নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বনবিবি বা বনদূর্গা - কল্পনা না সত্য?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১৭





বনবিবি/বনদূর্গা এবং তাঁর ভাই শাহ জঙ্গলি কি কোন কাল্পনিক চরিত্র নাকি কিংবদন্তী'র কোন মহান ব্যক্তিবিশেষ? কিংবদন্তী'র হয়ে থাকলে, আসলেই কি তাঁরা এখনো বেঁচে আছেন? উনারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন- ইসলাম নাকি সনাতন? তাঁরা মুসলমান হয়ে থাকলে অন্য ধর্মাবলম্বী যারা তাঁরা কেন তাঁদেরকে পূজা করেন? আর যদি হিন্দুই হয়ে থাকেন, কেন মুসলমানরা তাঁদের কাছে দোয়া চান? বনবিবি আর দূর্গা একই মানুষ? সুন্দরবনের বনবিবি নামে একটি গল্প লিখতে গিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন এসেছে। আমি এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার চেষ্টা করবো আজ।

বনবিবি সুন্দরবনের মানুষদের কাছে অতি পরিচিত এক নাম। নৌকার মাঝিরা যেমন নৌকা ছাড়ার আগে 'বদর, বদর' ডেকে উঠে নিজেদের যাত্রাকে শুভ করতে চান, তেমনি সুন্দরবনের মধু ও মোম আহরণকারী, কাঠুরে এবং মৎসজীবীরা বনে ঢোকার আগে বনবিবি'র নামে দোওয়া চেয়ে নেন নিজেদের জন্যে। বনবিবি এই শ্রেণীর মানুষদের বাঘের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেন। এমন অনেক কাহিনী চালু আছে সুন্দরবনে যাতে বনবিবি এই শ্রেনী'র মানুষদের সামনে আবির্ভূত হয়ে ব্যীর কবল থেকে রক্ষা করেছেন।

কথিত আছে যে, বনবিবি ও তাঁর ভাই আকাশ থেকে নেমে এসেছিলেন। তখন তাঁদের পরনে ছিলো এক বিশেষ টুপি যা দিয়ে উনারা উড়তে পারতেন। মুসলিমরা বিশ্বাস করে বনবিবি আর তাঁর ভাই আরব দেশ থেকে বিশেষ প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হয়ে আঠারো ভাটির দেশ ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তারপর, সুন্দরবনে এসে অত্যাচারী রাজা দক্ষিণ রায়কে পরাভূত করে সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন। ঐ অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করে তাঁরা এখনো বেঁচে আছেন। এই হলো ছোট করে বনবিবি'র ইতিহাস।

প্রথমেই আসি, বনবিবি এবং দূর্গা এক কি না এই প্রশ্নে। এই পোস্টের প্রথমে যে টেবিলটি দেওয়া হয়েছে, সেটি থেকে পরিস্কার যে বনবিবি এবং দূর্গা সম্পূর্ণ ভিন্ন দু'টি চরিত্র। বনবিবি বা বনদূর্গা কাল্পনিক কোন চরিত্র কি না এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় তাহলে এখনো সুন্দরবনের মানুষেরা তাঁকে দেখতে পায় কিভাবে? অনেকেই হয়তো বলবেন, এরা তো আসলে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয়, শহরের স্কুল-কল্বেজ--ভার্সিটিতে পড়ালেখা করেনি। তাই, তাঁদেরকে রেফারেন্স হিসেবে টেনে আনা উচিৎ নয়। এ নিয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, এ নিয়ে যতদিন কোন গবেষনা না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সঠিক কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। নাহলে অহেতুক তর্কা-তর্কি হবে। তাই, বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়াই ভালো।



তবে, একথা অবশ্যই বলতে হবে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা পৌঁছে দেওয়ার জন্যে এক এক জায়গায় একেক রকম চল রয়েছে। যেমন- আরবে এক সময় মুখস্থ করে বা গল্প বা কবিতাকারে জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো। আমাদের গ্রামগুলোতে এখনো জ্ঞান এক জেনারেশন থেকে আরেক জেনারেশনের কাছে এই ভাবেই পৌঁছে দেওয়া হয়।



যদি ধরে নেওয়া যায় যে, তাঁদের অস্তিত্ব আসলেই ছিলো, তাহলে প্রশ্ন আসে তাঁরা কোন ধর্মের অনুসারী? সিলেটের মানুষ হিসেবে আমি জানি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অনেক মুসলিম সাধুদের প্রনাম করেন। যেমন- হযরত শাহ জালাল (রাঃ)-এর মাজারে হিন্দুদের প্রনাম করতে দে্খা যায়। তাই, বনবিবিকে পূজা করায় কোন বাধা নেই হিন্দুদের। কারণ, তাঁদের ধর্মের উৎস তিনটি- শ্রুতি, স্মৃতি আর প্রথা। প্রথা থেকে অনেক ধর্মাদেশ আসে উনাদের। এরকমই একটি প্রথা হতে পারে বনবিবি বা বনদূর্গাকে পূজা করা।

তাঁরা কি এখনো বেঁচে আছেন? প্রশ্নটা এভাবে করা যেতে পারে- বনবিবি এখনো বেঁচে থাকতে পারেন কি না? এ নিয়ে ইসলামী ধর্মমতে কোন বাঁধা নেই। কোরআনে বর্ণিত হযরত খোয়াজ খিজির (আঃ) এখনো বেঁচে আছেন বলেই মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকেন। এভাবে ইসলামে আরো অনেক চরিত্র আছে যারা দীর্ঘকালব্যাপী জীবিত আছেন। তাই, বনবিবি-ও বেঁচে আছেন তা মুসলমানদের মানতে বাঁধা নেই।

পরিশেষে বলতে চাই, দু'টি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের একই সূত্রে বাঁধা এই মহান দু'টি চরিত্রের সত্য কাহিনী'র উপর ভিত্তি করে গল্প লিখতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত।





তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট
ছবিসূত্রঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: একটা কাল্পনী মনে হচ্ছে কারণ
আমরা যানি জ্বিন আর আমরা মানুষ কিন্তু
জ্বিন অদৃশ্যই থাকে তাদের জগত ভিন্ন

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




জ্বিন বলতে কিছু নেই, ভাই। সবই অসুস্থ্য লোকের কল্পনা।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



বনবিবিকে দেখার অনেক ইচ্ছা আছে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জ্বিন বলতে কিছু নেই, ভাই। সবই অসুস্থ্য লোকের কল্পনা। কোরআনে সূরা জ্বিন নামে একটা সূরা আছে আপনি কি সেটা জানেন?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




জিন আমাদের বিশ্বাসের কালিমার মধ্যে নেই।

তাই, বাধ্যতামূলক নয়।

কুরআনের ব্যাখ্যা ভিন্নও হতে পারে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে প্রমাণহীন মিথ্যা গালগল্পের উপরে।
তাই ধার্মিকদের মিথ্যাচার করা ছাড়া গতি নেই।
মিথ্যাবাদীরা সত্য খোঁজে না, সত্য খুঁজতে কষ্ট হয়।
মিথ্যাকে বিশ্বাস করতে হয়, সত্যকে করতে হয় না —
সত্য নিজেই সত্য।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




ধর্ম মিথ্যা নয়, ধর্মের যে ব্যাখ্যা আপনি দিয়েছেন তা মিথ্যা।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬

অগ্নিবাবা বলেছেন: মুসলমানদের সাথে আমি একমত যে হিন্দুধর্ম মিথ্যা গালগল্পে ভর্তি।
হিন্দুদের সাথেও আমি একমত যে আল্লাহ মহম্মদের তৈরি কাল্পনিক চরিত্র।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি যে দুই দলের কথা বলছেন, সেই দুই দলই মিথ্যাবাদী।

প্রকৃত ধর্মচারী অন্য কোন ধর্মকে 'গালগল্প' বলবে না।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শাইয়ান সাহেব আপনি কি আমাদের জানাবেন যে ? আবেদি১২৩@আপনার মালটি কিনা ? আপনি কেন এসব ছেলেমানুষি করছেন ? নিজের লিখায় নিজে কমেনটস করছেন ? দেখলাম জেনারেশন ৭১ এর সেখানে শুভেচছা নিরনতন বলছেন আবেদি সাহেব। এই কথা আপনি বলে থাকেন । :|

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




হ্যাঁ, উনি আমার ছাত্রী।

ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জিন আমাদের বিশ্বাসের কালিমার মধ্যে নেই। কিতাবে বিশ্বাস আপনার বিশ্বাসের অংশ। সূরা জ্বিন অর্থসহ পাঠ করে আমার মন্তব্যের জবাব দিবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



অবশ্যই কিতাব সত্য।

কিন্তু, জিন সত্য নয়।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.