|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সত্যপথিক শাইয়্যান
সত্যপথিক শাইয়্যান
	আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
 
  
 
বাটা'র ধানমণ্ডি ব্রাঞ্চে কমদামী কেডস নেই
অনেক দিন পরে বিকালে হাঁটা শুরু করেছি। লালমাটিয়ার ডি ব্লক মাঠ ঘুরে ধানমণ্ডি ২৭ রাস্তাটা পার হয়ে বাটা'য় গেলাম। আমি সব সময়ে এপেক্স-এর জুতো পড়ি। ছোটবেলায় বাবা স্কুলের জন্যে বাটা থেকে পিটি স্যু কিনে দিতেন। সেই স্মৃতিটা মনে পড়ে যাওয়ায়, আজ বাটায় গেলাম, আশা কম দামী একটি রানিং স্যু কিনবো। কিন্তু, সেলসম্যানরা জানালেন, আমার চাওয়া মতো কোন কেডস ২০০০ টাকার নিচে নেই। মোহাম্মদপুর ব্রাঞ্চে থাকলেও থাকতে পারে। কি আর করা! কিছুটা পুরনো এপেক্সের জুতো পড়েই আবার রাস্তায় নামতে হলো। 
 
ধানমন্ডির বাড়িগুলো রাস্তা জুড়ে আছে
ধানমণ্ডির ফুঁটপাত দিয়ে হাঁটছি। বাড়িগুলোর গেট থেকে ঢালু হয়ে গাড়ি বাড়ির ভিতরে ঢুকার পথটি ফুটপাতে নেমে এসেছে। সেগুলো পার হওয়ার সময়ে বেশ কষ্ট করতে হয়। অনেকগুলো বেশ উঁচু! বাঁকা হয়ে সেগুলো পার হওয়ার সময়ে হাঁটার ছন্দে ছেদ পড়ে। অনেক জায়গা বৃষ্টির কারণে ভিজে থাকার কারণে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  
 
ধানমণ্ডি আর লালমাটিয়ার ফুটপাথ জুড়ে দোকান আর ময়লা
ছোটকালে এই এলাকা দুটো কি যে ছিমছাম লাগতো! ময়লাহীন, পরিষ্কার রাস্তা। এখন এমনকি ধানমণ্ডি মাঠের পাশের ফুটপাত জুড়ে দোকানের মেলা! মানুষ যাবে কোথায়! এই দোকানগুলো কি ট্যাক্স দেয়? দোকান জুড়ে যে রকম মানুষের ভিড় দেখলাম, তাতে দিনে কয়েক হাজার টাকা ইনকাম হবার কথা। 
সিনিয়র সিটিজেন এখনো প্যাডেল রিক্সা চালান
ধানমণ্ডি ঘুরে ২৭-এর রাস্তায় আবার উঠেছি। উদ্দেশ্য বেঙ্গল বুকের স্টল থেকে চা খাওয়া। হঠাৎ রাস্তায় দেখি এক ৭০-৮০ বছর বয়স্ক রিকশাওয়ালা পথচারীদের ডেকে ডেকে রিকশায় উঠতে বলছেন। আমি থেমে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম - "আজ ভালো ইনকাম হয় নাই?" তিনি জানালেন- 'সারা দিনে ২৫০-৩০০ টাকা রোজগার হয়েছে। মানুষের দিল মরে গিয়েছে।' আমি দেখলাম, তিনি প্যাডেল রিকশার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আজকাল মানুষ ইঞ্জিন রিকশায় বেশি উঠতে চায়। 'মানুষের বড়ই তাড়াহুড়া'! আমি বেঙ্গল বইয়ের দিকে আবার হাঁটা শুরু করলাম। 
তাঁরা দু'জন ছেলের চিকিৎসার জন্যে টাকা তুলছেন
বেঙ্গল বইতে চা আর সমচা খেয়ে সবে বের হয়েছি, একজন পুরুষ ও মহিলা একটা বাক্সে এক বাচ্চার ছবি নিয়ে টাকা তুলছেন। পুরুষ মানুষটি কুণ্ঠিত কণ্ঠে জানালেন, বাচ্চাটির ব্লাড ক্যান্সার, সাহায্য প্রয়োজন। মোটাসোটা পুরুষ ও মহিলা দুজনকে দেখে শিক্ষিত, মার্জিত ঘরের মানুষ মনে হলো। তাঁরা যেহেতু পথে নেমেছেন, গুরুতর কিছু হবে। আমি তেমন কিছু না বলে পকেটে হাত দিয়ে কিছু টাকা বক্সে ভরে দিলাম। পুরুষ মানুষটি জানালেন - 'আপনাকে ডিস্টার্বের জন্যে দুঃখিত!' .........দুঃখিত! আমি কি টাকা দেওয়ার সময়ে এমন কোন ভাব করেছিলাম যাতে তাঁরা লজ্জিত হোন? প্রশ্নটা মাথায় এখনো ঘুরছে।
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১০
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
ঠিক বলেছেন। তবে, আমি অপচয় খুব অপছন্দ করি। বাবার শিক্ষা। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২|  ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৬
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা বলতেই ভুলে গেছি।
শ্যাইয়ান ভাই, আসসালামু আলাইকুম। 
শুভ সকাল।
  ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১১
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় রাজী্ব ভাই। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩|  ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৬
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা বলতেই ভুলে গেছি।
শ্যাইয়ান ভাই, আসসালামু আলাইকুম। 
শুভ সকাল।
  ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১১
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:১১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় রাজী্ব ভাই। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৫
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: একটা ভালো কাজ শুরু করেছেন- হাঁটা।
হাঁটা অথবা সাঁতার কাটা একজন মানুষের জন্য খুব দরকারী।
এখন সব কোম্পানীর জুতোর দাম বেশি।
আপনি ধনী মানুষ। জুতার দাম বেশি এটা আপনার জন্য কোনো সমস্যাই না। আমার জন্য সমস্যা।