নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসাগুলো একেকটি বাতিঘর

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

খোদা কার ভাগ্যে কি লিখে রেখেছেন, সেটা কেউই জানে না। ভাগ্যে যা লেখা আছে তা জানা না থাকার ফলেই আমরা কাজ করে যাই। খোদাও তা-ই চান। আমরা ভাগ্য পরীক্ষা করে খোদাকে চ্যালেঞ্জ করি না। তাই তো, ঈসা নবীকে শয়তান যখন পাহাড় থেকে লাফিয়ে পড়ার আইডিয়া দিয়ে খোদাকে পরীক্ষা করতে বলেছিল, তখন হযরত ঈসা (আঃ) সেই আইডিয়া গ্রহণ করেন নাই।

মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেটাকে প্রথম শাহজালাল ভার্সিটির বিবিএ ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। মাদ্রাসা পড়ে কোথায় হুজুর হবে, সেই স্বপ্ন ফেলে রেখে সে কিনা ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসেছে! আমার কাছে খুব অবাক করা ব্যাপার ছিলো তখন। আমি ভার্সিটি থেকে বের হওয়ার অনেক দিন পরে শুনেছিলাম, সেই ছেলেটি শুধু ভার্সিটির বাধা ডিঙ্গোয়নি, বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিসে যোগ দিয়ে এখন কোন একটি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্সুলার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে যখন যুক্তরাজ্যে পড়তে গেলাম, চোখে তখন রঙ্গিন স্বপ্ন। একদিন ইউনিভার্সিটির প্রেয়ার হলে জুমার নামাজ শেষে বসে আছি, হঠাৎ চাপা সুরে সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে পিছন ফিরে চেয়ে দেখি, এক বাঙ্গালী ইয়াংম্যান বসে আছেন। আমি সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দিলাম। সে জানালো - আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই বিজনেস এনালিটিক্সে পড়ছে। এতো সুন্দর করে কোরআন পড়া কিভাবে শিখেছে জানতে চাইতেই সিলেটি ছেলেটা জানালো - সে কোরআনের হাফেজ। আমি কৌতূহলী স্বরে জানতে চাইলাম, হাফেজ হয়ে কিভাবে ভার্সিটিতে ভর্তি হলো? তার উত্তর - বাবা স্কুলে থাকতেই জেনারেল লাইনে পড়ালেখার পাশাপাশি লন্ডনে হাফিজি মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই সে হাফেজ হয়ে বের হয়। সেই সাথে, জেনারেল লাইনে পড়া শেষ করে বিজনেস এনালিটিক্সে ব্যাচেলরে ভর্তি হয়েছে। বিলাতে এরকম ছাত্রের সংখ্যা অসংখ্য।

ইসলামের বানীকে পলিটিক্সে ব্যবহার করা গেলে, নিজের জীবনকে গড়ার জন্যে ব্যবহার করা যাবে না কেন! পরকাল বলতে একটা কিছু আছে, সেটা সবাইই স্বীকার করেন। ইহকালে যে ভালো কাজ করে না, সে কি পরকালে খোদার ক্ষমা পাবে? আমাদের প্রভু অত্যন্ত ক্ষমাশীল। কিন্তু, আমার কাছে মনে হয়,তাঁর দেওয়া ইহকালে আমরা ভালো কাজ করতে না পারলে, তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন না। তাই, ভালো কাজ করার জন্যে যা-ই প্রয়োজন, আমাদের তা-ই করতে হবে। আমাদেরকে সেজন্যে যেখান থেকে প্রয়োজন সেইখান থেকেই শিক্ষা নিতে হবে।

আর, মাদ্রাসাগুলো একেকটি বিদ্যাশিক্ষার বাতিঘর। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিগুলোও তা-ই। কোনটাকেই অস্বীকার করা যাবে না। আমরা যেখানেই পড়ি না কেন, ভালো কাজে যেসব প্রতিষ্ঠানই শিক্ষা ও উৎসাহ দিবে, সেইখানেই আমাদের সন্তানদের নিয়ে যেতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.