নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা যেভাবে দূর্ভিক্ষকে ঠেকিয়ে দিতে পারবো

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১২



মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্ভিক্ষের হুশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা সেই দূর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কীভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি? এক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে- আমাদের সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধনিক শ্রেণীর মানুষদের একসাথে কাজ করতে হবে। সেটা কীভাবে করা সম্ভব?

প্রথমত আমাদের টার্গেট করতে হবে কত মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। সেই সংখ্যাটা আমাদের জন্যে জরুরী। কারণ, সহায়সম্বলহীন মানুষেরাই মূলতঃ দূর্ভিক্ষের শিকার হয়।

আমাদের দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ জাতীয় দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন। অর্থাৎ, এই মানুষেরা দৈনিক ২,১২২ ক্যালোরি পরিমাণ খাদ্য নিজেদের জন্যে জোটাতে পারেন না। আমরা যদি এই ২ কোটি মানুষকে দৈনিক খাদ্য যোগাতে পারি, তাহলেই দূর্ভিক্ষ ঠেকানো যাবে।

সেটা কীভাবে সম্ভব তার একটি আইডিয়া আমি তৈরী করেছি-

১) আমাদেরকে প্রথমেই ৩ বছরের জন্যে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন টাকা সম পরিমাণ খাদ্য রপ্তানি করে। যেসব খাদ্য রপ্তানি করা হয়, সেগুলো স্বল্প মূল্যে দরিদ্র মানুষদের জন্যে বিশেষ রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।

২) যেসব জমিতে খাদ্য নয় এমন শস্য উৎপাদন হয়, সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে সেই শস্যগুলো আমদানী করতে হবে। যেমন - তামাক চাষ। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রায় ১ লক্ষ একর জমিতে তামাক উৎপাদন হয়।এই জমিগুলোতে খাদ্য শস্য উৎপাদন করতে হবে।

৩) দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা ব্যক্তিদের রেশন কার্ড দিতে হবে। সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে ২,১২২ ক্যালোরি সম-পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

৪) কোটিপতি প্রত্যেক ব্যক্তিকে দরিদ্র একটি পরবারের দায়িত্ব নিতে উৎসাহ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সরকার কর রেয়াতের ব্যবস্থা করতে পারে এমন কোটিপতি ব্যক্তিদের জন্যে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা ১৯ হাজার ৩৫১ জন। এই কোটিপতিরা যদি প্রত্যেকে ৪ সদস্যের ১টি দরিদ্র পরিবারের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব নেন, তাহলে, প্রায় ৮০ হাজার দরিদ্র দূর্ভিক্ষ থেকে বেঁচে যাবেন। এছাড়াও প্রায় ৪ কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ প্রত্যেকে ১-জন মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমরা দূভিক্ষকে পুরোপুরি ঠেকিয়ে দিতে পারবো।

৫) ওয়ার্ড ভিত্তিক মোহাফেজখানা খুলে সেখানে তরুণ সমাজকে দান এবং স্বেচ্ছাশ্রমে উৎসাহ দিতে হবে। এই মহাফেজখানাগুলোতে দরিদ্রদের লিস্ট করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) প্রসেসড ফুড যেগুলো ফাস্ট ফুডের দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো দেশে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে আমদানী করার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে অনেক খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত থাকবে দরিদ্রদের জন্যে।

আর, এভাবেই সম্ভব দূর্ভিক্ষকে মোকাবেলা করা।


পরিকল্পনায়ঃ
মোহাম্মদ ফাছিহ-উল ইসলাম শাইয়্যান
আই,টি উদ্যোক্তা, ব্লগার, লিডারশীপ কোচ।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কাজের মনে হচ্ছে না আপনার এসব উপায়কে । এমনিতেই আমাদের রিজার্ভের অবস্থা ভালো না এর মধ্যে যদি রপ্তানির একটা খাত বন্ধ হয় তবে কর্মসংস্থান হারাবে অনেক মানুষ । এদের বেকারত্ব দূর করবে কে ? দরিদ্রসীমা দেখা যাবে রাবণের মাথার মত গজাবে ।


আমদানি বাড়ালে আমরা আরও মারা খাব । এমনিতেও আমাদের আমদানি বেশি রপ্তানি কম । আমদানি আরও বেশি হলে আমরা চরম মন্দার দিকে যাব নিঃসন্দেহে ।

কর রেয়াত প্রকল্পটাও কোন কাজে আসবে না । কারণ আপনি আয়কর রেয়াত করতে পারবেন যদি সব ধরনের কর রেয়াতের কথা বলে থাকেন তবে সেটা হবে বাল্যসুলভ আবদার । সরকারের প্রধান আয় তো কর এর বাদে সরকার দেশ চালানোর খরচ জোগাবে কিসে ?


এভাবে দূর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা যাবে না উল্টো দূর্ভিক্ষ বাড়বে । আপনার প্রত্যেকটা আবদারের মধ্যে প্রায় সব কটাই অর্থনৈতিক মন্দার দিকে আমাদের নিয়ে যাবে ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





১) রিজার্ভ দিয়ে কি করবেন যদি মানুষ না বাঁচে?

২) আমদানী - রপ্তানি'র প্যাঁচে পড়া চলবে না। আমদানির পথ খুলে দিতে হবে যদি ফাস্ট ফুড দোকানগুলো চালাতে হয়। সেগুলো একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ হবে না।

৩) কর রেয়াত মানে কর কম দিবে ধনীরা। এই সুযোগ পাবেন তাঁরা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ৪-জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারে।


এভাবেই সম্ভব দূভিক্ষ মোকাবেলা করা, আমার মতে।

ধন্যবাদ।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বলেন কি আপনি রিজার্ভ যদি না থাকে তো আমরা আমদানি করব কি দিয়ে ? ভাই আপনি কী মুদ্রা ছাড়া সাহায্য পাওয়াকেই আমদানি ভাবছেন নাকি ?

আপনি যা বলছেন তাতে এমনিতেই ফাঁস লাগবে জাতির । আমদানি বাড়িয়ে দেবার বা আমদানি খরচ বাড়া হল আজ আমাদের এই যে দশা তার অন্যতম কারণ আর আপনি দেখছি একে একেবারে তুঙ্গে না তুলে ছাড়বেন না ।

ধনীরা কর কম দিলে তো আমরা সাধারণ মানুষের করভার বাড়বে । কর রেয়াত হলে যে আরেক দিকে করভার বাড়বে আর এর ভার যাবে মধ্যবিত্ত থেকে সকল প্রকার অধনী মানুষদের ওপর । এটা সম্ভবত আপনার বাল্যসুলভ উদ্ভাবনীর আনন্দে আপনি টের পাচ্ছেন না ।


এটার মোকাবেলার উপায় না বরং জাতিকে বেলা বিস্কুট করে দেবার উপায় ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





যে কোন উদ্ভাবনই প্রথম প্রথম বাল্যসুলভ মনে হয় সাধারণ লোকদের কাছে!!! :)

রিজার্ভকে ধনীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা একদমই অনুচিত।

পুরো প্ল্যানটি এখানে প্রকাশ করতে পারছি না। স্যরি।

ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



বড় কথা হলো, শেখ হাসিনা অগ্রিম টের পেয়েছেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




শী ইজ আ ফোর্স।

এই কথা মনে রাখতে হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



@নিবর্হণ নির্ঘোষ,

রিজার্ভ সরকারের হাতে আছে, লেখক উহা ব্যয় করতে পারবে না; আগত দুর্ভিক্ষ নিয়ে আপনার কি ভাবনা?

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





আমেরিকা গতকাল রাতে চীনের সেমি কন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রি শেষ করে দিয়েছে।

কিছু জানতে পেরেছেন।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা সম্ভাব্য একটি চিত্র আকছি দুর্ভিক্ষের যা আমাদের ভাবনামত নাও হতে পারে । আমার বয়েসে আমি দুর্ভিক্ষ দেখিনি শুধু ৭১ সালের বিজয়ের পরে ফেরত আসা শরণার্থীদের রিলিফ বিলির সময় বুঝেছি খাদ্যাভাব কাকে বলে । আমরা নিজেরাও খাদ্য সংকটে পড়েছি এবং ক্ষুধা কি যন্ত্রনাময় ভালভাবেই টের পেয়েছি ।

চাল মজুদ চলবে না কারন আমাদের লোকেরা খুব অমানুষ হয়ে গেছে যা করোনা শুরুতে দেখেছি । তামাক বিক্রির টাকা দিয়ে চাল আনা যাবে কারন তামাক বেশ অর্থকরী ফসল । লঙ্গরখানা খুলতেই হবে এবং সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিতে হবে । আমাদের ফসল কম হয়না । সোলার প্যানেল দিয়ে নদিতে পাম্প বসিয়ে উর্বর নয় এমন জমিতে সেচ দিয়ে ইরি উৎপাদনে মনযোগী হতে হবে । এই সিস্টেমটা অনেকটা সমবায় ভিত্তিক হলে উৎপাদন ভাল হবে । আপনার খালি জমি আছে কিন্তু আপনি চাষাবাসে আগ্রহী নন। এক্ষেত্রে ইচ্ছুক চাষিদের জমি ভাড়া দিতে হবে যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সামলাবেন ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



কোটিপতিদের পকেট থেকে টাকা বের করাতে হবে।

তাঁদেরকে লাভ বোঝালে, তাঁরা টাকা খরচ করবেন দরিদ্রদের জন্যে।

এতে দেশের লাভ হবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর, ভাইয়া।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী ভাই ।

দুর্ভিক্ষটাকে মোকাবেলা করা সম্ভব যদি মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা যায় । এবং দূর্নীতির কারণে যে টাকা এতদিন জমে পাহাড় হয়েছে তা যদি খাদ্যের খাতে ব্যয় হয় তবে ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণগুলোর কথা হয়তো জানেন না।

সেই ইনডিকেটরগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ না আনলে, তেমন কিছু করা সম্ভব হবে না।

ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "আমেরিকা গতকাল রাতে চীনের সেমি কন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রি শেষ করে দিয়েছে। "

-আমেরিকা এসব বিষয়ে চীনের সস্তা ও দীর্ঘ কর্মঘন্টার সাথে পেরে উঠবে না; বাইডেন যেই প্ল্যান নিচ্ছে, উহা কাজ করবে না, টাকা খরচ হবে মাত্র, এবং উহা ধনীদের পকেটে যাবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিলিকন উৎপাদনকারী দুইতই দেশ হচ্ছে- চীন এবং রাশিয়া!

আমেরিকার খবর আছে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সোনাগাজী ভাই । দুর্ভিক্ষটাকে মোকাবেলা করা সম্ভব যদি মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা যায় । এবং দূর্নীতির কারণে যে টাকা এতদিন জমে পাহাড় হয়েছে তা যদি খাদ্যের খাতে ব্যয় হয় তবে ।

-মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানার জন্য যেইসব টুলস ব্যবহার করা হয়, ৩য় বিশ্বের সরকারদের সেসব সংস্হা নেই; আমাদের যেই লোক অর্থমন্ত্রী, উহা আসলে সরকারী চাকুরীওয়ালাদের বেতন দেয়ার কেরানী।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি মুদ্রাস্ফীতির মূল কারণগুলোর কথা হয়তো জানেন না।

নারে ভাই আপনি খালি একাই জানেন । মুদ্রাস্ফীতি হয় তো দুটো প্রকারে সেই দুটো প্রকার সম্পর্কে আপনার অনুভবে কিছু নাই বলেই আপনি এমন উদ্ভট সমাধান দিচ্ছেন । থাকলে দিতেন না ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



গুগল করে অনেক কিছু বলা সম্ভব।

একটু গভীরে যান, দয়া করে।

ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানার জন্য যেইসব টুলস ব্যবহার করা হয়, ৩য় বিশ্বের সরকারদের সেসব সংস্হা নেই; আমাদের যেই লোক অর্থমন্ত্রী, উহা আসলে সরকারী চাকুরীওয়ালাদের বেতন দেয়ার কেরানী।

হ্যাঁ তা ঠিক আছে । এখানে বলবার আর কিছুই নাই ।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রিজার্ভটাই বড় সমস্যা। আরেকটা সমস্যা হল ডলার এবং পেট্রোলিয়াম জাতীয় তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য সহ অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে। রিজার্ভ বাঁচাতে হলে বিলাসবহুল পণ্য আমদানির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। ফলে রিজার্ভের উপর চাপ কমবে। এই টাকা দিয়ে প্রয়োজনে আরও খাদ্য আমদানি করতে হবে। মেগা প্রজেক্ট কয়েক বছরের জন্য বন্ধ করলেই সরকারের হাতে অনেক টাকা চলে আসবে। মানুষের খাদ্য এবং পশুপাখির খাদ্যের আমদানির উপর ডিউটি এবং ট্যাক্স তুলে দিতে হবে ২ বছরের জন্য। বিদেশ ভ্রমণের উপর রাশ টানতে হবে রিজার্ভ বাঁচানোর জন্য।

তালিকা তৈরি করে অতি দরিদ্র পরিবারের মোবাইলে সরাসরি মাথাপিছু ২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি না হয়। দুই বছরের জন্য ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপর পরোক্ষ কর (যেমন মূল্য সংজজন কর - ভিএটি ) তুলে দিতে হবে। এই ঘাটতি মেটানোর জন্য পুনরায় সম্পদ করে চালু করা যেতে পারে বড় লোকদের উপর ২ বছরের জন্য।

ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় আমদানির চেষ্টা করতে হবে এবং কিছু রিজার্ভ অন্য অন্য কোন বিদেশী মুদ্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আমদানি ব্যয় কমবে এবং জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

বিদ্যুৎ বিক্রিতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে দেশের শিল্প কারখানাকে রক্ষার জন্য। এই ভর্তুকি মেটাতে বাজেটের খরচ খাতের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়গুলি বাদ দিতে হবে। সরকারী ব্যয় কমাতে হবে। সামরিক বাজেট ২ বছরের জন্য কমাতে হবে।

সরকারী খাস জমি সহ সকল অনাবাদি জমিকে খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করতে হবে। বেকারত্ব কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে যেন তারা ব্যবসা না গুটিয়ে নেন। গার্মেন্টসের রফতানি ফরমাইশ ঠিক রাখাটা কঠিন হবে। কারণ এটা নির্ভর করে পশ্চিমের দেশের জনগণের আর্থিক সামর্থ্যের উপর। গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইলে নগদ প্রণোদনা আরেকটু বাড়াতে হবে ২ বছরের জন্য।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাই শায়ান আমার এসব গুগল করে বলা নারে ভাই । আর ভাই আপনার এই লিখা পড়ে অণ্তত আপনাকে গভীর তলের জানাশোনা বলে মনে হচ্ছে না !!

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাগাজী বলেছেন:


সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন, "ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় আমদানির চেষ্টা করতে হবে এবং কিছু রিজার্ভ অন্য অন্য কোন বিদেশী মুদ্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আমদানি ব্যয় কমবে এবং জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। "

-ডলারের বদলে অন্য মুদ্রায় আমদানী করলে, আমদানী ব্যয় কমবে? এত বড় বুদ্ধিমান ভাবনা আমি এর আগে শুনিনি।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: করোনা ও যুদ্ধের কারনে মন্দা সারাবিশ্বব্যপীই হচ্ছে। কিন্ত তাই বলে আর কোন দেশের সরকার দুর্ভিক্ষ আসার ঘোষনা দেয়নি। যেহেতু দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে , তাই এ থেকে পরিত্রানের একটাই উপায় এবং সেটা হচ্ছে এই জোড়পুর্বক ক্ষমতা ধরে রাখা সরকারের পতন। নতুন যেই সরকারই আসুক না কেন, পাচারকৃত ও লুট করা অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে আনতে পারলেই দেশের হাল বদলে যেতে বাধ্য।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একটা নেক চিন্তা করেছেন। যাইহোক, শেখ হাসিনা কারো কথা শুনেন না। তার যা মন চাইবে তাই হবে দেশে।

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে ডলার ছাড়া অন্য কোন শক্তিশালী মুদ্রাতেও রাখা যায় এটা অনেকে জানে না। ডলার ছাড়া অনেক দেশ ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, চীনা ইউয়ান ও জাপানি ইয়েনে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত রাখে। কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে দুইটা দেশ এই মুদ্রাগুলি ছাড়াও নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন করে থাকে অনেক সময়। পৃথিবীতে বর্তমানে ৫৯ শতাংশ রিজার্ভ হলো ইউএস ডলারে। ইউরো প্রায় ২০ ভাগ। আর সব মুদ্রা মিলিয়ে বাকি ২০ শতাংশ। ইউয়ান ২.২৫ শতাংশ।

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সম্ভবত কিছু রিজার্ভ ডলার ছাড়া অন্য মুদ্রায় রাখে, কিছু গোল্ডে রাখে। এটাকে আরও বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। এই লিঙ্কটাতে আরও বিস্তারিত তথ্য আছে।

https://www.dailyjanakantha.com/national/news/665766

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,




দুঃখিত, বলতেই হচ্ছে - আকাশ কুসুম কল্পনা!
যে দেশের মানুষ রাস্তার এক্সিডেন্ট দেখে আহতদের সাহায্যে তাৎক্ষনিক ভাবে এগিয়ে না এসে সেলফি তোলায় ব্যস্ত থাকে ; যে দেশে দুর্ঘটনায় পতিত আহত বা মৃত ব্যক্তির পকেট্ও সাফাই করে নেয়া হয়, যে দেশে প্রায় সবাই আপাদমস্তক নিজ পকেট ভরাতে ব্যস্ত, যে দেশে পুকুর চুরি করে বিদেশে পাচার করার চান্স পেলে কেউই ছাড়েনা সে দেশে এমন আহ্বান নিছক ভুল জায়গায় " নক" করা।
যে দেশে " চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী!" সে দেশে এমন জনহিতকর ভাবনা উলুবনে মুক্তা ছড়ানো হয়ে গেল না ??

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে ডলার ছাড়া অন্য কোন শক্তিশালী মুদ্রাতেও রাখা যায় এটা অনেকে জানে না। ডলার ছাড়া অনেক দেশ ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, চীনা ইউয়ান ও জাপানি ইয়েনে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত রাখে।

গত ১০ বছর, যাদের রিজার্ভ ইউরো, পাউন্ড, ইয়েনে ছিলো, তাদের মুদ্রা মান ( পুরো সন্চয় )ডলারের তুলনায় কি পরিমাণ কমেছে?

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাগাজী - আগে ১ ডলার কেনা যেত ৮৫ টাকায় এখন কিনতে হয় ১০৫ টাকায়। এতে বাংলাদেশের মানুষের লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতি হয়েছে? আমদানি করা জিনিসপত্রের দাম যে এই কারণে বেড়ে গেছে এটা কি আপনার মাথায় ঢুকছে?

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:


সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাগাজী - আগে ১ ডলার কেনা যেত ৮৫ টাকায় এখন কিনতে হয় ১০৫ টাকায়। এতে বাংলাদেশের মানুষের লাভ হয়েছে নাকি ক্ষতি হয়েছে? আমদানি করা জিনিসপত্রের দাম যে এই কারণে বেড়ে গেছে এটা কি আপনার মাথায় ঢুকছে?

-ইা আমার মাথায় ঢুকেছে; যদি ইউরো, পাউন্ডে কিংবা ইয়েনে রিজার্ভ ( গত কিছু বছর ধরে রেখে ) ধরে রেখে, উহাতে কেনা হতো, তাতে আজকের ডলারে যা পড়ছে, তার থেকে "সস্তা হতো, নাকি আরো বেশী খরচ হতো"?

২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.