নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

শূন্য সারমর্ম

কঠিন সত্য কি মানুষ বদলাতে পারে?

শূন্য সারমর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোমলমতি আমলা।

২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯







কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বলে পড়াশোনা করে লাভ নেই, এর চেয়ে ভালো কোথাও বছরের পর বছর কাজ শিখা। ওরা এসব কীভাবে বুঝতে পারলো? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার হলের ঘটনার বয়ান শুনলাম একজনের কাছে, তা হলো : ৭০ ভাগ বিভিন্ন কায়দায় নকল বহন করছে, এমনকি পরীক্ষাটি যখন হয় সহজ কোনো বিষয়ের উপরেই। মেয়েদের পর্দার ভিতরে কাগজের দলা পাওয়া যায়; যে শিক্ষকরা নকল ধরে, তারা যেভাবে শাস্তি আওতায় আনা দরকার, ঐ দিকে যায় না। কারণ, ঐ দিকে গেলে উল্টোদিকের মেইন গেইট দিয়ে নাকি বের হয়ে বাসায় আর যাওয়া হবে না।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াশরুম ব্যবহৃত হয় নকলের স্টোররুম হিসেবে, দেহের বাকি কাজ পেছনের লিস্টে থাকবে।



প্রাইভেট ভার্সিটিতে প্রতিটি বাতিও বোধহয় শো অফে ব্যস্ত, পরিপাটি রাখতে হবে তেমন সুপ্ত বাসনা কাজ করে।নকল চলে গোপনে,ছাড়া পায় গোপনে,পাশ হয় গোপনে, কিন্তু সার্টিফিকেট সবার সামনে উন্মোচনে।মাঝেমধ্যে বিছিন্ন ভাবে পলিটিক্স প্র্যাকটিস চলে, এটা সেটা সংগঠনের ভেতরে পলিটিকাল ব্যাকআপ থাকা মানুষগুলোই পদে থাকে।গোপনে র‍্যাগিং চলে,শর্ট ডিউরেশনে।সময়মত বের হয়ে যায় সার্টিফিকেট নিয়ে, এসে দেখে কাজে লাগছে না।শুরু হয়ে যায়, কিচ্ছা কাহিনী, পড়াশোনোর কোনো দাম নেই,সব ভূয়া।



কোমলমতিরা বড় হলে সিস্টেম থেকে বাঁচতে পলিটিক্সে ডুকে সিস্টেম জীবিত রাখে,তবে বেশিরভাগ বিদেশমুখী হয়ে কোমলমতি ট্যাগ গায়ে রাখতেই চায়।ভিনদেশী ভাষা প্রিপারেশন নেয়, সাকসেস আসে,বিদেশ পাড়ি জমায়।কিন্তু বেশিরভাগের হঠাৎ কানে আসে সরকারী চাকুরীর 'সোনার হরিণের 'তৃপ্তির কাহিনী।ফলে সফলতা পেলে কোমলমতিরা আমলা হয়ে দেশকে ভোগে পাঠায় ; শিক্ষাব্যবস্থার কোমলমতিরা আমলাততন্ত্রের কোমলমতিতে পরিণত হয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সবি কপালের ফের।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সিস্টেমের বলি দেখা যায় না, অগোচরে মেনে নিতে হয়।

২| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েকজনকে দেখেছি ছাত্র থাকা অবস্থাতেই পণ করে যে আমলা হয়ে ঘুষ খাবো।

অশিক্ষিত কৃষক দেশের ক্ষতি করে না করার তার সামর্থ্যও নেই। কিন্তু শিক্ষিত মানুষ জ্ঞানপাপী হয়ে দেশের ক্ষতি করে। এই জন্য বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে

"বাংলার মাটি থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। দুর্নীতি আমার বাংলার কৃষক করে না। দুর্নীতি আমার বাংলার শ্রমিক করে না। দুর্নীতি করে আমাদের শিক্ষিত সমাজ"।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বঙ্গবন্ধু ভালো বলেছিলেন।তবে এদেশে শিক্ষিত হলে দেশের বারোটা বাজাতে সহজ হয়।

৩| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আমাদের দেশটা নিয়ে আশাবাদী।
দেশের মানুষ নিয়ে আমি আশাবাদী। খুব ধীরে হলেও আমাদের দেশের পজেটিভ পরিবর্তন হচ্ছে।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

Hope is the only thing, may be the best thing.
-The Shawshank Redemption

৪| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩১

চারাগাছ বলেছেন: ভালো ভাবনা।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ভাবনা পছন্দ হয়েছে শুনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:



শূন্যের ব্যতিক্রমী পোষ্ট।
শূন্যতো শুধু প্রশ্ন করে।
কিন্তু আজ নিজেই সব উত্তর সুন্দর করে লিখেছে।


২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ব্যাপারটা ভালো ধরেছেন ; তবুও প্রশ্ন একটা করেই ফেলেছি।

৬| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই হচ্ছে দেশের অবস্থা!! কি আর বলবো বলেন? তবে শত প্রতিকুলতার মাঝেও কিছু মেধাবীরা বেরিয়ে আসছে, এটা ভালো দিক।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


অটো ডিপ্রেশড কান্ট্রি সহসা হবে না ধর্মের প্রভাবের কারণে।

৭| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এখন বুঝেন কি কারণে আমি সারাক্ষণ ছাগু ও কাঠমোল্লাদের গদাম দেই।

২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আপনি বিপ্লব চাচ্ছেন।

৮| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: The Shawshank Redemption অসাধারন একটা মুভি।
অনেকবার দেখেছি। আরো অনেকবার দেখব।

২২ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এটা বারবার দেখার মতন মুভি।

৯| ২২ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমাদের অনার্স পরীক্ষা চলছে, টিচার রুমে গার্ড দিচ্ছেন; হঠাত দুই-তিনজন নেতা আমাদের রুমে আসলেন এসেই সোজা তার পরীক্ষা রত ক্লাইন্টের কাছে গিয়ে বই দিয়ে পাশে দাঁড়িইয়ে রইলেন। তার ক্লাইন্ট বই দেখে লিখে যাচ্ছে টিচার কিছু বলতে না পারার লজ্জায় অন্যদিকে তাকিয়ে আছেন। একবার আমাদের এলাকার জুনিয়র বললো আংকেল আমি তো কলেজের ওমক পদ পেয়েছি, পরীক্ষার হলে কোনো হেল্প লাগলে বলবেন, কত পুলাপান পাশ করাই দিলাম আমি। এই হচ্ছে অবস্থা!
শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি ভালো কিছু বয়ে আনেনা, আনতে পারেনা। আমি আমার কলেজ ভার্সিটি লাইফে কোনোদিন কোনো রাজনীতি বিদদের ভালো কিছু করতে দেখিনি। হয় তারা রক্তারক্তি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে না হয় ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে স্টুডেন্টদের জোর করে মিছিলে নিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আরোও অনেক জঘন্য কাজ তারা করেছে। আমি আমার ভার্সিটি ও কলেজে লাইফে কোনোদিন কোনো নেতার সাথে কথা বলিনি ইভেন কোনোদিন একটা সালামও দেইনি। শ্রদ্ধা ভালোবাসা মন থেকে আসে ভয় থেকে নয়। পরিশেষে মান্না ভাইয়ের মতো বলতে হয়, শিক্ষা ব্যবস্থার হো* মা* শেষ! :|

২২ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনার অভিজ্ঞতা পড়লাম,ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ২২ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাওন আহমাদের কমেন্ট দেখে আমি নিজেও একটু যোগ করতে এলাম। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জ্বলন্ত বাস্তবতা ফুটে উঠেছে শাওন আহমাদের কমেন্টে। ছাত্র রাজনীতি এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে এসেছে। যারা শিক্ষার সাথে জড়িত আছেন বা ছিলেন, কেবল তারাই এটা অনুধাবন করতে পারবেন। ভর্তির মরসুমে নেতারা এসে প্রিন্সিপালের কাছে ১০০ বা ৫০টার একটা কোটা চাইবেন, যাতে কোনোরূপ ভর্তি পরীক্ষা বা ভর্তির বেঞ্চমার্ক না মেনেই নেতাদের পছন্দের ছাত্রকে ভর্তি করানো হবে। ঐদিকে ১২০০/১৩০০ নম্বর পাওয়া ছাত্ররা ভর্তি হতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়ে।

শতভাগ পাশের হার দেখানোর প্রবণতা, সেরা স্কুল বা সেরা কলেজ হওয়ার প্রবণতা শিক্ষকদেরকেও দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে। এটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলাম না, যারা জানার বা বোঝার তারা বুঝে নেবেন।

একজন ভালো অথোরেটিয়ান কখনো বলবেন না, পাশের হার বাড়াও। একজন ভালো অথোরেটিয়ান বলবেন, শিক্ষার মান উন্নত করো।

সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির প্রচলন হয়েছিল শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য। আমিসহ অনেকেরই মতামত হলো, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিই শিক্ষার মানকে নিম্নমুখী করেছে, নকলের সুযোগ অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ পদ্ধতির প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কঠিন, সবাই ভালো প্রশ্ন বানাতেও পারেন না। ফলে ২/১ বছরের মধ্যেই গতানুগতিক প্রশ্ন বানানো শুরু হয়। একজাম হলে এমসিকিউ'র উত্তর দেয়ার সময় নকলের আরেক মহোৎসব চলে। ফলে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে না পড়লেও চলে।

২২ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


শিক্ষা ব্যবস্থা নিখোজ হয়ে যাওয়া সাবমেরিনের মত; সহসা সমাধান আসছে না। আদৌ কখন আসবে কেউ বলতে পারে না। কোমলমতিরা হারিয়ে যাবে চিরতরে।

১১| ২২ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা বারবার দেখার মতন মুভি।

'লাইফ ইজ বিউটিফুল' মুভিটা কিন্তু বারাবার দেখার মতো মুভি।

২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

দেখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.