নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিটি মানুষের আমলনামা তার নিজ হাতে দেওয়া হবে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১



আমরা পৃথিবীতে থাকতে দল করি - সে রাজনৈতিক হোক কি সামাজিক। দলের সাথে কাজ করার সময়ে দলীয় নীতির দোহাই দিয়ে অনেক ভালো কাজ করি, খারাপ কাজ তো করিই। দলীয় ভাবে মানুষকে অনেক প্রলোভন দিয়ে বিপদে ফেলি। আমার প্রশ্ন - শেষ বিচারের দিন কি দল আমাদের বাঁচাতে পারবে? দল করার কারণে দলীয় বিবেচনায় কি খোদার ক্ষমা পাবো?

আশেকে ইলাহী বুলন্দশহরী লিখিত 'মরণের পরে কী হবে' একটি বিখ্যাত বই যাতে মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত সকল কুরআনের আয়াত এবং হাদিসকে একই মলাটের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। ছোটামামা'র বিয়ের উপহার হিসেবে তাঁর কোন বন্ধু বইটি উপহার দিয়েছিলেন। আমি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে পুরো বইটি পড়েছিলাম।

আমি বইটিতে আল্লাহ ও নবীজির এমন কোন বাণী পাইনি যাতে বলা হয়েছে - দলীয় ভাবে আমাদের বিচার করা হবে। বরং বল আছে, খোদার সামনে আমাদের একক ভাবে দাঁড় করানো হবে। বিচারও হবে একক ভাবে। আমলনামাও দেওয়া হবে একক ভাবে।

দলীয় ভাবে কাজ করার জন্যে আমাদের কিছু কিছু সওয়াব বা গুনাহ লেখা হতে পারে। কিন্তু, সেগুলো পারসোনাল একাউন্টে।, সমবেত ভাবে আমাদের কোন সওয়াব বা গুনাহ লেখা নেই যে!

যারা দলীয় ভাবে গুনাহ করছেন, মব সৃষ্টি করছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন - তারা কি এই ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখেছেন?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: দল হোক যথাতথা ব্যাক্তি হোক ভাল

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রত্যেক মানুষের আমলনামা (কর্মের কিতাব) তার সাথে থাকবে বা গলায় বাঁধা থাকবে – এই অর্থে কুরআনুল কারিমে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে:

وَكُلَّ إِنْسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ ۖ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنْشُورًا
اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَىٰ بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا

অর্থাৎ, আর আমি প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য (অর্থাৎ তার ভাল-মন্দ কর্মের ফল বা আমলনামা) তার গলায় বেঁধে দিয়েছি। আর কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য একটি কিতাব বের করব, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। (বলা হবে:) ‘‘পড় তোমার কিতাব। আজ তোমার নিজের হিসাব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট।’’ -সূরা আল-ইসরা: ১৭:১৩-১৪

এই আয়াতে ‘‘طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ’’ অর্থ প্রত্যেকের কর্ম তার গলায় বাঁধা (সাথে থাকবে), এবং কিয়ামতের দিন তার আমলনামা খোলা কিতাব আকারে তার সামনে উপস্থিত করা হবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.