![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবজাতির যাবতীয় মন্দ কাজ শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে!!
প্রশ্নঃ ইবলিসকে মন্দ কাজের প্ররোচনা কে দেয়?!! কার প্ররোচনায় পরহেজগার ইবলিস প্রথম মন্দ কাজ তথা অহংকারী হয়ে আল্লাহ্র আদেশ সরাসরি অমান্য করে আদমকে সেজদা করতে অস্বীকার করেছিল?!!
এই বিষয়ে আমরা কোরআনের সূরা আরাফের ১৬ নাম্বার আয়াতে দেখি...
"সে (ইবলিস) বলল, ‘আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, সে কারণে অবশ্যই আমি তাদের জন্য আপনার সোজা পথে বসে থাকব।"
এখানে ইবলিস সরাসরি আল্লাহকে দোষারোপ করে বলেছে "আপনি (আল্লাহ্) আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন"! এবং ইবলিসের এই অভিযোগ আল্লাহ্ অস্বীকার করে নাই!! এখানে থেকে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে পরহেজগার ইবলিসকে স্বয়ং আল্লাহ্ই মন্দ কাজে প্ররোচিত করে পথভ্রষ্ট করেছেন!! এক্ষেত্রে ইবলিসের দোষ কোথায়?!
আল্লাহকে কখনই কেউ দেখে নাই! তার অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারে নাই!! তারপরেও শুধুমাত্র কোরানের বাণীতে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে বিশ্বাসীরা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং প্রচন্ড রকমের ভয় করে!! এমন কোনো বিশ্বাসী মুমিনকে পাওয়া যাবে না যার মনে আল্লাহ ভীতি বা পরকালের শাস্তির ভীতি নাই!! কথা হলো বিশ্বাসীরা না দেখেই যে আল্লাহকে ভয় করে তার প্রতিটা বিঁধান মেনে চলার অন্তত চেষ্টা করে থাকে!! সেখানে স্বয়ং আল্লাহ্র সামনে থেকে এবং স্বয়ং তার মুখ থেকে বলা কোনো আদেশকে অমান্য করার দুঃসাহস বা স্পর্ধা সৃষ্টি জগতের কোনো প্রাণী বা বস্তুর হতে পারে এখন গল্প বিশ্বাসযোগ্য কি?!!
ইবলিস আগুনের সৃষ্টি বলে অহংকার করলো সে মাটির সৃষ্টি মানুষকে সেজদাহ করে নাই!! শয়তানের মতে আগুন উচ্চমানের আর মাটি নিম্নমানের পদার্থ!! প্রশ্ন হলো পদার্থ নিয়া শয়তানের এমন ধারণা ও মূল্যয়নবোধ কি ভাবে ও কেন হলো ?! শয়তান কি ভাবে নির্ধারণ করলো আগুন উচ্চমানের আর মাটি নিম্নমানের পদার্থ!!
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
সিফটিপিন বলেছেন: ইবলিসটা কে? ইবলিসকে দেখেছেন?
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
মিঃ সালাউদদীন বলেছেন: তাসলিমা নাসরিন সাজতে চেয়েছেন, তাই না ? অন্যথায় লেখার জন্য এটা কোন বিষয় হলো ?
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ফাউল। ১০৭৮ বার পঠিত??? আরেকটু চেষ্টা করেন???
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এটাকে আলোচিত পাতায় আনতে আপনাকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে!
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০২
কাউয়ার জাত বলেছেন: প্রথমতঃ
আপনিতো সেই সব মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত নন যারা আল্লাহকে ভালবাসে ও ভয় করে। তাদের নিকট আল্লাহর অস্তিত্ব যেমন সত্য, আল্লাহর বাণীও তেমন সত্য, এ কারণে উপরোক্ত ঘটনাও তাদের নিকট খুবই সত্য। আর আপনিতো প্রথমটাকেই অবিশ্বাস করে বসে আছেন অতএব দ্বিতীয়টি বিশ্বাসযোগ্য কি না সেই প্রশ্ন করাটাই আপনার বাড়াবাড়ি।
দ্বিতীয়তঃ
আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি যা খুশি তাই করবেন। যাকে খুশি হেদায়েত দিবেন। যাকে খুশি পথভ্রষ্ট করবেন। যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন। পছন্দ না হলে আপনি আল্লাহর বিরুদ্ধে করতে পারেন। এ স্বাধীনতা আপনার আছে।
তৃতীয়তঃ
এখানে উপলব্ধির বিষয় হচ্ছে ইবলিস জ্বিন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। মানুষ এবং জ্বিন এই দুই প্রজাতিকে কর্মের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। আপনি অন্ধ অবিশ্বাসী তাই প্রশ্নবিদ্ধ করার নেশায় যুক্তি দিলেন যে, মানুষ যেখানে না দেখেই আল্লাহর আদেশ অমান্য করার সাহস পায়না সেখানে ইবলিস আল্লাহর সম্মুখে থেকে কিভাবে তাঁর আদেশ অমান্য করল?
উত্তরে আপনার প্রতি পাল্টা আমার প্রশ্ন-
কেন, মানুষ এবং নবী হযরত আদম (আ)ও কি একই সময়ে স্বয়ং আল্লাহর থেকে শোনা আদেশ অমান্য করেননি? এ ঘটনাতো ইবলিসের ঘটনার পাশাপাশিই কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যুক্তিতো দিয়েছিলেন খাসা! কিন্তু আফসোস! জলে গেল।
সর্বশেষ, আপনি প্রশ্ন করেছেন। তারমানে আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে পারেন। আপনার কি মনে হয় যে এই চিন্তা শক্তি এটা বিবর্তনের মাধ্যমে বানর আর নেংটি ইঁদুর থেকে পেয়েছেন?
১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯
শহিদুল বলেছেন: তিনি যদি তাঁর খুশি মত যাকে ইচ্ছা হেদায়াত দেন বা পথভ্রষ্ট করে থাকেন তবে মানুষ বা জ্বিনের ব্যক্তি-স্বাধীনতা থাকে কী ভাবে?! আর ব্যক্তি-স্বাধীনতা না থাকলে পাপ পুণ্যর দায় কেন তারা বহন করবে?!!
আপনি এখানে পাল্টা আমারই মত একটা প্রশ্ন রেখেছেন শুধু আমার প্রশ্নের যথাযোগ্য কোনো উত্তর দিতে পারেন নাই!! ইবলিস বা আদম যেই হোক না কেন আমার তো প্রশ্ন এটাই যে স্বয়ং আল্লাহ্র সম্মুখে থেকে বা তাঁর নিজের দেয়া আদেশ অমান্য করতে পারে এমন গল্প বিশ্বাসযোগ্য কি না?!!
আদমের ব্যাপারটাও ইবলিসের থেকে ভিন্ন, আদমকে ইবলিস প্ররোচিত করেছে! সে প্ররোচনায় না পড়ে নিজে থেকেই করে নাই! এবং ইবলিসকে এই প্ররোচিত করার সামর্থ্য আল্লাহই দিয়েছে!! এখানেই আমার প্রথম প্রশ্নটা যে ইবলিসকে তাহলে কে প্ররোচিত করেছে?!! সূরা আরাফের ১৬ নাম্বার আয়াতে দেখা যাচ্ছে ইবলিস আল্লহকেই অভিযুক্ত করেছে এবং আল্লাহ্ তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করে নাই!!
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শয়তান একটি জিন। তাকে দেখা যায় না। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে শয়তানের অস্তিত্ব প্রমাণ করে কেউ যদি নোবেল পুরস্কার পান সেটা একটা বিরাট ব্যাপার হতে পারে।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০০
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: জ্বিন এবং মানুষকে আল্লাহ বিবেক বুদ্ধি দিয়েছেন, আর দিয়েছেন নিজ কর্মের স্বাধীনতা। আল্লাহ চাইলেই সবাইকে বিশ্বাসী বানাতে পারতেন, কিন্তু তিনি দেখতে চেয়েছেন কারা কারা প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বাসী। সেজন্যই আপনার মত অবিশ্বাসীরা এখনো এ পৃথিবীতে আছেন। সুতরাং, আপনি একজন মানুষ হয়ে আল্লাহকে অবিশ্বাস করতে পারলে, জ্বিন (শায়েতিন) কেন পারবে না? মানুষের মত তাদেরও নিজ কর্মের, চিন্তাভাবনার স্বাধীনতা। সুতরাং, 'স্বয়ং আল্লাহ্র সামনে থেকে এবং স্বয়ং তার মুখ থেকে বলা কোনো আদেশকে অমান্য করার দুঃসাহস বা স্পর্ধা সৃষ্টি জগতের কোনো প্রাণী বা বস্তুর হতে পারে এখন গল্প বিশ্বাসযোগ্য কি?!!' কথাটা বলার আগে দয়া করে নিজের দিকে তাকান।
দ্বিতীয়ত, আপনি যদি বুঝতে পারেন মাটির থেকে অবশ্যই আগুনের ক্ষমতা বেশি, তাহলে শয়তান কেন পারবে না? এখানেও আরেকবার বলছি, জ্বিন আর মানবজাতিকে আল্লাহ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
শহিদুল বলেছেন: আপনি আপনার আল্লাহ্র ক্ষমতাকে খাটো করে দিয়েছেন!!
"কিন্তু তিনি দেখতে চেয়েছেন কারা কারা প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বাসী।" এর মানে কি কারা বিশ্বাসী না অবিশ্বাসী হবে উনি জানেন না?!!
আর এটা জেনেও উনার স্বার্থ কী?!!
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩২
এম আর তালুকদার বলেছেন: মানুষ এবং নবী হযরত আদম (আ)ও কি একই সময়ে স্বয়ং আল্লাহর থেকে শোনা আদেশ অমান্য করেননি? এ ঘটনাতো ইবলিসের ঘটনার পাশাপাশিই কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যুক্তিতো দিয়েছিলেন খাসা! কিন্তু আফসোস! জলে গেল।
বাহ ! কাউয়ার জাতের উত্তরটা বেশ খাসা হয়েছে।
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫১
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: এ মহা জগত বিশ্লেষণ করে কি মনে হয় ফেরেশতা ,শয়তান,জ্বীন,মানুষ,সকল জীব ও জড় সব কি উড়ে এসে জুড়ে বসে আছে ?! এত বুদ্ধিমান হয়েও স্টিফেন হকিং কে ও যেতে হল ,আর পুরো দুনিয়া শুধু ৪০ বছর নির্বাক চেয়ে থাকা নিথর এই মানুষ টি দেখে কি শিখল ,কি চিনল !? নাকি ব্ল্যাক হোলে হারিয়ে যাচ্ছে আপনার মত !?
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:২৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শয়তান বা ইবলিশ খোঁজার জন্য কারোরই এতো গবেষণার কোনোই প্রয়োজন নেই | বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন কিসিমের লক্ষ্ লক্ষ্ শয়তান বা ইবলিশ আছে যাদের কষ্ট করে খুঁজতে হয় না | আপনার মধ্যে কোনো মহামূল্যবান গুণাবলী বা কোনো সম্পদ থাকলে ওই শয়তান বা ইবলিশগুলোই আপনাকে খুঁজে নিবে |
১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
বারিধারা ৩ বলেছেন: বাংলাদেশ সরকারের কুরআন বিষয়ক ওয়েবসাইট http://www.quran.gov.bd/home/selectSura.html তে আপনার উল্লেখিত আয়াতের অনুবাদ করা আছে এরকমঃ
তবে আপনি যে অনুবাদ করেছেন, তার ব্যখ্যা আছে। পথভ্রষ্ট মানে লক্ষ্যভ্রষ্ট করাও বুঝায়। ইবলিসের লক্ষ্য ছিল ফেরেশতাদের সরদার হওয়া বা আল্লাহ্র অনুগতদের মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া। কিন্তু আল্লাহ তাকে যে শাস্তি দিলেন, এজন্য সে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে। এটা আল্লাহ্র জন্য হয়নি - তার নিজের কৃতকর্মের কারণেই হয়েছে।
আপনার লক্ষ্য ছিল এমডি হওয়া, চেয়ারম্যান আপনাকে হঠাৎ ফায়ার করে দিল। আপনি কি ছেড়ে কথা বলবেন? দু' কথা শুনিয়ে আসবেন না?
মাটিকে নির্জীব ধরা হয়, পড়ে থাকে - কোন দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড নেই। স্বাদহীন, বর্ণহীন এবং গন্ধহীন পদার্থ - যার স্থান পায়ের নীচে। মাটির মধ্যে ময়লা ফেললেও কিছু হয়না। কিন্তু আগুন সর্বগ্রাসী, যেখানে ছড়ায় - সেখানে কোনকিছুর অস্তিত্ব রাখেনা। আগুনের তান্ডবে সব ম্যাসাকার হয়ে যায়। ভেতরে যাই থাক - মানুষ প্রথমে দর্শন ধরে, পরে গুণ বিচার করে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শহিদুল বলেছেন: আমি এখান থেকে নিয়েছি! অনুবাদক যদি ভুল অনুবাদ করে থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত! http://www.learnquranbd.com/content/293.html
১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হেতেরে শয়তানে নাড়েচাড়ে।
১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
Hermes বলেছেন:
সৃষ্টিতত্ত্বের রহস্য বা আত্মপরিচিতি মুলক জ্ঞান প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্তজরুরী বিষয়। কেননা প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজের অবস্থান, ক্ষমতা, সূচনা এবং শেষ পরিণতি বা গন্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান না রাখলে সে নিজের কল্যাণ ও অকল্যাণ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারবে না। তাই আমাদেও নিজ সত্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হল তার সম্বন্ধে যথাযথ জ্ঞান লাভ করা।
একইভাবে আমরা এই বিশাল সৃষ্টিজগতের একটি সৃষ্টজীব যে নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করিনি বরং তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি যদি নিজেকে সৃষ্টি করতাম তাহলে অবশ্যই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি রূপে তৈরী হতাম। অথচ আমি তেমনটি নই। শুধু তাই-ই নয় আমার বর্তমান অস্তিত্বকে যদি আমিই সৃষ্টি করে থাকবো তাহলে আমার এই সৃষ্টির পূর্বে আমার অস্তিত্ব অনিবার্যবশত থাকতে হবে; যা সম্পূর্ণ রূপে একটি অসম্ভব কল্পনা।
এমনকি আমরা যদি মনে করি আমাদের মত কোন সৃষ্টি আমাকে অস্তিত্ব দান করেছে সেক্ষেত্রেও ঐ একই প্রশ্নের সম্মুখীন হব। যে সত্তা আপন অস্তিত্ব লাভে অন্যের মুখাপেক্ষী সে কিভাবে তার মত অন্য একটি অস্তিত্বকে সৃষ্টি করবে ? আর যদি এমনটি ধারণাও করি যে অন্য একটি সৃষ্টি তাকে অস্তিত্ব দান করেছে; এভাবে সৃষ্টি পরম্পরায় অপর সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করে আসছে। তাহলে প্রথম সৃষ্টিকে কে অস্তিত্ব দান করলো ; এপ্রশ্ন থেকেই যাবে। এভাবে এই সৃষ্টিচক্র এক পর্যায়ে যেয়ে অবশ্যই পরিসমাপ্ত হতে হবে নতুবা এটা হবে একটি দুষ্ট চক্র যা দর্শনে বাতিল যুক্তি বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর এছাড়া সৃষ্টি অর্থই হচ্ছে যা এক সময় ছিল না এবং এক সময় আবার থাকবে না। তাই এই অস্তিত্ব প্রদানে এমন এক মহাশক্তির প্রয়োজন যে এই সৃষ্টি সমূহের পূর্বে থাকবে এবং সৃষ্টি সমুহের স্থায়ীত্ব কালব্যাপীও তাকে থাকতে হবে।
এমন কি যদি বস্তুবাদীদের মত ধারণাও করি যে মানুষ প্রকৃতির সৃষ্টি। তাহলে আমরা যে প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হব তাহল প্রকৃতিকে কে অস্তিত্ব দান করলো? এ ক্ষেত্রে আরও একটি প্রশ্ন হচ্ছে সৃষ্টির বৈশিষ্ট্যগুলো স্রষ্টার মধ্যে অবশ্যই পূর্ণরূপে অবস্থান করতে হবে। অথচ মানুষের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্যগুলো আছে তার অধিকাংশই প্রকৃতির মধ্যে নেই। প্রকৃতি হল সম্পূর্ণরূপে বস্তুসত্তা আর মানব প্রকৃতিতে বস্তুসত্তা বর্হিভূত অনেক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। প্রকৃতি বা বস্তু অর্থ আধাঁর/ আড়াল তাই বস্তুর বৈশিষ্ট্য হল সে তার নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। আর এক্ষেত্রে মানুষকে বলা হয় স্বজ্ঞেয় সত্তা যে তার নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবগত আছে বা জ্ঞান রাখে।
‘big bang’ বিরাট বিস্ফোড়নের সূত্রও আরেকটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কল্পনা বৈ ভিন্ন কিছু নয়। এটা বস্তুবাদী জ্ঞানের চুড়ান্ত ফল হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে। এবিষয়টি এমন একটি তথাকথিত বুদ্ধিমান মানুষদের ধরণা যারা নিজেদেরকে বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধারক বলে মনে করেন। তাদের সূত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ হল বিশ্বে কোন কিছুই ছিল না হঠাৎ মহা বিস্ফোড়ন ঘটে এই মহা জগতের সৃষ্টি হয়েছে। এধরণের যুক্তিশুন্য কথা রাজার নতুন পোষাকের মত জ্ঞানীদেরও বোকা বানিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম প্রশ্ন হল, মহাশুন্য কথার কোন বাস্তব রূপ আছে কি ? বা মহাশুন্যের কোন অস্তিত্ব আছে কি ? বস্তুজগতে [বস্তুবাদী চিন্তায়] কোন মহাশুন্য কল্পনা করা সম্ভব কি ? আদৌ সম্ভব নয়। কেননা তাদের ধারণা অনুযায়ী বস্তুর বাইরের কোন অস্তিত্ব সমান অনাস্তিত্ব । তাই এধারণা অনুযায়ী ‘কিছুই ছিল না’ থেকে ‘সব কিছু হয়েছে’ এটা ঘোড়ার ডিমের মত বিষয় যে, ঘোড়া কখনো ডিম পাড়ে না; কিন্তু একবারই একটা ডিম পেড়েছে।
আরো মজার ব্যাপার হলো তাদের কথা অনুযায়ী কোন কারণ ছাড়া কার্য সংঘটিত হয় না। অথচ এক্ষেত্রে তারা বোকার মত গ্রহণ করে নিয়েছেন যে এই একটি ঘটনায় কোন কারণের প্রয়োজন পড়েনি।
অতএব বস্তুবাদীদের বস্তুর সীমানায় সৃষ্টিজগতের সূত্র নিয়ে এর বেশী ব্যাখ্যা প্রদান আদৌ সম্ভব নয়। এমনকি যদি ধরেও নেয়া হয় যে বর্তমান বিশ্ব একটি বিরাট বিস্ফোড়নের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে তাতে ইসলামী ধারণার কোন অসুবিধা নেই। কেননা ইসলামী চিন্তায় যে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে তা’হল বিষ্ফোড়ন হোক আর যাই হোক না কেন এর পিছনে স্রষ্টার পরিকল্পিত শক্তি কাজ করেছে।
তাই একটি বিষয় আমাদের কাছে স্পষ্ট যে এই বিস্ফোড়ন সংঘটিত হওয়ার পূর্বে এমন কোন অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকতে হবে যে অস্তিত্ব তার বিজ্ঞবান পরিকল্পনার ভিত্তিতে এ বিস্ফোড়ন ঘটিয়েছেন।
শেষের এই ধারণাটুকু উপরের ধারণার সাথে সংযুক্ত করলে বিষয়টি সম্পূর্ণ যুক্তির ছকে দাড় করানো সম্ভব। নতুনা বিষ্ফোড়নের সূত্র রাজার নতুন পোষাক গল্পে ছোট শিশুর মতো ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের মানুষরাও এই সূত্রের তথাকথিত জ্ঞানীদের মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম। অবশ্য শেষোক্ত ধারণাটুকু তাদের কাছে প্রত্যাশা করা চলে না। কেননা এটা সম্পূর্ণ বস্তুবাদী বিশ্বের বাইরের কথা তাই এই কথায় তাদের আসতে হলে বস্তুর সীমানা পাড়ী দিয়ে আসতে হবে।
একথাগুলো উল্লেখ করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল মহান স্রষ্টা অতি সুন্দর পরিকল্পনায় এ বিশ্বকে সাজিয়েছেন। আর এই বিশ্বের রাজমুকুট স্বরূপ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। এজন্য আল্লাহ বলেছেন আমি ভূ-পৃষ্ঠে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে চাই। অতএব এই মানুষের প্রকৃত অবস্থান হল ‘মাকামে খালিফাতুল্লাহ্’ অর্থাৎ সে সৃষ্টিজগতে মহান স্রষ্টার প্রতিনিধিত্ব করবে।
মানুষ ও তার সৃষ্টিরহস্য, আত্মপরিচিতি
১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার আর কিছু বলার নাই।
অনেক ব্লগার আমার মন্তব্য আগেই করে দিয়েছেন।
১৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
কাউয়ার জাত বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: ""আমার আর কিছু বলার নাই।
অনেক ব্লগার আমার মন্তব্য আগেই করে দিয়েছেন"
কিছু বলার নেই তবুও মন্তব্য করলেন কেন? নিজের আগের বদনাম ঘোচানোর জন্য এখন দেখছি মুড়ি-মুড়কির মত কমেন্ট করছেন। সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য?
১৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২
কানিজ রিনা বলেছেন: প্রথমেই বলব বেহেস্থ দোজগ স্বর্গ নরক
সব ধর্মের অন্তর গত বিশ্বাস। মুসলিম হিসাবে
আমি বলব আট বেহেস্ত সাত দোজক।
আল্লাহর পুর্ব নির্ধারিত। তার মানে প্রায় অর্ধেক
মানুষ দোজকে নিক্ষেপিত হবে। আর তারাই
দোজকে যাবে যারা অবিশ্বাসী ইবলিসের
অন্তরভুক্ত হবে। আল্লাহকে বিশ্বাস করলে
সৃস্টি জগত সম্পর্কে অনুভব করাই আল্লাহতে
বিশ্বাস আসে।
মানুষের জ্ঞান পরিধির বাইড়ে আল্লাহ্, যাকে
আমরা এই ক্ষদ্র চোখে দেখতে পাইনা।
তৃতীয় নয়ন জ্ঞান চক্ষু খোলা সবার পক্ষে
সম্ভব না যে আল্লাহকে অনুভবে ধারন করা
যায়। তাছাড়া সবার মস্তিস্ক সমান ভাবে সৃষ্টি
হয়না। উন্নত মস্তিস্ক আল্লাহকে বুঝতে পারার
সক্ষতা অর্জন করে।
আমি ছোট্ট থেকে আল্লাহকে ভয় পেতাম
কারন আমি এমন কিছু উপলদ্ধিতে উপনিত
হয়েছি যা বললে আমাকে এখানে পাগল
বলে জ্ঞান করবে। কিন্তু আমার চাওয়াগুল
কেমনে পূরন হয় তাও আমি বুঝিনা তখন
আল্লাহকে প্রান অন্তকরন দিয়ে ভালবাসি।
মনে হয় ভালবাসা আল্লাহর জন্য।
আমার দাদীর কাছে রাত্রে শুয়ে থেকে
কত কথা দাদী শিখিয়েছে মা শিখিয়েছে।
তারপর আরবি শিক্ষকের কাছে দুনিয়াতে
চলার ন্যায় নীতি শিখেছি তবুও মনের অজান্তে
কত কত পাপ করেছি। আল্লাহ্ থেকেই
এসেছি দিন শেষে তার কাছেই ফিরে যেতে
হবে। এতটুকু বিশ্বাসেই মানুষ নিজের
পরিপুর্নতা অর্জনে সক্ষম বলে মনে করি
সব শেষে নজরুলের আল্লাহতে পূর্ন ইমান
কোথা সে মুসলমান। কোরআন আসমানী
কেতাব বিশ্বাস আনা সকল মুসলমানের
দায়ীত্ব কর্তব্য। অযথা কোরআনের কোনও
আয়াতকে ভুল ব্যাক্ষা করা কোনও মুসলিম
পিতার সন্তান ইসলিসের অন্তর ভূক্ত।
হ্যা ইবলিস আল্লাহর সৃস্টি কেন ইবলিস
সৃস্টির সয়তান আল্লাহ্ ভাল জানেন।
কোরআনে ভাল করে ব্যাক্ষা দেওয়া আছে।
কে ইবলিসের অন্তরভুক্ত হবে সে পরীক্ষা
এই পৃথিবীতে প্রমান করার জন্য মানুষ
সৃস্টি হয়ছে। আপনার ভুল ব্যাক্ষার উত্তর
অনেকের থেকে পেয়েছেন। তাই কোরআনের
আয়াত অপব্যাক্ষা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
যে আয়াত থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন বার বার
পড়ুন মনের ভুল মুছে যাবে। ধন্যবাদ।
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩১
অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: @শহিদুল, ভাইয়া আমি 'আমার আল্লার' ক্ষমতাকে খাটো করে দেখছি না, আমি কথাটা ব্যবহার করেছি মানুষের ইচ্ছার স্বাধীনতাকে বুঝাতে। আপনি বুঝেও যদি এমন আজিব আজিব জায়গা ধরে বসেন তাহলে তো মুশকিল
১৯| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:১০
শফিউল২৫ বলেছেন: সোজা কথায় বলি আমারা যখন আগুন দেখি কতো ঝল ঝল না আগুন করে কতো ভয়ংকর না লাগে কিন্তুু মাটি দেখুন কতো শান্ত শিষ্ট এক পদার্থ লাগে । শয়তান সেই হিসাব অনুযায়ী বলেছে
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভাবনার বিষয়, দেখি কোন উত্তর, ব্যাখ্যা আসে কিনা! ইন্টারেস্টিং।