![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র মৃত্যুই পারে কেউ কাউকে স্পর্শ করতে।
কথা টা কতটা ভুল বলেছি জানিনা, তবে আমার কাছে সবটাই শক্ত পাহারের মত বলে মনে হয়।
কেননা, ইউনিভার্সিটির আফজাল্ নামের লাজুক পিছিয়ে পড়া যে ছেলেটি , শিক্ষকরা যাকে আফজাল নামের পরিবর্তে আরমান নামে জানতো- গতকাল সে মারা গেছে, আজকে সকালে ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকে তার নামে ব্যানার ঝুলছে- সিএসই ডিপার্ট্মেন্ট এর মেধাবী ছাত্র আফজালের মৃত্যুতে আমরা গভিরভার শোকাহত। অথচ গতকাল তাকে কেউ গুনতোই না।
গতসপ্তাহে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোবে পুলিশি হামলায় এক গার্মেন্টস কর্মির মৃত্যুতে মিছিলের গতি তরান্বিত হয়ে ৩৩ জনের ভেজ্ঞে যাওয়া মিছিল থেকে আজকে ১২ হাজার শ্রমিকের মিছিল হয়ে গেছে।
পাড়ায় ঘাওরা জায়েদ নামের ছেলেটি ১৮দিন হাসপাতালে থেকে মারা গেল গত পরশু, আজকে শুক্রবার মসজিদে মিলাদ হলো তার নামে, মিলাদ শেষে অনেককেই বলতে শুনলাম, ছেলেটা অসম্ভব ভালো ছিল, মুরুব্বিদের সন্মান করতো, অন্যায় কিছু দেখলেই রেগে যেত।আহ কত তারাতারি চলে গেল।
আবার নদিদ্বয়ের মিলনের মতই, যুগ যুগ ধরে দুরে অদূরে থাকা আত্বিয়া পরিজনও একত্রে মিলিত হতে পারে মৃত্যুর দিনে। এক যুগ হয়ে গেল বিলেতবাস প্রিয় ছোটবোনটিকে দেখেনা ছুটি না মেলার অনুযোগে। অথচ বহুবার ইমেইল টেলিফোন করেছিল তার সহোদর।
মৃত্যু ছাড়া কেউ কাউকে নিয়ে ভাবে না, কেউ কাউকে স্পর্শ করে না, বোধহয় ভালো ও বাসে না।অনেকের কাছে আবার সে মৃত্যু কুৎসিত বিবর্ণ চেহারার, তারাও একদিন মৃত্যুবরণ করে এবং লোকে নানা আফসুস করে।
মৃত্যু আমারো অতি নিকটে, ছায়ার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার পিছন পিছন, হঠাত করেই কোন একসময় আমিও পান করবো মৃত্যুর অপেয় সুধা।
তবে আমার মৃত্যু কাউকে স্পর্শ করুক আর নাই করুক, আমি চাই –বন্ধুর এসে মত মৃত্যু আমাকে বলুক – চল বন্ধু্ সর্গের ট্রেন ছেড়ে দিচ্ছে ,যেতে হবে আমাদের। সেদিন বন্ধুর মতন গলে জরিয়ে ধরে হাওয়াই মিঠাই খাওইয়ার মতন হাসিমাখা মুখ করে ছেড়ে যেতে চাই এই অবাধ্য কৃতদাস শরিরকে
ছবিসূত্রঃ গুগল
©somewhere in net ltd.