রবৃত্তি গুলো কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের মগজ ধোলাই করে যায় বিরামহীন ভাবে। বেহেস্তর লোভ ও দোযখের ভয় সহ যাবতীয় জিজ্ঞাসার উত্তর নিয়ে আজগুবি বানোয়াট ঈশ্বরের গল্প ফেঁদে বসে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
শহিদুল বলেছেন: সে তো চলবেই! সম্মানজনক প্রতারণামূলক ব্যবসা!!
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে আর কোন সমস্যা নাই যে ইহা লিখে ব্লগিং করতে হবে। লিখার মত আরো অনেক ইস্যু আছে। সেগুলো তুলে ধরেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
শহিদুল বলেছেন: লেখার জন্য কোন বিষয় বেছে নিবো
সেটা আগে আপনার সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে?
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১
আহলান বলেছেন: হেডিংটা ভালো লাগছে ...! হিহিহি .... !!!
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
শহিদুল বলেছেন: লেখা ভালো লাগে নাই?
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
আশফাক ওশান বলেছেন: মগজ ধোলাই বটে!
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
শহিদুল বলেছেন: হুম...
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে আর কোন সমস্যা নাই যে ইহা লিখে ব্লগিং করতে হবে। লিখার মত আরো অনেক ইস্যু আছে। সেগুলো তুলে ধরেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
শহিদুল বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখার জন্য কোন বিষয় বেছে নিবো
সেটা আগে আপনার সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে?
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
যদি এটা বলেন,' তাহলে সেটা ফালতু পেচাল পাড়া হবে।
কে বলেছে অামার কাছে পরামর্শ নিতে?
তাহলে অাপনি অামার কমেন্টের এই অর্থ বুঝেছেন?
বাহ! খুব ভালো লাগলো।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেখানে মূর্খ বেশী সেখানে মগজ ধোলাই ততো সহজ
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
শহিদুল বলেছেন: সহমত।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
আবদুল মমিন বলেছেন: নাই কাজ তো খই ভাজ ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
শহিদুল বলেছেন: যার যা অভ্যাস।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৫
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ধর্ম ব্যবসায়ী আর ধর্মের নামে মিথ্যা রটনাকারী দুটোই বিপথের লোক.......।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪১
শহিদুল বলেছেন: ধর্ম ব্যবসা ও মিথ্যা রটনা দুইটাই ক্ষতিকর।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: মোটা অংকের অর্থের বিনিময় গরিব দুঃখীর পয়সায় মোরগ পোলাও খেয়ে ঢেঁকুর তুলে জ্ঞ্যান দান করা অনেক সহজ। বেহেশতে কে যাবে কে যাবে না এর বিচার এক মাত্র আল্লাহ্ জানেন। আর দারিদ্রতা অভিশাপ না সৌভাগ্য এটা জ্ঞ্যান দান কারিকে দারিদ্রতার গরম চুলায় ফেলে দিয়ে দেখা যাক কি বলেন উনি।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
বিজন রয় বলেছেন: বুঝলাম তো কিন্তু আপনার অন্য পোস্টগুলো কই?
৯ বছরে তো মাত্র আজকের পোস্টি থাকার কথা নয়।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা চলুক।