নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Living is too hard right now”

মৌন প্রতিজ্ঞা

আমি বোকা হতে পারি, খ্যাৎ হতে পারি, অনেক খারাপ ছাত্র হতে পারি, দেখতে অনেক কালো হতে পারি। কিন্তু আমার মায়ের কাছে আমিই শ্রেষ্ঠ সন্তান।

মৌন প্রতিজ্ঞা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ হাজার বছর পরে বাংলাদেশ বলে কোনো ভূখন্ড থাকবে নাঃ 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফি'

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

পানির অভাবে দেশের নদী-নালা শুকিয়ে যাচ্ছে, সেইসাথে বর্ষা মৌসুমে ডুবে যাচ্ছে সমগ্র দেশ। এই পরিস্থিতি অনেকটা নিত্য ব্যাপার হলেও আগামী ৫ হাজার বছর পরে বাংলাদেশ বলে কোনো ভূখন্ড থাকবে না বলে তথ্য প্রকাশ করেছে 'ন্যাশনাল জিওগ্রাফি'। তাদের প্রকাশিত এক বিশ্ব-মানচিত্রে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে বাংলাদেশের মানচিত্র দেখা গেছে পানির নীচে।



গোল চিহ্নিত অংশ বাংলাদেশ



গ্লোবাল ওয়ার্মিং কারণে যেদিন পৃথিবীর সব বরফ গলে যাবে তখন পৃথিবীর কী অবস্থা হবে, এক চোখে দেখে নেওয়া যাবে এই ম্যাপে। বাংলাদেশের সাথে সাথে ভারতের কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গও পানির নীচে চলে যাবে।



পৃথিবীর সব বরফ গলে গেলে যে বাংলাদেশ ডুবে যাবে তা অনেক আগে থেকেই আশংকা করা হলেও, এই প্রথম বিজ্ঞানীদের গবেষণায় যে ম্যাপ প্রকাশিত হয়েছে তা চিন্তার বিষয়। বিজ্ঞানীরা জানচ্ছেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে মাত্র ১০ শতাংশের মতো বরফের চাদর রয়েছে। পৃথিবীতে পাঁচ মিলিয়ন কিউবেক মাইল হিমায়িত পানি জমা রয়েছে। যদি এই বরফ স্তর পুরোটাই গলে যায় তাহলে কেমন দেখতে লাগবে আমাদের পৃথিবীকে?



ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সাতটি মহাদেশের মানচিত্র প্রকাশ করেছে যা সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলি প্রায় ২১৬ ফুট পানির নীচে তলায় চলে যাবে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রায় পাঁচ হাজার বছরের মধ্যে পৃথিবীর সব বরফ গলে পানিতে পরিণত হবে। পৃথিবীর প্রথম অবস্থায় ফিরে আসার প্রারম্ভিক সূচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আমেরিকার এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি জানিয়েছেন, এখনই সমুদ্রের স্তর স্বাভাবিকের থেকে সাত ইঞ্চি স্ফীত হয়েছে।



পৃথিবীর ৮০ শতাংশ বরফ লক্ষ্য করা যায় গ্রীনল্যান্ড, আন্টার্টিকা প্রদেশে। বাকি বিভিন্ন পার্বত্য এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ন্যাশানাল জিওগ্রাফির রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে প্রতিবছর ৬৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বরফ গলছে।



উল্লেখ্য, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে তাদের নিয়মিত অনেক লেখা বেরিয়েছে। সম্প্রতি তাদের লেখায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে দুনিয়ার উন্নয়ন যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে পৃথিবী ধ্বংস আর বেশি দেরী নয়। 'ন্যাশানাল জিওগ্রাফি' সেই বিষয়েই স্পষ্ট ধারণা দিতে একটা ম্যাপ প্রকাশ করল।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫১

সুমন কর বলেছেন: চিন্তার বিষয় !!

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৭

মৌন প্রতিজ্ঞা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভাই।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩১

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। এখনই বা বাংলাদেশ কোথায়?? এটা আওয়ামী দেশ :(

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৪

মৌন প্রতিজ্ঞা বলেছেন: ভালোই বলছেন ভাই, খারাপ বলেননি।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:২১

সবুজ-ভাই বলেছেন: Wait 50 years just.

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

অদ্বিত বলেছেন: খবরটা শুনে একদিকে যেমন দুঃখ পাচ্ছি, অন্যদিকে তেমনি খুশি হচ্ছি। দুঃখ পাচ্ছি এটা ভেবে যে - রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, জীবনানন্দ দাশ, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়, সুকুমার রায়, উপেনন্দ্রকিশোর রায় প্রভৃতি সাহিত্যিক; সত্যেন বোস, জগদীশ চন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা, জামাল নজরুল ইসলাম প্রভৃৃতি বিজ্ঞানী; উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সালমান শাহ, রাজ্জাক প্রভৃতি অভিনেতা; সুভাষ চন্দ্র বোস, শেখ মুজিবর রহমান, মাওলানা ভাসানী প্রভৃতি নেতা যেই ভূখন্ডে জন্মগ্রহন করেছিলেন ( বাংলাদেশ + পশ্চিমবঙ্গ = বাংলাভাষাভাষী মানুষের ভূখন্ড ) সেই ভূখন্ডের অস্তিত্ব থাকবে না এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ব্যাপার।
খুশি হচ্ছি এটা ভেবে যে, দেরীতে হলেও মানুষ একসময় শিখবে - কিভাবে নির্দিষ্ট একটা ভূখন্ডকে বা দেশকে জন্মভূমি ভাবার পরিবর্তে সমস্ত পৃথিবীকে জন্মভূূমি ভাবতে হয় ? কিভাবে বিদেশী সংস্কৃতির ভাল দিকগুলো গ্রহণ করার মানসিকতা অর্জন করতে হয় ? কিভাবে ''অপসংস্কৃতি'' শব্দটি ভুলতে হয় ? কিভাবে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির সমান শ্রদ্ধা অপর ভাষা ও সংস্কৃতিকে করতে হয় ? কিভাবে সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে হয় ? কিভাবে বিশাল স্কেলে চিন্তা করতে হয় ? ......................... এ সমস্তকিছু মানুষ দেরীতে হলেও শিখবে। ৫০০০ বছর পরে হলেও শিখবে। এজন্যই দুঃখ হওয়ার পাশাপাশি খুশিও লাগছে খবরটা শুনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.