নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার ছেলে-মেয়েকে মাসিক ভিত্তিতে হাতখরচ দেন কি?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৫



আপনি একজন অভিভাবক হিসেবে নিজের স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে-মেয়েকে মাসিক হাত খরচ দেন কি?

সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বাকিতে খাওয়া-দাওয়া করেন। এর কারণ কি? এর দায় কি সেইসব শিক্ষার্থীর বাবা-মারা এড়াতে পারেন কি?

খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা আমাদের মৌলিক চাহিদা। এই মৌলিক চাহিদা নিজের ছেলে-মেয়েদের দিতে বাবা-মা হিসেবে আপনার কষ্ট হয় কি? আপনি যদি একজন বাবা-মা হয়ে থাকেন, নিজের সন্তানদের হাতখরচ দেওয়ার ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন?

আমি কয়েক বছর দেশের বাইরে ছিলাম। আমি দেখেছি, সেখানকার অভিভাবকরা নিজ সন্তানকে হাত খরচ দিয়ে থাকেন। এর বিনিময়ে তাঁরা সন্তানকে দিয়ে ঘরের কাজ করিয়ে নেন। আপনি কি মনে করেন এই কালচার আমাদের দেশেও চালু করা উচিৎ?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছেলেমেয়ে নিজের ইচ্ছাতেই ঘরের কাজ করবে। টাকা দিয়ে কেন কাজ করাতে হবে। বাবা মায়ের সাথে আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক না হওয়া উচিত। কোন ভালো কাজের জন্য বাবা মা সন্তানকে পুরস্কৃত করতে পারে অবশ্য।

দৈনন্দিন হাত খরচের জন্য প্রতিদিন টাকা না দিয়ে মাসে একবারে পকেট মানি হিসাবে দেয়া যেতে পারে। তার ফলে সন্তান সঞ্চয় করা শিখবে এবং অপচয় থেকে দূরে থাকবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


কিছু কিছু বেয়াদব ছেলেমেয়ে থাকে।

দেখেছেন তো কীভাবে বাবা-মাদের ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে বাঁকিতে রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে।

এদেরকে টাইট করতে পিটুনির বদলে ঘরের কাজ করানো উচিৎ। তাহলে, ছোট থেকে কাজের মর্ম বুঝবে।

আর, মাসিক ভিত্তিতে হাতখরচ দেওয়াটা উচিৎ।

ধন্যবাদ নিরন্তর।



২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:


অবস্হাসম্পন্ন পরিবারের ছেলেমেয়েরা পকেট-মানি পায়; দরিদ্রদের জন্য ইহা কষ্টকর ব্যাপার।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


দরিদ্রদের বাচ্চাকাচ্চারা একটু প্রব্লেমে পড়ে এজন্যে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: টাকা দিয়ে নিজের ঘরের কাজ করিয়ে নেয়া বা টাকার জন্য নিজের করে কাজ করা বিষয়টা একেবারেই ভালো লাগলো না। বিদেশ মানেই সবঠিক এই মানসিকতা বাঙালিদের মাথা থেকে যাবে না।
বিদেশে ডাক্তাররা নিশ্চয় বাপ মা এর থেকে ভিজিট নেয়? ইলেকট্রিকের কাজ করেও বিল ধরিয়ে দেয় ?

ছোটবেলা থেকে ঘরের কাজে সাহায্য করা কে উপভোগ করেছি।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ভালো কাজের বিনিময়ে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে, শিক্ষাটা এখানেই।

ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
ভালো কাজের বিনিময়ে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে, শিক্ষাটা এখানেই।

সবসময় প্রতিদান আশা করে কিছু করা খুব একটা ভালো শিক্ষা বলে মনে করি না। অন্তত পরিবারের ক্ষেত্রে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



কিছু কিছু সময়ে প্রতিদান তো আশাই করা যায়! আর সেটার শিক্ষা পরিবার থেকে হলে ভালো।

শুভেচ্ছা।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। দরিদ্ররা পকেটমানি পায় না। তাঁরা বাসা থেকেই আলু ভর্তা দিয়ে পেট ভরে ভাত খেয়ে যায়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ছেলেমেয়েদের আলাদা স্বত্বা থাকে। নিজেরদের ইচ্ছে থাকে।

সেটা পূরণ করা বা-মায়ের উচিৎ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় না কোন পরিবার তাদের সন্তানকে মাস ভিত্তিতে খরচ দিয়ে থাকে তাও পারিবারিক অবস্থা বুঝে তার পরিমান কম বেশি হয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


দেওয়াটা উচিৎ।

ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২

ইসিয়াক বলেছেন: বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের পকেট মানি না দেওয়াই উচিত তার বদলে বাসায় সাধ্য মত অনেক খাবার বানিয়ে নেওয়া যায় অল্প খরচে যেমন ছোলার ঘুঘনি,চটপটি, ফুচকা ও এগরোল অন্যান্য।
তবে সেলুন খরচ, কোচিং বা স্কুলে যাওয়া আসার ভাড়া নিত্য তদারকিতে দেওয়া উচিত। যদি বই কেনা বা শখ করে কোন কিছু কিনতে হয়।বাবা মাকে জানাতে হবে সেক্ষেত্রে সাধ্যমত বাবা মা চাহিদা পুরণ করে দেবে অন্তত আঠারো বছর পর্যন্ত।
অনেক সময় আত্মীয় স্বজনরা বাচ্চাদের টাকা দিয়ে থাকে সেগুলো বাচ্চাদের কাছে রাখা যেতে পারে এর ফলে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে উঠবে।তবে খোঁজ খবর রাখতে হবে যেন বাজে কোন কাজে টাকাগুলো ব্যবহার না করে।

তারপরও সপ্তাহে দুই একদিন কিছু টাকা( অবশ্যই অতিরিক্ত নয়) হাতে দিতে হয়।ক্ষতিকর হলেও বাইরের খাবারের প্রতি লোভ সবারই কম বেশি থাকেই।
পাশাপাশি প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত বাচ্চাদের সাথে পর্যন্ত সময় কাটানো তাতে তাদের অভাব অভিযোগ বোঝা যায় ।

এগুলো একান্তই আমার নিজস্ব মতামত।

শুভকামনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনার মতামত সত্যিই দারুণ!

চিন্তাশীল মানুষদের জন্যে চিন্তার অনেক উপাদান আছে আপনার কমেন্টে।

বাইরের দেশে বাচ্চারা কীভাবে টাকা-পয়সা লেনদেন করবে তা ছোট থেকে শিক্ষা দেওয়া হয়। এজন্যে অনেক চ্যারিটি অর্গানাইজেশন আছে। আমাদের দসেহে তেমন কিছু হওয়া প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.