নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
গত কয়েক দিনে ঢাকার বেশ কয়েকটি শপিং সেন্টার ঘুরে দেখলাম। গুলশান-পান্থপথ-ধানমণ্ডি-লালমাটিয়া এলাকার শপিং সেন্টারগুলোর দোকানগুলোতে মানুষ পা ফেলার জায়গা পাচ্ছে না! আজ আড়ং-এ গিয়ে জায়গা না পেয়ে মেয়ের কাপড় রাইফেলস স্কয়ার থেকে কিনেছি। সেখানেও মানুষের ভিড়!
গতকাল বসুন্ধরা শপিং সেন্টারে গেলাম। ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছিলো। মানুষ লাইন ধরে মাটিতে বসে ইফতারী করছে। মেইন গেইটের সিঁড়িতে বসা মানুষের ঢল সামলে ভিতরে ঢুকে লিফটে উঠলাম। ৮ম তলার পুরো জায়গা জুড়ে মানুষ আর মানুষ!!!
একটা মিষ্টি মেয়ের সাথে দেখাঃ
আজ রাইফেলস স্কয়ার থেকে বের হওয়ার সময়ে একটা ছোট্ট মেয়ে আমাদের গাড়ির জানালা দিয়ে ঝুলে বেলুন বিক্রি করার চেষ্টা করছিলো। আমাদের ড্রাইভার তাকে রেখে গাড়ি ছেড়ে দেয়। মেয়েটা তারপরও পাশে পাশে দৌড়াতে লাগলো। আমি ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে জানালার কাঁচ নামিয়ে মেয়েটার হাতে ৫০ টাকা গুঁজে দিয়ে বললাম - "কিছু কিনে খাস!"
সে হাতে টাকা পেয়ে মিষ্টি একটি হাসি দিলো, এরপরে আমার হাতে একটা বেলুনের স্টিক ধরিয়ে দিয়ে বললো- "এটা রাখেন, স্যার।"
আমি মেয়েটার হাত থেকে বেলুন না রেখে ফেরত দিতে চাইলাম। মেয়েটা ফেরত নিলো না। আমার দিকে হাতের একটা ইশারা করে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলো! আমি হতভম্ভ হয়ে হাতে ধরা বেলুনটার দিকে চেয়ে রইলাম!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৪৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি ঠিক ওভাবে ভাবিনি!!!
মানুষের চিন্তার কত ফারাক!
ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গত শনিবার আমিও আমার পরিবার নিয়ে বসুন্ধরায় গিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিলো ওখানে পৌঁছে কোন ফুড স্টোর থেকে ইফতারে কিছু একটা খেয়ে নিয়ে মার্কেট আবার ব্যস্ত হওয়ার আগেই টুকটাক কেনাকাটা করে চলে আসবো। কিন্তু যাওয়ার পর যা দেখলাম তা আমাকে রীতিমত অবাক করেছে। সবাই ফ্লোরে বসে পড়েছে ইফতার করার জন্য, কোন ম্যাট নেই, বসার কোন টুল নেই এমনকি সামান্য সংবাদপত্রের কাগজও নেই বসার জন্য। এদেরই কেউ কেউ আবার বাসা থেকে খাবারও নিয়ে এসেছে। যেভাবে গোগ্রাসে ময়লা আর ধুলোমাখা ফ্লোরে বসে খাচ্ছে তাতে মনে হয়েছে এর দুনিয়াতে এরা এসেছে শুধু খাবার জন্য, বাকি সবকিছু অপশনাল। সে এক এলাহি ব্যাপার স্যাপার।
আমি আর আমার পরিবার ফার্স্ট ফ্লোর থেকে ফালুদা কিনে পাশেই দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে খেলাম। মোটামুটি খাবার শেষ হবার পর যখন ওপরের তলার দিকে যাচ্ছি তখন প্রতিটি ফ্লোরের চারিদিকে শুধু পড়ে থাকা খাবার, তেল, মুড়ি দেখেছি। পুরো মার্কেটটাকে ময়লার স্তুপ বানিয়ে দিয়েছে মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে। খুবই বিচ্ছিরি একটা অবস্থা। এই জীবনে বাংলাদেশে আর কখনো ইফতারের আগে কোন শপিং মলে যাওয়ার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছি। ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মেয়েটি অসাধারণ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন।
সে আপনার কাছ থেকে ভিক্ষা নিবেন না!
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার এক অনুভূতি কিছু কিছু মানুষ এরকম হয়
ভাল থাকবেন দাদা
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ওরা অভাবী কি-না জানি না। তবে রাস্তায় দেখি ঘুরে বেড়াতে। সরকার কত রকম রেশন, ন্যায্যমূল্য, টিসিবি, ভিজিএফ করে দিয়েছে। তাও ওরা পথে থাকে!
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনাম, ছবি আর গল্প মিলে গেছে। দান নয়, ভিক্ষা নয়, একমাত্র বিনিময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৪১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
টাকা নিলে পণ্য বুঝিয়ে দিতে হবেই,এই নীতি মেয়েটা ভালোমত আয়ত্ত করেছে।