নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সরকারী ব্যায় থেকে বাৎসরিক ১২,০০০ কোটি টাকা যেভাবে সাশ্রয় করা যাবে

০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০০



বাংলাদেশের সব সংসদ সদস্য, সরকারী কর্মকর্তারা যদি বাসে অথবা ভাড়া গাড়িতে চড়া শুরু করেন, তাহলে বাংলাদেশের কি লাভ হবে? সরকারী গাড়িগুলো আর কেনা লাগবে না। তেলের খরচ বেঁচে যাবে। গাড়ির পেট্রোলের ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা কমে যাবে। এখানে, উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন।

যদি বাংলাদেশের সকল সংসদ সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা গণপরিবহন বা ভাড়ায় চালিত গাড়ি ব্যবহার শুরু করেন, তাহলে দেশের কী কী উপকার হতে পারে:

১. সরকারি ব্যয়ের বিশাল পরিমাণ সাশ্রয়:
গাড়ি কেনা, মেরামত, তেল, চালক ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়।

সরকারি গাড়ি না কিনলে এবং গণপরিবহন বা ভাড়ায় গাড়ি ব্যবহার করলে বছরে হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।

২. পরিবেশগত উপকার (Green Impact):
সরকারি গাড়ির সংখ্যা ও ব্যবহৃত জ্বালানি কমে গেলে, কার্বন নিঃসরণ অনেক কমে যাবে।

শহরগুলোতে বায়ু দূষণ কমে যাবে এবং জলবায়ু সংকটে বাংলাদেশের ঝুঁকি সামান্য হলেও কমানো সম্ভব।

৩. সড়ক জট কমে আসবে:
একেকজন সরকারি কর্মকর্তা আলাদা গাড়ি ব্যবহার করলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

গণপরিবহনে গেলে ট্রাফিক কমবে, মানুষের যাতায়াত স্বস্তিদায়ক হবে।

৪. সরকারি সেবা ও শাসনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি:
জনগণের মতো একই পরিবহন ব্যবস্থায় চলাচল করলে জনগণের দুর্ভোগ সম্পর্কে সরাসরি ধারণা পাবেন কর্মকর্তারা।

এতে জনদরদী নীতি গ্রহণ বাড়বে।

৫. আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক বার্তা:
অন্যান্য দেশের চোখে এটি একটি আদর্শ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিশ্বব্যাংক বা IMF-এর মতো দাতা সংস্থাগুলোর কাছেও এটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রচালনার প্রমাণ হবে।

৬. সামাজিক বার্তা ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব:
"সরকারি কর্মকর্তা মানেই ভিআইপি" – এই ধ্যানধারণা ভেঙে গিয়ে জনতার সেবক হিসেবে পরিচিতি বাড়বে।

মধ্যবিত্ত তরুণদের মধ্যে সরকারি চাকরির প্রতি উচ্চাশা নয়, বরং সেবার ভাবনা তৈরি হবে।

সংখ্যাগত প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫,৫৪,৯২৭ জন।
ধরে নিই, তাদের মধ্যে ২০% সরাসরি যানবাহন সুবিধা পান = প্রায় ৩ লক্ষ ব্যক্তি।
এই ৩ লক্ষ জন যদি ভাড়ায় গাড়ি বা গণপরিবহন ব্যবহার করেন:

বছরে প্রতি গাড়ির গড় ব্যয় (তেল, চালক, রক্ষণাবেক্ষণ সহ): ৳৪ লক্ষ

৩ লক্ষ × ৪ লক্ষ = ৳১২,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব প্রতি বছর!

উপসংহার:
এই ধরনের একটি সংস্কার শুধু খরচ কমাবে না, এটি হবে এক নৈতিক ও নীতিগত উদাহরণ। সরকারি কর্মকর্তারা যদি গণপরিবহনে চলাচল শুরু করেন, তাহলে দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও শাসনব্যবস্থায় তিনটি দিকেই দীর্ঘস্থায়ী সুফল মিলবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনাকে এডভাইজার হিসাবে নিয়োগ না দিলে ইহা বাসতোবায়ন হবে না ।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

স্যার,
আপনি হয়তো অনেক বছর ঢাকার বাসে উঠেন না।
ঢাকার বাসে চলাচল করা গেলে আমি অন্তত সিএনজি কিংবা উবার নিতাম না।
কারণ আমি গরীব মানুষ।
আমার মতো অনেকেই গরীব মানুষ।
তারাও বাসে চলাচল করতে চায়।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট গ্রেট আইডিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.