নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেরেশতা পাঠিয়ে যাকে পড়তে বলা হয়েছে, তিনি কিভাবে নিরক্ষর হতে পারেন!!!

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৯



ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ) যখন হেরা গুহায় ছিলেন, তখন ফেরেশতা জিব্রাইল তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে কোরআনের এই আয়াত উপস্থাপন করেছিলেন- ''পড়, তোমার প্রভুর নামে।'' আল্লাহ ও ফেরেশতাদের সরদার জিব্রাইল কি জানতেন না যে, নবী মুহাম্মদ পড়তে জানতেন না? একজন নিরক্ষর ব্যক্তিকে পড়তে বলার পিছনে কোন কারণই থাকার কথা নয়। এটাও নিশ্চিত যে, মহান সৃষ্টিকর্তা জানতেন যে, নবী (সা)-এর অবস্থা জানতেন। তারপরেও পড়তে বলার কারণ কি?

এটা গেলো পড়ার কথা। আমার পরবর্তী প্রশ্ন- একজন নিরক্ষর ব্যক্তি কি লিখতে পারেন? সেই সময়ের অবিশ্বাসীরাও মনে করতো যে, রাসূল (সা) অতীতের রুপকথাগুলো লিখে রাখতেন। তাদের কথার জবাবে তাই তো কোরআনে আল্লাহ বলেছেন- তারা বলে, এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি (মুহাম্মদ) লিখে রেখেছেন। এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর কাছে শেখানো হয়। [সূরা ফুরকানঃ আয়াত ৫]

অবিশ্বাসীদের সাথে একটি যুদ্ধের সময়ে সন্ধি চুক্তি করতে হয়েছিলো। সে সময় বিপক্ষ দলের নেতারা বললো যে- চুক্তির যে অংশে লেখা ছিল “মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”, সেটা যেন মুছে দেওয়া হয়। হযরত মুহাম্মদ (সা) নিজ হাতে তা মুছে দেন। অন্য একটি হাদিসে আছে যে- তিনি নিজ হাতে মুছে দিয়ে লিখেছিলেন- ''এ সন্ধিপত্র মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ সম্পন্ন করেন- খাপবদ্ধ অস্ত্র ব্যতীত আর কিছু নিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কাবাসীদের কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বের করে নিবেন না। আর তাঁর সঙ্গীদের কেউ মক্কায় থাকতে চাইলে তাঁকে বাধা দিবেন না।’ এখন প্রশ্ন, নিরক্ষর হয়েও নবী (সা) কিভাবে পড়তে পারলেন যে কোন অংশে ঐ শব্দগুলো লেখা হয়েছে?

সহীহ বুখারী শরীফের আরেকটি হাদিসে আছে যে- রাসূলুল্লাহ (সা) একটি চিঠিত লিখেছিলেন এবং লেখার ইচ্ছা পোষণ করেন।
আনাস ইবন মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা পত্র লিখলেন অথবা একখানা পত্র লিখতে ইচ্ছা পোষণ করলেন। তখন তাঁকে বলা হল, তারা (রোমবাসী ও অনারবরা) সীলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ করেনা...

এছাড়া, তিরমিযী শরীফের একটি হাদিসে আছে যে--- ''আল-আদ্দা ইবনু খালিদ ইবনু হাওযা (রাঃ) আমাকে বললেন, যে চুক্তিপত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লিখে দেন তা কি তোমাকে পড়ে শুনাব? আমি বললাম, হ্যাঁ।......''

বুখারী শরীফের আরেকটি হাদিসটি এরকম--- ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগ যখন বেড়ে গেল তখন তিনি বললেনঃ আমার কাছে কাগজ কলম নিয়ে এস, আমি তোমাদের এমন কিছু লিখে দিব যাতে পরবর্তীতে তোমরা ভ্রান্ত না হও।


এই হাদিসগুলো কি প্রমাণ করে? মহানবী (সা) নিরক্ষর ছিলেন না। তাহলে, তাঁকে পবিত্র কোরআন শরীফে 'উম্মী' বলা হল কেন?!!! 'উম্মি' শব্দের অনেক অর্থের একটি হলো- 'নিরক্ষর'। তাহলে, কি আমরা কোরআনের এই আয়াতের ভুল মানে করছি? প্রশ্ন থাকলো আপনাদের কাছে।



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৭

নতুন বলেছেন: এই সব বিষয়ে নিয়ে চিন্তা করা অহেতুক সময় নস্ট করা।

যদি তিনি খুবই শিক্ষিত সাটিফিকেট ধারী হতেন তখন সবাই বলতো যে তাকে সৃস্টিকতা সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত করেছেন উদাহরন হিসেবে।

উনি যদি নিরক্ষর হয়ে থেকেন তবে সবাই বলে নিরক্ষর নবী কিভাবে এতো কিছু বললো, এটাই একটা প্রমান যে এটা সৃস্টিকতার কথা। তার নিজের কথা না।

ব্যাপার হইলো আপনি যেটা পছন্দ করবেন সেটার পক্ষে অনেক যুক্তি পাবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



এখানে পছন্দ বা অপছন্দের চেয়ে সত্য উদাঘাটন করা বেশি প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,




তাই তো !!!!!!!!!!!! :||

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

একটু ভাবনার বিষয় বৈকি!!!

শুভেচ্ছা নিরন্তর, শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাই।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।


জনাব আপনাকে কয়েকটা মন্তব্য করেছি। মন্তব্য গুলো দেখুন।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:২০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মহানবী ( সা : ) কে উম্মি হয়তো রূপক অর্থে বলা হয়েছে যা আমাদের প্রথাগত শিক্ষিত-অশিক্ষিতের সংজ্ঞায় পড়ে না। আমার মনে হয় নবুয়তের পূর্বে এবং পরের মধ্যে মহান আল্লাহর বাণীর মর্মার্থ উপলব্ধির পার্থক্য বুঝানোর জন্য তাকে উম্মি বলা হয়েছিল।

লক্ষ্য করে দেখুন আমাদের আশেপাশে আল্লাহর বাণীর মর্মার্থ অনেকেই উচ্চশিক্ষিত হয়েও বুঝতে পারেন না - তাই যে যার মতো কাস্টমাইজ করে ব্যাখ্যা দিয়ে সব ধরণের কাজকেই জায়েজ করে ফেলে সবাই। ধার্মিক হয়েও মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা হারিয়ে দুর্নীতি, লোভ-লালসার দাস হয়ে পড়ে সহজেই। সেই হিসাবে তাদেরকে আপনি আদ্যোপান্ত উম্মি বা নিরক্ষর বলতে পারেন।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের আয়াতে রসুলকে (সা) উম্মি নবী বলা হয়েছে। আমরা দরুদ পরে থাকি ' আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইল উম্মিই'।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হেরা গুহায় রসুলকে (সা) যখন পড়ার কথা বলা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন আমি পড়তে পারি না। এরপর হজরত জিবরীল (আ) তাকে তিনবার শক্ত করে বুকে চেপে ধরেন এবং বলেন যে 'পড়ুন আপনার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন ....... '। জিবরীলের (আ) সাথে সাথে তিনিও কোরআনের এই প্রথম আয়াত উচ্চারণ করেছেন।

রসুল (সা) পড়তে পারেন না বলেই জিবরীলকে (আ) এইভাবে বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.