![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
আমি যখন স্কুলে পড়তাম, আমার একটা নীল রংয়ের বাই-সাইকেল ছিল। সেই সাইকেলে চড়ে স্কুলে যেতাম। আমার বাড়ি থেকে স্কুলের দুরত্ব সোজা পথে (পাঁকা রাস্তায়) প্রায় দুই মাইল। আর ঘুরতি পথে (আধা-পাঁকা) চার মাইলেরও বেশী। বেশীর ভাগ সময় আমরা ঘুরতি পথেই যেতাম। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু।
কারণ হল সে পথের স্কুল যাত্রী তরুনীদের বেশীর ভাগই ছিল সুন্দরী! এবং আমাদের সাথে ছিল তাদের খুব ভাব। তাঁরা আমাদের সঙ্গে খুব সহজ ভাবে কথা বলত। হাঁসত, স্কুল ব্যাগে করে বাড়ি থেকে এটা-ওটা নিয়ে এসে আমাদের দিত। বড়ই, কাঁচা আম, পেয়ারা।
একদিন সেই তরুনীদের দলে একটা নতুন মুখ দেখে আমি চমকে উঠলাম। গায়ের রং শ্যামলা। মাথায় বাদামী চুল। চিরল দাত। ব্যাতিক্রমি তাঁর হাঁটার ভঙ্গি। কণ্ঠস্বর, কথা বলার ধরন, সবকিছু অন্যরকম মনে হল আমার কাছে। মনে হল সে অন্য দশটা মেয়ের মত না। সে ভিন্ন।
আমার মধ্যে বিভ্রম সৃষ্টি হল। আরে, ওকেইতো আমি খুঁজছি!
আমার পছন্দের কথা প্রথমে জানালাম আমার বন্ধুদের। ওরা কেহই মত দিলনা। তাদের একটাই যুক্তি "তুই এখনো দুইটা প্রেম একসাথে চালিয়ে যাচ্ছিস। নতুন করে আরো একটা করা উচিৎ হবেনা।"
আমার পাল্টা যুক্তি "যে দুইটা করছি সেগুলো করতে হয় বলে করছি! (সবাই প্রেম করে আমি না করলে খারাপ দেখায়। তাই!)
ওর সাথে হয়ে গেলে পুরনোগুলো ছেড়ে দেব!"
আমার কোন যুক্তিই আমার বন্ধুদের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করতে পারলনা। কি আর করা। বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া আর যাই করা যাক প্রেম করা যায়না।
এভাবেই দিন যায়, আমিও প্রতিদিন আমার নীল সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাই। হঠাৎ-হঠাৎ সেই শ্যামলা বরণ কিশোরীর সাথে দেখা হয়ে যায়। আমি সাইকেলে ব্রেক কষে দাড়িয়ে পড়ি। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে জিগ্যাস করি
"কেমন আছো...?"
কিশোরী লাজুক হাসি দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করে "আপনি...?"
আমি "ভাল আছি " বলে দ্রুত সাইকেলের প্যাডেল ঘুরিয়ে কিশোরীর সীমানার বাহিরে চলে যাই। তাঁর আশে-পাশে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। যতক্ষন তাঁর কাছাকাছি থাকি, তাঁর কণ্ঠস্বর আমার বুকের ভিতরে একটা হাহাকার তৈরি করতে থাকে। কোন এক অদৃশ্য আকর্ষন আমাকে টেনে ধরে রাখে।
একদিন, স্কুল থেকে ফেরার পথে তাঁকে একা পেয়ে গেলাম। কোন কারণে হয়ত স্কুল থেকে বের হতে দেরী হয়েছে। আমি সাইকেল থেকে নেমে তাঁর পাশা-পাশি হাঁটছি। সে আমার দিকে তাকিয়ে প্রথম কথা শুরু করল।
"কেমন আছেন?"
আমি বললাম "জি ভাল। আপনি?"
"আপনিতো আমাকে তুমি করে বলতেন! এখন হঠাৎ আপনি বলছেন যে?"
আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। কি বলব বুঝতে পারছিনা। চুপ করে রইলাম। কিছুক্ষন চুপচাপ হাঁটার পর বললাম
"আপনার হাসিটা আমার খুব ভাল লাগে।"
"ও তাই!"
"আপনার চুলগুলিও ভাল লাগে।"
সে মুচকি হাসল। আমি বললাম
"আপনার হাঁটার ভঙ্গিটাও ভাল লাগে।"
সে এবার বলল "আমার সব ভাল লাগে। আমাকে ভাল লাগেনা?"
আমি এই ধরনের কোন প্রশ্ন আশা করছিলাম না। তাঁর প্রশ্ন শুনে আমি লজ্জা পাওয়ার অভিনয় করে মাথা নাড়লাম।
সেও লজ্জা পেল মনে হয়। আর কিছু বললনা। বাকিটা পথ দুজনে চুপচাপ হেঁটে আসলাম। যখন তাঁর বাড়ির কাছা-কাছি আসলাম সে হঠাৎ বলল "আগামীকাল আপনার সাথে কথা আছে। একা আসবেন।" আমি মাথা নাড়লাম। "ঠিক আছে।'
এখানেই গল্পটির সমাপ্তি।
গল্পটা হয়তো এখানেই শেষ হতনা আমি যদি সেদিন তাঁর কথামত যেতাম। আমি যাইনি। কোন একটা অজানা ভয়, শংকা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।হারানোর ভয়। অথবা অসহ্য সুখ সইতে না পারার সাহস।
আজ আমার একটা নীল রংয়ের গাড়ি আছে। গাড়িতে আমার পাশে অতি রুপবতী এক তরুণী চুপচাপ বসে থাকে। আমার প্রতিটি কথা সে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনে। আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে সেই হারিয়ে যাওয়া কিশোরীটির গল্প তাকে বলি। বলতে পারিনা।
"শাহজাহান আহমেদ"
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর গল্প ভালো লেগেছে....
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অন্তরে অতৃপ্তি রবে,সাংগ করি মনে হবে
শেষ হইয়াও হইল না শেষ!!!!
পুরাই একটা ছোট গল্প!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
সরদার হারুন বলেছেন: আপনি কি প্রাইমারি স্কুলে পড়তেন ? দুটো প্রেমের পরে শ্যামলা প্রেমে পরেছেন ?
তার কত বছর পরে বিয়ে করেছেন ?