![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেরী বাগান আজ কুমারী তারায় পরিপূর্ণ ঈশ্বরের ধ্যানে সেজদারত ভূমণ্ডল ক্ষমাপ্রার্থী তাবৎ জাহান এমন পূর্ণ্যবান সময়ে দেহত্বক ফেটে; এ কোন কাঙ্ক্ষা জাগে রাধাপুকুরে আগুনের তীব্র আঁচ ঝরে পড়ে অসংখ্য লোমকূপ [email protected] জন্ম- ২২শে সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশে সুরাইয়া নেওয়াজ লবণ্যে নামের সতেরো বছরের এক অন্ত;সত্তা কিশোরী স্বামী, শাশুড়ির অত্যাচার সইতে না পেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলেছে । প্রায় নব্বই ভাগ পোড়া শরীর নিয়ে এক কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার কয়েক ঘন্টার মাথায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাষ্টিক সাজার্রি ইনষ্টিটিউটে লাইফ সার্পোটে চিকৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে। চরম মর্মান্তিক দু:খজনক এ খবরটি গতকাল বাংলাদেশের প্রতিটি গণমাধ্যেমে প্রকাশিত হবার পর আমার মতো অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন এবং ঘৃণা প্রকাশ করেছেণ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিল ২০১০ পাস হওয়ার পর আমারা অনেকেই ভেবেছিলেন পারিবারিক সহিংসতা এবং নারী নির্যাতন কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সত্যি বলতে কি উক্ত আইন পাস হবার পর নারী নির্যাতন রোধে তেমন কোন ইতিবাচক ফলাফল আসেনি। যার প্রমাণ বিগত দিনে ঘটে যাওয়া অসংখ্য নারী নির্যাতন, হত্যা এবং আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ঘটনাগুলো।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে দৃশ্যের আড়ালে প্রতিনিয়ত নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক কলহ এবং বখাটেদের অপমান সহ্য করতে না পেরে যারা আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন কিংবা সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন চাপে যারা অত্যাচার দিনের পর দিন যারা সয়ে যাচ্ছেন তাদের সবার খবরা খবর কি গণমাধ্যেমে আসে, আসে না। ভাগ্যগুনে হাতেগুনা যাদের খবরাখবর গনমাধ্যেমের সূত্রে আমাদের কাছে আসে তারা কি সবাই ন্যায্য বিচার পান? অনেকে পান না। উঁচু মহলের অদৃশ্য চাপে অধিকাংশ সময় স্তিমিত হয়ে যায় প্রতিবাদী কন্ঠগুলো, নিষ্প্রাণ হয়ে যায় আন্দোলন গতিপথ। পার পেয়ে যায় দোষী ব্যক্তিরা এবং সমাজে আবারো জন্ম নেয় নতুন কোন এক ঘটনা।
প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশের নারীরা নিজ দেশে কতটুকু নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারছেন? বিগত দিনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্কিত ঘটনাগুলো কেন জানি জানান দিচ্ছে বাংলাদেশে রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ- মাদ্রাসা বা কর্মস্থানে নারীরা শতভাগ নিরাপদে নেই। সকাল বেলা যে মেয়ে এক মুঠো স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বই, খাতা হাতে স্কুলে যায় বিকেলে সে যে বাড়ি ফিরে আসবে তার কোন গ্যারান্টি এখন আর কেউ দিতে পারে না। কিছুদিন পূর্বে এক রিপোর্টে দেখা গেছে গত এক বছরের মধ্যে ইভটিজিং বা উত্তক্ত্য করার ঘটনায় সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৫০টি মামলা হয়েছে এবং সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে ৩৭৭টি। এক হাজার দুই শত জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৫২০ জনকে। এ ছাড়া ও পুলিশ কর্মকতারা স্বীকার করেছেন, বখাটেদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও তারা থামছে না। যারা উত্ত্যক্ত হয় তারা সহজে অভিযোগ জানাতে আসে না যার কারণে বখাটেরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
নারী নির্যাতন, নিপীড়ন এবং স্কুল ছাত্রীদের প্রতি বখাটেদের উৎপাত বাংলাদেশে নতুন নয়। বিভিন্ন অঞ্চলে বখাটেদের অত্যাচারে শুনেছি বিভিণ্ন দারিদ্র পারিবারের মেয়েরা রীতিমতো স্কুলে যেতে পারিনি, প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত কাজে একা ঘরের বাইরে যেতে পারেনি। সামাজিক লোক লজ্জ্বার ভয়ে অভিবাবকরা মুখ ফুটে কাউকে কিছু না বলে নীরবে হজম করে গেছেন। মানসম্মানের ভয়ে বিয়ের উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগেই অনেকেই তাদের মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। যার ফলে অনেক মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যত অকালে ঝরে গেছে।
প্রচলিত আইনে বখাটেদের ব্যাপারে তিন শাস্তির বিধান রয়েছে। ঢাকা মহানগর আইনের ৭৬ ধারায় এ ধরণের অপরাধের শাস্তি এক বছর কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা। কোন নারীর শালীনতা ও মর্যাদার অভিপ্রায়ে কোন মন্তব্য, অঙ্গভঙ্গি বা কোন কাজ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারাতে এই একই ধরণের শাস্তির বিধান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ১০ বছরের কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়াও ইভটিজিং বা উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করার জন্য নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে ৫০৯ ধারা অন্তভুক্ত করা হচ্ছে। এই ধারা প্রয়োগ করে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট অপরাধীকে ঘটনাস্থলে বিচার করে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত করতে পারবেন।
নারী নির্যাতন, যৌতুক এবং যৌন হেনেস্তা একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা নির্মূলের লক্ষ্যে শুধু মাত্র সরকারের উপর নির্ভর না করে পারিবারিক এবং সমাজিকভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন গড়ে তোলা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। ইভিজিং এর শিকার মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ না করে অভিবাবকদের উচিত তাদেরকে বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া। লিঙ্গ বৈষম্য কথা মাথায় না রেখে পারিবারিকভাবে মেয়েদের মানসিক সার্পোট দিয়ে স্বাধীন ভাবে চলফেরা করতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে উৎসাহ প্রদান করা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করি। আসুন, মনের ভেতর কোন ভয় ভীতি না রেখে নারীর প্রতি সব ধরণের সহিসতা বন্ধের লক্ষ্যে প্রতিবাদী হই। বাংলাদেশে নারীদের স্বাধীন এবং নিরাপদভাবে বাঁচার অধিকারটুকু নিশ্চিত করি।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৪
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
অনেক বছর হয়ে গেল, নতুন পোস্ট করেন না।
এবার নতুন পোস্ট দিন, ব্লগে নিয়মিত হন।
শুভকামনা রইল।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০১
প্রামানিক বলেছেন: নারী নির্যাতন বন্ধ হওয়া দরকার