নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভেবেছো কৌটর মাঝখানে; ভোমরা রাখা আছে সাবধানে।

ছোট ছেলে।

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।

ছোট ছেলে। › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী আর ঘরের আসবাব পত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আসবাবপত্র যেমন যুগের পর যুগ আসবাব পত্র হিসেবেই থেকে যায় তেমনি একটি মেয়ে শিশুকাল থেকে সমাজের রীতি অনুযায়ী শুধু হাত বদল হয়। ছোট্ট শিশু থেকেই সামাজিক ভীতির আড়ালে একটি মেয়েকে তার বাবা-মা শুধু খুব সুন্দর আসবাবপত্রের মতই ঘরের মধ্যে রেখে দেন। সেই বাচ্চাটি আস্তে আস্তে বড় হয়। আসবাব পত্রের গায়ে পালিশ পরার মত তার পোশাকের দৈর্ঘ বড় হয়। চাকচিক্যে আসে পরিবর্তন। মুল বিষয়টা আমাদের চোখের আড়ালেই থেকে যায়। অথবা আমরা যারা পুরুষ তারা না বুঝার ভান করে হাতিল থেকে কিনে আনা খুব শৌখিন আসবাবপত্রের মত বউ নিয়ে আসি। পার্থক্য হলো আসবাবপত্র হাঁটতে পারেনা; মেয়েরা সেটুকু পারে।



আমার মা ভালো ছাত্রী ছিলেন। সেই তিন মাইল ধ্যারধ্যারে কাদা পার হয়ে তিনি স্কুলে যেতেন। শত প্রতিকুলতা অতিক্রম করে তিনি ক্লাসে দ্বিতীয় হতেন। প্রথম স্থানটি ছিলো যার তিনি আম্মার মেধাকে এখনও স্মরণ করেন। তবে আম্মার ভাগ্যে কি জুটেছিলো? বিয়ের পরে প্রবল পড়ালেখার আগ্রহ দেখে আমার উচ্চ শিক্ষিত ফুফা আব্বাকে ডেকে বললেন,

-ভাতের থেকে ডাল বেশি হলে ভাতের স্বাদ পাওয়া যায়না।

আব্বা বুঝেছিলেন ইশারা। ফলাফল আম্মা ছয়টা ডিগ্রীর সমতুল্য ছয়টা ইন্দুর ছানা পৃথিবীতে এনেছিলেন পরপর ১১ বছরে। আম্মার আক্ষেপ সারা জীবনে বাড়ির বেডরুম, রান্নাঘর আর আঙ্গিনায় প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এসেছে।



আমার বড় আপা ভালো ছাত্রী ছিলেন। সারাজীবন চেয়েছেন নিজেই কিছু করবেন। তার আইডিয়া দেখলে আমি অবাক হই। তবে তার আইডিয়া আমার মায়ের মতই বেডরুম, কিচেন আর বাচ্চাকাচ্চা-স্বামী সংসারের ভীরে চিড়েচ্যাপ্টা। আমার ছোট আপা আজ থেকে বহু বছর আগে পুকুর থেকে তুলে আনা পানিতে ভেজা কাঠের টুকরায় নিজস্ব কায়দায় যে গ্রামের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলেন তাতে আমার প্রয়াত পিতা অবাক হয়ে তাকে চারুকলাতে পড়াতে চেয়েছিলেন। সে স্বপ্ন পুরণ হয়নি। প্রতিভা এখনো বিদ্যমান। তবে বেডরুম আর কিচেনের মধ্যেই।



আমরা পুরুষ যারা প্রেম করি অধিকাংশই চাইনা প্রেমিকা বাইরে যাক। বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিশুক। আমরা উচ্চশিক্ষিত অনেকেই গোপণে প্রেমিকার মোবাইল চেক করে দেখি কাকে সে কল করলো অথবা কে মেসেজ দিলো। মেয়েটিও ভালবাসার দাবী বলে মনের ব্যাথা গোপণ করে ফেলেন। একদিন তাকে আপাদমস্তক সাজিয়ে ঘরের ফার্ণিচার করে ঘরে তুলে আনা হয়। মেয়েটি আলমারীর মত পরে থাকে ঘরের মধ্যে। মেয়েটি মেয়ে থেকে বউ, তারপরে নানী-দাদী এবং একদিন পুরাতন আসবাবপত্রের মত পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যায়। চিত্রনাট্য বরাবরই এক ধরণের। শুধু অভিনেত্রী পরিবর্তিত হন



বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
হা হা ..........
এসব পাল্টাতে হবে, পল্টাবেই।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

নতুন বলেছেন: পাল্টাতে অনেক সময় লাগবে...

বত`মানে কেন যেন নারীর প্রতি সন্মান বোধ কমে যাচ্ছে বত`মান প্রজন্মের মাঝে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.