![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বোকা হতে পারি, খ্যাৎ হতে পারি, অনেক খারাপ ছাত্র হতে পারি, দেখতে অনেক কালো হতে পারি। কিন্তু আমার মায়ের কাছে আমিই শ্রেষ্ঠ সন্তান।
সময় টা ২০১৩-০৫-২৩ বুধবার দিবাগত রাত থেকেই ঢাকা ঘন বৃষ্টিতে ঢাকা। সকাল থেকেই সকলের জন্যই ছিল দুর্ভোগের। বিশেষ করে রিক্সাওয়ালা, ফুপপাতের দোকানদার, রাস্তার ভিক্ষুক ও গরিব পথচারীদের জন্য এই দুর্ভোগ ছিল ভয়াবহ। জানালার ফাঁক দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে ঝালমুড়ি বা খিচুরী নয়-এরা ভিজতে ভিজতে ভাগ্যকে গালি দিচ্ছিল। অভিমানে ফেটে পড়ছিল মনে মনে। স্রষ্টার প্রতি অভিমান, সরকারের কাছে অভিমান। না এরা সৌখিনভাবে বলতে পারে না-জন্মই আমার আজন্ম পাপ। কেননা, তারা জানেই না একদিন কাজ না করেও বাঁচা যায়।
ঢাকার উন্নয়ন পরিকল্পনার পুরোটাই থাকে অভিজাত এলাকাকে ঘিরে। সে ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা বা বারিধারা। সদরঘাট থেকে রামপুরা থাকে সরকারের দৃষ্টির বাইরে। এটাই মূল এবং এক্সটেনশান ঢাকা। যেহেতু উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি মূল ঢাকা-সেহেতু এটি হয়ে উঠেছে প্রায় দোজখ। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও পয়:নিষ্কাশন পদ্ধতি মারাত্মক দুর্ভোগে রাখে এর নাগরিকদের। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় রাস্তায় হাঁটু বা কোমড় সমান পানি জমে, ফলে গাড়িতো বটেই-পথচারীকে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। কেউ ড্রেনে পড়ছে তো কেউ খাদে পড়ে চিৎপটাং। কেউ রিক্সা উল্টে বা কাত হয়ে পড়ে। শরীরের ব্যথা ভুলে বিমূঢ় হয়ে পড়ছে লজ্জায়। পুরুষেরাতো লুঙ্গী তুলে প্যান্ট গুটিয়ে তবু পানি ভাঙ্গতে চেষ্টা করে, নারীরা তা পারে না। ওরা নোংরা পানি পাড় হয় শাড়ি, সালোয়ার পরেই। এদিকে ঢাকার বৃষ্টির পানি, সুইমিং পুলের বা খালের নূতন পানি নয় যে, মহানন্দে পা নামিয়ে ছপ ছপ ছলাৎ ছলাৎ করা যাবে। কিংবা অন্যের গায়ে ছিটিয়ে জলকেলী খেলা যাবে। এ পানির মজাটাই আলাদা। ড্রেনের পানি, প্রশ্রাব, গু, পঁচা-বাসি খাবার, মরা ইঁদুরের নাড়ি-ভুড়ি, গাড়ির পোড়া তেল মিলে-মিশে এ পানির মর্যাদা বাড়িয়েছে যে কোন পানির চেয়ে বেশি। এ পানিকে ভয় পায় না এমন কেউ নেই। নারীরা পানি জয় করে বাসায় গিয়ে দেখে শাড়িতে, সালোয়ারে মানুষের বিষ্টা চোরকাটার মত লেপ্টে আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের রাজধানীর কুপীর নিচে ভয়াবহ অন্ধকার গেড়ে বসে আছে। তারপরের কথা না বলাই ভালো....।
©somewhere in net ltd.