![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন খাতার শেষের পাতায়, এঁকে দিলাম আলপনা, আমার স্মৃতি পড়বে মনে, যখন আমি থাকব না...! মানসিক ভাবে অসুস্থ একজন মানুষ নিজে ; অথচ বাকি সব অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছি! তাদেরকে হাসি খুশি রাখার মাধ্যমে! বুঝেন অবস্থা! একবারেই বদ্ধ উন্মাদ, আবেগপ্রবন,ভীতু এক মানুষ...!চিন্তাভাবনা করে সাধারণত কিছু বলা বা করা হয় না, এজন্য ঝামেলাতেও বেশি পড়তে হয়! তারপরও - always try to listen to my heart !Simplicity জিনিসটা খুব ভাল্লাগে, নিজেও তাই!'হাসিমুখ','দেশ','দেশের মানুষ','বৃষ্টি','জোছনা','প্রিয় মানুষগুলোকে বিরক্ত করা','শিশির ভেজা ঘাসের উপরে হাঁটা','জীবন','নিঃশ্বাস নেয়া','বইপড়া'(অবশ্যই পাঠ্যবই নয়!),'বন্ধু','বন্ধুত্ব','আড্ডা দেয়া','পাহাড়','সমুদ্র','সিনেমা দেখা','শাহরুখ খান' প্রভৃতির প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে! আমি নিম্নোক্ত জীবন দর্শনে বিশ্বাসী - "Live, Laugh and Love!" (বাঁচো , হাসও আর ভালোবাসো! ) :-D আর হ্যাঁ, নিজের প্রথম ও সবচেয়ে বড় পরিচয় "মানুষ" বলতে পছন্দ করি, আগে মানুষ, তারপর বাকি সব... :-) আমার রক্তের গ্রুপ- B (Be Positive!) আমার রাশি- কুম্ভ (কিন্তু আমি মোটেই কুম্ভকর্ণ নই!) নিজেকে একটি শব্দে প্রকাশ করতে বললে আমি সেই পুরনো অসাধারণ শব্দটি বলব--- "পাগল" :-P :-P আমার ফেসবুক ঠিকানা- fb.com/syed.n.sakib.3
১-বাঙালি মায়েরা সবার কাছে মাথা নত করতে রাজি, কিন্তু একজন বাদে- তিনি হলেন পাশের বাসার ভাবি। পাশের বাসার ভাবির তথাকথিত "ব্রিলিয়ান্ট" সন্তানের সাথে নিজের সন্তানের তুলনা দেয়ার সময় আমাদের মায়েরা সবসময় একটি কথা বলেন "আমার ছেলেটা এমনিতে দুষ্টু হলেও ওর ব্রেইন কিন্তু অনেক ভালো ভাবি! ওর টিচাররা বলসে একটু মনোযোগ দিলেই ও নাকি ইজিলি ক্লাসে ফার্স্ট হবে! দোয়া করবেন ভাবি।" আর সেই ভাবি বিদায় নিলেই আমাদের মায়েরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার দিয়ে বলেন' "কুত্তা জন্ম দিসি! পড়তে বস!"
২- যেই মানুষটি পুলিশ,আর্মি,র্যাব,পারমাণবিক অস্ত্র, সালমান খানের গাড়ি- কোন কিছুকেই ভয় পায় না, সেই মানুষটা পর্যন্ত একটা জিনিসকে যমের মত ভয় পায়। সেটি হল ঝাড়ু- এবং এই ঝাড়ু যখন সেই মানুষটার মায়ের হাতে থাকে। কোন মানুষ যখন তার মায়ের হাতের ঝাড়ুর মাইর খেতে থাকেন- সেই দৃশ্য যে কতটা অসাধারণ ও মর্মান্তিক- এটা যারা দেখসেন আর যারা মাইর খাইসেন-তারাই জানেন। ঝাড়ুর পরে মায়েদের প্রিয় হাতিয়ারের তালিকায় আছে বাথরুমে যাওয়ার স্যান্ডেল ও স্কেল। (কাঠের বা ষ্টীলের- একটা হলেই চলে!)
৩- গাজীপুরের এপেক্স কোম্পানির একটি কারখানায় একজন নারী শ্রমিক গর্ভবতী ছিলেন- এই অবস্থাতেও তিনি ছুটি পান নাই। যেই টয়লেটে আপনি নিজের মলমূত্র ত্যাগ করেন,শেষমেশ আজকে কারখানার সেই টয়লেটে সন্তান জন্ম দেন এই মহিলা। তারচেয়েও বড় খবর হচ্ছে- নিজেকে বাঁচাতে পারলেও তার এই সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। এই কারখানার মালিককে খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে "আপনি কি কোন মহিলার পেট থেকে বের হন নাই? নাকি ডাইরেক্ট আসমান থেকে দুনিয়াতে টুপ করে পড়ছেন?"
৪- পহেলা বৈশাখে টিএসসিতে যা ঘটেছে, সেটার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন আজকে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যসহ আরও কিছু মানুষ। পুলিশ তাদের পিটিয়ে আহত করেছে, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। একটি ছবিতে দেখলাম একজন মেয়ের চুলের মুঠি ধরে টানছেন একজন পুলিশ। প্রতিবাদকারীদের পিটাতে পুলিশ যেই এনার্জি দেখিয়েছে, সেই এনার্জি যদি তারা অপরাধীদের ধরতে দেখাত- তাহলে আমরা হয়ত সুফল পেতাম কিছুটা হলেও। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চুপ, দুই দলের প্রধান নারী হওয়া সত্ত্বেও তারা দুইজনেই একদম চুপ। নারীর সম্মানহানিকারিদের বিচার করতে না পারলে কোন মুখে নারী দিবস বা মা দিবস পালন করি?
৫- এই পৃথিবীতে নিঃসন্তান দম্পতির মত কষ্টে মনে হয়না আর কেও থাকে। আর আমাদের সমাজ তো মাশাল্লাহ- বাচ্চা না হলেই নারীজাতি "অপয়া",সকল দোষ নারী ঘোষ। নিঃসন্তান দম্পতি সারারাত এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দেন, স্বামী স্ত্রী দুইজনেই দুইজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তারা ঘুমিয়ে গেছেন, কিন্তু কেও আসলে চোখের পাতা এক করতে পারেন না। দেয়ালে ঝোলানো একটি বাচ্চার ছবি দেখে নিঃসন্তান মা নীরবে চোখের পানি ফেলেন। হুজুরের পানি পড়া, তাবিজ, কবজ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে উন্নত চিকিৎসা- কোন কিছুই বাদ দেন না তারা- শুধু একটি সন্তানের আশায়। সন্তান আর আসে না, কিন্তু সেই পীর ফকিরদের পয়সার পাহাড়ের উচ্চতা দিন দিন বাড়তেই থাকে। এইসব দম্পতিকে বলছি- আর সময় নষ্ট না করে সন্তান পালক বা দত্তক নিন। জানি এটা করতে হলে অনেক ধরনের ঝামেলা হয়, তারপরেও এটা করার চেষ্টা করুন। কারো কথায় কান দেয়ার দরকার নাই- যারা কথা বলে তারা কেও আপনাকে সন্তান দিতে পারবে না একটা।
৬- জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত মা দিবস কেটেছে আজকে। নিজের রেডিওর অফিসে আমার গেস্ট হিসেবে ছিলেন আমার মা। মাইকের সামনে কানে হেডফোন দিয়ে এই মহিলা যখন কথাবলা শুরু করলেন, তখন আমার মনে হল, আরজের পেশায় আমি ভুল করে চলে আসছি, আমার মা এই কাজ আমার চেয়ে বেশি ভালো পারতেন। জীবনে প্রথম মাইকের সামনে কথা বলে তিনি বেজায় খুশি। নিজের ছেলের অফিসের যাই দেখেন, তাই তার কাছে ভাল্লাগে, সেটা এক গ্লাস পানি হলেও। অফিস থেকে সন্ধ্যায় মাকে ফোন দিয়েছিলাম "মা, কি করো?" জিজ্ঞেস করতে, বললেন "রান্না করছি, রাতে বাসায় মেহমান আসবে"। অফিস থেকে রাতে বাসায় ফিরে দেখি আমার মা তখনো রান্নাঘরে। জন্মদিন, নারী দিবস্,মা দিবস, মে দিবস- ৩৬৫ দিবস আমার মা রান্নাঘরেই কাটিয়ে দিলেন, সেখানেই তিনি দিবস, সন্ধ্যা, রজনী পালন করেন।
এতকিছুর পরেও কি মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাব? কি জানি!
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
শাহরুখ সাকিব বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ! আপনি ফিল্ম ছাড়া অন্য বিষয় নিয়েও চমৎকার লেখেন। শুভেচ্ছা।