![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শাকিল সহজ সরল
হাত-মুখ বেঁধে প্রথমে ধর্ষণ তারপর হত্যা করে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয় মাতুয়াইলের ৭ বছরের শিশু রুনিকে
ঠিক যেভাবে ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করে রাতভর ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছিলো দিনাজপুরের ৫ বছরের শিশু পূজাকে
বিচার হয়নি, থামেনি ধর্ষকদের নগ্ন উল্লাস..
আশেপাশে রেল লাইন থাকলে হয়তো পূজা কিংবা রুনির বাবাও মেয়েকে নিয়ে সেদিন আত্মহত্যা করতো
ঠিক যেমন করে বিচার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে রেল লাইনে আত্মহত্যা করেছিলো ঢাকার রমজান আলী
কিছুদিন আগে জুরাইনে ১১ বছরের একটি মেয়েকে স্কুল কক্ষে আটকে রেখে ৮ জন মিলে রাতভর ধর্ষন করেছে
মেয়েটির আত্মচিৎকার ৪ দেয়ালের বাইরে আসেনি ভালোই হয়েছে
বাইরে এলে রাষ্ট্র হয়তো তার সেই চিৎকার শুনেও হাততালি-ই দিতো
কুরবানির ঈদের দিনের ঘটনা....
পটুয়াখালীর বাউফলে মেয়েটা তার অসুস্থ মা'কে হাসপাতালে দেখে বাসায় ফিরছিলো, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জংগলে গাছের সাথে বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করলো কিছু জানোয়ার
রাষ্ট্র সেদিনও শুনেনি মেয়েটির আর্তনাদ
এই ঈদের দিনেই সাভারের নিমেরটেক এলাকায় ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু ঈদ আনন্দ করতে বান্ধুবিদের সাথে নৌকায় ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলো
রাষ্ট্রের গ্রাম্য মাতবর নামক সুশীল সমাজের প্রানীরা মা-মেয়েকে চুপ থাকতে কিংবা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললো
কি বিচিত্র আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা!!!
এ দেশে মেয়ে জন্ম দিয়ে যেন মা-ই ভুল করেছে, তাই এলাকা ছাড়তে হবে!
এখানেই শেষ না..
কুরবানির ঈদের দিনেই গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ৮ বছরের সিনথিয়াকে ধর্ষণ করে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে
এই ব্যাপারেও রাষ্ট্র লজ্জিত হয়নি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মাত্র ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুও ৬ মাসের গর্ভবতী হয় আমাদের দেশে
এসব ব্যাপারে হয়তো রাষ্ট্র ঘুমে থাকে, রাষ্ট্রের হুশ থাকেনা
আপনারা কি ওই কাহিনীটা ভুলে গেছেন???
বাসায় মা-মেয়েকে একা পেয়ে কিছু জানোয়ার বাসায় ঢুকে মা'কে বেঁধে রেখে ৭ বছরের ছোট্ট মেয়েটিকে ধর্ষন করেছিলো
নিরুপায় মা বারবার চিৎকার করে বলেছিলো, 'বাবারা, ও ছোট, এক জন একজন করে যাও'
সেদিনও রাষ্ট্র শুনেনি মায়ের আর্তনাদ
বিচার হয়নি......হয়েছে ইতিহাস.....
কিন্তু এভাবে আর কত?
আর কত পূজা, ফাতেমা কিংবা রুনিরা ইতিহাস হবে?
৮০ বছরের বৃদ্ধাও যখন একটি রাষ্ট্রে ধর্ষনের শিকার হয়, তখন এই লজ্জা কোথায় রাখি!!
ফেভিকলের আঠাযুক্ত নরম গদির মানুষেরা তো মানবতাবাদী, প্রগতিশীল, সভ্য মানুষ।
তাই তারা এসব আধুনিক সমাজের সামান্য দুষ্টামি বলে চালিয়ে দেয়।
সুশীলেরাও আজ চুপ। চেতনাধারী অচেতনরা আজ অন্ধ। মানবতাবাদী মুক্তমনারা আজ বোবা।
সমাজ ধংস হোক। নারী লাঞ্চিত হোক। শিশু ধর্ষিত হোক। রেল লাইনে কাটা পড়ে মরুক।
তাতে তথাকথিত সুশীল চেতনাধারী মানবতাবাদীদের যেন কিছুই যায় আসে না!
কিন্তু, এভাবে আর কত!!????
রুনি কিংবা রমজান আলীরা তো মরে গিয়ে বাঁচলো, আমরা বেঁচে আছি কেন?
আমাদেরও মরে যাওয়াই উচিত!
এদেশে.....সাঁওতাল ধর্ষিতা হলে সিনেমা হয়
পাহাড়ি ধর্ষিতা হলে আন্দোলন হয়
সংখ্যালঘু ধর্ষিতা হলে তুফান ওঠে মানবতাকর্মীদের ঠোঁটে
নায়ক-নায়িকা কেলেঙ্কারিতে মিডিয়ায় চলে তোলপাড়
সেরা সুন্দরী খোঁজার প্রতিযোগিতায় উত্তপ্ত হয় দেশ
আর পূজা কিংবা রুনিরা কচি বয়সে ধর্ষিতা হয়ে ঝরে যায়।
হযরত আলীরা ন্যায় বিচারের অভাবে প্রাণ দেয় রেল লাইনে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখন স্বাভাবিক শব্দটির থেকেও বেশি অস্বাভাবিক হয়ে গেছে আমাদের সমাজে
তাইতো এক আপু ঘৃনাস্বরে বলেছে-
''আমার কন্যাশিশুকে আমি ভ্রুণেই মেরে ফেলবো, যাতে ধর্ষকের সমাজে এসে ধর্ষিতা হয়ে তাকে মরতে না হয়'
©somewhere in net ltd.