![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কফি খেতে খেতে বেশ জমিয়ে আড্ডা দিলাম চারজন মিলে।নিলিমা কথার ফাকে ফাকে আমাকে বোকা বানিয়ে অর্থহিন, কিছু একটা বলছে, না বোঝার মত করে, আর অবনী হেসে গরিয়ে পরছে।অবনী হাসলে টোল পরছে তার গালে, রিমন যেন অষ্টম আশ্চর্যের মত পরম যত্নে দেখে যাচ্ছে তা। মনে হচ্ছে রিমনের তাকিয়ে থাকা দেখে অবনী আরো জোরে জোরে হাসছে, পাশের টেবিলের কেও কেও ঘুরে তাকিয়ে দেখছে আমাদের। চারজনই কিছুটা ইতস্তত।
সবার কথা কেড়ে নিয়ে রিমনকে খুচা মেরে বললাম, কি মাম্মা...কফি কি আরেকটা দিতে বলব আপনাদের?? অবনী একটু লজ্জা পেয়ে উঠে দাঁড়াল,
ভাইয়া চলেন আজ উঠা যাক, আমাদের কিছু কাজ আছে।
হুম চলুন... উঠার সময় নিলিমার খানিক একচোখা দৃষ্টিপতন হল...।
বের হয়ে-অবনী নিলিমাদের বিদেয় দিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্যে হাটছি,।
-কিরে হঠাত এত নির্বাক বালক? সমস্যা??
++নাহ বন্ধু! কিন্তু আমরা যেজন্যে এসেছিলাম তার তো কিছুই হলোনা।ত কেমনে কি??...
কি করার আছে এখন??দেখলি ই সব।
ব্যাপার নাহ..! রেডি হয়ে একটু সময় নিয়ে বাসায় চলে আয়, ওখান থেকে একসজ্ঞে বের হয়ে যাবার পথে কিছু একটা নিয়ে নিব।
অবনী যাবার সময়, আস্তে করে বলে গিয়েছিল রিমনকে যেন সাথে করে নিয়ে যাই। অবশ্য ওর যা হাব ভাব দেখলাম তাতে না বল্লেও যেত।
সন্ধার কিছুক্ষণ পুর্বে বাসা থেকে দু'জন বের হয়ে সোজা গিয়ে থামি হোটেলের সামনে, বাইক টা হোটেলের ভেতরেই পার্ক করিয়ে,এই কাছাকাছি ই এম্যাজন্স কালেকশন নামে একটা গিফট কর্নার আছে, শুনেছি ওখানে নাকি ভাল ভাল কিছু জিনিশ পাওয়া যায়। তাই ঢুকা আরকি। এইদিক ঘোরাঘুরি করে আধ ঘন্টা লেট। নাহ আর দেরি করা যাবে না, যা পেলাম তাই নিয়ে সাম্নের একটা ফুলের দোকান থেকে বেশ কিছু ফুল কিনি। তড়িঘড়ি করে হোটেলে প্রবেশ করে দেখি মহাকাণ্ড।সবাই কেমন যেন গুটি সুটি মেরে বসে আছে যে যার মত। নিলিমা হাতে একটা চাকু নিয়ে একবার এদিক যাচ্ছে আবার ওদিক। এতক্ষনে বুঝে গেলাম সবার নিরবতা আমার অপেক্ষায়। নিল একটা শাড়ি পরে ভেজা ভেজা চুখে নিলিমা আমার দিকে এগিয়ে আসছে, মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে। এসেই যেন হাতের চাকুটা বুকে বিধিয়ে বসবে।
কাছে এসেই ভেজা বাশির সুরে বলতেছে এতক্ষন কেও লেট করে??
আসো... এই বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।
আমি কোন কথা বলতে পারছি না।নিলিমার দিক তাকিয়ে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। অজন্তেই আজ আমিও কেন যেন নিল রঙের পাঞ্জাবি পরে এসছিলাম।কে জানে??
নিলিমা সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
রিমনটাকে খুজে পাচ্ছি না।মাথা উচু করে এদিক অদিক তাকাতেই দেখি তাদের পালটভ্রম প্রেম।
নিল শাড়িতে নিলিমাকে বেশ মানিয়েছে। আচ্ছা ওর চোখ দুটো কি আসলেই ভেজা?
ওর চুখের দিক চেয়ে আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি। খুজে পাওয়া কঠিন হয়ে পরছে। কিন্তু একবার হারালে কি করে??ওই ভেজা চুখে আমি বার বার হারাব। ও যেন সত্যি সত্যি আজ চাকুটা বুকে বসিয়েই দিয়েছে রক্তপাত ছাড়া।আমি যেন কোন এক ছায়াবীথির খুজে হারিয়ে ফেললাম নিজেকে।
©somewhere in net ltd.