নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমা দেশে অনেক শিক্ষার্থী ইনকাম করতে যায় আর পরীক্ষায় নকল করে পাশ করে

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৩

আমি যখন যুক্তরাজ্যের একটি ভার্সিটির ছাত্র সংসদে বিজনেস ফ্যাকালটি থেকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলাম, একদিন আমার কাছে শিক্ষক সমিতি থেকে একটা খবর আসলো। আমার ফ্যাকালটি থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট গণহারে প্লেজারিজম সফটওয়্যারে আটকে যাচ্ছে। কারো কারো ৭০% পর্যন্ত নকল ধরা পড়ছে। কি ব্যাপার!

আমি প্রথমে পাত্তা দিলাম না। আমাদের ভিপি ছিলো বাংলাদেশি। সে বললো, চেপে যান! আপনি তদন্ত করলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আটকে যাবে! পরের বার আপনার যদি ভিপি হবার ইচ্ছা থাকে, বাঙ্গালী আর ভারতীয়রা আপনাকে ভোট দিবে না।

কিন্তু, ভিসি অফিস থেকে যখন আমার কাছে ফোন এলো, আমি বললাম, আমাকে তোমাদের ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে ঢুকতে দাও। দেখি কি অবস্থা। তাঁরা আমার কথায় রাজি হলেন। সিস্টেমে ঢুঁকে দেখি, আমাদের দেশের বেশ কিছু শিক্ষার্থী নকল ধরার সফটওয়্যারে ধরা পড়েছে।

প্রথমে, ধরা পড়া কিছু শিক্ষার্থীকে আমি জেরা করলাম। তারা তো কিছুতেই কিছু বলতে চায় না। এক পর্যায়ে ভয় দেখালাম, তোমরা যা করছো, তা আমাদের দেশের জন্যে অপমানজনক। তোমাদের যদি ভার্সিটি থেকে বের করে দিতে চায়, আমি কিন্তু তোমাদের ডিফেন্ড করবো না। ভালো চাইলে বলো, এভাবে নকল ধরা খাওয়ার মানে কি!

তাদের একজন শেষে মুখ খুললো। জানালো যে, একজন ভারতীয় ছেলে এই চক্রের নাতের গুরু। সে শিক্ষার্থিদের এসাইনমেন্ট টাকার বিনিময়ে দেশ থেকে করিয়ে নিয়ে আসে। এমনকি অনলাইন পরীক্ষাগুলোও দেওয়ানোর ব্যবস্থা করে দেয়। অন্যদিকে ক্লাস ফাঁকি দেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দোকানে জব করে।

আমি এদেরকে ট্র্যাকে করে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই,বি,এ এর কিছু ছেলেকে সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এই ছেলেগুলো দেশে বসে বিদেশের শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট করে দিতো! বেশ ভালো ব্যবসা! একেকটা এসাইনমেন্টের জন্যে তারা ৫০০০ - ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিতো। এটা কয়েকশো কোটি টাকা অবৈধ বাজার!

এই গ্যাংগুলো এখনো সক্রিয় যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২২

ফারমার২ বলেছেন:




এজন্য ইংল্যান্ড পড়ালেখা করা বাংগালীরা খারাপ লোকজন।

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ঐ গ্রুপের কাছে বিভিন্ন দেশ থেকে এসাইনমেন্ট আসতো। পি,এচ,ডি-এর রিসার্চারদের কাছ থেকেও তারা টাকা পেতো!

এই করাপটেড মাইন্ডগুলো দেশে ঢুকলে বারোটা বেজে যাবে দেশের।

২| ২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জঘণ্য বিষয়।

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




অবশ্যই জঘন্য রকমের অপরাধ।

৩| ২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সামুতে মনে হয় আমারই অনার্স-মাস্টার্স বাংলাদেশে। সবার বাহিরের ডিগ্রী আছে। :-<

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আপনার ভার্সিটিতে প্লেজারিজম সফটওয়্যার ছিলো কি?

বাংলাদেশে আমার ভার্সিটিতে ছিলো না। এই নিয়ে বিদেশে অনেক লজ্জার মাঝে পড়তে হয়েছিলো।

ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪৪

ফারমার২ বলেছেন:



আপনার ব্যবসা বাণিজ্যের আইডিয়া, দল বদলানো, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি কিন্তু বেশ সন্দেহজনক।

২১ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




কি রকম সন্দেহজনক!!!???

৫| ২১ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমিও যুক্তরাজ্যে থাকি।
আপনি কোন ভার্সিটিতে পড়তেন?

২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আমি সেপ্টেম্বরে আবার আসছি।

দেখা হবে।

শুভেচ্ছা।

৬| ২১ শে জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
আমি যখন মালয়েশিয়া ছিলাম তখন দেখেছি সেখানে বাংলাদেশের অনেক ছাত্রছাত্রী পিএইচডি করতে যেত।
University Putra, Malaysia তে কম করে হলেও ১০০ পিএইচডির ছাত্র থাকে সব সময়।
আমার হলের এক জুনিয়র সেখানে পিএইডি করতো ।
সে বলল- আমাদের ছাত্ররা সেখানে সরাসরি নকল করে।
বিষয়টি নিয়ে সেও বিব্রতবোধ করতো বলে জানায়।
সে পিএইচডি শেষ করে এখন দেশে ফিরে এসেছে।
সরকারের উচ্চপদে চাকরি করছে।

২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




অনেকেই প্লেজারিজম কি ভালো করে বুঝে না। ফলে বিপদে পড়ে।

অনেকে ইচ্ছা করে অন্যায়টা করে, নিজেদের এসাইনমেন্ট অন্যকে দিয়ে করানো খুবই খারাপ বিষয়।

আমি পরিক্ষায় ড্রপ দিয়েছি, কিন্তু, কখনো নকলের সাথে আপোষ করি নাই।

৭| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫২

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: বিদেশ যেয়েও নকল? এদের মেধার পেছনে এদেশের প্রত্যেকটা মানুষের ইনভেস্টমেন্ট আছে। একথা এরা একবারও ভাবেও না। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট যদি কাজে না আসে তাহলে কর/ভ্যাট সিস্টেম এদেশ থেকে তুলে দেওয়া হোক। লেখা-পড়া করলে নিজের বাপের টাকায় করুক তখন নকল করলে আমাদের কোনো সমস্যা নাই।

আসলে সমস্যা কোথায় আমাদের জাতির মানুষেরা এমন কেন? আমার তো মনে হয় Plagiarism এড়ানো আসলে কোন বিষয় নয়। তারমানে এরা যেগুলো কিনে নিয়েছে সেগুলোতে একবারও চোখও বুলায় নাই। ছ্যাঃ :(

২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



অন্যকে দিয়ে এসাইনমেন্ট লেখানো খুবই অনৈতিক ব্যাপার।

যারা করে দিচ্ছেন, তারাও ভালো কাজ করছেন না।

টাকার বিনিময়ে এরকম কাজ হরহামেশাই চলছে।

ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: এটা তো সাধারণ ব্যাপার! এই কাজ কেবল বাংলাদেশী না বরং অন্য সব দেশের ছাত্রছাত্রীরা করে। এই রকম বেশ কিছু ওয়েব সাইট রয়েছে, অনেকটা ফাইবার আর আপওয়ার্কের মত। এখানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা তাদের এসাইনমেন্ট/পেপার পোস্ট করে। সেগুলো অন্যেরা লিখে দেয়। বিনিময়ে টাকা নেয়। ওরা এসাইনমেন্টের পেছনে যে সময় ব্যয় করে সেই সময়ে পার্টটাইম জব করে বেশি টাকা আয় করা যার সেই টাকা থেকে একটা অংশ দিয়ে এসাইনমেন্ট করিয়ে নেয়।
তবে এই ওয়েবসাইটগুলোতে প্লেজারিজম খুব স্ট্রিক্ট ভাবে পরীক্ষা করা হয়।

২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা শুধু নয়, অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরাও এই কাজে জড়িত। শুধু তা-ই নয়, পারসোনাল এসাইনমেন্ট বাসা থেকে বসে করে দিচ্ছে আরেকজন, তাও টাকার বিনিময়ে। অনেক বুদ্ধু বুঝে না, আইপি এড্রেস ট্র্যাক করা যায়। ভার্সিটির সিস্টেমে সব উঠে আসে!

ভার্সিটি যদি একবার ধরে ফেলে এবং ব্যাবস্থা নেয়, তাহলে, চাকরী বাজারে খবর হয়ে যায়। তখন ভালো জব মিলে না। সারা জীবন এসি/ডিসি হয়ে থাকতে হয়!

৯| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: শিক্ষা ব্যাবসা।

২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




শিক্ষা ব্যবসা হলেও ভালো হতো। এটা তো ডাইরেক্ট চুরি!!!!

১০| ২১ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম।
শুভ সকাল।

ভয়াবহ এক ঘটনা বললেন।

২১ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এটা এক ধরণের চুরি যার হাতেখড়ি হয় আমাদের দেশ থেকে। আপনি দেখবেন, আমাদের নীলক্ষেতে অনেক বিদেশী বই পাওয়া যায় যা অনুমতি ছাড়াই ছাপা হয়।

আমাকে দেশের একটা নামকরা পাবলিশার একটি বই অনুবাদ করার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলো, একজন বিদেশী লেখকের অনুমতি ছাড়াই। আমি কাজটা হাতে নেই নাই।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

১১| ২৩ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৫ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আবার ফিরে আসার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.