নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৈলজ

শৈলজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আমার অহংবোধ

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

আজ বাঙালি জাতি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। ইতিহাস তৈরি শুধু এবারই করেনি আগেও করেছে বেশ কিছুবার। যেমন ৫২ তে করেছে ভাষার জন্য, ৭১-এ করেছে স্বাধিনতার জন্য। আর আজ করলো আড়ায় লাখের অধিক মানুষ এক সাথে জাতীয় সংগীত গেয়ে। আমি বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করছি। কিন্তু আমি স্বশরীরে উপস্থিত হয়নি প্যারেড গ্রাউন্ডের লাখ কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে। বরং এই না যাওয়ার ভিতর রয়েছে এক ধরণের অহংবোধ। আমি আজ সম্মান জানাতে পেরেছি সেই সকল বীর যোদ্ধাদের যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আর এখনো যারা দেশকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পরাজিত বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি আদর্শ রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মানের জন্য। আমার সবটুকু ভালোবাসা তাদের জন্য যারা এখনো ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থের কারনে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আপোষ করেননি কখনো বা আপোষ করেন না। লাখ কণ্ঠে জাতয়ি সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে আমার যাবার তিব্র আকাংখা ছিলো কিন্তু রাষ্ট্র বা বর্তমান রাষ্ট্রপরিচালনাকারী রাজনৈতিক সরকারে দ্বৈত নীতি কিংবা অন্য দিক দিয়ে বললে বলা যায় আপোষকামী চরিত্র শুধু আমাকে নয় আরো অনেক মাসুষকে আজকের প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠান থেকে দূরে রেখেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বশরীরে উপস্থিত হয়নি কিন্তু দেশকে ভালোবাসি আর ভালোবাসি বলেই ঘরে বসে গেয়েছি "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবসি..."। আমার কেবলই বারবার মনে প্রশ্ন জাগে- কেন এই আপোষ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে? বর্তমান সময়ে কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু কি সেই চেতনা? লাখ কণ্ঠে জাতয়ি সংগিত গাওয়ার অনুষ্ঠানে পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধীদের টাকা নেয়া, নাটকীয়তা তৈরি তারপর আবার তা ফেরত দেয়া- এটাকি স্বাধীনতার চেতনা? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি অ্যাত ঠুনকো যে চাইলেই যা খুশি তা করা যায়! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আর্দশ কি অ্যাত দূর্বল যে ভুল করে স্বাধূণতা বিরোধীদের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রতকারী অনুষ্ঠানে? আরো হস্যকর ব্যপার হলো এখনো রাষ্ট্র কিংবা সরকার এখনো বলছে না যে এটা ভুল করে হয়েছিলো? তাহলে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামধারী এই সব সুবিধাভোগী গোষ্ঠী,দল কিংবা সরকারে আর্দশ নিয়ে। অনেকেই বলবেন সেটা ফেরত দেয়া হয়েছে তাহলে তো সমস্যা থাকার কথা না। হ্যা আমিও বলবো ফেরত দেয়া হয়েছে ভালো কথা কিন্তু আমার প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি অ্যাত দূর্বল যে, কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে আর কে বিপক্ষে তা চিহিৃত করতে পারে না। আমার তা মনে হয় না।আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে কিছু বা অধিক সংখ্যক মানুষ ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে চেষ্টায় মত্ত্ব। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের আর্দশ বা চেতনা মূলত ব্যবসায়িক পুজি ছাড়া আর কিছুই না। অন্যদিক দিয়ে হয়তো বলা যায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল মাত্র। আমি ভন্ড এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীদের ঘুণা করি। আমি বা আমাদের মত আরো অনেক মানুষ আছেন তারা তাদের মত করে দেশকে ভালোবাসেন এবং দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একজন সাধারণ মানুষ, স্বচেতন মানুস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীর কাধে কাধ মিলিয়ে "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি.." এই গানটি আমি নাইবা গাইলাম। এটুকু অহংকার আমার থাকতেই পারে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.