![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বিশ্বজিৎ এর কথা মনে আছেতো? হাজার হাজার মানুষের সামনে ছাত্রলীগ নামধারী সোনার ছেলেরা যাকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল! বিশ্বজিৎ এর হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে প্রচণ্ড ভাবে নাড়া দিয়েছিল। নির্দিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া দল, মত নির্বিশেষে সবাই বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার চেয়েছিল। কবিরা কবিতা লিখেছিল। শিল্পীরা গান বেধেছিল বিশ্বজিৎকে নিয়ে।
বিশ্বজিৎ এর মর্মান্তিক খুন হওয়া দেখে সেদিন প্রচণ্ড রকম ধাক্কা খেয়েছিলাম আমিও। সবাই ব্লগে, ফেসবুকে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার চেয়ে কিছুনা কিছু লিখছিল। আমিও কয়েকটি লাইনের একটা কবিতা লিখেছিলাম।
"এই হোক ঘোষনা।
আজ থেকে আর, অপঘাতে মরা কোন লাশ
গোর-স্থানে যাবেনা।
শ্বশানে পুড়বেনা কোন লাশ।
এই ঘোষনা হোক আজ।
প্রতিবাদ হবে এভাবেই।
এভাবেই হোক সৎকার।
জম্বি হয়ে নাহয়-
বাচব আমরা আরো কিছুদিন।
আজ লাশেরাই করুক চিৎকার।"
সেই থেকে আমার মাথায় অদ্ভুধ এবং অরুচিকর একটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যিই যদি এমন হত, অপঘাতে মরা লাশের কোন সৎকার হবেনা। যে যেখানে মরেছে সেখানেই পড়ে থাকতো!
তাহলে কি হত? কিছুদিনের মধ্যে হয়তো দেখা যেত সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অপঘাতে মরা লাশের মিছিলে ভরে গেছে।
লাশের উপর দিয়ে চলা ফেরা। লাশের উপর সংসার। বাজার-সদাই। মিছিল, মিটিং, সংলাপ, নির্বাচন, সংসদ সব যদি হত লাশ মাড়িয়ে! তাহলে কেমন হতো?
আরতো প্রতিবাদের কোন ভাষা নেই। বিনা বিচারে মানুষ হত্যার বিচার চাইতে গেলেতো আমাকেও বিনা বিচারে হত্যা করা হবে। তারপর, আমাকেও মরনোত্তর স্বাধীনতা বিরোধি উপাধি দিয়ে কিছু লোক তৃপ্তির নিঃশ্বাষ ফেলবে! আমি কেন নিজের জীবনের ঝুকি নিতে যাব। এটাই ভাল, লাশেরাই প্রতিবাদ করুক। একটা লাশকে মারলে আর কতবার মারবে!
(শাহজাহান আহমেদ)
©somewhere in net ltd.