নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বিগত ছাত্র আন্দোলনে ২৩,০০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ৪০০-জন চোখ হারিয়েছেন। এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে যদি স্থায়ীএকটি বন্দোবস্ত করে দিতে হয়, সরকার তা কি কিভাবে করতে পারবে? ধরা যাক, আগামী ৫ বছর এইসব আহত মানুষকে সরকারী ভাতা দেওয়া হবে। এই টাকা সরকার কিভাবে জোগাড় করতে পারে?
২০২১ সালের একটি জরীপ অনুযায়ী জানা যায়, সারা দেশে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ৪১ হাজার। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৯২ লাখ মানুষ চাকরী করছেন। এখন, এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি মাসে ২০০ টাকা করে সরকারী ফান্ডে দান করে, মাসে ৫০ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা করে জমা পড়তে পারে। আর, ৯২ লক্ষ চাকরিজীবী যদি মাসে ১০০ টাকা করে দান করেন, তাহলে ৯২ কোটি টাকার একটি ফান্ড গড়ে উঠবে। সব মিলিয়ে, প্রায় ১৪০ কোটি টাকার একটি ফান্ড হয়ে যাবে।
এই বিপুল পরিমাণ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা করে মোটরসাইকেল কিনলে, মোট মোটরসাইকেল কেনা যাবে ১৪,০০০টি। এখন, এই ১৪ হাজার মোটরবাইককোন রাইডিং কোম্পানির রাইডারদের ভাড়া দিলে মাসে ৫০০০ টাকা করে আসবে। এভাবে ১ম মাসে ৭ কোটি টাকা আয় হবে। ২য় মাসে আরও ১৪০ কোটি টাকা আসবে। তা দিয়ে আবার ১৪,০০০ মোটর সাইকেল কেনা যাবে। এভাবে, ২য় মাসে আয় গিয়ে দাঁড়াবে ১৪ কোটি, ৩য় মাসে ২১ কোটি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের দানের টাকা ১ বছর চললে, ১ লক্ষ ৬৮ হাজার মোটর সাইকেল কেনা যাবে যা থেকে এক বছর শেষে মাসে ৮৪ কোটি টাকা করে ফান্ডে জমা হতে থাকবে। ২য় বছর শেষে মাসে ১৬৮ কোটি টাকা করে আসতে থাকবে।
এই টাকা থেকে যদি ২৩,০০০ আহতকে মাসে মাসে বহাটা দেওয়া হতে থাকে, যত দিন না তাঁরা স্বাবলম্বী হোন, তাহলে কি হবে? সেই সাথে দেশে আরও ৩ লক্ষ ৩২ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবার সম্ভাবনা দেখা দিবে যারা মোটর সাইকেল রাইডার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
আমি জানি, আমার লেখা সরকারের উপর মহল পর্যন্ত পৌঁছাবে না। তবু, লিখলাম।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪৯
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
ইহা
একটি
উচ্চাভিলাষী
বাজেট।
কাজীর গরু কেতাবে আছে
গোয়ালে নাই।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৪৯
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
কল্পনা
আর
বাস্তবতা
এক
না।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:০৪
আহরণ বলেছেন: টোকাই ছন্ময়করা এবার মোটরসাইকেল পাবে!! ভাইয়া?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৫৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পাইতে পারেন!
কিন্তু, টোকাই সম্বোধন করছেন কেন?
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: চাইলে অনেক কিছু করা সম্ভব। সিঙ্গাপুরে জনগনের সংখ্যার দিক দিয়ে তিনটি প্রধান জাতির বসবাস। এই তিন জাতি হচ্ছে চাইনিজ, মালে এবং ইন্ডিয়ান। এই তিন জাতির নিজস্ব কমিউনিটির সেবার জন্য তিনটা অর্গানাইজেশন আছে। চাইনিজদের সংস্থার নাম CDAC, মালে ও মুসলিমদের MENDAKI এবং ইন্ডিয়ান্দের SINDA। দেশের সকল নাগরিকের প্রতি মাসের স্যলারির ক্ষুদ্র একটা অংশ ( ৩-৫ ডলার) এই সংস্থাগুলোতে চলে যায়। এই টাকা যার যার কমিউনিটির কিছুটা কম সঙ্গতি সম্পন্ন মানুষদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ আরো নানান কাজে ব্যবহ্রত হয়।
এই কনসেপ্ট চাইলেই আমাদের দেশে এপ্লাই করা যায়। সারা দেশের সকল মানুষের স্যলারির ক্ষুদ্র একটা অংশ ( ধরা যাক ১০০ টাকা) প্রতি মাসে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে চলে যাবে।যাদের বেতন খুবই কম তাদের থেকে কাটার দরকার নাই। ধরা যাক বেতন ৩০ হাজারের উর্ধে গেলেই শুধু কাটা হবে। যারা রেমিটেন্স পাঠায় , সেইখানে প্রতিটা ট্রান্সফার থেকে ব্যাংক এরকমভাবে ১০০ বা ২০০ টাকা কেটে নেবে। এরপর সেই টাকা চলে যাবে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে। প্রতি মাসে সেই ফাউন্ডেশনকে স্বচ্ছতার সাথে একাউন্ট শো করতে হবে। এরপর সেই টাকা প্রায়োরিটির ভিত্তিতে প্রথমে আন্দলোনে নিহত ও আহতদের জন্য এবং এরপর দেশের সকল সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য ব্যায় করা হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:২২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মাসে ২০০ টাকা কেন দিবে? এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরীজিবীরা কেন ১০০ টাকা করে দিবেন?
সরকার যদি প্রতি ১০০ টাকার জন্যে ৫০০ টাকার ট্যক্স মৌকুফ করে দেন, তাহলে অবশ্যই এইসব প্রতিষ্ঠান আর চাকরিজীবীরা উৎসাহী হবেন।