নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশের সাথে এই দেশটির সীমানা। বাংলাদেশ এবং ভারত ৪,০৯৬-কিলোমিটার-দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করে, যা বিশ্বের পঞ্চম-দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত। দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও বিশাল। এই বাণিজ্য হঠাৎ কমে আসলে, বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশে ভারতের ৩৫% সুতা রপ্তানি হয়। এখন আমাদের দেশে ভারত থেকে সুতা বাণিজ্য কমে এলে, ভারত হয়তো স্বল্প মেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রা লাভে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু, অন্য দিকে, এতে করে ভারতের বাজারে ক্রেতার অভাবে সুতার দাম কমে আসবে। ফলে, ভারতের কাপড় ব্যবসায়ীরা কম দামে সুতা পাবেন। এতে করে তারা আরও কম দামে কাপড় বানাতে পারবেন। অথবা, ভারতের কম দামী সুতার বাজার দখল করে নব্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী অন্য কোন রাষ্ট্র। এটা হলে, দীর্ঘ মেয়াদে, বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এরকম আরও অনেক কিছু আছে।
এভাবে, হয়তো, ভারত যদি 'ইলিশ বয়কট' কর্মসূচি দিয়ে বসে, বাংলাদেশে এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের একটি সুযোগ হারাবে। এখানে উল্লকেহ্য যে, দেশীয় বাজারে ইলিশের চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লাই চ্যানেল ঠিক মতো গড়ে উঠেনি এখনো। সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে বুঝে শুনে কাজ করতে হবে।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও আমরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। ভারত এখন বিশ্ব মানের চলচ্চিত্র বানাতে পারছে। তাদের থেকে অনেক কিছু এখনো শেখার আছে আমাদের। আমাদের ছায়াছবি এবং সাকিব খান ও জয়া আহসানের মতো তারকাদের একটি বাজার আছে ওপার বাংলায়। আমাদের দেশের মুভি ভিউয়ারদের মাঝে আমির খান, শাহরুখ খান আর সালমান খানের ভালো ফ্যানবেজ রয়েছে। ভারত - বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হলে বলিউড সিনেমার বাংলাদেশী সাধারণ ভোক্তারা অনেকাংশে বঞ্চিত হবেন।
ধর্মিয় দিক থেকেও বাংলাদেশের সাথে ভারতে নীবির সম্পর্ক রয়েছে। নিজামউদ্দিন আউলিয়া, খাজা মুইনঊদ্দীন চিশতী (রহঃ) মাজার কিংবা
অন্যান্য ধর্মের তীর্থ স্থানগুলো ভ্রমণে কষ্টের সম্মুখীন হবেন দুই দেশের সাধারণ জনগণ।
সর্বোপরি, রাজনৈতিক দিকটাও ভেবে দেখতে হবে। ভারত থেকে কোন কিছু না নিয়ে আসলে, চীন থেকে আনতে হবে। গত কয়েক সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে, চীন-ভারত সম্পর্ক ভালোর দিকে গড়াচ্ছে। তাই, এক্ষেত্রে, বাংলাদেশের একঘরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই, আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সুদূর প্রসারী চিন্তাভাবনা করতে হবে। এমন ভাবে চিন্তা ও কাজ করতে হবে যাতে প্রতিবেশী দেশটি মানেই আওয়ামী লীগ না বুঝায়। হয় আওয়ামী লীগকে ভারতীয় ঘরানা থেকে বের করে আনতে হবে, অথবা, ভারতকে শুধু আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
আমাদেরকে মাথা নয়, হৃদয় থেকে আসা চিন্তাকে কাজে পরিণত করতে হবে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আদানি বিদুৎ সর্বরাহ বন্ধ করে দিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে চলতে হবে কথাটা ঠিক না।
আমরা তখন যুদ্ধে ব্যবহার করা বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ নিয়ে আসবো। কিন্তু, বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যাবে। ফলে, পণ্যের দামও।
ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আদানি বিদ্যুৎ বন্ধ করবে না;সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদেরকে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরী করতে হবে।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮
আহরণ বলেছেন: বিদেশি অর্থ এবং জ্ঞান/প্রযুক্তি ধার/দেনা ভিক্ষা করে আমরা ঘরে বিদুৎ পাই। ভারতের আদানি থেকে বাকিতে বিদুৎ আমদানি করি। অথচ উপদেষ্টারা মুখে বড় বড় কথা বলে। একটুও চিন্তা করে না, আদানি বিদুৎ সর্বরাহ বন্ধ করে দিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে চলতে হবে। @ ভাইয়া?