নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গবেষণা প্রতিবেদন "উগ্রবাদের ‘শীর্ষ মদদদাতা’ সৌদি আরব"

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে সৌদি আরব প্রতিবেশী দেশ কাতারকে একঘরে করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে উল্টো সৌদি আরবের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে বেশি অর্থ ঢালার অভিযোগ উঠল।
উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে বিদেশি অর্থায়নসংক্রান্ত সরকারি এক তদন্তে সৌদি আরব সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্য উঠে আসায় ওই প্রতিবেদন যুক্তরাজ্য সরকার প্রকাশ করছে না বলে অভিযোগ। প্রায় ছয় মাস আগে সম্পন্ন হওয়া ওই প্রতিবেদন প্রকাশ না করা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে ইসলামিক উগ্রবাদ প্রচারে ‘মদদ’ দিচ্ছে বলে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে সেখানকার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (থিংক ট্যাংক) ‘হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি’। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠান আজ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, সন্ত্রাসবাদকে উসকানি দেওয়া দেশের ‘শীর্ষে’ রয়েছে সৌদি আরব।
হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ষাটের দশক থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ওয়াহাবি মতবাদ’ প্রচারে সৌদি আরব কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালছে। যুক্তরাজ্যে সৌদি অনুদানে পরিচালিত ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সালাফি-ওয়াহাবি মতবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে, যা পশ্চিমা সমাজব্যবস্থা ও উদার সংস্কৃতির ঘোর বিরোধী। সৌদি আরবে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, প্রশিক্ষণ এবং পাঠ্যবই সরবরাহ কিংবা দাতব্য সংগঠনের মাধ্যমেও রক্ষণশীল ওয়াহাবি মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

২০০৭ সালে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ওয়াহাবি মতবাদ প্রচারে বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করত। ২০১৫ সালে এসে তা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যে সালাফি-ওয়াহাবি মসজিদ ছিল ৬৮টি। আর ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১০। যুক্তরাজ্যে উগ্রবাদের দায়ে অভিযুক্ত কয়েকজন শীর্ষ ইসলামিক ভাষ্যকার আবু কাতাদা, আবু হামজা, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ও শেখ ওমর বাকরি ওয়াহাবি মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মসজিদগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটির গবেষক টম উইলসন বলেন,মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি উগ্রবাদ প্রচারে শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই বিস্ময়কর যে সৌদি আরব নিজের সমস্যা সমাধান না করে কাতারকে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে শায়েস্তা করার ভূমিকা নিয়েছে।’
লেবার নেতা জেরেমি করবিনসহ প্রধান বিরোধী দলগুলোর নেতারা অভিযোগ করেন, কনজারভেটিভ সরকার জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে সৌদি আরবের বিতর্কিত একনায়কতন্ত্রের সঙ্গে সখ্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সৌদি আরবের অর্থায়নে যুক্তরাজ্যে ইসলামিক উগ্রবাদ মাথা গজাচ্ছে। আর অস্ত্র বিক্রিসহ নানা বাণিজ্যিক স্বার্থে যুক্তরাজ্য সরকার এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

রুরু বলেছেন: ২০০৭ সালে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী ওয়াহাবি মতবাদ প্রচারে বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করত।

মাথার উপর দিয়া গেলো

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আপনার মন্তব্য ও মাথার উপর দিয়েই যায়!!!

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আল-শাহ্‌রিয়ার ,




সরল সত্য ......................

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ঠিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.