![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমরা অনেকেই জানি, মানুষ মহাকাশ জয় করে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল। ঐ দিন সোভিয়েত কসমোনোট ইউরি গেগারিন মহাকাশ ভ্রমণ করেন। সেই শুরু। আজ পর্যন্ত মানুষ প্রতি বছর মহাকাশ ভ্রমণ করেছে। তবে, কেন যেন মহাকাশে মানুষের ভ্রমণ দিন দিন কমে আসছে!
.
১৯৬১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ অনেক বার মহাকাশে ভ্রমণ করেছেন। এর মাঝে, ১৯৬৭ সালে সর্বনিম্ন মাত্র ১ বার, আর, ১৯৮৫ সালে সর্বোচ্চ ৬৩ বার মহাকাশ ভ্রমণ করা হয়।
.
কিন্তু, অবাক করা বিষয় হচ্ছে, মানুষের বর্তমান সভ্যতা দিন দিন যত উন্নত হচ্ছে, মহাকাশে ভ্রমণের সংখ্যাও কেন জানি কমে আসছে! চিত্রে দেখা যাচ্ছে, গত ১০ বছরের মধ্যে ২০২১ সালেই সবচেয়ে কম মাত্র ৭-বার মহাকাশ ভ্রমণ করা হয়।
.
যান্ত্রিক সভ্যতা বিকাশের সাথে মকাশযাত্রার এই কমে আসার কোন সম্পর্ক আছে কি?
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এটা ঠিক যে, অনেক খরচ লাগে।
তবে, সেটাই কি একমাত্র কারণ?
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮
রানার ব্লগ বলেছেন: খরচ ও রিস্ক দুইটাই
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
রিস্কের কারণে মহাকাশ যাত্রা বন্ধ!!!
আমার তা মনে হয় না। ১৯৬১ সালে রিস্ক আরও বেশি ছিলো। যন্ত্র শিল্পের উন্নতির সাথে সাথে রিস্ক কমে আসছে।
ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মানুষ মহাকাশ জয় করতে পারে নি, আর সেটা সম্ভব নয় বলেই আমার ধারনা। নিজস্ব সৌরজগৎ এখনো অনাবিষ্কৃত আর অনেকটাই অবোধ্য। এখনো মানুষ মার্সে যেতে পারে নি সুতরাং মহাকাশ আরো অনেক দূরের বিষয়। তবে আপনি মানুষের মহাকাশ ভ্রমণ যাত্রার সংখ্যা কমে আসার যে ব্যাপার যেটি উল্লেখ করেছেন, সেটির পেছনের কারণ খুব সম্ববত অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা। পুরো বিশ্বই এখনো অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে ধীরে ধীরে এ সমস্যাও কেটে যাবে আর আগামীতেও মানুষের মহাকাশ ভ্রমণ এর সংখ্যাও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস।
আমাদের মহাকাশ ভ্রমণ যাত্রা এখনো চাঁদ বা অন্যকোন গ্রহে ব্যাপকতা লাভ করে নি, তার মূল কারণ যতটানা অর্থনৈতিক তার চেয়েও অনেক বেশী প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা বলে আমার মনে হয়। যদিও পুরো বিষয়টা মূলত নির্ভর করে মিশনের মূল উদ্দেশ্যর উপর। এখনো পর্যন্ত মানুষ বহু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, রোবট পাঠিয়েছে বিভিন্ন গ্রহে মূলত জানার উদ্দেশ্য বা এগুলো মূলত রিসার্চ মিশন। সম্ভাব্যতা যাচাই না করে হুট করেই কোন গ্রহে যাওয়ার বিষয়টা খুব সম্ভবত বিজ্ঞানসম্মত নয়। মানুষ তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে কম-বেশী অবগত, তাই কোথাও যাওয়ার আগে গন্তব্য সম্পর্কে সম্যক ধারনা আবশ্যক। আশার কথা হলো মানুষ বসে নেই, আমি কম-বেশী এ ব্যপারে খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করি। আপাতত বেশ ক'টি মিশন চলমান রয়েছে। আমার ধারনা আমাদের জীবদ্দশায় খুব বেশী না হলেও আগামীতে গণহারে মহাকাশ যাত্রাও স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হবে।
বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে, মানুষকে এক সময় এই পৃথিবীর বাইরের অন্যকোন গ্রহে বসবাসের ব্যবস্থা করার বিষয়টি নিয়ে আরো জোরালো চিন্তা-ধারা এবং সিদ্ধান্ত নিতে হতে বলে আমার ধারণা তবে সে ক্ষেত্রেও আপাতঃ দৃষ্টিতে সফলতার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও মানুষ তার স্বাভাবিক স্বভাবসুলভভাবেই চেষ্টা করেই যাবে। আপনার লিখার জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রথমেই আপনার বিস্তারিত কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মহাকাশে মানুষ জয় করেছে কিনা সেটা আসলে তর্কসাপেক্ষ ব্যাপার। মহাকাশ বিশাল একটি এনটিটি। এতই 'পুরোপুরি' জয় করা নিকট ভবিষ্যতে হয়তো সম্ভব নয়, তবে, একদম অসম্ভব বলেও মনে হচ্ছে না। কারণ, মানুষের অসাধ্য কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।
তবে, যেহেতু, আমরা পৃথিবীর মায়া একবার কাটাতে পেরেছি, সেহেতু মহাকাশের একাংশ জয় হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া উচিৎ।
মহাকাশ যাত্রা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবু, মানুষ থেমে নেই। যদিও, অন্য একটি গ্রাফে পেয়েছি- দিনে দিনে মহাকাশের পিছনে মানুষের 'বিনিয়োগ' কমে আসছে। এর কারণ অবশ্য আমি এখনো জানি না।
মহাকাশে মানুষের বসবাসের চেষ্টা চলছে। সেটা এখন পর্যন্ত স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বিজ্ঞানের নামে ডাকাতিটার শুরু কিন্তু খুব রিসেন্টলি। অস্বাভাবিক বাজেট, অস্বাভাবিক বেতন দুটিই বিজ্ঞানের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞান নিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ছিলো আগে প্রধান, এখন বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান নিয়ে ব্যবসা বড় আকার ধারণ করছে।
স্পেস ট্যুরিজম ধীরে ধীরে জনপ্রিয় করবার চেষ্টায় আছে কিছু কম্পানি। এখানেও কিন্তু বিজ্ঞানীরা ঝামেলা হয়ে দাড়াচ্ছেন। ইলন মাস্ক যখন প্রাইভেট স্পেস ট্রাভেল নিয়ে কাজ শুরু করেন, তখন কিন্তু নাসার বিজ্ঞানী ও এ্যাসট্রোনাটরাই বাঁকা মন্তব্য করেছেন!
স্পেস ট্রাভেল এখন অনেকাংশেই কম প্রয়োজন পড়ছে রোবোটিক্সে উন্নয়নের ফলে। আগে যেটা করতে একজনকে মহাকাশে যেতে হতো, এখন সেটা রোবোট দিয়েই করা যাচ্ছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহাকাশকে নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের হাতে ছেড়ে দেওয়াটা উচিৎ নয়।
আমি এই নিয়ে পরবর্তী পোস্টে কিছু লিখবো।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৩
বিটপি বলেছেন: মহাকাশে আগে অনেক কিছু আমাদের অজানা ছিল। মানুষের কৌতুহল ছিল বেশি। হাবল টেলিস্কোপ এবং জেমস ওয়েব আমাদের অনেক কৌতুহলকেই নিবারণ করে দিয়েছে। নতুন করে মহাকাশ থেকে আমাদের পাবার কিছু নেই। যদি কিছু থেকেও থাকে, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তা এখন আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ কারণেই মহাকাশে মানুষের পদচারণা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমরা যদি কখনো অফুরন্ত জ্বালানির উৎস আবিষ্কার করতে পারি, অথবা এন্টি ম্যাটারের বিরাট খনি পেয়ে যাই, তাহলে এই যাত্রা আবার শুরু হতে পারে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহাকাশ মিশন খুবই ব্যয়বহুল একটি ব্যাপার।
যদিও, গত দুই বছর করোনার কারণে মহাকাশ নিয়ে ভাবনা কমে এসেছে, তবে, এটা অদূর ভবিষ্যতে অনেক বেড়ে যাবে বলেই আমার ধারণা।
ভার্জিন আটলান্টিক আর মার্স মিশনগুলো এরই লক্ষণ।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
নতুন বলেছেন: আমেরিকার সামর্থ প্রমানের জন্য মানুষকে চাদে পাঠিয়েছিলো।
কিন্তু চাদে যাওয়া ব্যবসা সফল কিছু না, অন্য কোন গ্রহেও যদি গিয়ে লাভ না হয় তবে সেটাও বাদ যাবে।
সেটেলাইট দিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে তাই অনেক সেটেলাইট যাচ্ছে কিন্তু মানুষকে চাদে পাঠানোর পেছনে লাভ ক্ষতির হিসাবটাই মুখ্য। লাভ না হলে কোন ব্যবসাই চলেনা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ হাজার হাজার বছর ধরে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার বিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদরা মানুষের সেই আশা পূরণ করেছিলেন।
ভবিষ্যতে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের হাতে নতুন যুগের সূচনা হবে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপাততো খরচের তুলান প্রাপবতির আশা কম। তাই এমনটা ঘটছে।
- কিছুদিন পরে খরচ কমে যাবে, এবং প্রাপ্তির আশা বাড়বে। তখন চিত্র পরিবর্তণ হবে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সহমত প্রকাশ করছি।
মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়ার নয়।
ভবিষ্যতে যখন মহাকাশ যন্ত্রপাতির দাম কমে আসবে, তখন আবারও মিশনগুলো শুরু হবে। এবারে, ছোট ছোট দেশও হাতে লাগাবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: মহাকাশ ঘুরে ঘুরে দেখার বড় স্বাদ ছিলো। অসংখ্য স্বপ্ন পূরন হওয়ার আগেই আমাকে মরতে হবে। আফসোস হয়। কষ্ট লাগে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চেষ্টা করলে এখনো সম্ভব।
ভার্জিন আটলান্টিকে জায়গা কয়রে নিতে আপ্রলেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯
পেঁংকু বঁগ বলেছেন:
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কিছু বললেন!!!
শুভেচ্ছা।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮
রানার ব্লগ বলেছেন: কল্পনা চাওলার মৃত্যুর পর থেকেই মহাশুন্যে মানুষ পাঠানো ধিরে ধিরে কমে যাচ্ছে। এর একমাত্র কারন প্রযুক্তিগত ভাবে এখনো নাসা মহাশুন্যে মানুষ পাঠানোর মতো সম্পুর্ন নিরাপদ বাহন তৈরী করতে পারে নাই। তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত। আমার এটাও মনে হয় তাদের মংগল যাত্রাও পিছিয়ে দেয়া হবে এই এক নিরাপত্তা জনিত কারনে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
নিরাপত্তা একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাকটর।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
অর্থনৈতিক ব্যাপার, অনেক খরচ।