নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় শিক্ষক/শিক্ষিকা বলে কিছু ছিলো আপনার?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১২








দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সবারই কমবেশি বুঝ আছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত আপনি আপনার পোস্টমর্টেম করতে চাইবেন না। দেশের এলিটদের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে, দেশের ম্যাক্সিমাম ভার্সিটির উপাচার্য বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে আসা। তবুও উনাদের বাড়ি ঘেড়াও চলে নামে বেনামে; দফার রীতিনীতি পোস্টারে দেখা যায়। প্রাথমিক বৃত্তির রেজাল্ট পরিবর্তন হলো,মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে। অনশনে ছেলেমেয়েরা বসলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে জাফর ইকবালকে উড়ে আসা লাগে,না হলে অনশন ভাঙানো যায় না ; ব্যাপারটা ইসলাম প্রচারের সময় বিলালের বুকে পাথর রাখার মত পরিস্থিতি।


দেশের সরকারের টাকায় শিক্ষকতা করা মানুষগুলো, বেসরকারী শিক্ষকদের জন্য কিছু করেছে কিনা জানি না। বেসরকারী শিক্ষকরা রাস্তাঘাটে পত্রিকা বিছিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়,দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। আন্দোলনের সেই বৃক্ষে কখনো ফল ধরে না, ফুলও দেখা যায় না। বিভিন্ন ভার্সিটির স্টুডেন্টসদের তাদের শিক্ষকদের নিয়ে কিছু বলতে দেন, দেখবেন আপনি হতবাক হয়ে যাবেন,সবচেয়ে চুপচাপ থাকা ছেলেটাও ননস্টপ বয়ান দিতেই থাকবে ক্যারেক্টারের সার্টিফিকেট দিতে।বেশিরভাগ প্রাইভেটে ভার্সিটির ম্যাডামদের নিয়ে আজকাল ফ্যান্টাসিতে ভুগে।এটা সেটা উল্টাসাহিত্য লিখে জানাতে চায়, আমি আছি, বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা মাত্র।


আমি স্কুলে থাকাকালীন অনেক শিক্ষকের মাঝে দ্বন্দ দেখেছি, একজন ছিলো এসব ক্যাচাল এড়িয়ে চলতো উনি হিন্দুধর্মের ছিলো। তবে সবার থেকে উনার বেশি গ্রহণযোগ্যতা ছিলো, স্কুলে থাকাকালীন উনার কথার সুরে একটু আধটু অভিমান চোখে পড়তো, তবে এত বুঝতাম না। পরে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো, যখন উনি সপরিবারে ভারত চলে যায়।প্রথম থেকে আশপাশ থেকে ফিডব্যাকের কারণে উনাকে একটু অন্যরকম দেখতাম, একটুখানি ভয়,একটুখানি সম্মান, উনি আমাকে মোটামুটি পছন্দ করতেন এবং উনার ব্যাক্তিত্ববোধ ভালো লাগতো; তখন উনার ব্যাক্তিত্ববোধ মাপার একটা ব্যাপার কাজ করতো " কেউ কখনো উনাকে খারাপ বলতে শুনিনি, তাছাড়া উনি কখনো কোনো শিক্ষক নিয়ে সমালোচনা করেনি । তবে উনি কিছুটা একপেশে ছিলেন, শিক্ষার্থীর মেধা অনুযায়ী ওভাবে পড়াতেন। যেমন- যার যোগ্যতা ১-২০ মুখস্ত করার, উনি কখনো ২১ শেখাতে চাইতেন না, বলতেনও না। এর পর ঐ রকম বা ঐ লেভেলের শিক্ষক চোখে পড়েনি, ভালো লাগেনি।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছিল। এখনো আছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আপনার একজন আজীবনের হেডমাস্টার আছে। এখন কে?

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনার একজন আজীবনের হেডমাস্টার আছে। এখন কে?


আপনি সঠিক। উনিই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আজীবন নিয়ে কোনো কথা বা প্রশ্ন চলবে না।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার প্রিয় শিক্ষকদের তালিকা দীর্ঘ। তবে শিশুকালে বাড়িতে এসে পড়াতেন তেমন কয়েকজনের কথা বেশী স্মরণীয়- যাদেরকে আমি শিক্ষাগুরু মান্যতা দেই।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কয়েক পর্বে ব্লগে লিখুন।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

চারাগাছ বলেছেন:
আমার প্রিয় শিক্ষকের তালিকা একেবারে ছোট। তাঁরা স্কুল টিচার।
আমি একদিন লিখবো। ইচ্ছা আছে যদি সামু সুযোগ দেয়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সামু আটকে রেখেছে নাকি কাটার মত?

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫

চারাগাছ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
সামু আটকে রেখেছে নাকি কাটার মত?


প্রথম পাতায় না এলে লিখে আরাম নাই।
তবুও আজ লিখলাম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দেখছি।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের কারনে এই যে আসা যাওয়া এটা আমাদের সমাজ কে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।হিন্দুরা যত কমছে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ তত বাড়ছ।এক দল আরেক দলকে কাফের বলছে।পঞ্চগড়ের মতো ঘটনা বাড়তেই থাকবে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


উনি বুঝেছিলেন, উনার আশে পাশে পন্চগড় গড়ে উঠছে।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অবশ্যই আছে প্রিয় শিক্ষক ও আদর্শ শিক্ষক। বগ্লে একটা লেখাও আছে আমার ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


অনেক দিন হলো লিখেন না।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



সব শিক্ষকই প্রিয় ছিলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

পড়েছো মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সময়ে ৫% শিক্ষক ছিলেন যাদেরকে ক্রিমিনালও বলা যেতে পারে। ২০% শিক্ষক ছিলেন ফাঁকিবাজ বা নিম্নমানের। ২০% শিক্ষক ছিলেন প্রকৃত আদর্শ শিক্ষক। বাকি ৫৫% শিক্ষক ছিলেন নৈতিকতা এবং শিক্ষকতার ক্ষেত্রে মোটামুটি ভালো মানের।

শিক্ষকের কারণে শিক্ষার্থীর ফলাফল ভালো বা খারাপ হয় অনেক সময়। উদ্ভিদ বিজ্ঞান আগে যে শিক্ষক পড়াতেন তিনি ছিলেন ফাঁকিবাজ। নতুন শিক্ষক আসার পরে ওনার পড়ানোর ধরণের কারণে আমাদের অনেকের ফলাফল ভালো হয়েছিল।

আরেকজন ভূগোলের শিক্ষক আচরণের ক্ষেত্রে ছিলেন ক্রিমিনাল কিন্তু পড়াতেন খুব ভালো। সুযোগ পেলে তুচ্ছ কারণে শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যেতেন ভাইস প্রিন্সিপ্যালের কাছে বিপদে ফেলার জন্য। শিক্ষার্থীকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন। নিজে নোট দিতেন ক্লাসের সবার জন্য। ওনার নোট পড়ে সবাই খুব ভালো করেছে। উনি না থাকলে এত ভালো ফলাফল করা সম্ভব হতো না ছাত্রদের।

কয়েকজন ছিলেন প্রকৃত আদর্শ শিক্ষক। তাদের মধ্যে দুই একজন প্রচণ্ড রাগী ছিলেন। ওনাদের ভয়ে লেখাপড়া করতাম। কখনও ফাঁকি দিতেন না। পড়া আদায় করে ছাড়তেন। প্রয়োজন পড়লে ক্লাসের বাইরেও পড়াতেন ছাত্রদের পড়া বুঝানোর জন্য। ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ছিলেন। পড়ার ফাঁকে জীবনের আদর্শ নিয়ে ছাত্রদের সাথে কথা বলতেন।

বন্ধুর মত শিক্ষক ছিলেন কয়েকজন। ওনাদের ক্লাস খুব ভালো লাগতো। যে কোন বিষয়ে আলাপ করা যেত।

প্রাইমারী পড়ার সময়ে একজন ম্যাদাম আমাকে আর ক্লাসের ফার্স্ট বয়কে খুব পছন্দ করতেন। উনি প্রতিদিন ক্লাসের এক পর্যায়ে পড়ার বিষয় নিয়ে প্রথমে ফার্স্ট বয়কে পরে আমাকে জিজ্ঞেস করতেন। আমরা নিজেদের মত বলার চেষ্টা করতাম।

ইংরেজি একজন ম্যাডাম ছিলেন। উনি আমাদেরকে বাংলা বা ইংরেজি নাচ, গান, নাটিকা ইত্যাদিতে উৎসাহিত করতেন। আরেকজন শিক্ষিকা ছিলেন যিনি বিলাসিতা পরিহার করতে বলতেন। বাংলার একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি অনেক নীতি কথা বলতেন। নিজেও নিতিবান ছিলেন। তবে রাগী ছিলেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কমেন্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য তুলে এনেছেন, ভালো। তবে মনে হয় সৎ মানুষগুলো রাগী হয়।

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: তখন ইন্টারমিডিয়েট পড়ি।
এক ম্যাডামের বাসায় পড়তে যেতাম। ম্যাডামের বয়স বেশি না। ম্যাডাম খুব সুন্দর। ম্যাডাম শাড়ি পড়লে পেট বের হয়ে থাকতো। সেলোয়ার কামিজ পড়লে ওড়না পড়তো না। দেখতে ভালো লাগতো। এই ম্যাডাম আমার খুব প্রিয় ছিলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


প্রতিদিন পেটে /বক্ষযুগলে তাকিয়ে থাকার গড় সময় কত ছিলো?

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছলো। এখন আছে একজন। শুধু একজনই।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সবারই কেউ না কেউ থাকছেই।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রতিদিন পেটে /বক্ষযুগলে তাকিয়ে থাকার গড় সময় কত ছিলো?

উফ.... আপনিও !!!!

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ঠিক আছে, থেমে যান।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: যেহেতু আমি সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত স্কুলে পড়াশুনা করেছি তো স্কুলের বেশীরভাগ শিক্ষকদের একটা বেসিক ধারনা ছিলো আমরা কম অর্থ দিয়ে বেশি শিক্ষা গ্রহণ করছি । এর জন্য মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকম খোঁচা সমৃধ্য কথা শোনাটা প্রায় নিয়মিত ছিলো । তবে স্কুল জীবনের শেষের দিকে এসে শিক্ষকদের প্রতি মায়া বেড়ে গিয়েছিলো । রাস্তাঘাটে শিক্ষকদের দেখলে ভালোবাসা ভালো লাগা দুইটাই কাজ করে বিতৃষ্ণা যা ছিলো তা মনে হয় মাধ্যমিকের পর নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো ।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

শিক্ষকদের প্রতি আপনার ভাবনা অঙ্কুরোদগম থেকে উপরে যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.